জ্যোতিদের দেওয়া ১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে ভারত
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভালো শুরু এনে দিয়েছিল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ আসেনি। মুর্শিদা খাতুনের দৃঢ়তায় অবশ্য লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বাঘিনীদের দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে ভারতের নারীরা। সিলেটে বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথমেই চার দিয়ে শুরু করা ওপেনার দিলারা আক্তার ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ৬ বলে ১০ রানে থামে তার ইনিংস। দিলারার পর তিনে নেমে সোবহানা মোস্তারিও হাত খুলে খেলতে থাকেন। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ১৫ বলে ১৯ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এরপর নামেন গত ম্যাচে ফিফটি করা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে আজ পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন তিনি। মাত্র ৬ করে ফিরতে হয় তাকেও। জ্যোতির বিদায়ের পর বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে। ৫ রানের ব্যবধানে তিন উকেট খুঁইয়ে বসে তারা। এরপর বাংলাদেশকে সামিয়িক স্বস্তি দিতে নামে বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকার পর ম্যাচের দৈর্ঘ্য না কমে আবার শুরু হয় খেলা।   নতুন করে খেলা শুরু হলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ভাগ্যে পরিবর্তন আসে নি। এক প্রান্তে ওপেনার মুর্শিদা খুঁটি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেক প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল লেগেই ছিল। মুর্শিদার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৬ রান। ভারতের পক্ষে রাধা যাদব সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বজয়ী অধিনায়কের সংগ্রহে ‘১০০০’ ব্যাট
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তার অধীনের দু’বার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। ২০১২ সালে শেষ হয় ডানহাতি এ ব্যাটারের বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে এখনো তার সঙ্গে রয়েছে হাজারখানেক ক্রিকেট ব্যাট। এর মধ্যে রয়েছে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির ব্যাটও। সংগ্রহে থাকা প্রতিটির ব্যাটের বিশেষত্ব রয়েছে। প্রতিপক্ষের নামের পাশাপাশি ম্যাচে করা তার রানের সংখ্যাও লেখা রয়েছে প্রতিটি ব্যাটে। বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। দলটির এক সাক্ষাৎকারে ব্যাট সংগ্রহের বিষয়টি জানান অজি কিংবদন্তি। পরে একই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন দিল্লির পরিচালক ও ভারতের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির সংগ্রহে রয়েছে ১৩ বছর বয়সের একটি ব্যাট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পন্টিংয়ের সেঞ্চুরি ৭১টি। এর মধ্যে টেস্টে রয়েছে ৪১টি। এ বিষয়ে অজি কিংবদন্তি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’ ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালের অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার। সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’ একপর্যায়ে নিজের সংগ্রহশালা নিয়ে কথা বলেন গাঙ্গুলি। তিনি জানান, ‘আমার যতটুকু স্মরণে আসে, প্রথম যখন ১৩ বছর বয়সে খেলেছি, সেই ব্যাটটি আছে আমার কাছে। কারণ সেই ব্যাট দিয়ে প্রথম বল উড়িয়ে মেরেছিলাম, যা নিয়ে আমি অনেক খুশি।’ একই সঙ্গে ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে স্মৃতিকথা জানান দিল্লির ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। সে সময় অজি ওপেনার বলেন, ‘আমার জন্মদিনে প্রথমবারের মতো আমার আঙ্কেল একটি ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন। সেটি কখনোই আমি নিজের কাছে রাখতে ভুলি না, এমনকি সেটি আমার বিছানার পাশেই থাকে।’
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যাট কেনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ রাখবেন
বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা খেলাগুলোর মধ্যে ক্রিকেট একটি। জনপ্রিয় এই ক্রিকেট খেলার পথচলা শুরু হয় ইংল্যান্ডের হাত ধরে অষ্টাদশ শতাব্দীতে। যা কিনা উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে পুরো বিশ্বেই পরিচিতি লাভ করে। ১৮৪৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা শুরু হলেও ইতিহাস স্বীকৃত প্রথম টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ খেলা শুরু হয় ১৮৭৭ সালে। তখন থেকেই ব্যাটাররা ক্রিকেট পাড়ায় রাজত্ব করতে এবং বোলারদেরকে শাসন করতে ব্যাটের সহায়তা নিয়ে থাকেন।  ক্রিকেটের লিজেন্ড খ্যাত স্যার ডন ব্র্যাডম্যান থেকে শুরু করে সচিন টেন্ডুলকার, মোহাম্মাদ আশরাফুল, আধুনিক ক্রিকেটের বিরাট কোহলি, বাবার আজম সকলেই নামিদামি ব্র্যান্ডের ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে খেলে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন। ক্রিকেট খেলায় একজন ব্যাটার ব্যাট হাতে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা কেবল বিপক্ষ দলের বোলাররাই ভালো জানে। তাছাড়া ক্রিকেট পাড়ায় ক্রিকেট ব্যাট সম্পর্কে করা প্রিন্স ফিলিপ্সের করা উদ্ধৃতি খুবই সমৃদ্ধ। যেখানে  তিনি বলেন- “এ গান ইজ নো মোর ডেঞ্জারাস দ্যান এ ক্রিকেট ব্যাট ইন দ্যা হ্যান্ড অব এ ম্যাডম্যান” - প্রিন্স ফিলিপ্স।  পাড়ার ক্রিকেট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সব জায়গাতেই ব্যবহার হয়ে থাকা এই ক্রিকেট ব্যাট ক্রিকেট খেলার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আপনি নিজেও ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ক্রিকেট খেলার এই অবিচ্ছেদ্য অংশ ক্রিকেট ব্যাট ব্যবহার করেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন একটি আদর্শ ব্যাট কয়টি মৌলিক অংশ নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে? কিংবা ব্যাট কেনার ক্ষেত্রে ব্যাটের কোন কোন অংশগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে?  একজন ক্রিকেট প্লেয়ার হিসেবে এই বিষয়গুলো জানা আপনার জন্য অবশ্যই দরকার। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক –  একটি আদর্শ ব্যাটে সাধারণত ৩টি সাইড থাকে। যথাক্রমে ফ্রন্ট সাইড, প্রোফাইল এবং ব্যাক সাইড। ব্যাটের এই ৩টি অংশকে আবার ২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন, হ্যান্ডেল এবং ব্লেড।  ব্যাটের সামনের পুরো অংশটুকু কে বলা হয় ফ্রন্ট সাইড। ফ্রন্ট সাইডে যথাক্রমে রয়েছে (ফেস ও সুইট স্পট)। এবং ব্যাটের পেছনের পুরো অংশটুকুকে বলা হয় ব্যাক সাইড। ব্যাক সাইডে যথাক্রমে রয়েছে (স্পাইন, সপ্লাইস ও সওয়েল)। ব্যাটের মাঝামাঝি ২ পাশের পুরো অংশটুকু কে বলা হয় প্রোফাইল। প্রোফাইলে যথাক্রমে রয়েছে (শোল্ডার, এডজ ও টো)। এছাড়াও ব্যাটে আরো কিছু অংশ রয়েছে যেমন – গ্রিপ, বোউ ও গ্র্যান্স।  ক্রিকেট ব্যাটের এই অংশগুলোই একটি সাধারন ব্যাটকেও অসাধারন করে তুলে। যে ব্যাটের মৌলিক এই অংশগুলো যত ভালো হয়ে থাকে সে ব্যাট তত বেশি দামি হয়ে থাকে এমনকি ক্রিকেট পাড়ায় তার চাহিদাও থাকে অনেক বেশি। তাই ব্যাট কেনার ক্ষেত্রে উল্লিখিত অংশগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখলেই আপনি একটি আদর্শ ব্যাট কিনতে পারবেন। ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলাম শিবলু: ক্রিকেটার, ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড 
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

গতির ঝড় তোলা রানার ব্যাট হাতে বিশ্বরেকর্ড
