Sun, 19 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে শিক্ষার্থী খুন
৪ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম
৫ ঘণ্টা আগে
অবশেষে লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
৫ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা
৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
৬ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
‘চামড়াশিল্পকে বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, চামড়াশিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। চামড়াশিল্পের মান রক্ষায় কোন ছাড় দেয়া হবে না। চামড়াশিল্প পরিবেশবান্ধব না হলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। এ ছাড়াও চামড়াশিল্প লাভজনক করতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সিইটিপি নতুন করে তৈরি করারও আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল হাই-লেভেল ডায়লগ ফর গ্রিনিং দ্য ট্যানারি অ্যান্ড লেদার সেক্টর’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নদী মারা গেলে এ ক্ষতি কোনও কিছু দিয়েই পূরণ হবার নয়। পানিতে বিওডি ৩০ এর মধ্যে থাকতে হয়, ধলেশ্বরীর পানিতে আছে চার গুণের বেশি। হেভি মেটাল ২ গুণের বেশি। এতে মানুষের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব ক্ষতির দায় কে নেবে? ব্লেম গেম করা যাবে না। সমস্যার অংশ না হয়ে সমাধান করতে হবে। যাত্রা নতুনভাবে করতে হবে। ভুল থেকে শিখতে হবে। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই রোল মডেল, চামড়াশিল্পেও রোল মডেল হতে চাই। অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করা আমাদের অগ্রাধিকার। সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ড ফাহমিদা খানম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর এবং যৌথ নদী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিনিস্টার কাউন্সেলর ও হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ড. মিশাল ক্রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এই সংলাপে ট্যানারি ও চামড়া খাতের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, পরিবেশবিদ এবং সরকারি প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং খাতটিকে আরও পরিবেশবান্ধব করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সুপারিশ পেশ করেন।
১৬ মে, ২০২৪
আইসিটি খাতে জাপানি বিনিয়োগ চান পলক
বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বিনিয়োগের জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। আইটি ও আইটিইএস খাতে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। হাইওয়ে কমিউনিকেশন, মেট্রোরেল, থার্ড টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ইত্যাদিসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে জাপান সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘমেয়াদি ভিশন নিয়ে পোস্ট, টেলিকম এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বাংলাদেশ স্টার্টআপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, বেসিসের সভাপতি মি. রাসেল টি আহমেদ।
১০ মে, ২০২৪
বঙ্গোপসাগরে বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত
তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বঙ্গোপসাগরে বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, কাঙ্ক্ষিত মুনাফা, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও বাজার চাহিদা বিবেচনায় বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বিনিয়োগকারীদের। আশপাশের দেশগুলোতে জ্বালানির প্রচুর চাহিদা থাকায় তাদের সাপ্লাই চেইনেও ঝুঁকি থাকবে না। গতকাল বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ উপলক্ষে এক সেমিনারের আয়োজন করে পেট্রোবাংলা। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে বিশ্বের অন্তত ১৫টি বহুজাতিক কোম্পানির ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। সেমিনারে অংশ নেওয়া ঠিকাদার কোম্পানিগুলো মধ্যে ছিল পেট্রোনাস, এক্সনমবিল, শেভরন, ইনপেক্স করপোরেশন, জগমেক জাপান, ক্রিস এনার্জি, ওএনজিসি, চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল করপোরেশন ও ইতালিয়ান কোম্পানি ইএনআই। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি টিজিএস-স্লামবার্জার তাদের মাল্টি ক্লায়েন্টে সার্ভের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেমিনারে পিএসসির বিস্তারিত তুলে ধরেন পেট্রোবাংলার অনুসন্ধান শাখার মহাব্যবস্থাপক ফারহানা শাওন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান, জ্বালানি সচিব নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
০৯ মে, ২০২৪
জ্বালানির সবুজ রূপান্তরে প্রয়োজন বিপুল বিনিয়োগ : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানির সবুজ রূপান্তর (Green Transition) দ্রুত করতে প্রয়োজন সম্বনিত উদ্যোগ ও বিপুল বিনিয়োগ। ইউরোপসহ উন্নত বিশ্ব নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছে। আমাদেরকেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বুধবার (৮ মে) ঢাকার একটি হোটেলে সুইডেন দূতাবাস, সুইডিশ এনার্জি এজেন্সি ও সুইডেন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আরএমজি সেক্টরে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সুইডেন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের বিষয়ে পলিসি সংলাপ-২০২৪’ (2024 Policy Dialogue on Sweden-Bangladesh Partnership in Renewable Energy within the RMG Sector)- এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে সমন্বয় করে আমরাও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। নেট মিটারিং সিস্টেম, রুফটপ সোলার, জলবিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসার পরিস্কার বিদ্যুৎ দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন,পোষাক শিল্পসহ অন্যান্য কারখানায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতিমধ্যে একটি ‘কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (CPPA)’ কাঠামো তৈরি করেছে। শীঘ্রই CPPA এর সাথে কয়েকটি কারখানার পাইলট করার পরিকল্পনা রয়েছে।। সিপিপিএ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সার্বক্ষনিক ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এর জন্য উচ্চ ক্ষমতার স্টোরেজ প্রয়োজন। অবশ্যই, স্টোরেজ এর জন্য বিদ্যুৎ বাবদ খরচ বাড়বে ও স্মার্ট গ্রীডে যেতে হবে। এই অতিরিক্ত খরচ ও প্রযুক্তি ব্যয় নিয়েও পলিসি থাকা উচিৎ। প্রতিমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন ইউরোপীয় এজেন্ডা বা গ্লোবাল এজেন্ডা নয়, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকেও টেকসই উন্নয়ন ও সবুজ রূপান্তর (Green Transition)- এর সাথেই থাকতে হবে। ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কা যেমন দক্ষতা, স্বয়ংক্রিয়তা, ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর ফোকাস করছে ব্যবসা করছে, টিকে থাকতে হলে আমদেরকেও আরও দক্ষতার সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি আছে। H&M তাদের প্রেজেন্টেশনে দেখান যে, H&M, LINDEX ও IKEA এই তিনটি সুইডিশ কোম্পানিতে বাংলাদেশ বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে। ২০০ সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঐ তিনটি কোম্পানিতে তৈরি পোষাক দেওয়া হয়, যেখানে ৫ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। উক্ত তিনিটি কোম্পানি ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০% গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে চায়। উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ডেলিগেশন অব ইউরোপিয়ান অব বাংলাদেশ-এর প্রধান ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলে (Charles Whiteley), বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্জ ভন লিন্দে (Alexandra Berg von Linde), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মহাবুবুর রহমান ও H&M-এর কান্টি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বক্তব্য রাখেন।
০৮ মে, ২০২৪
বে টার্মিনালে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আরব আমিরাত
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বে টার্মিনালে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও দেবে তারা। ১৬ মে এ-সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ের আগে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ও বে টার্মিনাল পর্যবেক্ষণে আসবে একটি উচ্চপর্যায়ের দল। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া ডিজাইন অনুযায়ী বে টার্মিনালের ৩টি জেটিতে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি এবং দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তবে অবশিষ্ট বন্দরের অংশে সরাসরি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসে আবুধাবি পোর্ট অথরিটি। মূলত চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গেই যৌথভাবে কাজ করবে তারা। বিনিয়োগের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আগেই অন্যান্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় প্রথমেই চুক্তি স্বাক্ষর করে রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, আবুধাবি পোর্টের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। ১২ মে বাংলাদেশে আসবে আবুধাবি বন্দরের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলটি। সেসময় চট্টগ্রামে অবস্থান নিয়ে বন্দরের পাশাপাশি বে টার্মিনাল পর্যবেক্ষণ করবে তারা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আবুধাবি পোর্ট অথরিটি নিজেদের অর্থায়নে অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন করবে, তেমনি টার্মিনাল পরিচালনার যন্ত্রপাতিও নিজেরাই আনবে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের (বাংলাদেশ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মাল্টিপারপাস টার্মিনালে বিনিয়োগের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছে আবুধাবি পোর্ট। এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করতে চায় দেশটি।
০৬ মে, ২০২৪
পতেঙ্গা বে টার্মিনালে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে আরব আমিরাত
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বে টার্মিনালে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে আরব আমিরাত। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও দেবে তারা। ১৬ মে চুক্তি সইয়ের আগে চট্টগ্রামে বন্দরের কার্যক্রম ও বে টার্মিনাল পর্যবেক্ষণে আসবে একটি উচ্চ পর্যায়ের দল। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া ডিজাইন অনুযায়ী বে টার্মিনালের ৩টি জেটিতে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি এবং দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তবে অবশিষ্ট বন্দরের অংশে সরাসরি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসে আবুধাবী পোর্ট অথরিটি। মূলত চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গেই যৌথভাবে কাজ করবেন তারা। বিনিয়োগের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আগেই অন্যান্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় প্রথমেই চুক্তি স্বাক্ষর করে রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, আবুধাবি পোর্টের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বাংলাদেশের। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পুরো আয়োজন রাজধানী ঢাকায় হলেও, তার আগে ১২ মে বাংলাদেশে আসবে আবুধাবী বন্দরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি। ৩ দিন চট্টগ্রামে অবস্থান নিয়ে বন্দরের পাশাপাশি বে টার্মিনাল পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আবুধাবী পোর্ট অথরিটি নিজেদের অর্থায়নে অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন করবে, তেমনি টার্মিনাল পরিচালনার যন্ত্রপাতিও নিজেরাই আনবে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের (বাংলাদেশ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মাল্টিপারপাস টার্মিনালে বিনিয়োগের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছে আবুধাবি পোর্ট। এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করতে চাচ্ছে দেশটি। ১ হাজার ১২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের টার্মিনালের একেকটি অংশের জন্য সিঙ্গাপুর পোর্ট কর্তৃপক্ষ দেড় বিলিয়ন এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এছাড়া ব্রেক ওয়াটার সিস্টেমের জন্য বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করবে আরও ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই বে টার্মিনাল ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় সৌদির ৮০ কোম্পানি
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ৮০টি সৌদি কোম্পানি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী রয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। একই সঙ্গে এসব কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটি। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানে সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) চিফ অব স্টাফ এবং বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের সেক্রেটারি জেনারেল সাদ আল কোরডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সময় পিআইএফ মহাসচিব উপদেষ্টাকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় মহাসচিব পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ছাড়াও তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কোম্পানির তালিকা শেয়ার করেন। খবর বাসসের। একই দিনে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী ইঞ্জি. মোহাম্মদ আল ইব্রাহিমের সঙ্গেও বৈঠক করেন। বুধবার (১ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে সৌদি সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী বাংলাদেশকে তাদের জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। বৈঠকে তারা জেভি পিএপি সার প্ল্যান্ট নিয়েও আলোচনা করেন।
