আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় ৬০ জনের মৃত্যু
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন এবং ১০০ জনের মানুষ বেশি আহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের কর্মকর্তাদের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। বাঘলান প্রদেশের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপতে কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই মৃতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বিবিসিকে বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার বাসিন্দা। দুই শতাধিক মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এর আগে এই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন, বাঘলানে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে রাতের অন্ধকারে দেখার মতো যন্ত্র না থাকায় সেই অভিযান সফল না-ও হতে পারে। বাঘলান আফগান রাজধানী কাবুলের সরাসরি উত্তরে অবস্থিত। এদিকে স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের সন্ধান করছেন। এর আগে গত মাসে দেশটির পশ্চিমে বন্যায় কয়েক ডজন লোক মারা যায়। এ ছাড়া প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি, তিনটি মসজিদ ও চারটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল
১১ মে, ২০২৪

তীব্র খরার মধ্যেই দেশে বন্যা সতর্কতা
দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা অসহ্য করে তুলছে জনজীবন। এত তীব্র খরার মধ্যেই দুঃসংবাদ পেল দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ। এই অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। আসন্ন এই হুমকির উল্লেখ করে বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে সতর্কতা জারিসহ বেশকিছু সুপারিশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র-এফএফডব্লিউসি। বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালিত এফএফডব্লিউসি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে। নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি উঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাক-বর্ষার পানিপ্রবাহ অতিক্রম করতে পারে। বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকতে বাসিন্দারা বিডব্লিউডিবি বন্যা অ্যাপ এবং এফএফডব্লিউসির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং রিয়েল-টাইম আপডেট এবং বন্যার পূর্বাভাস ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে সমন্বয়ের জন্য টোল ফ্রি হটলাইন ১০৯০ নম্বরে কল করতে পারবেন যে কেউ। বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং তাদের সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশিকা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
০৩ মে, ২০২৪

বন্যা হতে পারে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যেই দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বন্যার হুমকি দিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)। এ সময় বন্যা মোকাবিলায় কিছু সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।  বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালিত এফএফডব্লিউসি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে। প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে। নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি ওঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাক-বর্ষার পানিপ্রবাহ অতিক্রম করতে পারে। বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং সম্ভাব্য সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকতে বাসিন্দারা বিডব্লুডিবি বন্যা অ্যাপ এবং এফএফডব্লুসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে www.fwc.gov.bd এবং www.ffwc.gov.bd/flashflood রিয়েল-টাইম আপডেট এবং বন্যার পূর্বাভাস ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে সমন্বয়ের জন্য হটলাইন ১০৯০ (টোল-ফ্রি) এবং ০১৮৪১-০০২২৯৯ নম্বরে কল করতে পারেন। বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং তাদের সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশিকা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সূত্র : ইউএনবি
০১ মে, ২০২৪

বৃষ্টি নিয়ে দুঃসংবাদ, হতে পারে প্রলয়ংকারী বন্যা
গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার দেশে গরমের তীব্রতা বেশি। সব রেকর্ড ভেঙে এবার ৪৩ ডিগ্রি পার হয়েছে দেশে। এমন পরিস্থিতিতে অতিষ্ঠ জনজীবন। কবে বৃষ্টি হবে সেই অপেক্ষায় সবাই।  তীব্র দাবদাহে বৃষ্টির জন্য অনেক জায়গাই নামাজ পড়তে দেখা গেছে। সবাই চায় তাপমাত্রা শীতল করে এক পশলা বৃষ্টি নামুক দেশজুড়ে। কিন্তু একটা পূর্বাভাস সম্পর্কে সবাই বেখবর। গরমের মতো এবার বৃষ্টির মৌসুমেও দুর্ভোগ পোহাতে হবে দেশের মানুষকে। আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোতে এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। যার ফলে ভয়াবহ বন্যা এবং পাশাপাশি তীব্র ঝড়েরও আশঙ্কা রয়েছে।  সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘লা নিনা’র কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে এ বছর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হবে।  দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনো’ বর্তমানে বিরাজমান বলে জানিয়েছে জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস গ্রুপ (সাসকোফ)। বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর শুরু হবে লা নিনা।   ‘এল নিনোর’ কারণে অতিরিক্ত গরম, আর ‘লা নিনার’ কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও বন্যা হয়ে থাকে।
০১ মে, ২০২৪

এবার মদিনায় ভারি বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের মদিনায় এবার ভারি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পর কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের পর সৌদি আরবেও দফায় দফায় একই ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। এই খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।  জানা গেছে, সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছে পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, মসজিদে নববীতে বৃষ্টিতে ভিজে আনন্দ করছে শিশুরা। বৃষ্টির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে মসজিদটিতে যে ছাউনি আছে সেগুলো বেয়ে বেয়ে সজোরে পানি নিচে নেমে আসে। মদিনার আল ইসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে উপত্যকা এবং বিভিন্ন প্রাচীরে পানি উপচে পড়েছে। সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মদিনার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। তারা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মদিনায় আরও বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বইয়ে যেতে পারে। বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি দেশের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতেও প্রভাব ফেলতে পারে। বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষের গাড়ি ডুবে গেছে, অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষকে সহায়তায় জরুরি সেবার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।  মদিনা অঞ্চলের সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে। বৃষ্টির সময় উপত্যকা এবং জলাধারগুলো থেকে দূরে থাকার আহ্বানও জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া কৃষিপণ্য পরিবহনের রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
০১ মে, ২০২৪

নাইটের বিপক্ষে পাঞ্জাবের রেকর্ড বন্যা
২৬১+২৬১= ৫২৩ রানের ম্যাচ। আগে ব্যাটিং নিয়ে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৬ উইকেটে ২৬১ রান তুলেছিল। জবাবে ৮ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় পাঞ্জাব কিংস। এত বড় রান তাড়া করে আগে কেউ আইপিএলে ম্যাচ জিততে পারেনি। শুধু আইপিএল কেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৫৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুক্রবার ইডেনে সেই রেকর্ড ভেঙেছে পাঞ্জাব। শুক্রবারের ম্যাচে ছক্কারও বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। কলকাতা-পাঞ্জাব ম্যাচে মোট ৪২টি ছয় হয়েছে। চলতি আইপিএলে হায়দরাবাদ-মুম্বাই ম্যাচে ৩৮টি ছয় হয়েছিল। শুক্রবার পর্যন্ত আইপিএলে ৭৭১টি ছক্কা হয়েছে। চার হয়েছে ১ হাজার ২৯৬টি। এমন ব্যাটিং তাণ্ডবে নাভিশ্বাস উঠছে বোলারদের। শনিবার কলকাতার বিপক্ষে পাঞ্জাবের ব্যাটাররা মোট ২৪টি ছক্কা মেরেছেন। এটি আইপিএলের সর্বোচ্চ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেপাল গত বছর এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ২৬টি ছয় মেরে রেকর্ড গড়েছিল। আইপিএলেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হায়দরাবাদের ব্যাটাররা ২২টি ছয় মেরেছিলেন। দুই দলের মিলিত রানের রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারত। কিন্তু ৮ বল খেলা না হওয়ায় তা অক্ষত আছে। এ বছর আইপিএলে হায়দরাবাদ বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে রান উঠেছিল ৫৪৯। তার আগে হায়দরাবাদ বনাম মুম্বাই ম্যাচে উঠেছিল ৫২৩ রান। শুক্রবার ইডেনে উঠেছে ৫২৩ রান, যা দেখে পাঞ্জাবের অধিনায়ক স্যাম কুরান ম্যাচকে বেসবলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কলকাতার বিপক্ষে জনি বেয়ারস্টো সেঞ্চুরি করেন। মাত্র ৪৮ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। পাঞ্জাব তার কারণেই ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে। বেয়ারস্টোর প্রশংসা করে কুরান বলেন, ‘খুব স্বস্তি পেলাম। এই জয়টা দরকার ছিল। ক্রিকেট এখন বেসবল হয়ে গেছে। তাই না? ২ পয়েন্ট পেয়ে ভালো লাগছে। কত রান হয়েছে ভুলে যাও। এই জয় আমাদের প্রাপ্য। বেয়ারস্টো অনেক দিন ধরেই রান পাচ্ছিল না। সে রানে ফেরায় আমি খুশি।’ শশাঙ্ক সিং ২৮ বলে করেন অপরাজিত ৬৮ রান। ৮টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। শশাঙ্কের প্রশংসা করে কুরান বলেন, ‘এই ম্যাচে চার নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয় শশাঙ্ককে। ও নিজেকে সেই জায়গায় প্রমাণ করেছে। এবারের মৌসুমে পাঞ্জাব শশাঙ্কের মতো একজন ক্রিকেটারকে খুঁজে বের করেছে।’
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মশ্রী গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। আগেই ঘোষণা হয়েছিলো ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। ঘোষণা অনুযায়ী ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে এই সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এরপর ভারত প্রেসিডেন্টের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নিয়ে পৃথক পোস্ট করা হয়। সেখানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ছবিও শেয়ার করা হয়। পোস্টে এই কিংবদন্তির ছবি শেয়ার করে তার সম্মানে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীতে নিবেদিতপ্রাণ ও শিল্পে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। সেই সং মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মদিনে বন্যার কণ্ঠে গাওয়া ভজন ‘বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ে’র কথাও স্মরণ করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবছর ৫ গুণী ব্যক্তিকে পদ্মবিভূষণ, ১৭ জনকে পদ্মভূষণ ও ১১০ জন পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক ধরনের পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সংগীতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০১৬ সালে তিনি অর্জন করেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, আনন্দ সংগীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতেও তিনি বেশ কিছু পদক পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘বঙ্গভূষণ’। ২০১৭ সালে কলকাতার নজরুল মঞ্চে এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীর হাতে বঙ্গভূষণ পুরস্কার তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি বিভাগ থেকে ‘সংগীত সম্মান পুরস্কার’ পেয়েছেন বন্যা। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ভারত সরকার ২০২৪ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। যার মধ্যে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মশ্রী গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। আগেই ঘোষণা হয়েছিলো ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। ঘোষণা অনুযায়ী ২২ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এরপর ভারত প্রেসিডেন্টের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নিয়ে পৃথক পোস্ট করা হয়। সেখানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ছবিও শেয়ার করা হয়।   পোস্টে এই কিংবদন্তির ছবি শেয়ার করে তার সম্মানে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীতে নিবেদিতপ্রাণ ও শিল্পে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। সেই সং মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মদিনে বন্যার কণ্ঠে গাওয়া ভজন ‘বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ে’র কথাও স্মরণ করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবছর ৫ গুণী ব্যক্তিকে পদ্মবিভূষণ, ১৭ জনকে পদ্মভূষণ ও ১১০ জন পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন৷ দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক ধরনের পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সংগীতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০১৬ সালে তিনি অর্জন করেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, আনন্দ সংগীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতেও তিনি বেশ কিছু পদক পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘বঙ্গভূষণ’। ২০১৭ সালে কলকাতার নজরুল মঞ্চে এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীর হাতে বঙ্গভূষণ পুরস্কার তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি বিভাগ থেকে ‘সংগীত সম্মান পুরস্কার’ পেয়েছেন বন্যা। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ভারত সরকার ২০২৪ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। যার মধ্যে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