গতিময় বোলিংয়ে নজর কেড়েছেন নাহিদ রানা। সিলেট টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক। প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে বাংলাদেশের ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার এখন আলোচনায়। তবে ব্যাট হাতে স্নায়ুর চাপে পিষ্ট হয়ে গড়েছেন এক বিশ্বরেকর্ড। সিলেট টেস্টে রান পাননি দুই ইনিংসেই। খেলেন ৮টি করে বল। কিন্তু খোলা হয়নি রানে খাতা। এ নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা ১৮ ইনিংসে রানের দেখা পাননি রানা। যদিও গত বছরের নভেম্বরে ৩৪ বছরের পুরোনো এ রেকর্ডটি নিজের দখলে নেন তিনি। টানা ১৩ ইনিংসে রান না করে, মার্ক রবিনসনের রেকর্ড ভেঙেছিলেন তিনি। এর আগে ১৯৯০ সালে টানা ১২ ইনিংসে রান করতে পারেননি ২২৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা সাবেক এই ইংলিশ পেসার। ২০২১-২২ মৌসুমে জাতীয় লিগে রাজশাহী বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের অভিষেক হয় রানার। এরপর থেকে ১৬টি ম্যাচে ২২ ইংনিসে ব্যাট করতে নামেন রানা। এর মধ্যে মাত্র তিন ইনিংসে পেয়েছেন রানের দেখা। সব মিলিয়ে তার রান ১১। পরের মৌসুমে রাজশাহীর প্রথম ম্যাচে একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। পরের ম্যাচেও এক ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পান। সেবার করেন ৪ রান। আর ওটাই শেষ। এরপর থেকে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল), বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) আর জাতীয় দল মিলিয়ে টানা ১৮ ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি ২১ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার। টানা ১৮ ইনিংসে রান না পেলেও পরপর দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড নেই তার। এর মধ্যে ৬ বার অপরাজিত থাকা রানা, টানা সর্বোচ্চ ৫ ইনিংসে আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। তবে নিজের মূল কাজ বোলিংটা বেশ ভালোভাবে করে যাচ্ছেন নাহিদ রানা। ১৬ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৩.৪৭ গড়ে ৬৮ উইকেট শিকার, তারই প্রমাণ।
২৬ মার্চ, ২০২৪

জন্মদিনে ব্যাট বলে সেরা সাকিব
বোলিংয়ে ১ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ৩৪ রান করেন সাকিব আল হাসান। নিজের জন্মদিনে বল ও ব্যাট হাতে পারফর্ম করেছেন তিনি। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্সের দিনে সহজ জয় পেয়েছে তার দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবও। অন্য ম্যাচে তামিম ইকবাল ফিফটি করলেও তার দল হেরেছে ৬ উইকেটে। এ ছাড়াও সহজ জয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। বিকেএসপির ৩নং মাঠে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২২৮ রান তোলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। জবাবে ৩৩ বল বাকি রেখেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে শেখ জামাল। ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচসেরা হন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। বিকেএসপির ৪নং মাঠে ২১৭ রান করেও জিতেছে আবাহনী। আফিফ হোসেন ধ্রুবের ৬৭ ও মোহাম্মদ নাঈমের ৫৪ রানের ইনিংসে চড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা। রান তাড়ায় খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সিটি ক্লাব। ৭৪ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় তারা। শেষ দিকে মইনুল ইসলাম ও ইফরান হোসেনের জুটিতে ব্যবধান কমায়। ৫২ রানে জিতে শীর্ষস্থান মজবুত করল আবাহনী। ফতুল্লায় আগে ব্যাটিং করে স্কোর বোর্ডে ১৮১ রান যোগ করে প্রাইম ব্যাংক। ৮৮ বলে ৫৪ রান করেছিলেন দলটির অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে লড়াইয়ের জন্য পুঁজিটা যথেষ্ট ছিল না। রান তাড়ায় ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
২৫ মার্চ, ২০২৪

কৌশলে তামিমের ব্যাট নিলেন সাইফুদ্দিন
