মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ঢাবির প্রশ্নফাঁস চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রশ্নফাঁস চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে দৈনিক কালবেলায় ‘৫০ হাজারে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফেরি করে চক্রটি!’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।   শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, ডিএমপি কমিশনার আমাকে মেসেজে জানিয়েছেন যে, ‘প্রশ্নফাঁস সংবলিত প্রতারণার আসামিকে শিবচর বগুড়া এবং পাচঁবিবি, জয়পুরহাট হতে আজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে (বার্তা)।’ জিয়া রহমান বলেন, চক্রের মূলহোতা যে গ্রেপ্তার হয়েছে এটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক সংবাদ। কালবেলাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই যে, তারা এ রকম একটা সংবাদ প্রকাশ করেছে, তার ভিত্তিতেই আমাদের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এভাবে সবাই মিলে বা সম্মিলিতভাবে যদি আমরা নেতিবাচক বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন গড়ে তুলি তাহলে সমাজ থেকে অনেক খারাপ জিনিসই দূর হয়ে যায়।  তিনি বলেন, আমরা পুলিশ বাহিনীকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা এই ধরনের প্রতারক বা গুজব ছড়িয়ে যারা বিভিন্নভাবে ফায়দা লোটার চেষ্টা করে, তা কখনো রাজনৈতিক আবার কখনো অর্থনৈতিক, তাদের বিরুদ্ধে এত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং মুখোশ উন্মোচন করতে সক্ষম হচ্ছে। যাদের তৎপরতার মধ্য দিয়ে আমাদের গার্ডিয়ান এবং শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া হয় এবং শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করা হয়।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নফাঁস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এমন দাবি করে অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে খুবই কনফিডেন্ট ছিলাম এবং আমরা বারবার বলেছি যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কখনো ফাঁস হওয়ার কোনোরকম সম্ভাবনা নেই। আমরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে এবং সতর্কতার সাথে এই কাজগুলো সম্পাদন করি। সুতরাং, এটা ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগই নাই। অতএব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঠিক অবস্থান সম্পর্কে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক বা সাধারণ মানুষজন স্পষ্ট হলো।  এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্নফাঁস করে বিক্রির জন্য টেলিগ্রামে গোপনে কাজ করছিল আহমেদ নিলয় (টেলিগ্রাম প্রোফাইলে দেওয়া) নেতৃতাধীন একটি চক্র। প্রশ্নফাঁস করার জন্য তার একটি গোপন টেলিগ্রাম গ্রুপ আছে। যদি কোনো ভর্তি ইচ্ছুক বিশ হাজার টাকা অগ্রিম ও তার ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করেন, তাহলে সেই গোপন গ্রুপে তাকে (পরীক্ষার্থীকে) যুক্ত করা হয় এবং হুবহু প্রশ্ন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তারপর বাকি ৩০ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে।  এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কালবেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ভর্তিচ্ছু সেজে যোগাযোগ করেন চক্রের মূল হোতা আহমেদ নিলয়ের সঙ্গে। এ প্রেক্ষিতে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ক্যান্ডিডেট সেজে তাকে টেলিগ্রামে বার্তা পাঠান এই প্রতিবেদক। বার্তায় কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষার প্রশ্ন দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানালে তিনি মোট ৫০ হাজার টাকা চান।  তখন তিনি বলেন, আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যেই বিশ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করতে হবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের এক কপি ছবি বিকেল ৪টার মধ্যেই দিতে হবে। এরপর একটি গোপন গ্রুপে যুক্ত করা হবে। সেখানেই আজকের এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সকালে দেওয়া হবে।  এ সময় শতভাগ প্রশ্ন কমন পড়বে কিনা- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য যত প্রশ্ন দেওয়া প্রয়োজন, ততই দেওয়া হবে। ১০০ শতাংশ দিলে তো ধরা পড়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি জোর দাবি করে জানান যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে প্রশ্ন আসবে, সেটির থার্ড কপি প্রোভাইড করা হবে। কোন বিকাশ নম্বরে তাকে টাকা পাঠাতে হবে সেটা জিজ্ঞেস করলে তিনি একটি বিকাশ নম্বরও দেন। গোপন গ্রুপে যুক্ত হতে তিনি ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়ার জন্য বলেন। তার দেওয়া বিকাশ নম্বরটি হলো - ০১৬০৬০৬৮৫৯৭। এছাড়া ঢাবিতে ভর্তি ইচ্ছুক সেজে বার্তা পাঠানো কালবেলার এই প্রতিবেদককে তিনি তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে কল দিতে মানা করেন এবং অনলাইনেই অর্থাৎ টেলিগ্রামে মেসেজ-কল দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।  উল্লেখ্য, তার টেলিগ্রাম প্রোফাইলে লেখা আছে যে, ‘প্রশ্নফাঁস করা শুধু আমার পেশা নয়, এটি আমার একটি নেশা’।  যে কথোপকথন হয়েছিল কালবেলা প্রতিবেদকের সঙ্গে? প্রতিবেদক : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। ভাইয়া, আমি এবার ঢাবিতে এডমিশন টেস্ট দিব। কিন্তু কোনো প্রিপারেশন নিতে পারিনি। কোচিংও করিনি। আমার বাবা দুবাইতে থাকে, এখন উনি বলতেছে যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতেই হবে। ভাইয়া, দয়া করে হেল্প করা যায় আমাকে? বিশেষ করে ঢাবির বি ইউনিট। টাকা-পয়সা কোন সমস্যা না ভাই। ভাইয়া প্লিজ... প্রশ্ন ফাঁসকারী : Conditions- মোট ৫০০০০ টাকা প্রশ্নের দাম। Advance ২০০০০ টাকা আর ৩০০০০ Exam দিয়ে আসার পরে। Dhaka University B Unit এর Admit Card এর ক্লিয়ার পিক দিতে হবে। ২০০০০ টাকা + Admit Card এর ছবি আজকে বিকেল 4 টার মধ্য জমা দিয়ে Secret গ্রুপে Join হতে হবে। Conditions এ রাজি থাকলে জানাবে Messenger ID তে Add করে নিব। প্রতিবেদক : ভাইয়া, আমি দুপুর পরেই যোগাযোগ করব। কাইন্ডলি নম্বরটি দিয়ে রাখুন ভাইয়া।  প্রশ্ন ফাঁসকারী : একটা মোবাইল নম্বর।  
