ক্যাটালগ / তরুণ পোশাক উদ্যোক্তাদের অ্যাপারেল রিসোর্সেস সম্মাননা
২০৪১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে এ দেশের তরুণ প্রজন্ম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, পিছিয়ে নেই দেশের পোশাক উদ্যোক্তারাও। রেডিমেড গার্মেন্টসের (আরএমজি) তরুণ উদ্যোক্তাদের এ অসামান্য প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতে অ্যাপারেল অনলাইন বাংলাদেশ (এওবি)-ভারতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল রিসোর্সেস গ্রুপ প্রথমবারের মতো ‘৪০ অনূর্ধ্ব ৪০’ পুরস্কারের আয়োজন করে। গার্মেন্টস শিল্পের তরুণ প্রজন্মদের নিয়ে সম্প্রতি এ অ্যাওয়ার্ড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পোশাক শিল্পের বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সম্মাননা গ্রহণের সময় তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সম্ভাবনা, সংগ্রাম নিয়ে নিজেদের মনোভাব তুলে ধরেন। অনেক তরুণ উদ্যোক্তা জানান, এ সাফল্য শুধু তাদের একার নয়, তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদেরও। পোশাক খাতকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তারা দেশে বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। প্রায় সব পুরস্কার বিজয়ী শীর্ষ গার্মেন্টস গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত, যাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- আকিব রহমান, পরিচালক, হ্যামস গ্রুপ; মাইশা আবদুল্লাহ, পরিচালক, মিতালী গ্রুপ; উসামা সরওয়ার, চেয়ারম্যান, উসামা টেক্সটাইল লিমিটেড। সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা থেকে শুরু করে পরিচালক, যেমন উসামা সরওয়ার, চেয়ারম্যান, উসামা টেক্সটাইল লিমিটেড; আবরার হোসেন সায়েম, সিইও, মার্চেন্ট বে’কে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া বিজয়ীদের মধ্যে রেজওয়ান হাবিব, হেড অব বিজনেস অপারেশনস, ডিবিএল গ্রুপ এবং হর্ষ কুমার, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, সিএলও ভার্চুয়াল ফ্যাশন আইএনসির মতো উদীয়মান ও প্রতিশ্রুতিশীল পেশাদাররা রয়েছেন। তরুণ উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে অ্যাপারেল রিসোর্সেসের পরিচালক মায়াঙ্ক মহিন্দ্র বলেন, ‘আমরা পোশাক শিল্পের এ তরুণ প্রজন্মকে অভিনন্দন জানাই, যারা শুধু তাদের ব্যবসার বৃদ্ধি নিশ্চিত করতেই তাদের সর্বোত্তম অবদান রাখেননি বরং পুরো সাপ্লাই চেইনের জন্য এক অভিনব সুযোগ তৈরি করেছেন।’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান; ইয়েলো রিটেইলের নির্বাহী পরিচালক শেহরিয়ার বার্নি; নিউএজ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম এবং অনন্ত গ্রুপের এমডি ও ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শরীফ জহির। এ সময় তারা আশা প্রকাশ করেন যে, এই ধরনের অনুপ্রেরণামূলক পদক্ষেপ তরুণ প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
১৮ মে, ২০২৪

