রোমে বিমানের ফ্লাইট চালু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-রোম-ঢাকা ফ্লাইট চালু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা। তবে ফ্লাইটে বিড়ম্বনামুক্ত যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান করেছেন তারা। গত বুধবার ইতালির রোমের একটি রেস্টুরেন্টে বিমানের ফ্লাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তারা। অনুষ্ঠানে রোম প্রবাসী ব্যবসায়ী, ট্রাভেল এজেন্ট, ইতালি ও ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসীরা বলেন, বিমান যদি এই রুটে বিড়ম্বনামুক্ত ও নির্বিঘ্ন সেবা নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে এই বিমানের যাত্রীর অভাব হবে না। প্রতিটি ফ্লাইটই যাত্রীভর্তি যাবে। ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফের বিমান চালু হাওয়ায় দারুণ খুশি এবং তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন বলেন, প্রবাসীরা দেশের টাকা দেশে রাখতে চান। এজন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিমানে দেশে যাতায়াত করতে তারা মুখিয়ে আছেন। তবে সেবার মান নির্বিঘ্ন করতে হবে। ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মদ বলেন, ৯ বছর আগে ২০১৫ সালে রোম ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল রুটটি লাভজনক নয়। কিন্তু আমাদের কাছে রুটটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। আমরা প্রবাসীরা যাচাই-বাছাই করে দেখেছি দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে রুট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে যেন এসব কারণে রুট বন্ধ না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই রুট নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। আমাদের কমিউনিটির সবাই বিমানের ফ্লাইটেই চলাচল করব। আশা করি, এটি বিমানের সর্বোচ্চ লাভজনক পদক্ষেপ হবে। রোম ফ্লাইট নিয়ে এবার যে কোনো প্রকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, বিমানে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। যাত্রীদের ব্যাপক চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে রুটটি ফের চালু হয়েছে। তাই সেবার বিষয়টি অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম প্রবাসীদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ভ্রমণের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি সর্বোচ্চ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বিমানের সেবা বদলে গেছে। সম্মানিত প্রবাসীদের আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত আছি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ঢাকা-রোম কিংবা রোম-ঢাকা রুটে ইতালি প্রবাসীরা আকাশ ভ্রমণে দারুণ অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন। যাত্রী সেবায় ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান। এ ছাড়া বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ৯ বছর পর বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে ঢাকা-রোম-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আবার ফ্লাইট চালু করেছে। উদ্বোধনী ফ্লাইটটি রোমে পৌঁছানোর পর ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে এসে যাত্রীদের স্বাগত জানান। বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে রোম রুটের ফ্লাইট। রোম থেকে ঢাকা রুটে প্রথম ফ্লাইটে ১১টি বিজনেস ক্লাস সিটে এবং ২৪৩টি ইকোনমিক ক্লাস সিট যাত্রী পূর্ণ হয়।
২৯ মার্চ, ২০২৪

রোমে বিমানের ফ্লাইট চালু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-রোম-ঢাকা ফ্লাইট চালু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা। তবে এই ফ্লাইটে বিড়ম্বনামুক্ত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার আহ্বান করেছেন তারা। ২৭ মার্চ বুধবার ইতালির রোমের একটি রেস্টুরেন্টে বিমানের ফ্লাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তারা। অনুষ্ঠানে রোম প্রবাসী ব্যবসায়ী, ট্রাভেল এজেন্ট, ইতালি ও ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসীরা বলেন, বিমান যদি এই রুটে বিড়ম্বনামুক্ত ও নির্বিঘ্ন সেবা নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে এই বিমানের যাত্রীর অভাব হবে না। প্রতিটি ফ্লাইটই যাত্রীভর্তি যাবে। ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফের বিমান চালু হাওয়াতে দারুণ খুশি এবং তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন বলেন, প্রবাসীরা দেশের টাকা দেশে রাখতে চায়। এজন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিমানে দেশে যাতায়াত করতে তারা মুখিয়ে আছেন। তবে সেবার মান নির্বিঘ্ন করতে হবে। ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মদ বলেন, ৯ বছর আগে ২০১৫ সালে রোম ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল রুটটি লাভজনক না। কিন্তু আমাদের কাছে এই রুটটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। আমরা প্রবাসীরা যাচাইবাছাই করে দেখেছি দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে এই রুট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে যেন এসব কারণে রুট বন্ধ না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টরা খেয়াল রাখবেন। তিনি আরও বলেন, এই রুট নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। আমাদের কমিউনিটির সবাই এই বিমানের ফ্লাইটেই চলাচল করবো৷ আশা করি এটি বিমানের সর্বোচ্চ লাভজনক পদ হবে। অবশ্য রোম ফ্লাইট নিয়ে এবার যে কোন প্রকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।   বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম প্রবাসীদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ভ্রমণের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি সর্বোচ্চ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বিমানের সেবা বদলে গেছে। সম্মানিত প্রবাসীদের আমরা সর্বোচ্চ ভালো সেবা দিতে প্রস্তুত আছি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ঢাকা-রোম কিংবা রোম-ঢাকা রুটে ইতালি প্রবাসীরা আকাশ ভ্রমণে দারুণ অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন। যাত্রী সেবায় ন্যূনতম ছাড়া দেওয়া হবে না।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান। এ ছাড়া বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৯ বছর পর বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে ঢাকা-রোম-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আবার ফ্লাইট চালু করেছে। উদ্বোধনী ফ্লাইটটি রোমে পৌছানোর পর ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে এসে যাত্রীদের স্বাগত জানান।  বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে রোম রুটের ফ্লাইট। রোম থেকে ঢাকা রুটে প্রথম ফ্লাইটে ১১ টি বিজনেস ক্লাস এবং ২৪৩ টি ইকোনোমিক ক্লাসে যাত্রীসহ পূর্ণ হয় বিমানটি।
২৮ মার্চ, ২০২৪

৯ বছর পর ঢাকা থেকে রোম যাচ্ছে বিমানের ফ্লাইট
দীর্ঘ নয় বছর বিরতির পর আবারও ইতালির রোমে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।  সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ২৬ মার্চ থেকে ঢাকা–রোম সরাসরি ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ঢাকা–রোম রুটের সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। প্রাথমিক অবস্থায় এ রুটে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান।  তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এই রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে ঢাকা থেকে ৯ ঘণ্টায় রোমে পৌঁছাবে ফ্লাইটটি।  জানা গেছে, সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ইতালিতে নিয়মিতভাবে বসবাস করছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৬৯২ জন বাংলাদেশি। যাদের অনেকেই বছরে একাধিকবার বাংলাদেশে আসা–যাওয়া করেন। তবে ঢাকা–ইতালি রুটে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় ট্রানজিটের মাধ্যমে এত বিপুল বাংলাদেশি যাত্রী পরিবহন করে আসছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইনসগুলো।  উল্লেখ্য, অব্যাহত লোকসানের কারণেই ২০১৫ সালের এপ্রিলে রোম রুটের সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। চালু থাকা অবস্থায় বহরে থাকা বোয়িং–৭৭৭ ইআর উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইটটি পরিচালিত হতো। আসন সক্ষমতার তুলনায় গড়ে ৪০ শতাংশের বেশি যাত্রী না মেলায় সে সময় প্রতি ফ্লাইটে বিমান লোকসান দিত প্রায় এক কোটি টাকা।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিভিন্ন রুটে বাড়ছে বিমানের ফ্লাইট
চাহিদার কারণে কয়েকটি রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ। এয়ারলাইন্সটির জনসংযোগ বিভাগ জানায়, ২৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বিজি২৩৫ সিলেট-জেদ্দা রুটে যাত্রা করবে। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি বুধবার বিজি২৩৬ জেদ্দা-সিলেট, ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বুধবার বিজি২৩৭ সিলেট-মদিনা রুটে যাতায়াত করবে। প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, ৯ জানুয়ারি থেকে প্রতি মঙ্গলবার বিজি১৩৮ মদিনা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রা করবে। ১১ ডিসেম্বর থেকে প্রতি সোমবার একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট বিজি১৪৮ দুবাই-চট্টগ্রাম, ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বুধবার বিজি২২৭ সিলেট-আবুধাবি, ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি রোববার বিজি১২৭ চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে চলাচল করবে। আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি রোববার একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট বিজি১২৫ চট্টগ্রাম-দোহা রুটে যাবে।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিভিন্ন রুটে বাড়ছে বিমানের ফ্লাইট