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রশ্নফাঁস করার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
মাদারীপুর জেলার শিবচরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়নের প্রশ্নফাঁস করার অভিযোগে মো. নুরুল আমিন নামে এক শিক্ষককে সমায়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত ওই শিক্ষক শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের ১৬২ নম্বর উৎরাইল মুন্সী কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার পাল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুন্সি রুহুল আসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। স্থানীয় ও শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে শিক্ষক মো. নুরুল আমিন আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্ন প্রকাশ করেন। রাতে বিষয়টি শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুন্সি রুহুল আসলামসহ সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে। পরে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পরামর্শে আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর)-এর সকল পরীক্ষা স্থগিত করেন। এ দিকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ধারা ২০১৮ এর ৩(খ) ও (খ) এর অধীনে কার্যক্রমের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার পাল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মো. নুরুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা রানী ওঁঝার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বাড়িতে অনুষ্ঠানের কারনে তিনি গতকাল পরীক্ষা শুরু করে দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে তার অফিসের চাবি বুঝিয়ে দেন। পরে কী হইছে তিনি তা জানেন না। শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুন্সি রুহুল আসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা আজকের সকল পরীক্ষা স্থগিত করি। আমরা ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছি ও প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ছাড় দেওয়া হবে না।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

মেডিকেল প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতা জনির জামিন
মেডিকেল প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতা মেডিকো কোচিং সেন্টারের মালিক জোবায়দুর রহমান জনি জামিন পেয়েছেন। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। আদালতের মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আলমগীর বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৩০ জুলাই থেকে ১০ দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁসে জড়িত জনিসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।  পরবর্তীতে আসামি জনি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক ছিলেন। সিআইডি জানায়, জনি ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিমের অন্যতম সহযোগী এই জনি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রেসে মেশিনম্যানের দায়িত্বে থাকা আব্দুস সালামের খালাত ভাই জসিম। প্রেস থেকে প্রশ্নফাঁসের পর জসিম সেগুলো সারা দেশে বিক্রি করতেন। আর এই সিন্ডিকেট তৈরিতে অন্যতম সহযোগী মেডিকো কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক জোবাইদুর রহমান জনি। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মেডিকো কোচিং সেন্টারের শাখা খুলে ফাঁস করা প্রশ্নপত্র বিক্রির সিন্ডিকেট তৈরি করে দেন। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ২০২০ সালের ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্তে তাদের নাম আসায় গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস : দুই চিকিৎসকের স্বীকারোক্তি
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই চিকিৎসক লুইস সৌরভ সরকার ও শর্মিষ্ঠা মন্ডল। সোমবার (২১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত লুইস সৌরভের এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত শর্মিষ্ঠার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অপর তিন আসামি ডা. ইউনুচ জামান খান তারিন, ডা. নাজিয়া মেহজাবিন তিশা ও ডা. মুসতাহীন হাসান লামিয়াকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ নিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় মোট ১৭ জন আদালতে জবানবন্দি দিলেন।  আদালতের মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আলমগীর বিষয়টি জানিয়েছেন। এদিন গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে আসামি লুইস সৌরভ ও শর্মিষ্ঠা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত দেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।  আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত লুইস সৌরভের এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত শর্মিষ্ঠার আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া অপর তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।   দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্ন ফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্তে তাদের নাম আসায় গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
২১ আগস্ট, ২০২৩
X