শাকিবের মার্কিন নায়িকাকে নিয়ে অপু বিশ্বাসের ফেসবুক স্ট্যাটাস
ঢাকায় সিনেমার সুপার স্টার শাকিব খান প্রথমবারের মতো মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফির সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। আসন্ন ঈদে মুক্তি পাবে এই জুটির সিনেমা ‘রাজকুমার’। এরই মধ্যে সিনেমাটির দুটি গান মুক্তি পেয়েছে। যেখানে কোর্টনির সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্সে মেতেছেন শাকিব খান। বিশেষ করে টাইটেল গানের পরে ‘বরবাদ’ শিরোনামের গানটিতে এই জুটির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরাও। গানটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন শাকিব খানের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাসও। কথা বলেছেন কোর্টনিকে নিয়ে। কোর্টনি কফির একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে তার রূপের প্রশংসা করছেন তিনি। ছবিটি শেয়ার করে অপু বিশ্বাস লিখেছেন, ‘মিষ্টি দেখতে।’ রাজকুমার সিনেমায় ‘বরবাদ’ গানটি লেখার পাশাপাশি সুর-সংগীত করেছেন কিংবদন্তি প্রিন্স মাহমুদ। কণ্ঠ দিয়েছেন নতুন গায়ক আলিফ। ‘বরবাদ’ এর দৃশ্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশের হলুদ সরিষা ক্ষেত, রেলওয়ে স্টেশনের সৌন্দর্য। তেমনি এর সঙ্গে দেখা গেছে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন দৃশ্য। নায়িকা কোর্টনি কফির সঙ্গে শাকিবের প্রেমময় রসায়ন যেমন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তেমনি রয়েছে বিরহের আঁচ। কারণ এই গানের মূল বাণীতে রয়েছে বিরহের বন্দনা। রাজকুমার চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাত্রার গল্পকে কেন্দ্র করে। এতে শাকিব-কোর্টনি ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, এরফান মৃধা শিবলু, ডা. এজাজ প্রমুখ।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

অবন্তিকার আত্মহত্যা নিয়ে অভিযুক্ত আম্মানের ফেসবুক স্ট্যাটাস
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। পোস্টে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানের (আম্মান সিদ্দিকী) বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ তোলেন।  এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জবি প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে নিজের ওপর আনা অভিযোগ অস্বীকার করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন আম্মান সিদ্দিকী। শুক্রবার (১৬ ) রাত ২টার দিকে আম্মান সিদ্দিকী নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লিখেন, দুই বছর আগে অবন্তিকা নিজেই ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদমূলক কথা লেখেন। পরে বিষয়টি সে নিজে স্বীকার করে নিলে প্রক্টর অফিস থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। এরপর অবন্তিকার পরিবারের পক্ষে তার বাবা এসে অঙ্গীকারনামা দেন যে, তার মেয়ে ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করবে না। এ-সংক্রান্ত ডিজির কপি, কারণ দর্শানোর নোটিশ, অঙ্গীকারনামা এবং কিছু ম্যাসেঞ্জার বার্তার স্ক্রিনশট লেখার সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন আম্মান।
১৬ মার্চ, ২০২৪

ঢাবি শিক্ষকের ঘটনায় আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক স্ট্যাটাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির। যা নিয়ে ক্লাস বর্জনসহ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নাদির জুনাইদকে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতেও পাঠানো হয়। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবুল মনসুরের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। নাদির জুনাইদের এ ঘটনা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কথা বলেছেন পক্ষে ও বিপক্ষে। এবার এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন।  বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ‘যৌন নিপীড়ক, নাকি শিক্ষকদের নোংরামি’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে মূলত দুটি অভিযোগ। এক. একটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কম নম্বর দেওয়া, দ্বিতীয়. শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ণের অভিযোগ।  সবকিছু ছাপিয়ে ‘যৌন নিপীড়ক’ শব্দটিই বেশি আলোচিত হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণের আগেই তার বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছে। যা, একেবারেই অন্যায়। আরও অন্যায় হচ্ছে, এই ট্রায়ালের সঙ্গে জড়িত বিভাগেরই কিছু শিক্ষক, যা তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখেই অনুমান করা যায়।  এই কতিপয় শিক্ষকের কীসের এত ক্ষোভ নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে?  কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগের প্রথম আন্দোলনটি ধোপে টিকেনি। কারণ পরীক্ষা কমিটিতে চারজন পরীক্ষক থাকেন, এককভাবে কারও কিছু করার নেই। সুতরাং দায়ী থাকলে চারজনই দায়ী হবেন। আর, পরীক্ষা কমিটিতে কারা কারা থাকেন, এটা খুবই গোপনীয় বিষয়, শিক্ষার্থীরা জানল কীভাবে? কে, কি উদ্দেশ্যে তাদের জানিয়ে দিল?  