বিপিএলে ফরচুন বরিশালের ম্যাচ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে যাওয়া ক্রিকেটার নির্ধারণ করছেন তামিম ইকবাল। পরবর্তী ম্যাচের পূর্বে সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পাঠান দলটির অধিনায়ক। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কৌশলে তামিমের কাছ থেকে একটি ব্যাট চেয়ে বসেন বরিশাল অলরাউন্ডার। সতীর্থকেও নিরাশ করেননি বাঁহাতি ওপেনার।  সাইফুদ্দিন বলেন, ‘ভাই (তামিম ইকবাল) বলল প্রেস কনফারেন্সে যা। আমি বললাম ভাই ব্যাট দিলে যাব, না হলে যাব না। কিছুটা ভাবনা চিন্তা করে পরে বলল, নে ধর।’ নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেছেন সাইফুদ্দিন। যেখানে ক্যাপশন দিয়ে ফেনী এক্সপ্রেস লিখেছেন, তামিম ইকবালের কাছ থেকে ব্যাট নিচ্ছেন সাইফুদ্দিন।  চোটের কারণে চলতি বিপিএলের শুরু থেকে খেলতে পারেননি সাইফুদ্দিন। তবে প্রত্যাবর্তন রাঙিয়েছেন মনে রাখার মতো। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৮ বলে ৩০ রানের সঙ্গে বল হাতে নেন ১ উইকেট। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পেলেও ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ঢাকার বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে ৬ বলে ২৩ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন এই পেস অলরাউন্ডার। তামিম ইকবালের নিজের ব্যাট অন্য ক্রিকেটারকে দিয়ে দেওয়া এটাই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি এই কাজটা করেছেন বহুবার। কিছুদিন আগেই সাউথ-আফ্রিকাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যুবা টাইগার রাব্বি-শরিফুলরা বড় ভাই তামিমের মাধ্যমে কিনতে চান ভালো মানের ব্যাট। এ নিয়ে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করে সবাইকে ভালো ব্যাট পেতে সাহায্য করেন তামিম ইকবাল খান। জুনিয়র টাইগাররা দেশ ছাড়ার আগে অনুশীলন করার সময় ব্যাটের বহর নিয়ে হাজির হন বড় ভাই তামিম ইকবাল। ব্যাট দেখে বেজায় খুশি শিবলী-রাব্বিরা বড় ভাইয়ের সামনেই করেছিলেন শ্যাডো।  জাতীয় দল সতীর্থ সাকিব আল হাসান তামিম সম্পর্কে একটা কথা বলেছিলেন। তামিমের কাছে কিছু চেয়ে কেউ কখনো পায় নি এমনটা হয়নি। যুবারা বাঁহাতি ওপেনারের কাছে চারটা ব্যাট চাইলেও পনেরোটা ব্যাটের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। 
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গিফট নয়, ব্যাট দিয়েছে বিসিবি
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা বদলে দিয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বিদের ভাগ্য। বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বিসিবি কিংবা স্পন্সর মাধ্যম থেকে পেয়েছেন ৬টির বেশি ব্যাট। এর মধ্যে দুটি করে দিয়েছে বোর্ড ও চারটি করে দিয়েছে ইমরুল কায়েস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ আফতাব শাহীনে তৈরি দেশীয় ব্যাট তৈরি প্রতিষ্ঠান ‘এমকেএস’। এশিয়া কাপের আগ থেকেই ব্যাটের জন্য যুবাদের অনেকের তড়িঘড়ি শুরু হয়েছিল। নির্বাচক হান্নান সরকারের মাধ্যমে ব্যাট কিনতে জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবালকেও জানান তারা। শুরুতে কয়েকজনকে ব্যাট এনে দেওয়ার কথা ভাবলেও পরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে আলাপ করা সবার জন্য ব্যাটের ব্যবস্থা করেছিলেন তামিম। তবে ব্যাটগুলো যুবাদের কাছে পৌঁছার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। শোনা গেছে, যুবাদের এক লাখ টাকা দামের মোট ১৫টি ব্যাট উপহার দেন তামিম। যদিও এ ধরনের কোনো কথা কোথাও বলতে দেখা যায়নি জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে। তবে বিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, উপহার নয়, বিসিবির অর্থায়ানে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ‘সিএ’ কোম্পানি থেকে ব্যাট এনে দিয়েছেন তামিম। জানা গেছে, শুরুতে ক্রিকেটারদের ‘এসএফ’ কোম্পানির একটি করে ব্যাট দিয়েছিল বিসিবি। পরে তামিমের ব্যবস্থাপনায় ১৫টি ব্যাট কিনতে খরচ হয়েছে আরও ৮ হাজার ১৫০ ডলার। প্রতিটি ব্যাটের মূল্য ছিল ৫০০ ডলার বা (প্রায় ৫৭ হাজার টাকা)। এ ছাড়াও ব্যাটগুলো আনতে সরকারকে রাজস্ব দিতে হয়েছে ৬৫০ ডলার। তবে বিসিবির দুটির পর দলের আরও আট ব্যাটারকে ৪টি করে ব্যাট দিয়েছে ইমরুল-মিরাজদের প্রতিষ্ঠান এমকেএস। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এক বছরের চুক্তিতে ব্যাট-প্যাড পেয়েছেন আশিকুর রহমান শিবলি, শিহাব জেমসরা।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট করার সম্ভাবনা নেই হার্দিকের! 
