মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা দেখে দিয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা, এমনকি বিমানবন্দরও।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত ওমানে ১৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে অন্তত ৯ জন স্কুলছাত্রী এবং তাদের বহনকারী গাড়ির চালক রয়েছেন।
ছাত্রীদের নিয়ে গাড়িটি গত রোববার সামাদ আ’শানে পৌঁছালে বন্যার পানিতে ভেসে যায়। পরে উদ্ধারকারীরা ওই ছাত্রীদের মরদেহ উদ্ধার করে।
দেশটির ন্যাশনাল কমিটি ফর ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট জানায়, তারা এখনো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া আরও দুজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সামাদ আ’শান ছাড়াও ওমানের আরও কয়েকটি অঞ্চলের অবস্থা বেহাল। সেখানকার সরকারি কর্মীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। কাউকে বাসায় থেকে কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া দুর্গত এলাকায় স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতেও নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
সে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত আশ শারকিয়াহ উত্তর প্রদেশে পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ওমানের মতো পরিস্থিতি অতটা খারাপ না হলেও পাশের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও বন্যা মোকাবিলা করছে।
সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুবাইয়ের অনেক মহাসড়ক প্লাবিত হয়েছে। বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে সড়কে গাড়ি রেখে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।
আগের রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এদিকে প্রবল ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিমানবন্দরের রানওয়েও ডুবে যায়। পানিতেই ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ।
ওমানের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় অনেক সরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন