ভাইকে বিদেশে পাঠিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বড় ভাইয়ের
ছোট ভাই আকাশ যাচ্ছেন মালয়েশিয়ায়। তাকে এগিয়ে দিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলেন বড় ভাই ফিরোজ হোসেন ও মোহাম্মদ হোসেন। ছোট ভাইকে বিদেশে পাঠিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। কিন্তু বাড়ি ফেরা হলো না বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেনের। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ হোসেনসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ হোসেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসন্তপুর এলাকায় রিলাক্স পরিবহন নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় পাঁচজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে চারজনের অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত অন্য চারজন হলেন- নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার শাহাপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন পলাশ ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী চট্টগ্রামের বাশখালীর বাহারছড়া গ্রামের বদরুল হাসান রিয়াদ। অপর দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ফিরোজ, একই এলাকার মোক্তার হোসেন, ফজলুর রহমান, আরাফাত, আজান, নাাবিল হোসেন, কামরুন নাহার, স্বপন শিকদার, রফিকুল ইসলাম, আরজ হেসেন। নিহত মোহাম্মদ হোসেনের বড় ভাই ফিরোজ হোসেন বলেন, ছয় ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন তৃতীয়। আমাদের সবার ছোট ভাই আকাশের মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ছিল রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ভাইকে বিমানবন্দরে এগিয়ে দিয়ে আসার জন্য আমি ও আরেক ভাই মোহাম্মদ হোসেন সঙ্গে যাই। ভাইয়ের বিমান ছাড়ার পরে রাত ২টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাড়িতে ফেরার জন্য দুই ভাই মিলে রিলাক্স পরিবহন বাসে রওনা করি। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় পৌঁছালে ভোরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় আমার ভাই হোসেনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আমার ভাই আর বাড়িতে ফিরতে পারল না।  স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস উপজেলার বসন্তপুর নামক এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। বাসের ভেতরে যাত্রীরা আটকে পড়ে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপর দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নর্থ সাউথ ইউনিভাসিটির শিক্ষার্থী রাঙ্গামাটির বাসিন্দা আরজ হোসেন সুমন বলেন, রাত সাড়ে ১২টায় বাসটি ছাড়ার কথা থাকলেও ২৮ জন যাত্রী নিয়ে রাত ২টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে রওনা করে। শুক্রবার ফজরের নামাজের আগে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় একটি হোটেলে যাত্রাবিরতি করে বাসটি। যাত্রাবিরতির আগে গাড়িটির বেপরোয়া গতি ছিল। বিরতি শেষে গাড়িটি আবারও বেপরোয়া গতিতে চলে। এ কারণে চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। এ সময় বাসের অধিকাংশ যাত্রী ঘুমে ছিল। বেপরোয়া গতির কারণেই বাসটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। অপর বাসযাত্রী চট্টগ্রামের আজান হোসেন বলেন, গাড়িটি উল্টে যাওয়ার পর আমিসহ আরও কয়েকজন মিলে গাড়িটির সামনের গ্লাস ভেঙে আহতদের উদ্ধারে চেষ্টা করি। আহতদের কয়েকজনকে টেনে বের করি। অপরদিকে নিহত অপরযাত্রী নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার শাহাপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন পলাশের ভগ্নিপতি আফতাব উদ্দিন তুহিন বলেন, নাসির উদ্দিন পাইপ ফিটিংসের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাসযোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। হাইওয়ে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি তিনি চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গোলাম কিবরিযা টিপু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের বাসটি সকালে উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে  খাদে পড়ে যায়। এ সময় পাঁচ যাত্রী নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সাব ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তা গাড়ির ভেতর থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করি। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
১৭ মে, ২০২৪

মারা গেলেন খাদ্যমন্ত্রীর বড় ভাই
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।  কর্মজীবনে ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি নিয়ামতপুর উপজেলার কাপাস্টিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। শুক্রবার (১০ মে) সকালে শিবপুর শ্মশান ঘাটে তার সৎকার অনুষ্ঠিত হবে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এদিকে ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।  এক শোকবার্তায় খাদ্যমন্ত্রী ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
০৯ মে, ২০২৪