বাজারে এলো অদৃশ্য পোশাক
ছোটবেলা লুকোচুরি খেলেননি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। মাঝে মাঝে হয়তো অনেকেরেই আবার মন চায় বাস্তবতা থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে। ভাবুন তো একবার বাস্তবে যদি এমন সুযোগ থাকত যে কোনো পোশাক পরলে আপনিও অদৃশ্য হয়ে যেতে পারছেন। এমনটা কি আসলেই সম্ভব? অসম্ভব মনে হলেও বাস্তবে এটি সম্ভব করেছে চীন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অদৃশ্য হওয়ার প্রস্তাব পেলে যে কেউ হয়তো লুফে নিবেন। হ্যারি পটারের বিখ্যাত ‘ক্লোক অফ ইনভিজিবিলিটি’-কে এবার বাস্তবে রূপান্তর করেছেন চীনের একদল গবেষক।  আনন্দবাজার জানিয়েছে, অদৃশ্য হওয়ার জন্য এক ধরনের পোশাক আবিষ্কার করেছেন চীনের গবেষকরা। অন্য যে কোনো পোশাক থেকে এটিকে আলাদা করা যাবে না। তবে কোটটি পরলেই অদৃশ্য হওয়া যাবে। কেবল তাই নয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সযুক্ত সিকিউরিটি ক্যামেরাও এ ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারবে না। একরকম অদৃশ্য হয়ে যাবেন তিনি। নতুন আবিষ্কার করা এ পোশাকটির নাম দেওয়া হয়েছে ইনভিসডিফেন্স। এটি অনায়াসে ক্যামেরাকে ধোঁকা দিতে পারে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, এ পোশাক পরলে দিনের বেলা অদৃশ্য হওয়া যাবে। আবার রাতের বেলাও ইনফ্রায়েড ক্যামেরাকেও ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হবে।  আবিষ্কারক দলে থাকা পিএইচডি ছাত্র ওয়েই হুই বলেন, গবেষকরা পোশাকটির সুস্পষ্ট ডিজাইন করতে অ্যালগরিদম ব্যবহার করেছেন। এটি কম্পিউটারের দৃষ্টিকে অক্ষম করতে পারে। এর দাম হতে পারে ৭০ মার্কিন ডলারে কাছাকাছি।  ওই শিক্ষার্থী জানান, ইনভিসডিফেন্স নামের এ পোশাককে যুদ্ধক্ষেত্রে অ্যান্টি ড্রোন যুদ্ধ বা মানব-মেশিন সংঘর্ষে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ পোশাকটি চীনের একটি সৃজনশীল কাজের প্রতিযোগিতায় উদ্ভাবনের জন্য প্রথম পুরস্কার জিতেছে।  গবেষকদের দাবি, পোশাকটি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। শত্রুপক্ষের নজর তেকে বাঁচাতে এটি বেশ কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। যদিও এক্ষেত্রে পোশাকের জন্য আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন বলেও জানান তারা। 
১৩ মে, ২০২৪

পোশাক শিল্পের তিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা জরুরি
এলডিসি উত্তরণের পর দেশের পোশাক খাত সংকটে পড়বে। এজন্য পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে জরুরি ভিত্তিতে তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা জরুরি। এগুলো হচ্ছেÑ ডিকার্বোনাইজেশন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা উৎপাদন পদ্ধতিতে প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয়করণের প্রভাব। গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে গোলটেবিল বৈঠকে ‘বুনন ২০৩০: নীতিনির্ধারণী আলোচনা’ শীর্ষক আলোচনায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়। দেশের বিজনেস কনসালট্যান্সি প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসল পার্টনার্স ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সেলিম হোসেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মহাপরিচালক আরিফুল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আবদুর রহিম খান, বিকেএমইএর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ ও অন্য কর্মকর্তারা। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জাহেদুল আমিন। এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি সংকট আসছে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর। এলডিসির কারণে জিএসপিসহ অন্যান্য বাণিজ্য সুবিধা কমে যাওয়া, শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়া, আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও আমদানিকারকরা বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে পোশাক উৎপাদন করা দেশগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কা, পোশাকশিল্পের কিছুসংখ্যক মালিক কমপ্লায়েন্সগুলো পুরোপুরি না মানার ফলে এই সংকট আরও বাড়বে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে। এ খাতে জিডিপির অবদান ১০.৩৫ শতাংশ। এতে কর্মরত রয়েছেন ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক, যার মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী। ফলে এখনই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে এই শিল্পের পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেন বলেন, পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উৎপাদনভিত্তিক, সৃজনশীল ও সময়োপযোগী ব্যবসায়িক মডেল গ্রহণ করতে পারে। বিডার মহাপরিচালক আরিফুল হক বলেন, দেশের পোশাক খাতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাহিদা অনুযায়ী কার্যকর রপ্তানিমুখী নীতি প্রয়োজন। এজন্য নীতিনির্ধারকরা দেশের বিখ্যাত কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ নিতে পারেন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. আবদুর রহিম খান পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের জন্য ভারতের আদলে প্রোডাক্ট লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিমের মতো সফল মডেলগুলো অনুসরণের তাগিদ দেন। ফাইবার উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে, ম্যান-মেড ফাইবার (এমএমএফ) উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান বিকেএমইএর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
১২ মে, ২০২৪

টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মীমাংসা করতে গিয়ে খুন হলেন পোশাক শ্রমিক
চট্টগ্রামের ইপিজেডে পাওনা টাকার জেরে ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান নামে এক তরুণকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) সকালে ইপিজেড থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সাদিকুর ও হাফিজুর রহমান। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ২টার দিকে সিইপিজেডের কন্ডা আর্টস ম্যাটেরিয়ালস নামের কারখানার শ্রমিক সাদিকুর এবং রমজানের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় তারা একে অপরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে একই পোশাক কারখানায় কর্মরত মেহেদী হাসান রিফাত এ বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও সেটি মেনে নেয়নি সাদিকুর। রিফাত রমজানের পক্ষ নিয়েছে এমন ধারণা করে ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের নিয়ে একই দিন রাতে রিফাতকে মারতে যায় সাদিকুর। আকমল আলী পকেট গেটে একটি ফটোকপির দোকানের সামনে রিফাতের রিকশা থামিয়ে সাদিকের নেতৃত্বে মেহেদী হাসান ও রিফাতের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় মেহেদী হাসানের বুকের মাঝখানে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় রিফাত এবং শহিদুল নামে দুই যুবক। ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ হোছাইন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেহেদী হাসান খুনের ঘটনায় তার মা রেহানা বেগম শুক্রবার (১০ তারিখ) বাদী হয়ে সাদিকুর রহমান এবং রমজান আলীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৮/১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তিনি বলেন, মামলার পর প্রথমে আমরা আসামি সাদিকুরকে গ্রেপ্তার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে হাফিজুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান চলমান।
১১ মে, ২০২৪

বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রম ভবনে পোশাক শ্রমিকদের অবস্থান
শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দিয়েই গাজীপুরের কাশিমপুরের একটি পোশাক কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও পাওনা বেতন-ভাতার দাবিতে গত শনিবার থেকে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন প্রায় এক হাজার শ্রমিক। বুধবারও শ্রমিকরা নিজেদের অবস্থানে অটল ছিলেন। জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গাজীপুরের ড্যানিস নিটওয়্যার গার্মেন্টসের মালিক পক্ষ কারখানা বন্ধ করে দেয়। ছুটির সময়ই যন্ত্রপাতি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। শ্রমিকরা ছুটি শেষে কারখানায় এলে নিজস্ব বাহিনী দিয়ে তাদের হুমকি ও মারধর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় মালিক পক্ষ। কারখানাটিতে কর্মরত ছিলেন প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। এপ্রিলেও বেতন-ভাতা পাননি শ্রমিকরা। কারখানার সামনেই অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে এপ্রিলের শেষ দিকে শ্রমিকদের দাবি বিবেচনার জন্য ৫ মে পর্যন্ত সময় নেয় মালিক পক্ষ। কিন্তু শ্রম মন্ত্রণালয় ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা ৫ মে ফের আলোচনায় বসলেও মালিক পক্ষের সাড়া মেলেনি।
০৯ মে, ২০২৪

বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছেন। এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকার পোশাক কারখানা অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকরা সকালে কাজে এসে দেখেন কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলছে। এর প্রতিবাদে তারাসড়ক অবরোধ করেন। সাহান বলেন, এই কারখানায় তিন শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তাদের এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। এর মধ্যেই তাদের সুযোগ-সুবিধা না দিয়েই হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।  তিনি আরও বলেন, শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার কারখানায় এসেছিলেন কিন্তু কাজ না থাকায় ফিরে গেছে। তারা জানিয়েছেন, তখনো তাদের জানানো হয়নি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় আছেন। ওসি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
০৪ মে, ২০২৪

সড়কের পাশে পড়েছিল পোশাক শ্রমিকের লাশ
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাপুলিয়া এলাকায় সড়কের পাশ থেকে জসিম মিয়া (২৮) নামে এক পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত জসিম মিয়া সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে। তিনি বাসন থানা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন বলে জানা গেছে। জিএমপির সদর থানার উপপরিদর্শক বায়োজিদ নেওয়াজ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে চাপুলিয়া এলাকার লোকজন হাঁটতে বের হয়ে সড়কের পাশে এক ব্যক্তিকে শোয়াবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ফেরার পথেও একই অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিমের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় অসুস্থ হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
০২ মে, ২০২৪

