উপজেলা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই : সিপিবি
বাংলাদেশর কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জনগণের তথা মেহনতি শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ কেড়ে নিয়েছে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন।  রোববার (৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দলটির নেতারা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থীদের নির্বাচনী জামানত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের গণদাবিগুলো সরকার উপেক্ষা করল। যার ফলে জনগণের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ আরও সংকুচিত হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা আরও ধনীমুখী হয়ে পড়েছে। নেতারা বলেন, এর মধ্য দিয়ে টাকার খেলা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আর এ অবস্থা বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে আরও পাকাপোক্ত করছে। তাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচন গোষ্ঠীতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, অপরাধী, সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত এবং মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ক্ষমতা দখলের পথ আরও প্রশস্ত করবে বলে মনে করে সিপিবি। বিবৃতিতে বলা হয়, তৃণমূলে টাকার খেলা, গোষ্ঠীতন্ত্র, অপরাধ, দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস ও মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা আরও ছড়িয়ে পড়বে। তাই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। সিপিবি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন, দক্ষ ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
০৬ মে, ২০২৪

আ.লীগ নেতারা নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করতে চাচ্ছে : প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিনিয়ত অসত্য ও বিভ্রান্তিকর কথা বলে নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করতে চাচ্ছে।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চাপে আছে বলেই তাদের কথাবার্তায় নার্ভাসনেস প্রকাশ পাচ্ছে। আন্দোলন ও জনমতকে ষড়যন্ত্র আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোট ছাড়াই বিদেশি শক্তির সহায়তায় ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকালে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমরান সালেহ প্রিন্স। প্রতিনিধি সভায় তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার ভয় পায়, সে কারণে তার সঠিক সুচিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আইনের ফাঁদে নয়, সরকারের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আইন নিজস্ব গতিতে চললে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দূরের কথা, মামলাই চলত না।  তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করার প্রেক্ষাপটে এখন উপজেলা নির্বাচন পরিকল্পিতভাবে আবার সাজানো পাতানো নির্বাচনী দেখানোর জন্য সরকার ফাঁদ পেতেছে। উপজেলা নির্বাচনের নামে গণতন্ত্র হত্যাকারী, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংসকারী সরকার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এক দফা আন্দোলনরত নেতাকর্মীরা সরকারে এজেন্ডা বাস্তবায়নের সহযোগী হতে পারেন না। তার পরও যদি কেউ সরকারের এই ফাঁদে পা দেয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে দল কঠিন ব্যবস্থা দ্বিধা করবে না। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি উপজেলা নির্বাচন বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করতে গণসংযোগ, কর্মিসভাসহ প্রচার জোরদার করার আহ্বান জানান। নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে তার বাসভবনে ও যুগ্ম আহ্বায়ক সুজাত উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন। বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেতা শফিকুল কাদের সুজা, কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান পাঠান, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ভূইয়া, মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কারনায়েন, বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাক আহমেদ, বিএনপি নেতা বাবুল আলম তালুকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোলায়মান হাসান রুবেল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আতিকুর রেজা খোকন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাহউদ্দিন মিল্কি প্রমুখ।
