লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত : জামায়াত
সারা দেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (৬ মে) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  তিনি বলেন, দেশে অব্যাহত লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। একদিকে প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন দুর্বিষহ, অপরদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। এ জামায়াত নেতা বলেন, তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমতাবস্থায় কুইক রেন্টালের মতো জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল এবং বিদ্যুৎখাতের দুর্নীতি ও সব প্রকার অব্যবস্থাপনা দূর করে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গোলাম পরওয়ার বলেন, বর্তমানে গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না। কিছু সময়ের জন্য আসে আবার চলে যায়। বিদ্যুতের অভাবে সেচের পাম্পগুলো অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে পানিসেচ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কৃষক ফসল ফলাতে পারছে না। রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘলাইন ধরেও পাম্পগুলো থেকে খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় পাম্পগুলো পানি সরবরাহ করতে পারছে না। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎখাতে সরকারের ভয়াবহ দুর্নীতি, লুটপাট ও অনিয়মের কারণে বিদ্যুৎখাতে এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞগণ কুইক রেন্টালের বিরোধিতা করলেও সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত করেনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিগত ১৫ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার এবং খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার জনগণের ওপর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শিল্প ও কৃষিসহ দেশের গোটা অর্থনীতির ওপর চরম বিরূপ প্রভাব পড়বে। গণবিরোধী সরকার দেশের জনগণকে মেরে নিজেরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।
০৬ মে, ২০২৪

লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ এবং শিশুরা বাড়ির সামনে বসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন। কেউবা আবার স্বস্তি পেতে বাড়ির পাশের গাছতলায় পাটি বিছিয়ে বসেছেন। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না ৬/৭ ঘণ্টা। সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি মধ্যরাতেও হচ্ছে লোডশেডিং। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। রিকশাচালক মো. লিটন মিয়া বলেন, রোদের খুব তাপ। তারপরও চালাতে হচ্ছে রিকশা। না চালিয়েও উপায় নাই। একদিন কাজ না করলে আমাদের পেটে খাবার জোটবে না। তাই রোদেও কষ্ট করে রিকশা চালাচ্ছি। বাসায় গেলে দেখি বিদ্যুৎ নাই। তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে অনেক কষ্ট হয়। গৃহিণী সালমা আক্তার বলেন, রাতের বেলা বিদ্যুৎ চলে গেলে বাচ্চারা গরমে কান্না শুরু করে দেয়। বাচ্চাদের সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়। এভাবেই প্রতিদিন চলছে। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মনোহরগঞ্জ বাজারের মো. নাছির মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকান। আমার সকল কাজ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো কোনো কাজই করা যাচ্ছে না। মনোহরগঞ্জ দারুল উলুম কেরামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জিন্নত আলী বলেন, গরমের কারণে ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতি কম। তার মধ্যে লোডশেডিং। এভাবে তাপমাত্রা চলমান থাকলে ছাত্র /ছাত্রীরা অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ-৪ মনোহরগঞ্জ উপজেলার জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক নীল মাধব বনিক কালবেলাকে বলেন, স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে এই লোডশেডিং হচ্ছে। তাপমাত্রা না কমলে ও বৃষ্টিপাত না হলে লোডশেডিং সমাধানের কোনো উপায় নেই।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

বাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত কেনিয়া, নিহত ৪২
কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী নাইরোবির অদূরে কামুচিরি শহরে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার মাই মাহিউর রিফট ভ্যালি শহরের কাছে বাঁধটি ভেঙে যায়। স্থানীয় গভর্নর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে মার্চ মাসে ভারী বৃষ্টি ও বন্যা দেখা দেয়। এতে পানির নিচে রয়েছে অসংখ্য গ্রাম। ডুবে গেছে সড়ক। ভেসে গেছে ঘরবাড়ি।  স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে কেনিয়ায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। নাকুরু কাউন্টির গভর্নর সুসান কিহিকা বলেন, ‘দেশটিতে বাঁধ ভেঙে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এ দুর্যোগে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস হয়েছে। এখনো অনেকে কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। আমরা নিখোঁজ লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছি।’
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