চোট-আঘাত যেন এই বিশ্বকাপে দলগুলোর পিছুই ছাড়ছে না। এবার চোটের তালিকায় নতুন সংযোজন ভারতীয় দলের হার্দিক পান্ডিয়া। তখন মাত্রই ৯ ওভারে পা রেখেছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। ভালো শুরু করা বাংলাদেশের ওপেনারদের চাপে রাখতে হার্দিককে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারের মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ তৃতীয় বলের সময়ই বিপদে পড়েন ভারতীয় এই অলরাউন্ডার। লিটন দাসের স্ট্রেট ড্রাইভ আটকাতে গিয়ে ফলো থ্রুর উল্টো দিকে বডি ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলেন তিনি। শেষমেশ বলটাও ঠেকাতে পারেননি কিন্তু পা স্লিপ করে পড়ে যান তিনি। বাঁ পায়ে চোট পান তিনি। হার্দিককে দেখে বোঝাই গিয়েছিল, তার চোটটা বেশি। যন্ত্রণা ফুটে উঠেছিল তার চোখে-মুখে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে ঢোকেন ভারতীয় দলের ফিজিও। তিনি চিকিৎসা করার পাশাপাশি বাঁ পায়ে টেপও লাগিয়ে দেন। হার্দিক উঠে দাঁড়ানও। কিন্তু তিনি আর বল করতে পারেননি। পুরো সময়ই তাকে হতাশ দেখাচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে চলে আসেন ভারতীয় দলের ফিজিও। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হার্দিক বল হাতে ওভার শেষ করার চেষ্টা করলেও, পারলেন না। তাঁর হয়ে বাকি তিন বল করেন বিরাট কোহলি। হার্দিক ফিজিয়োদের কাঁধে ভর দিয়ে, খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন। এই ম্যাচে আর তার বল করার আর কোনও সম্ভবনা নেই। একই সাথে তিনি ব্যাটিং করতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েও আছে বড় সন্দেহ।  হার্দিক পান্ডিয়ার এরকম দৃশ্য দেখার পর স্বস্তি ছড়িয়েছে ভিরাট কোহলির বোলিং, পুনেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের ম্যাচে চোট পাওয়া হার্দিকের অসমাপ্ত ওভার সম্পূর্ণ করতে এগিয়ে এলেন বিরাট কোহলি। ছয় বছর পর প্রথম বারের মতো ওডিআই-এ বল করলেন কোহলি। শেষ বার কলম্বোতে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বল করেছিলেন বিরাট। রোহিত শর্মা এশিয়া কাপ চলাকালীনই দাবি করেছিলেন, প্রয়োজনে বিরাট কোহলি বা তিনি নিজেই বোলিং করতে পারেন। সেই কথাটি যে রোহিত এমনি বলেননি, সেটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রমাণও হয়ে গেল। বিরাট কোহলির হাতে বৃহস্পতিবার বল তুলে দিলেন রোহিত। বিরাট কোহলি অতীতে বোলিং করেছেন এবং তাঁর নামের পাশে এই ম্যাচের আগে রয়েছে চার উইকেটও।
১৯ অক্টোবর, ২০২৩
X