এপ্রিলে কমেছে রপ্তানি আয়
নানা ধরনের সংকট এবং চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকেই রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। টানা তিন মাস এই প্রবৃদ্ধি বজায় থাকলেও চতুর্থ মাসে এসে ছন্দপতন দেখা দিয়েছে। একক মাস হিসেবে এপিলে রপ্তানি আয় বেশ কিছুটা কমে গেছে। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রবৃদ্ধি দুই অবস্থান থেকেই পিছিয়ে রয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। তবে রপ্তানি আয়ের প্রাণভ্রমরা তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ায় সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় বেড়েছে। সেখানেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।  রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।     প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য এবং বাইসাইকেলসহ সব খাত মিলে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি করে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রপ্তানি আয় এসেছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে ১০ মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর একক মাস হিসেবে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলার। যা গত বছরেরে একই সময়ে ছিল ৩৯৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে শূন্য দশমিক  ৯৯ শতাংশ।  রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দুদিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। অর্থবছরের ১০ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম এসেছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি ছিল ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার। এসময় রপ্তানি আয় এসেছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম এসেছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর এপ্রিল মাসের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৭০ কোটি ডলার। যদিও এসময়ে রপ্তানি আয় এসেছে ৩৯১ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এপ্রিলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম এসেছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া, সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞার আশংকাসহ বিভিন্ন ধরনের সংকটের মধ্যেও রপ্তানি আয়ের এই প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। নানা কারণে আলোচ্য সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে। তবে সম্প্রতি রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে তৈরি পোশাকসহ পুরো রপ্তানি খাত। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আগামী দিনে রপ্তানি আয় আরও কমবে।  এই প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, ১০ মাসে তৈরি পোশাক খাতে খুব বেশি প্রবৃদ্ধি হয়নি। গড়ে মাত্র সাড়ে তিন শতাংশের মতো হয়েছে। নিট পোশাকে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও ওভেনে এখনো সংকট রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এখনো যে সংকট আছে, তাতে পুরো অর্থবছর শেষে খুব ভালো কিছু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যে কৌশলগুলো নিয়েছে তার ওপর ভিত্তি করেই চলতি মাসে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর পাশাপাশি পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং নতুন বাজার খোঁজার ক্ষেত্রেও তারা কাজ করছে বলে জানান।  বিভিন্ন খাতে রপ্তানি আয়ের উত্থান-পতন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় এসেছে ৪ হাজার ৪৯ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি ডলার। সেই হিসাবে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যদিও এসময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি আয় কম হয়েছে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল খাতের রপ্তানি আযয়ের প্রবৃদ্ধি ২৫ দশমিক ৩২ শতাংশ কমে ৭০ কোটি ২৫ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে।  চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে এই খাতটিতে। আলোচ্য সময়ে ৭৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।  এদিকে, আলোচ্য সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময়ে এই খাতের রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৮৭ কোটি ২৪লাখ ডলার। যা ২০২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০০ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, এ সময় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিও কমেছে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এই খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৭১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে আয়ের পরিমাণ ছিল ৭৭ কোটি ০৮ লাখ ডলার। হিমায়িত এবং জীবন্ত মাছের রপ্তানি আয় ৩৭ কোটি থেকে কমে ৩২ কোটিতে নেমেছে। তবে এসময়ে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
০২ মে, ২০২৪

নারীর পোশাক পরে ট্রেনে যুবক, অতঃপর...
নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন এক যুবক। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে। এই খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।  সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নারীদের পোশাক পরায় রাজধানী রিয়াদ থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী। ওই যুবকের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে করে যাচ্ছেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হলে সৌদি আরবে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।  দেশটিতে পুরুষ হয়ে নারীদের পোশাক পরা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া এই আইনে ‘অনুপযুক্ত’ পোশাক পরা, প্রকাশ্যে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা এবং আবাসিক এলাকায় জোরে গান বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  সৌদির আইনানুযায়ী, যারা এসব অপরাধ করবেন তাদের বিরুদ্ধে ৫০ রিয়াল থেকে ৩ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে কথিত আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। তবে এখনো দেশটিতে নারী ও পুরুষের শালীন পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

প্রেমিকার দেওয়া পোশাক পরে প্রেমিকের আত্মহত্যা
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রেমিকার ওপর অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার মুন্সীগঞ্জের জেলেখালী গ্রামের নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন তিনি। এর আগে ভোর ৪টায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দেন তিনি। প্রয়াত প্রদীপ কুমার মন্ডল (২৭) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালী গ্রামের বাসুদেব মন্ডলের ছেলে। পারিবারিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে প্রদীপ খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায়। বুধবার ভোরে তাকে ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে তার দেওয়া স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো- ‘বিদায় পাখি। তুমি যে এভাবে আমার সঙ্গে বেঈমানি করবে আমি কখনো বুঝিনি। আর কখনোই তোমাকে বিরক্ত করব না। কিন্তু একটা কথা বলবো- পাখি, আমাকে যেভাবে ঠকালে এভাবে অন্য কোনো মায়ের কোল খালি করো না প্লিজ। নতুন যে মানুষটার সঙ্গে কথা বলছো তাকে যেন কাঁদিও না। তোমার দেওয়া জামা, প্যান্ট, জুতা সব সঙ্গে নিয়ে মরলাম পাখি...’ স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য নিপা চক্রবর্তী বলেন, বংশিপুরে একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রদীপের। তার ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে। শ্যামনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলেখালীতে প্রদীপ নামের এক যুবকের আত্মহত্যার খবর শুনেছি। পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
X