যৌন নিপীড়নের অভিযোগকারী শিক্ষার্থী এক দিনের ব্যবধানেই দুই রকম কথা বলেছেন। প্রথমে বলেছেন, তাকে শারীরিকভাবে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে। পরেরদিন আবার বলেছেন, মৌখিকভাবে করেছে। কিন্তু অভিযোগের দুই দিন আগেও নাদির জুনাইদকে দেওয়া এই শিক্ষার্থীর কিছু এসএমএস দেখে মনে হয়েছে, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।সেখানে, নিপীড়নমূলক কোনোরকম শব্দ নেই। কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষক দাবি করতে পারেন, শিক্ষার্থী তাকে উসকাচ্ছে।  এরপরও কেন মিডিয়াতে নাদির জুনাইদ ‘যৌন নিপীড়ক’ হয়ে উঠলেন। বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে থেকেই, এর কারণ হিসাবে দুটি বিষয় পাওয়া গেছে। বিভাগের সভায় নাদির জুনাইদ প্রায়ই বলতেন-  এক. কিছু শিক্ষক আছেন, যারা কোনো একাডেমিক নিয়মনীতি মানেন না, তাই তিনি চেয়ারম্যান হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কথা বলতেন।  দুই. তিনি বলেছিলেন, বিভাগের ‘আর্থিক অডিট’ ছাড়া তিনি চেয়ারম্যানের পদে অধিষ্ঠিত হবেন না।  শৃঙ্খলা ও আর্থিক অডিটের কথা কেন তিনি বারবার বলতেন? তিনি কি সত্যিই যৌন নিপীড়ক, নাকি তাকে যৌন নিপীড়ক বানানোর ক্ষেত্রে উপরোক্ত দুটি হুমকি ভূমিকা রেখেছে, তাও খতিয়ে দেখা উচিত। আর তিন মাস পরেই তার বিভাগের চেয়ারম্যান হবার কথা। 
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জাবিতে গণধর্ষণের ঘটনায় আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘিরে বিক্ষোভ হয় জাবি ক্যাম্পাসে।  ঘটনাটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন- ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে হলসংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে এক ছাত্রলীগ নেতা ও তার অনুসারী। বছর কয়েক আগে সিলেটের এমসি কলেজেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। তাদের ধর্ষণ করার অধিকার কি আমরা মেনে নিয়েছি? না হলে বিচার হয় না কেন এই ধর্ষকদের? কেন তাদের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে রুখে দাঁড়ান না শিক্ষক-ছাত্ররা? কেন মানবাধিকার আর নারী অধিকার কর্মীরা চুপ থাকেন বা প্রতিবাদ করেন বিচ্ছিন্ন বাতাস তুলে, যাতে ভিত নড়ে না ধর্ষণকারীদের? শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন জঙ্গলে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের পরে আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।  রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৬তম ব্যাচের মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী সাগর সিদ্দিকী, ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর ও ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি চারজনের বিরুদ্ধে মারধর ও আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। জাবিতে ধর্ষণের ঘটনার বিচার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এখনও পলাতক রয়েছে অপর দুই আসামি। তারা হলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মুরাদ ও ভুক্তভোগীর স্বামীর পূর্বপরিচিত মামুনুর রশিদ। মামুনুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‌‘শরীফ থেকে শরীফা’ ইস্যুতে শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক স্ট্যাটাস  
সপ্তম শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যবই থেকে শরীফ থেকে শরীফার গল্প ছেঁড়ার পর থেকে আলোচনায় আসিফ মাহতাব। এই ঘটনায় তাকে খণ্ডকালীন শিক্ষক থেকে অব্যাহতি দিয়ে আলোচনায় যুক্ত হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। পরে রাজনৈতিক দল, সংগঠনসহ প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরাও। বিষয়টি নিয়ে ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ইসলামিক আলোচক শায়খ আহমদুল্লাহ।  গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে প্রতিবাদ জানান তিনি।  ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‌‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রণীত পাঠ্যপুস্তকে গণমানুষের বিশ্বাস, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশীয় সংস্কৃতি পরিপন্থি বিষয় স্থান দেয়া দেশবিরোধী কাজ। এর নেপথ্যের খলনায়কদের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিবাদী হতে হবে।’    বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আরেক ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে এ বিষয়ে এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন আজহারী। পোস্টে তিনি বলেন- ‘কোন শিয়াল যদি বলে— আমি নিজেকে মুরগি মনে করি, তাহলে কি শিয়ালকে মুরগির সাথে রাখা যাবে? অবশ্যই না। রাখলে মুরগি যেমনি তার অস্তিত্ব হারাবে, ঠিক তেমনি এই রূপান্তর মতবাদের কারণে নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক বাইনারিও অস্তিত্ব হুমকিতে পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোমলমতি শিশুদের ফিতরাত কলুষিত করার মানব অস্তিত্ব বিধ্বংসী এই মতবাদকে স্পষ্ট ভাষায় ‘না’ বলুন। দল-মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সরব প্রতিবাদ করুন। পশ্চিমা এই অসভ্যতার বিস্তার রুখে দেওয়ার সময় এখনই। বিকৃত মনস্করা যেন মনে না করে, দেশের সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষে প্রতিবাদের সামর্থ্য হারিয়েছে।’