০৩ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন সরকারের একটি ফাঁদ : প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের প্রতি প্রহসনের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এই নির্বাচন সরকারের একটি ফাঁদ। ৭ জানুয়ারির একতরফা ডামি নির্বাচন জনগণ বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করায় সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এখন দলীয় মার্কা ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা বাড়িয়ে সাজানো পাতানো নির্বাচন আয়োজন করে গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা আনার অপচেষ্টা করছে।  তিনি বলেন, একবার মার্কা দিয়ে, আরেকবার মার্কা ছাড়া নির্বাচন- এসব আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী ও জবরদস্তিমূলক শাসনের পরিচয় বহন করে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া এবং বিকেলে হালুয়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পৃথক দুটি প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমরান সালেহ প্রিন্স।  ধোবাউড়া সদরের বাসস্ট্যান্ডে ও হালুয়াঘাট পৌর শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ধোবাউড়া প্রতিনিধি সভা শেষে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে পদযাত্রা ও জনসাধারণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হলেও হালুয়াঘাটে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে পরে তা বিতরণ করতে পারেনি।  প্রতিনিধি সভায় এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে চরম কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে স্থানীয় বা জাতীয়, কোনো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য হবে না। সভায় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে প্রতিদিন মিথ্যাচার করছে। নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেরা সাধু সাজতে চান। তিনি বলেন, বিএনপি নয়, দাসত্ব ও তাঁবেদারির কলঙ্কের তীলক আওয়ামী লীগের কপালেই লেগে আছে।  ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালামের সভাপতিত্বে হালুয়াঘাটে ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ধোবাউড়ায় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি সভা দুটিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপি নেতা আবদুল হাই, জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নীলু প্রমুখ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

এবারের ঈদ ছিল নিরানন্দ ও হতাশার: প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, এবারের ঈদ ছিল নিরানন্দ। মানুষের মনে আনন্দ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিসহ অর্থনৈতিক সংকটে মানুষের কাছে ঈদ 'পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো রুটি'র মতো মনে হয়েছে।  তিনি বলেন, তাদের কাছে ঈদও ছিল নিরানন্দ, হতাশা, কষ্টের। এসবের জন্য সরকার দায়ী। তাদের 'স্মার্ট যুগে' ঈদে স্বামী তার স্ত্রীকে মাংস খাওয়াতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে, সংসার খরচ না দিতে পেরে শেয়ারবাজার ধসে সব হারিয়ে ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ধারা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। প্রিন্স বলেন, মানুষের জীবন-সংসার তছনছ হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে ও বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে ব্যস্ত তারা। তিনি বলেন, রমজান মাসে আওয়ামী লীগের ইফতার বিতরণ ওবায়দুল কাদেরসহ দুএকজন নেতার ফটোসেশনে সীমাবদ্ধ ছিল। গ্রাম-শহরের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে তাদেরকে দেখা যায়নি। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের খরচ বাঁচিয়ে অসহায় জনসাধারণসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে গণইফতার করেছে এবং  ইফতার ও খাদ্যসামগ্রীও বিতরণ করেছে। বিএনপির ইফতার মাহফিলসমূহ জনসমাবেশে এবং মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একজনের ইফতার দুই তিনজনে ভাগাভাগি করে খেতে হয়েছে। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আরফান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি নেতা, ধারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন খান সেলিম, আলতাফ হোসেন, এমদাদ হোসেন, মোতালেব হোসনে খান, আলী আজাদ খান দিপু, লুৎফর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি আবদুল হামেদ, উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর আল আমিন, জেলা যুবদলের সদস্য মোতালেব হোসেন, যুবদল দল নেতা এম বি রায়হান, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য নজরুল ইসলাম, বিএনপির নেতা আকিকুল ,কৃষক দলের হেলাল উদ্দিন, আকিকুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন রুবেল, আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