তাপপ্রবাহ আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত কৃষককুল, বোরো নিয়ে শঙ্কা
চৈত্র শেষে বৈশাখ।  দেশে পক্ষকালব্যাপী বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। মিলছে না বৃষ্টির দেখা। তীব্র তাপ আর ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। সেই সঙ্গে পুড়ছে কৃষকের কপাল। চারদিকে সবুজ বোরো ধানের সবুজ পাতার উছলে পড়া ঢেউ যখন কৃষকের মনে আনে স্বস্তির সুখ ঠিক তখনই তীব্র দাবদাহে বোরো ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। আর প্রকৃতিগত এ সমস্যায় সারা দেশের মতো জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার বোরো চাষিদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ। মাঠের পর মাঠজুড়ে সেচযন্ত্র থাকলেও বিদ্যুৎতের দেখা মেলা ভার। লোডশেডিংয়ে নাকাল কৃষককুল। দিনে ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ মিললে কষ্ট করে সেচ দেওয়া হলেও পানি জমিতে বেশিক্ষণ থাকছে না। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ থাকে ৩-৪ ঘণ্টার মতো। এতে করে সেচ পাম্পগুলো ঠিকমতো চালাতে পারছেন না কৃষকরা। বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া-আসা এবং ভোল্টেজ কম থাকায় মোটর পুড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, পানির অভাবে জমি ফেটে যাচ্ছে। ধানের থোড় বের হওয়ার পর কিছু কিছু জমির থোড় শুকিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ অবস্থার পরিবর্তন না হলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। উপজেলার ফুলকোচা গ্রামের কৃষক সুজন মিয়া বলেন, বোরোর আবাদ কইরা আমরা বর্তমানে খুব বিপদের মধ্যে আছি। মাঠে যে থুর ধানগুলা বাইর হইতাছে, ঠিকমতো সেচ দিবার পাইতেছি না। এই ধানগুলা চিটা হইব। কমলাবাড়ী গ্রামের  কৃষক জাবেদ আলী  বলেন, কি আর কমু, গলা জড়াইয়া আহে, আবাদ তো নষ্ট হইয়া গেল। তাপের চোটে ক্ষেতে পানি থাহে না। মোটর দিয়ে পানি দিমু কারেন্টও থাহে না। আহে আর যায়। মোটর ইস্টার্ট দেই ক্ষেতে পানি যাওয়ার আগেই কারেন্ট যাই গা। এহন আমাদের মরণ ছাড়া কোনো উপায় আছে? কন! পানি দিবার না পাইলে তো সব শেষ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ২৫০ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ২০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। হিসাবমতে, ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ কম হলেও ফলন দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পুষিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  আবদুল্লাহ আল ফয়সাল কালবেলাকে বলেন, প্রকৃতিগত সৃষ্ট এ সংকট আর লোডশেডিং সমস্যায় উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। তবে উপজেলার বোরো আবাদের প্রায় ৩০ ভাগ ধান পেকে যাওয়ার কারণে এই ধানগুলোর কোনো ক্ষতি হবে না। তবে বাকি যে ধানগুলো থোড় অর্থাৎ বের হচ্ছে যদি এ রকম তাপ প্রবাহ আরও সপ্তাহ নাগাদ থাকে তাহলে গাছের গোড়ায় পানি না থাকার কারণে ধানে চিটা হতে পারে। তিনি জানান, আর এজন্য প্রত্যেকটি এলাকায় গ্রুপভিত্তিক কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিকেও আমরা অনুরোধ করেছি এ সংকট মোকাবিলায় রাত ১২টার পর থেকে নিরবচ্ছিন্ন টানা চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেওয়ার, যেন কৃষক সেচ দিতে পারেন। পানির কারণে ধান গাছের পরাগায়ন যাতে ব্যাহত না হয়। আর ধান ছাড়া অন্যান্য ফসলে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান উপজেলার এই কর্মকর্তা।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন 
অব্যাহত তীব্র তাপমাত্রায় পুড়ছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর। বৈশাখের শুরুতেই আক্কেলপুরের ওপর দিয়ে হালকা থেকে তীব্র ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রায় সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আবহাওয়া অফিস। ফলে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। তপ্ত মাটি ভিঁজে যাওয়ার মতো এক পশলা বৃষ্টির দিকে মানুষ আকাশের দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছে। ভ্যাপসা গরমের মানুষের সাধারণ কার্যক্রম স্তবির হয়ে পড়েছে। উপজেলায় বর্তমানে আমন ধান কাটার সময়। কৃষকরা তীব্র দাবদাহের কারণে ধান কাটা শুরু করতে পারছে না। পাশাপাশি ভ্যান ও রিকশাচালক একটু দুপুর হলেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। ফলে দুপুরে উপজেলা শহরের রাস্তাঘাটগুলো ফাঁকা হয়ে পড়ছে। মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরুতে ভয় পাচ্ছে। সূর্যতাপে যেন শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়া অবস্থা। ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে মানুষ যখন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না সেখানেও আছে বিপত্তি। বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুন। আক্কেলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট শিশু ও বৃদ্ধরা তীব্র দাবদাহের কারণে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন আবার কেউ কেউ ভর্তিও হচ্ছেন। এতে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত মরুভূমির ২ দেশ, নিহত ১৮