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক স্ট্যাটাস
প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের প্রথমদিন সারা দেশে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিয়েছে সরকার। তবে নতুন পাঠ্যবই মানেই যেন ভুল আর বির্তক— বিষয়টি যেন চিরায়িত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার মাধ্যমিক স্তরে নতুন কারিকুলামের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে একটি অধ্যায় নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব এক অনুষ্ঠানে চলতি সিলেবাসে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে তাদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এর প্রতিবাদে তিনি এ পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল তর্ক-বিতর্ক। অনেকেই তার পক্ষ নিয়েছেন, আবার অনেকেই তার বিরোধিতাও করেছেন। এখানেই সমালোচনাকারীরা থেমে থাকেনি; আসিফ মাহতাবের ব্যক্তিজীবন নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ট্রল। সেখানে তার অতীতের কিছু ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (বরখাস্ত) আসিফ মাহতাব, একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে হোক কিংবা অজ্ঞতার কারণেই হোক, হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। হয়তো, তিনি এটাকে ধর্মীয় ইস্যুও বানাতে চেয়েছিলেন। এই সব কিছুই তার অপরাধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন, তার ব্যক্তিগত চরিত্র উন্মোচন করতে গিয়ে আমরাও কিছু অপরাধ করছি। সে বিভিন্ন সময় তার ক্লাসমেট, স্বজন এবং বান্ধবীদের সাথে কিছু ছবি তুলেছেন। আমাদের অনেকেই সেইসব ছবি ব্যবহার করে তাকে ট্রল করছি। এটা কোনোমতেই উচিত না।’ আশরাফুল আলম খোকন বলেন, ‘এতে, ওই ভদ্র মহিলাদের সম্মানহানি হচ্ছে, তাদের ব্যক্তি অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তারাতো কোনো দোষ করেননি। যারা ছবি ব্যবহার করছেন তাদের উচিত ওই সব ভদ্রলোক ও মহিলাদের অন্ততঃ মুখ মণ্ডল ঢেকে দেওয়া। তবে, অন্যদের ছবি ব্যবহার না করাই উত্তম।’ জানা গেছে, ২০১৩ সালের নভেম্বরে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি হিজড়াদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। মূলত সপ্তম শ্রেণির এই পাঠ্যবইয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিবন্ধকতা থাকলে সমাজে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আলোচনা করা হয়েছে। যদিও সেখানে তাদের বেড়ে ওঠা, সামাজিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ না থাকা ইত্যাদি উঠে এসেছে এ অধ্যায়ে। এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে এই অধ্যায়টি গত বছরও ছিল, সেখানে যতটুকু সংশোধন করা দরকার তা এবার করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে হিজড়াদের স্বীকৃতি দেওয়ায় তাদের সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে। তাই পাঠ্যবইয়ে এটি আনা হয়েছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

বিজয়ের পর মাশরাফীর ফেসবুক স্ট্যাটাস
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ের পর নড়াইলবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন মাশরাফী বিন মর্তুজা। নড়াইলবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি তার পোস্টে লেখেন, ‌‘নতুন ভোরে, নতুন আলোয় আলোকিত হবে নড়াইল। আপনারা আমার সাথে ছিলেন বলে আমি আবারও আপনাদের সাথে থাকার সুযোগ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি, আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক...।’  রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১ ভোট। এ ছাড়াও, জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ১ হাজার ৯০৯ ভোট, এনপিপির মো. মনিরুল ইসলাম আম প্রতীকের প্রার্থী ৫৮০ ভোট, গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান মাছ প্রতীকের প্রার্থী ৫৮২ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান মিনার প্রতীকের প্রার্থী ১ হাজার ৮৫২ ভোট, স্বতন্ত্র মো. নুর ইসলাম ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ১ হাজার ৩৬৩ ভোট ও স্বতন্ত্র সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ৩৬৫ ভোট পেয়েছেন। নড়াইল-২ আসনে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট আটজন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে ছিলেন।