কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ এবং শিশুরা বাড়ির সামনে বসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন। কেউবা আবার স্বস্তি পেতে বাড়ির পাশের গাছতলায় পাটি বিছিয়ে বসেছেন।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না ৬/৭ ঘণ্টা। সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি মধ্যরাতেও হচ্ছে লোডশেডিং। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।
রিকশাচালক মো. লিটন মিয়া বলেন, রোদের খুব তাপ। তারপরও চালাতে হচ্ছে রিকশা। না চালিয়েও উপায় নাই। একদিন কাজ না করলে আমাদের পেটে খাবার জোটবে না। তাই রোদেও কষ্ট করে রিকশা চালাচ্ছি। বাসায় গেলে দেখি বিদ্যুৎ নাই। তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে অনেক কষ্ট হয়।
গৃহিণী সালমা আক্তার বলেন, রাতের বেলা বিদ্যুৎ চলে গেলে বাচ্চারা গরমে কান্না শুরু করে দেয়। বাচ্চাদের সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়। এভাবেই প্রতিদিন চলছে। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
মনোহরগঞ্জ বাজারের মো. নাছির মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকান। আমার সকল কাজ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো কোনো কাজই করা যাচ্ছে না।
মনোহরগঞ্জ দারুল উলুম কেরামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জিন্নত আলী বলেন, গরমের কারণে ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতি কম। তার মধ্যে লোডশেডিং। এভাবে তাপমাত্রা চলমান থাকলে ছাত্র /ছাত্রীরা অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ-৪ মনোহরগঞ্জ উপজেলার জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক নীল মাধব বনিক কালবেলাকে বলেন, স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে এই লোডশেডিং হচ্ছে। তাপমাত্রা না কমলে ও বৃষ্টিপাত না হলে লোডশেডিং সমাধানের কোনো উপায় নেই।
মন্তব্য করুন