গণতন্ত্রের পতাকা আওয়ামী লীগ সঙ্কুচিত করেছে : প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি সত্য কথা বলেছেন। গণতন্ত্রের পতাকা দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে আসছে বলেও মনের অজান্তেই হয়তো তিনি বলেছেন গণতন্ত্রের পতাকা রাতারাতি বিকশিত হবে না। গণতন্ত্রের পতাকা আওয়ামী লীগ সঙ্কুচিত করেছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব ‘ফ্রুটিকা’ খেয়ে সত্য কথাটা আংশিকভাবে বলে ফেলেছেন।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা বাজারে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে সদ্য কারামুক্ত নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা, আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন,নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, ডামি নির্বাচন করে, বিরোধী দলের ওপর নিষ্ঠুর দমন নিপীড়ন চালিয়ে গণতন্ত্রের পতাকা বিকশিত করা যাবে না। যদি গণতন্ত্রের পতাকা বিকশিত করতে চান, তবে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, বিরোধী দলের ওপর দমন নিপীড়ন বন্ধ করে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করবার সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। বিএনপির কথা চিন্তা না করে বাঘের পিঠ থেকে কি ভাবে নামবেন সেই চিন্তা করুন। সরকার কে চালায়-এ প্রশ্ন রেখে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সেতুমন্ত্রী নিজেই জানেন না কে বা কারা মেট্ররেলের ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। তুঘলকি কান্ড চলছে চারদিকে, অদ্ভুত উটের পিঠে বাংলাদেশ। সরকারে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেই।  প্রিন্স আরও বলেন, আওয়ামী নেতারা বিএনপি নেতাদের শোবার ঘর, রান্না ঘরের খবর রাখেন, নিজের ঘরের খবর রাখেন না। আওয়ামী লীগ নিজেই একটা ভারতীয় পণ্য। তারা সবসময় প্রতিবেশী দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে রাজনীতি করে। দিল্লীতে বৃষ্টি হলে ঢাকায় ছাতা ধরে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মতো জনগণ আওয়ামী লীগকেও বর্জন করছে। আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থনে নয়, ভারতের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে আছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজেই তা গর্ব করে বার বার বলছেন।  উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা .মাহবুবুর রহমান লিটন, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ বক্তব্য রাখেন।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি নেতাকর্মীরা অভাবে থাকলেও ইফতার বিতরণ করছেন : প্রিন্স
বিএনপি নেতাকর্মীরা অভাবের মধ্যে থাকলেও নিজেদের খরচ বাঁচিয়ে অসহায় ও অভাবী মানুষের মাঝে ইফতার এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আলোচনা এবং ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রিন্স বলেন, শুধু বিএনপির নেতাকর্মী নয়, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যোগ দিয়ে বিএনপির ইফতার মাহফিলকে বিশাল বিশাল জনসমাবেশে পরিণত করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এত বেশি জনসমাগম ঘটছে যে, একজনের ইফতার দুই তিনজনে ভাগাভাগি করে খাচ্ছেন। আর আওয়ামী লীগের ইফতার বিতরণ শুধু ঢাকায় ওবায়দুল কাদের সাহেবদের ফটো সেশনেই সীমাবদ্ধ। গ্রাম-শহরে অন্য কোথাও আওয়ামী নেতাদের ইফতার সামগ্রী বিতরণে ‘বাটি চালান দিয়েও’ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ডামি সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও ভ্রান্তনীতির কারণে জনসাধারণের মধ্যে অভাব দেখা দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মাত্রাতিরিক্ত ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। ঘরে ঘরে বোবাকান্না। অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। আওয়ামী নেতারা এই বাস্তবতা আড়াল করতে প্রতিদিন মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। জনগণ তাদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবে না, কারণ জনগণ নিজেই আজ দুর্ভোগের শিকার। তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব রাতভর ঈদ শপিংসহ নানা মিথ্যা গল্প শুনিয়ে বাস্তবতা আড়াল করতে পারবেন না। ক্রেতার অভাবে খুচরা, পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাথা হাত, ফুটপাতের দোকানেও বিক্রি নাই। এসব নিয়ে মিডিয়ায় খবর বের হচ্ছে, সে খবরগুলো টিনের চশমা পরিহিত আওয়ামী নেতাদের চোখে পরে না। সংগঠনিক সম্পাদক বলেন, নিজেরা দেশ-বিদেশ থেকে ঈদ শপিং করছেন, তারা মনে করেন, জনগণও তাই করছে। সাধারণ মানুষের ‘নুন আনতে পান্তা ফুরানোর’ মতো অবস্থা, সেখানে ঈদ শপিং সাধারণ মানুষের কাছে ‘পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো রুটি’র মতো। মানুষ  বাজার করতে পারছেন না, ঈদের কেনাকাটা করবেন কীভাবে? মানুষের হাতে টাকা নাই, ঈদের আমেজ নাই। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ধোবাউড়া সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মানিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, মাহবুবুল আলম, আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নয়ন মন্ডল, ওলামা দল নেতা মওলানা হাবিবুর রহমান,মওলানা ওবায়দুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসাইন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মানিক, জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান সুমন প্রমুখ। 
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