০২ মে, ২০২৪
ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষিণ কোরীয় বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকাসমূহ (ইপিজেড) এবং বেপজার অধীনে পরিচালিত চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে অধিক পরিমাণে বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেপজা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ইপিজেডসমূহ এবং বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমান এই আহ্বান জানান। বাংলাদেশস্থ কোরিয়ান কমিউনিটি, কিডো ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড এবং জায়ান্ট বিডি কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং সিক এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা শিল্প গ্রুপের প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। বেপজা নির্বাহী চেয়ারম্যান বর্তমানে বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ বিশেষত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) একটি সামগ্রিক চিত্র সেমিনারে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান, কর্মক্ষম জনশক্তি, বৃহৎ ও সম্প্রসারশীল অভ্যন্তরীণ বাজার, স্থিতিশীল সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবেশ ইত্যাদি বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল কারণ। মেজর জেনারেল জিয়া বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রধান আকর্ষণ হলো সহজলভ্য, উৎপাদনশীল, পর্যাপ্ত এবং সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য শ্রমশক্তি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম। বর্তমান সরকার প্রদত্ত বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিতভাবে তার বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতিকে উদারীকরণ করে আসছে। তিনি আরও বলেন, দ্রুত এবং উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সরকার বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেছে। বেপজার সম্প্রসারণ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, চালু ৮টি ইপিজেডের সঙ্গে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেপজা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে যেখানে ইতোমধ্যে ২৮টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বিনিযোগের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং কয়েকটি উৎপাদনও শুরু করেছে। এ ছাড়াও, ৩টি নতুন ইপিজেড প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রস্তুত হবে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার এবং বাংলাদেশে বিশেষত বেপজাধীন এই জোনগুলোতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা অন্বেষণের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং সিক বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে গার্মেন্টস সেক্টরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের ক্রমোন্নতি তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীগণকে অবহিত করেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন সেবা সহজীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ করেন। স্বাগত বক্তব্যে আদমজী ইপিজেডের দক্ষিণ কোরীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কিডো বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জ্যাং হি পার্ক বাংলাদেশের ইপিজেডে কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে বেপজা প্রদত্ত সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি কোরীয় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ইপিজেডে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার অনুরোধ জানান।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪
চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখারও প্রস্তাব দিয়েছি। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দ্বিপক্ষীয় ও একান্ত বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি, একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ নিকট প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আমরা থাইল্যান্ডকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখছি। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান পরিধি বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ এবং শক্তিশালী দ্বিমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে দুদেশ সম্মত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা এ বিষয়ে একটি আগ্রহপত্রে সই করেছেন। থাই এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা এবং ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য একটি চুক্তি রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি। শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি। জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেছে। সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে। তিনি বলেন, আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিমসটেক মোট ১৮০ কোটি জনসংখ্যার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছলে তাকে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন। শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন। পরে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের বাণিজ্য ও বিনিযোাগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগ এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গতি প্রদান করবে। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতিকে ধরে রাখতে হবে। মধ্যাহ্নভোজ সভায় যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে একটি থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪
থাইল্যান্ডের কাছে চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে। বাংলাদেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি-একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র সই হয়। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দরকেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি। থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি। সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরন করছে। আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন। বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে গতকাল বুধবার ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪
আরও
X