চাহিদার কারণে কয়েকটি রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ। এয়ারলাইন্সটির জনসংযোগ বিভাগ জানায়, ২৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বিজি২৩৫ সিলেট-জেদ্দা রুটে যাত্রা করবে। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি বুধবার বিজি২৩৬ জেদ্দা-সিলেট, ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বুধবার বিজি২৩৭ সিলেট-মদিনা রুটে যাতায়াত করবে। প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, ৯ জানুয়ারি থেকে প্রতি মঙ্গলবার বিজি১৩৮ মদিনা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রা করবে। ১১ ডিসেম্বর থেকে প্রতি সোমবার একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট বিজি১৪৮ দুবাই-চট্টগ্রাম, ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বুধবার বিজি২২৭ সিলেট-আবুধাবি, ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি রোববার বিজি১২৭ চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে চলাচল করবে। আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি রোববার একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট বিজি১২৫ চট্টগ্রাম-দোহা রুটে যাবে।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

যাত্রী চাহিদায় বিভিন্ন রুটে বাড়ছে বিমানের ফ্লাইট
যাত্রী চাহিদার কারণে কয়েকটি রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরইমধ্যে এসব রুটের নতুন শিডিউল বিমানের হোস্ট সিস্টেমসহ সব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে উন্মুক্ত করা হয়েছে। যাত্রীরা বিমানের যে কোনো সেলস্ সেন্টার, বিমান কল সেন্টার, বিমানের ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস ও অনুমোদিত ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে এসব রুটের টিকেট কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।  বিমানের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, ২৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বিজি২৩৫ সরাসরি সিলেট-জেদ্দা রুটে যাত্রা করবে। এ ছাড়াও ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি বুধবার বিজি২৩৬ সরাসরি জেদ্দা-সিলেট রুটে যাত্রা করবে। অন্যদিকে ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বুধবার বিজি২৩৭ সরাসরি সিলেট-মদিনা রুটে যাতায়াত করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, অব্যাহত যাত্রী চাহিদা ও ওমরাহ যাত্রী বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লাইটগুলো বাড়ানো হয়েছে।             তিনি জানান, আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে প্রতি মঙ্গলবার বিজি১৩৮ সরাসরি মদিনা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রা করবে। ১১ ডিসেম্বর থেকে প্রতি সোমবার একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট বিজি১৪৮ সরাসরি দুবাই-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বুধবার বিজি২২৭ সরাসরি সিলেট-আবুধাবি রুটে যাত্রা করবে এবং ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি রবিবার বিজি১২৭ সরাসরি চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে চলাচল করবে। এ ছাড়াও আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি রোববার একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট বিজি১২৫ সরাসরি চট্টগ্রাম-দোহা রুটে যাত্রা করবে।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

গুয়াংজু রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চীনের গুয়াংজু রুটে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ২০ মিনিটে ১৪৬ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের ফ্লাইট বিজি৩৬৬ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের গুয়াংজুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি গুয়াংজু পৌঁছাবে ১৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় ভোর ৪টায়।  উদ্বোধনী ফ্লাইট উপলক্ষ্যে বিমানের পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ (যুগ্মসচিব) জনাব মো. ছিদ্দিকুর রহমান এবং পরিচালক বিপণন ও বিক্রয় (যুগ্মসচিব) জনাব মো. কামরুল হাসান খান এনডিসিসহ বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে সম্মানিত যাত্রীদেরকে স্বাগত জানান এবং শুভেচ্ছা উপহার দেন। ঢাকা থেকে সপ্তাহে প্রতি রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে গুয়াংজুর উদ্দেশ্যে বিমানের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। প্রতি সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার বিজি৩৬৭ স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টায় গুয়াংজু থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ঢাকায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। ১৬২ আসন বিশিষ্ট বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ দিয়ে গুয়াংজু ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।   