জবরদস্তিমূলক ক্ষমতায় টিকে আছে আ.লীগ : প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আলাদীনের চেরাগ পেয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় টিকে থাকতে অনুগত লোকদের অবাধ দুর্নীতি, লুটপাট করার সুযোগ দিয়ে সুবিধাভোগী শ্রেণি সৃষ্টি করেছে তারা। জনগণকে বাদ দিয়ে এই সুবিধাভোগীদের ওপর ভর করে তারা একের পর এক সাজানো পাতানো নির্বাচনের প্রহসন করে জবরদস্তিমূলক ক্ষমতায় টিকে আছে তারা। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিলপূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।   এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি আঁচ করে আওয়ামী লীগ গণদাবি উপেক্ষা করেছিল। নিষ্ঠুর দমন, নিপীড়ন চালিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে অবরুদ্ধ রেখে আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে। তিনি বলেন, এক দফার আন্দোলন শেষ হয় নাই, আন্দোলন চলমান। সরকার পরিকল্পিতভাবে হতাশা ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি সকলকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে সরকারের অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার আহ্বান জানান। জামালপুরের  রশিদপুরে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিউর রহমান শফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, জেলা বিএনপি নেতা লোকমান আহমেদ খান লোটন, খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, মাইন উদ্দিন বাবুল, রুহুল আমিন মিলন, শাহ মাসুদ বক্তব্য রাখেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

আওয়ামী লীগের পায়ের নিচে মাটি নেই : প্রিন্স
নিষ্ঠুর দমন নিপীড়ন করে প্রভু দেশের সহযোগিতায় ডামি নির্বাচনকারীরা আবারও হুমকি-ধমকি দিতে শুরু করেছ উল্লেখ করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আওয়ামী লীগের পায়ের নিচে মাটি নেই। সে কারণে তারা সন্ত্রাসের ভাষায় কথা বলছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে নাকি ওবায়দুল কাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেবেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্তবর্তী বাঘাইতলা বাজারে ভূবনকূড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ থাকলে জনগণ অনেক আগেই আওয়ামী নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিত। কারামুক্তির পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রথম বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদেরের হৃদকম্পন শুরু হয়েছে। সামনে কী যেন হয়, এই দুশ্চিন্তায় তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এজন্য তারা চিরাচরিত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকিতে মির্জা ফখরুল বা বিএনপি ভয় পায় না। পাকিস্তানের দালালে বাংলাদেশ ভরে গেছে- ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের জনগণকে অপমানিত করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণসহ অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী কাজের সমালোচনা করলেই নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল ও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা বিরোধিতাকারীদের পাকিস্তানের দালাল বলে গালি দেন। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আবু হাসনাত বদরুল কবির, আলমগীর আলম বিপ্লব, উপজেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, রমজান আলী, অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, অ্যাড. হাসনাত তারেক, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান, নুরুল হক, রুহুল আমিন, জসিম উদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। এর আগে স্বাধীনতা দিবসে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ায় র‍্যালী ও শ্রদ্ধা নিবেদন মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে হালুয়াঘাট স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তারা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বক্তব্য রাখেন। পরে একটি শোভাযাত্রা হালুয়াঘাটের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।  এ সময় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আবু হাসনাত বদরুল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজান, আবদুল মান্নান মল্লিক, ক্বারি আবুল কাশেম, আল আমিন চমক, ডা. সায়েদুর রহমান, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম চঞ্চল, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য মোতালেব হোসেন, জেলা জাসাসের সহসভাপতি রাব্বি কায়সার আরাফাত, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান, উপজেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর আল আমিন, মির্জা তায়েব, পৌর ছাত্র দলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনি, সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৬ মার্চ, ২০২৪

বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে আ.লীগ জড়িত : প্রিন্স
বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যাচার করছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদরে রমজান মাস উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি।  প্রিন্স বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ লিপ সার্ভিসে সীমাবদ্ধ। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সকারের এক নম্বর এজেন্ডা, সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা উঁচু গলায় সকাল-বিকেল এ কথা বললেও তাদের দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা, ভুলনীতির কারণে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লাফিয়ে লাফিয়ে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। যার কারণে জনগণ আজ চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।  তিনি বলেন, সরকার জালিয়াতি ও প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় আছে বলেই জনগণের দুঃখ-দূর্দশা লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে বিদ্রুপ-মশকরা করছে।  প্রিন্স বলেন, জনগণের দল বিএনপি জনগণের দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকে। বিরোধী দলে থেকেও দ্রব্যেমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই দুঃসময়ে একদিকে যেমন রাজনৈতিকভাবে প্রতিবাদ করছে, অন্যদিকে মানবিক সহায়তা নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু সরকারের লোকজন জনগণের পাশে না থেকে দুর্নীতি ,লুটপাট ও মিথ্যাচারে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের শক্তিকে তারা ভয় পায় বলেই নিষ্ঠুর দমন নিপীড়ন চালিয়ে এখন তারা আন্দোলনের সক্ষমতা নিয়ে কথা বলে। বিএনপি আন্দোলনে সক্ষম বলেই বিএনপিকে দমন করতে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় শক্তিকে অপব্যবহার করছে। অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মফিজ উদ্দিন, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, খলিলুর রহমান,আবদুল কুদ্দুস, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবুল কাশেম ডলার, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আল রাজি, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নয়ন মন্ডল, যুগ্ম আহ্বায়ক কাসুম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম সুমন, জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসাইন, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবর রহমান, সদস্য সচিব শামীম হোসেন, উপজেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাসান শাহসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ মার্চ, ২০২৪

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অর্থনৈতিক সংকটকে আরও তীব্র করবে : প্রিন্স
বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নতুন বছরে ডামি সরকারের ডামি উপহার। সরকারের এই ডামি উপহার বিরাজমান অর্থনৈতিক সংকটকে আরও তীব্র করবে। এতে করে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। তার ওপর বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গাঙিনা বাজার ও ধারা বাজারে গণসংযোগকালে স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে সরকারের লোকেরা নিজেদের পকেট ভরে সেই লুটপাটের দায় জনগণের ওপর চাপাতে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয় বলেই জনগণের চরম দুঃসময়ে তারা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির মতো গণবিরোধী পদক্ষেপ নিতে পারে।  তিনি বলেন, ঢাকায় বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশত মানুষের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ, দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই মর্মান্তিক মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না। ১৫ বছর একটানা ক্ষমতা জবর দখল করে রাখা সরকার প্রায়ই নিজেদের সক্ষমতা ও শক্তির কথা বলে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড এবং অসংখ্য মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু প্রমাণ করে সরকার রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে কতটা অক্ষম এবং ভঙ্গুরে পরিণত করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বিএনপি নেতা আলী আমজাদ দিপু, মোতালেব হোসেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি আব্দুল আজিজ খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য মোতালেব হোসেন, বিএনপি নেতা মোরশেদ খান, হালুয়াঘাট উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, সহসভাপতি আবুল কাশেম, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলিমুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দুলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান আউলিয়া, শরীফুল ইসলাম জাহিদ, উত্তর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও হালুয়াঘাট উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনি, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর আল আমিন, আনিসুর রহমান, মোহাইমেনুল ইসলাম রবিন, রাইসুল ইসলাম রাফিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাজহারুল ইসলাম রিপন, মুবাশ্বির ইসলাম, সারোয়ার আহমেদ রুবেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
০১ মার্চ, ২০২৪
X