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বামীর বিজয়ে শিশিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। স্বামীর জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে পদার্পণকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির পোস্ট দিয়েছেন।  পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নতুন শুরুর জন্য অভিনন্দন স্বামী। তুমি সবসময় তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজয়ী হয়েছ। আমি সশরীরে থাকতে না পারলেও, আমার সমর্থন সবসময় তোমার পাশে ছিল। মাগুরাবাসীকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ঘরের ছেলেকে এত ভালোবাসা আর সম্মান দেওয়ার জন্য।’ রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হওয়া সংসদ নির্বাচনে সাকিব পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন ডাব প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি পেয়েছেন ৫৯৭৩ ভোট।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

এ আর রহমানের ‌‘কারার ঐ লৌহকপাট’ নিয়ে আহমদুল্লার ফেসবুক স্ট্যাটাস
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে বলিউডে তৈরি রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত হিন্দি ‘পিপ্পা’য় ব্যবহৃত হয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটি প্রকাশের পর থেকেই বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। এ গানের রিমেকের সংগীতায়োজন করেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রাহমান। মূলত গানে নতুন করে এ আর রাহমান সুরারোপ করায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে নজরুলভক্তদের মধ্যে।  এবার এই ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।  মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক বার্তায় তিনি চলমান এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানান। নিচে তা তুলে ধরা হলো।  ‌‘কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিপ্লবী সংগীতের সুর বিকৃত করায় নজরুলপ্রেমীদের প্রতিবাদে ফেটে পড়তে দেখা যাচ্ছে। তাদের একই কথা—নজরুলগীতির সুর বিকৃত করে নজরুলের মৌলিকত্বকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।’  নজরুলপ্রেমীদের কষ্টের জায়গাটা আমরা বুঝতে পারছি। যিনি যা ভালোবাসেন, যে আদর্শ অনুসরণ করেন, তিনি সব সময়ই চান, সেই অনুসরণীয় বিষয়ের মৌলিকত্ব যেন অটুট থাকে। এটাই প্রকৃতির দাবি।  একই নিয়ম ইসলামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ইসলামকে যারা ভালোবাসেন, তারাও চান, তাদের অনুসরণীয় ইসলাম যেন ইসলামবিদ্বেষী কিংবা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিদের হাতে পড়ে বিকৃত না হয়। কেউ যদি বিকৃত করার চেষ্টা করে, তবে ইসলামপ্রেমীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন, যেভাবে ফেটে পড়েছেন নজরুলপ্রেমীরাও।  কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো নজরুলপ্রেমীদের প্রতিবাদকে মৌলবাদিতা বলা না হলেও ইসলামপ্রেমীদের প্রতিবাদকে খুব সহজেই মৌলবাদিতা বলে দেওয়া হয়। এটা এক শ্রেণির মানুষের পরিকল্পিত দ্বিচারিতা।  মূলত আপন আপন আদর্শে আমরা প্রত্যেকেই মৌলবাদী। দোষ হয় শুধু ইসলামপন্থিদের।’ একই পোস্টের কমেন্টে তিনি লিখেন, ‌‘অনেক সময় ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিরা পাণ্ডিত্য জাহির করতে গিয়ে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করেন। আবার কেউ কেউ বিদ্বেষবশত ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ইসলামের মৌলিকত্ব নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। তখন ইসলামপ্রেমীরা ইমানের দাবিতে এর প্রতিবাদ করেন। মজার ব্যাপার হলো অন্যান্য বিষয়ের প্রতিবাদকে স্বাভাবিক মনে করা হলেও ইসলামপ্রেমীদের প্রতিবাদকে ঘিরে এক শ্রেণির মানুষ তাচ্ছিল্য করে। এটা তাদের দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়।’
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

তামিমকে নিয়ে ড. আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাস
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।   গত ২৮ ‍সেপ্টেম্বর ফেসবুকে ’সংগৃহীত’  (copied) একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। সেখানে উপরে তিনি লিখেন ’একমত’। স্ট্যাটাসটিতে সর্বশেষ ৩৬ হাজার রিয়্যাকশন ও ১৭’শ কমেন্ট পড়েছে।  কালবেলার পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-   একমত  ------------------------ আপনার চরিত্রে জুয়ার মত কালো ইতিহাস নেই,নাই দর্শক পিটানোর মহুর্ত,নাই ব্যবসায় অধিক লাভ কিংবা কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য নিজের বাপের নাম পাল্টানোর মত লজ্জাজনক ঘটনা তাছাড়াও আপনার চরিত্রে নেই খেলা চলার সময় ক্যামরায় নিজের গোপান** দেখিয়ে ইংগিত করার মত লজ্জাজনক ঘটনা! আপনাকে আমরা ভালোবাসি আপনার খেলার জন্য,ভালোবাসি আপনার ব্যাক্তিত্বের জন্য।  ধন্যবাদ খান সাহেব,হাজারো সালাম জানাই আপনাকে!  আবারও ধন্যবাদ সব কিছুর জন্য!  Tamim Iqbal  Copied
৩০ নভেম্বর, ০০০১
X