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা দেখে দিয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা, এমনকি বিমানবন্দরও। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত ওমানে ১৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে অন্তত ৯ জন স্কুলছাত্রী এবং তাদের বহনকারী গাড়ির চালক রয়েছেন।  ছাত্রীদের নিয়ে গাড়িটি গত রোববার সামাদ আ’শানে পৌঁছালে বন্যার পানিতে ভেসে যায়। পরে উদ্ধারকারীরা ওই ছাত্রীদের মরদেহ উদ্ধার করে।  দেশটির ন্যাশনাল কমিটি ফর ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট জানায়, তারা এখনো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া আরও দুজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।   সামাদ আ’শান ছাড়াও ওমানের আরও কয়েকটি অঞ্চলের অবস্থা বেহাল। সেখানকার সরকারি কর্মীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। কাউকে বাসায় থেকে কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দুর্গত এলাকায় স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতেও নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।  সে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত আশ শারকিয়াহ উত্তর প্রদেশে পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ওমানের মতো পরিস্থিতি অতটা খারাপ না হলেও পাশের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও বন্যা মোকাবিলা করছে।  সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।  কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুবাইয়ের অনেক মহাসড়ক প্লাবিত হয়েছে। বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে সড়কে গাড়ি রেখে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন। আগের রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।  এদিকে প্রবল ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।  মঙ্গলবার বিমানবন্দরের রানওয়েও ডুবে যায়। পানিতেই ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ। ওমানের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় অনেক সরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঘন ঘন লোডশেডিং, বিপর্যস্ত জনজীবন
খুলনার কয়রা উপজেলায় বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে বাইরে গিয়ে কাজকর্ম দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে ঘরে বসে থাকাও যাচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ যাবত তাপদাহ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিংও। দিনরাত মিলিয়ে নিয়ম করেই যেন ৮-৯ ঘণ্টা চলে লোডশেডিং। জানা গেছে, কয়রার অধিকাংশ এলাকায় দিনে রাতে ৮-১০ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। মধ্যরাতেও লোডশেডিং হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে বাসিন্দারা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎ থাকছে না তারাবি, সেহরি-ইফতারের সময়ও। গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে সহজে আসছে না। আবার ঈদের কেনাকাটাকে সামনে রেখে বাজারের ব্যবসায়ীগণও তীব্র গরমে ঠিকমতো বেচাকেনা করতে পারছেন না। কৃষকরা বলছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় সময়মতো সেচে পানি দিতে পারছে না তারা। সেচে পানি দিতে না পারলে ক্ষেতের ধান মারা যাবে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। জানা যায়, কয়রায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৯-১০ মেগাওয়াট। বর্তমানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে চার থেকে ৫ মে.ওয়াট। ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের জন্য সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে কর্তৃপক্ষকে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। কিন্তু জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ না থাকায় শংকিত থাকতে হয় কর্মকর্তাদের। কয়রা এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর রহমান নামে এক চাকরিজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্টির সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। গরমের সময়ও থাকে না। কখন যে থাকে, সেটাই ভাবনার বিষয়। কয়রা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. কায়ছার রেজা কালবেলাকে বলেন, লোডশেডিং শুধু কয়রাতে না সারা দেশে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবারাহ কম হওয়ায় এই বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কয়রাতে বিদ্যুতের চাহিদা ৯-১০ মেঘাওয়াট কিন্তু সেখানে পাই অর্ধেকেরও কম। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে লোডশেডিং কমে আসবে বলেও জানান।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