আজব ফর্দ / অদ্ভুত যত বন্যা
ইতিহাসে এমন কিছু বন্যা হয়েছিল, যাতে ছিল না এক ফোঁটা পানি। তারপরও মারা গিয়েছিল মানুষ। কীভাবে সম্ভব! অদ্ভুত এমন কিছু বন্যার খবর জানাচ্ছেন নাফিসা নাজনীন— বিয়ার ১৮১৪ সালের ১৭ অক্টোবরের ঘটনা। ঐতিহাসিক এ বন্যার নামই হয়ে গেছে লন্ডন বিয়ার ফ্লাড। লন্ডনের মিউ অ্যান্ড কোং নামের একটি বিয়ার প্রস্তুতকারী কোম্পানির ছিল ২২ ফুট উঁচু কাঠের জলাধার। তাতে ছিল ১৪ লাখ লিটার বিয়ার। বিয়ারের চাপে ওই আধারটি তো ভেঙেই যায়, সেইসঙ্গে কারখানার পেছনের দেয়ালও ফেটে আশপাশে হুড়মুড় করে ছড়িয়ে পড়ে সব তরল। পাশের একটি নিচু জায়গায় ছিল একটা বস্তি। পুরোটাই তলিয়ে যায় বিয়ারে। মারা যায় আটজন। হুইস্কি একই ধরনের ঘটনা ঘটে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে। ১৮৭৫ সালের ১৮ জুন আগুন লাগে একটি হুইস্কির কারখানায়। প্রচণ্ড তাপে ফাটতে থাকে হুইস্কির ব্যারেল। ছড়িয়ে পড়ে উত্তপ্ত ১২ লাখ লিটার মদ। অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত করে দিয়ে আশপাশের রাস্তায় জমে ৬ ইঞ্চি পুরু মদের স্তর। সব মিলিয়ে মারা যায় ১৩ জন। গুড়ের বন্যা ১৯১৯ সালের বোস্টনের নর্থ এন্ডের ঘটনা। অ্যালকোহল তৈরির জন্য প্রায় ৮৭ লাখ লিটার গাঢ় গুড়ের সিরা জমিয়ে রাখা হয়েছিল একটি কারখানায়। গুড়ের টাঙ্কিতে আগেই লিক ছিল। মানুষ সেখানে ছুটে যেত লিক হওয়া গুড় সংগ্রহের জন্য। কিন্তু এর বিপদটা সম্পর্কে কেউ তখন ভাবতেও পারেনি। এখানেও কারণ হিসেবে ছিল প্রচণ্ড চাপ। ছিটকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গলিত গুড়গুলোর গতি ছিল ঘণ্টায় ৩৫ মাইল। তাতেই মারা গিয়েছিল ২১ জন। আহত হয়েছিল শতাধিক। চকলেট ও বাটার শুনতে মজার মনে হলেও বন্যাটা মজার ছিল না। ব্রুকলিনের রকউড অ্যান্ড কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগলে গলতে শুরু করে চকলেট ও বাটার। গলিত ও উত্তপ্ত সেই তরল ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। সেটা সামলাতে গিয়ে হিমশিম খায় নিউইয়র্ক দমকল বাহিনী। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গরম গলিত চকলেট আর মাখনের দখলে চলে যায় শহরের নালা-নর্দমা। সব পথ আটকে নগরীর রাস্তায় হয়ে যায় চকলেটের হাঁটুনদী। পিচ্ছিল হওয়ার কারণে তাতে চলাফেরাও করতে পারছিল না কর্মীরা। একই ধরনের মাখন বন্যার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯১ সালের ৩ মে। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের সেন্ট্রাল স্টোরেজ অ্যান্ড ওয়্যারহাউস কোম্পানিতে। তাতে রাখা ছিল প্রায় ৬৮ কেজি মাখন। গুদামে আগুন ধরে গেলে বাটারের কারণে সেই আগুন জ্বলে জ্বলে ওঠে দাউ দাউ করে। গলিত মাখন ছুটে যায় কারখানা ছেড়ে ম্যাডিসনের রাস্তায়। কেউ মারা না গেলেও মাখনের তোপে বাসা ছাড়তে হয়েছিল তিন হাজার বাসিন্দাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ ঘটনা গ্রেট বাটার ফায়ার নামে পরিচিত। ফলের রস এ ঘটনা বেশি দিন আগের নয়। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল রাশিয়ার লেবেদিয়ান শহরের পেপসিকো বোতলজাত কারখানায় ছিল ২ কোটি ৮০ লাখ লিটারের ফলের রস। আচমকা ছাদ ধসে পড়ায় সব রস ছড়িয়ে পড়ে শহরে। রাস্তাঘাট উপচে সেই রস ছুটে যায় নদী-নালায়। মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। নগরবাসী চিন্তিত হয়ে পড়ে পরিবেশ নিয়ে। তবে ফলের রসের কারণে নদীর পানির খুব একটা দূষণ ঘটেনি সেবার।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

রাশিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কাজাখস্তান সীমান্তের কাছে ওরেনবার্গ অঞ্চলের একটি রুশ বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। ওরেনবার্গ অঞ্চলের গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, বন্যা সৃষ্টি হওয়ার পর পরই এক হাজার ১৯ শিশুসহ চার হাজার ২০৮ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুই হাজার ৫০০টিরও বেশি বাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গভর্নর ডেনিস পাসলার বলেন, ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। বিশেষ করে ওরস্ক অঞ্চলের অবস্থা খুবই খারাপ। এই সীমান্ত শহরটিতে প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। ইতোমধ্যে ওরস্ক অঞ্চল থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ এলাকাটি উরাল পর্বতমালার ওরেনবুর্গ অঞ্চলে অবস্থিত। রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বাসিন্দাদের সাহায্য করছেন উদ্ধারকর্মীরা। হাজার হাজার বাড়িঘর ডুবে গেছে। ২০১৪ সালে এই বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয় রুশ প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে বাঁধটি ভেঙে গেছে। অবহেলা ও নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের জন্য একটি ফৌজদারি মামলা করেছেও রাশিয়া। ইউরাল ও পশ্চিম সাইবেরিয়ার বেশকিছু অঞ্চল বসন্তের শুরুতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তাই না, কাজাখস্তানের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বলেন, বন্যাটি ৮০ বছরের ইতিহাসে কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪
X