বিশেষ অফারে ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com ও মোবাইল অ্যাপস থেকে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রমোকোড HAPPYCAN23 ব্যবহার করলে মূল ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। অফারকালীন সময়ে ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ইকোনমি ক্লাসের একমূখি সর্বনিম্ন ভাড়া জনপ্রতি সর্বমোট ২৭ হাজার ৫১০ টাকা থেকে শুরু যা ডিসকাউন্টে ২৫ হাজার ১০৩ টাকা এবং গুয়াংজু-ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসে একমূখি সর্বনিম্ন ভাড়া জনপ্রতি ১৬ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে শুরু যা ডিসকাউন্টে মাত্র ১৪ হাজার ১১১ টাকা।   সম্মানিত যাত্রীগণ বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com, মোবাইল অ্যাপস, বিমানের যেকোনো সেলস সেন্টার, বিমান কল সেন্টার ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ এবং বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে এ রুটের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।  গত ১৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ থেকে বিমানের গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট বন্ধ ছিল।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রিগোজিনের বিধ্বস্ত বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার
রাশিয়ার মস্কোয় বিমান দুর্ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ আগেই উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা। বর্তমানে এ ঘটনায় আণবিক-জেনেটিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে বলেও জানান তারা। গত বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে মস্কোর টিভের অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে ১০ আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনও রয়েছেন বলে জানিয়েছে রুশ সরকারি বার্তা সংস্থা তাস। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। এমনকি ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী। তবে রুশ সামরিক নেতাদের প্রতি অসন্তোষ থেকে গত ২৩ জুন বিদ্রোহের ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। যদিও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন তিনি। এ বিদ্রোহের পর পুতিনের চক্ষুশূলে পরিণত হন প্রিগোজিন। জল্পনা রয়েছে, বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বুধবার মস্কোর কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ক্রেমলিনের নির্দেশেই এমনটা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ক্রেমলিনের নির্দেশে প্রিগোজিনকে হত্যার দাবি ডাহা মিথ্যা। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেন, এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে অনেক জল্পনা চলছে। পশ্চিম থেকে এসব জল্পনা একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে আসছে। এসব ডাহা মিথ্যা। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে অনেক তথ্য-প্রমাণ নেই। তদন্তের মাধ্যমে এসব বিষয়ে স্পষ্ট করা দরকার।  
২৬ আগস্ট, ২০২৩

স্বর্ণ পাচারের সময় জেদ্দায় আটক বিমানের ফ্লাইট স্টুয়ার্ড
সৌদি আরব থেকে পাচার করা স্বর্ণ নিয়ে ঢাকায় ফেরার সময় জেদ্দায় কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট স্টুয়ার্ড জিয়াউল হাসান। গত রোববার সাত পিস স্বর্ণের বারসহ বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করেন। গত মঙ্গলবার তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ফ্লাইট স্টুয়ার্ডরা উড়োজাহাজে যাত্রী সেবায় নিয়োজিত থাকেন। বিমান বাংলাদেশ সূত্র জানায়, সৌদি কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার দুপুরের ফ্লাইটে জিয়াউলকে দেশে ফেরত পাঠায়। ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। ওই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মাছুদুল হাছান ওই মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, ফ্লাইট স্টুয়ার্ড জিয়াউল হাসান গত ২ জুন বিজি-১৩৫ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা করেন। ৪ জুন তার ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আসার কথা ছিল। তবে জেদ্দায় বিমানের ম্যানেজার (অপারেশন্স) মেইলে জানান, ওইদিন বাংলাদেশ সময় রাতে কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে কাস্টমস নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে সাত পিস অবৈধ স্বর্ণের বারসহ আটক করেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, জিয়াউল হাসান ৯ বছর ধরে বিমানে ফ্লাইট স্টুয়ার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় আটক হওয়ার পর তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিমানবন্দর থানার ওসি আজিজুল হক মিঞা কালবেলাকে বলেন, আসামিকে আদালতে হাজির করে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের কথা স্বীকার করেছেন। কত দিন ধরে এই অপকর্ম করছিলেন, তার সঙ্গে অন্য কেউ রয়েছে কি না, জিজ্ঞাসাবাদে তা জানার চেষ্টা চলছে।
০৮ জুন, ২০২৩
X