চট্টগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে বাড়তে শুরু করেছে দিনের তাপমাত্রা। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। কয়েক দিন ধরে এলাকাভেদে দিনে ও রাতে বিদ্যুৎ থাকছে না প্রায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত। একবার বিদ্যুৎ গেলে আসছে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টাখানেক পর। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। এদিকে এতে প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ঈদের কেনাকাটা ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের (বিতরণ) তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে নগরের বাকলিয়া ও কল্পলোক আবাসিক এলাকায়। এলাকাটি নগরের ঘনবসতিপূর্ণ জনপদগুলোর একটি। এর বাইরে পাথরঘাটা, স্টেডিয়াম, ষোলশহর, কালুরঘাট, বাকলিয়া, মাদারবাড়ি, আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাহাড়তলী, খুলশী, রামপুর, নিউমুরিং বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রগুলো পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছে। শহরের বাইরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ইউনিট ফৌজদারহাট, হাটহাজারী, মোহরা, বাড়বকুণ্ড, সন্দ্বীপ, পটিয়া, সাতকানিয়া, দোহাজারীতে তিন-পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চল)। একইভাবে রাঙমাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার বিতরণ বিভাগ তিন-চার ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের তথ্য জানিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের এই বিবরণের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই বলছেন ভোক্তারা। নগর ও জেলার কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন উপজেলার ১০ থেকে ১২ জনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। কয়েক দিন ধরে লোডশেডিং বেশি হওয়ায় তারা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বলে জানান। তারা বলেন, শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। গতকাল দুপুরে নগরের টেরি বাজারে কথা হয় মাইশা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিনের সঙ্গে। কালবেলাকে তিনি বলেন, আমার এই দোকান থান কাপড় ও থ্রি-পিচের জন্য বিখ্যাত। তবে লোডশেডিংয়ের কারণে এখন দোকানদারি করতেই কষ্ট হচ্ছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই থাকে না বিদ্যুৎ। বিকল্প হিসেবে লাগানো হয় জেনারেটর। কিন্তু বিদ্যুতের চাপ বেড়ে যাওয়া তা নষ্টের পথে। নগরের ষোলশহর এলাকায় কথা হয় গৃহিণী আবিদা সুলতানার (৩০) সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিদ্যুৎ যায়। এক ঘণ্টা পর এসে আবার বেলা ১১টায় চলে গেছে। আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় আসে। আবার বেলা তিনটায় যায়, আসে বিকেল ৫টায়। রাত ৮টায় যায়, সাড়ে ৯টায় আসে। কয়েক দিন ধরে এভাবে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। এতে ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে।  নগরের আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, রমজানের শুরু থেকে ওয়াসার পানি নিয়ে কষ্টে আছি। এখন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে লোডশেডিং। সারা দিনে ছয় থেকে আটবার লোডশেডিং হচ্ছে। বাচ্চা দুটোকে নিয়ে সারারাত জেগে থাকতে হয়। নিস্তার নেই ইফতার-সেহরিতেও। শুধু আগ্রাবাদ নয়, বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অধিকাংশ এলাকায় দিনে আট থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। মধ্যরাতেও লোডশেডিং হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে বাসিন্দারা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। বিদ্যুৎ থাকছে না সেহরি-ইফতারের সময়ও। গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে সহজে আসছে না। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিস্টেম কন্ট্রোল সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার ছুটির দিনে পিক আওয়ারে চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল এক হাজার ২৮০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া গেছে ৯০০ মেগাওয়াট। ফলে ওই সময়ে চট্টগ্রামে লোডশেডিং হয়েছে ৩৮০ মেগাওয়াট। এ ছাড়া সারা দিনে কমবেশি ১৫০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। বিদ্যুৎখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চাহিদার চেয়ে গ্যাসের সরবরাহ কম। তাই গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে দিনে গ্যাসের চাহিদা ২৩২ কোটি ঘনফুট। এবার গ্রীষ্মে পিডিবি অন্তত ১৫০ কোটি ঘনফুট সরবরাহের দাবি জানিয়েছে। এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ৮৮ কোটি ঘনফুট। ফলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেকের বেশি বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের (বিতরণ) প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ‘বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আমরা দুদিন ধরে নাজেহাল অবস্থায় আছি। জাতীয় গ্রিড থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকালও আমাদের চাহিদা ছিল সাড়ে ১২শ মেগাওয়াটের বেশি, কিন্তু আমরা পেয়েছি ৯০০ মেগাওয়াট। ফলে বিভিন্ন এলাকায় রেশনিং করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।’ এদিকে সপ্তাহ খানেক ধরে চট্টগ্রামের গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং অসহনীয় হয়ে উঠেছে। দিন-রাত মিলিয়ে কোথাও কোথাও ছয় থেকে সাত ঘণ্টা, কোথাও ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

দখল-দূষণে বিপর্যস্ত রহমতখালী খাল
যে খালের পানিতে থাকার কথা মাছ ও বিভিন্ন ধরনের প্রাণী, সে পানিতে রয়েছে ময়লা-আর্বজনা ও পোকামাকড়। যে পানি গোসলসহ গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার হতো, সে পানি এখন কালো রং ধারণ করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অস্তিত্ব হারিয়েছে জীববৈচিত্র্য, বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে পরিবেশ। এ চিত্রটি লক্ষ্মীপুর শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী রহমাতখালী খালের। লক্ষ্মীপুর বাজার কেন্দ্রিক এ দৃশ্য দেখে মনে হবে, খালটি রহমতের বদলে আশপাশের লোকজনের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে দখল এবং দূষণের ফলে এমন ভয়াবহ চিত্র খালটির। মানবসৃষ্ট সংকটে খালটি এখন অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এক সময় রহমতখালী নদী বা রহমতখালী খাল ছিল দেশের একটি ছোট নদী। এটির শুরু ফেনী থেকে, আর শেষ লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটের মেঘনা নদীর মুখে। রহমতখালীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৫ মাইল বা ১৩৭ কিলোমিটার। প্রস্বস্ত ছিল প্রায় ১২৮ মিটার। এটিকে নদী নামে ডাকা হলেও কালের বিবর্তনে এটি খালে পরিণত হয়ে যায়। কিন্তু এখন সেই খালেরও অস্তিত্ব হারানোর পথে। দখলে-দূষণ এবং সংস্কারের অভাবে খালের বিভিন্ন স্থান সংকুচিত হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, খালটির ৪০ কিলোমিটার লক্ষ্মীপুর অংশে। এটি সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। এ খালটি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের পাশাপাশি বোরো মৌসুমে মেঘনা নদী থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে ইরি চাষাবাদের জন্য আশীর্বাদ ছিল। আর মৎস্যজীবীদেরও আয়ের উৎস ছিল খালের মাছ। তিন যুগ আগেও খাল দিয়ে চলাচল করত মালবাহী নৌকা। এসব কিছু এখন যেন গল্পের মতো। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাজার, জকসিন বাজার, মান্দারী ও চন্দ্রগঞ্জ বাজার অংশে খালটি মানবসৃষ্ট দূষণের মধ্যে পড়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, রহমতখালী খালের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ পৌর বাজারের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে। বাজারের অংশ এখন আবর্জনায় ভরপুর। সেগুলো পচে পোকামাকড় কিলবিল করছে। আর পানির রং ধারণ করেছে কালো রঙে। বাজারের ব্যবসায়ী এবং পৌর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে ব্যবসায়ী বাদশা বলেন, আমাদের ঘরের সামনে দিয়ে খাল। খালের পানিতে পোকামাকড়, মশা-মাছি এবং দুর্গন্ধের কারণে বসবাস করা কষ্ট হয়। শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাজারের এ অংশটি অন্তত পরিষ্কার রাখার জন্য আমরা বারবার পৌর মেয়রকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কখনো পরিষ্কার রাখা হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষ পারে বাজারের ব্যবসায়ীদের ময়লা-আর্বজনা খালে না ফেলে অন্যত্র ফেলার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু কখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা। রহমতখালীর এমন পরিণতির বিষয়ে পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বলেন, দখল এবং দূষণের কারণে খালের অবস্থা একেবারে বেহাল। বাজারের ময়লা-আবর্জনা এবং বাসাবাড়ির ময়লার পাইপ লাইন খালে দেওয়া হয়েছে। মানুষ সচেতন নয়। এ কারণে তারা খালটি দূষণ করছে। আমরা মাঝেমধ্যে খাল পরিষ্কার করি। কিন্তু অসচেতন মানুষরা আবার খাল দূষণ করে ফেলে। লোকজনকে সচেতন করা গেলে এবং খালকে বেদখল করা গেলে অস্তিত্ব টেকানো যাবে। লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের রায়পুর পওর বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গোকুল চন্দ্র পাল বলেন, রহমতখালী খালের ১৮ কিলোমিটার খনন করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। খালটি সংস্কার করা গেলে দূষণ রোধ হবে। লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব, উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) পদ্মাসন সিংহ বলেন, অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে তালিকা তৈরি করে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

১০ লাখ শিশু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত
জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, ইসরায়েল-হামাসের সংঘাতের কারণে গাজা উপত্যকার ১০ লাখ শিশু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া প্রায় ১৭ হাজার শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। খবর আলজাজিরার। অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর জন্য ইউনিসেফের যোগাযোগের প্রধান জোনাথন ক্রিকক্স বলেন, যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে শিশুদের মধ্যে ক্রমাগত উচ্চমাত্রার উদ্বেগ, নিদ্রাহীনতা ও ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিয়েছে। তারা সবসময় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। যে শিশুরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তাদের মানসিক অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া শিশুদের এই মুহূর্তে মানসিক পরিচর্যা খুব দরকার।শিগগির যুদ্ধ বন্ধ না হলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া শিশুর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন জোনাথন ক্রিকক্স।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X