ছোট ভাইকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল বড় ভাই
দিনাজপুর সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ছোট ভাই রাসেল রেজা বাবুকে হত্যা করেছে বড় ভাই মাসুদ রানা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে মারা যান তিনি।  ছোট ভাই নিহত রাসেল রেজা বাবু ও বড় ভাই মো. মাসুদ রানা শহরের বালুযাডাঙ্গা মহল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাসান আলীর ছেলে। এর আগে সকালে শহরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাসেল রেজা বাবুর সঙ্গে তার আপন বড় ভাই মো. মাসুদ রানার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বুধবার সকালে জমি নিয়ে পুনরায় বিরোধ শুরু হয়। একপর্যায়ে মাসুদ রানা, স্ত্রী রিমা বেগম, ছেলে ফারহান আলী কুড়াল দিয়ে রাসেল রেজাকে মাথায় ও পায়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।  তিনি বলেন, তাকে উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে মারা যান তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আসামিরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
কুমিল্লার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদের বাড়িতে (আনিছা বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ মিয়া (৩৫) ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হানিফ। অভিযুক্ত হত্যাকারী আনিছ মিয়া নিহতের আপন ছোট ভাই। প্রত্যক্ষদর্শী হিমেল জানান, তারা দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশের একটি অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর গোবর ফেলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই স্থানে গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। চরম উত্তেজনার মধ্যে মেঝ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে কাঠ দিয়ে মারধর করে।  এ সময় হানিফের বাঁ চোখ দিয়ে কাঠ ঢুকে মাথায় লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ ও মস্তিস্কে আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চান্দিনা থানার এসআই মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপর হত্যাকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।   
২৭ মার্চ, ২০২৪

কোদালের কোপে বড় ভাই নিহত
লালমনিরহাটে ছোট ভাইয়ের কোদালের কোপে আহত বড় ভাই মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বড় ভাই মিজানুর রহমানকে (৬৫) ছোট ভাই রবিউল ইসলাম (৪৫) কোদাল দিয়ে আঘাত করেন। নিহত মিজানুর উপজেলার বসিনটারি এলাকার খাইরুল ইসলাম দপ্তরির বড় ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, জমি ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিজানুর ও রবিউলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে মিজানুর ছোট ভাই রবিউল ইসলামের জমি দিয়ে নিজের ফসলি ক্ষেতে সেচের পানি নেওয়ার জন্য নালা তৈরি করছিলেন। এ সময় ছোট ভাই রবিউল নালা তৈরিতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ছোট ভাই রবিউল বড় ভাই মিজানুরকে কোদাল দিয়ে কোপ দেন। এতে মিজানুর রহমান গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিনই দুপুর ১২টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান। আদিতমারি থানার ওসি মাহমুদ উন নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে  থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় ভাই নিহত
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঘটনার পরই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ লুধুয়া গ্রামের আউলিয়া প্রধান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আউলিয়া প্রধান বাড়ির আলমগীর হোসেন (৬০) ও শুক্কুর হোসেন (৪৫) সম্পর্কে আপন ভাই। বাড়ির প্রাঙ্গণে মেহগনি প্রজাতির গাছ কাটার সময় দুই ভাই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ছোট ভাই শুক্কুর হোসেন প্রধান গাছের ডাল দিয়ে বড় ভাই আলমগীর হোসেন প্রধানকে মাথায় আঘাত করলে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা আলমগীর হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কৌশিক হাওলাদার মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মেয়ে খালেদা বেগম জানান, আমার বাবা ঢাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করেন। এলাকায় ওয়াজে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসেছিলেন। সকালে আমার চাচা বাড়িতে গাছ কাটছিলেন। তখন বাবা গাছ কাটায় বাধা দিলে একপর্যায়ে চাচা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আমার বাবা মাটিতে পড়ে যান। মতলব উত্তর থানার ওসি সানোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ আলমগীর হোসেনের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে থানায় নিয়ে আসে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু, বড় ভাই আশঙ্কাজনক
পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সংঘর্ষে আসিফ নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বড় ভাই আকিব গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের বাক্স ব্রিজ সংলগ্ন কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আসিফ ও আকিব চুয়াডাঙ্গা উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের কবিখালি খালপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। নিহত আসিফ এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) আসিফ ও আকিব চুয়াডাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলযোগে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের বল্লভপুর মাঠপাড়া এলাকায় তাদের ভাগ্নের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। শুক্রবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে বাক্স ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের একটি চেকপোস্টে তাদের থামতে বলা হয়। কিন্তু তাদের মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।  এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক আসিফ ও তার ভাই আকিব গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল  হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আকিব গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, হালসা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট ছিল। ভয়ে পালানোর সময় বাক্স ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আসিফ মারা যান। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

ছোট ভাই হত্যা মামলায় বড় ভাই গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় লাঠির আঘাতে ছোট ভাইকে হত্যার মামলায় মজনু মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ র‍্যাব-১২ এ তথ্য জানিয়েছে।  বগুড়া জেলা সদরের তিনমাথা মোড়ে এক ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মৃত আব্দুস সাত্তার মজনু মিয়ার ছোট ভাই। তারা উল্লাপাড়া উপজেলার সড়াতৈল গ্রামের আব্দুল মজিদ আকন্দের ছেলে।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়া নিহত আব্দুস সাত্তারের আপন বড় ভাই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে জমি ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত রোববার দুপুরে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে বড় ভাই মজনু ও ছোট ভাই আব্দুস সাত্তার মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে এবং মজনু তার লাঠি দিয়ে আব্দুস সাত্তারের মাথায় আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।  গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়াকে উল্লাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।
০১ নভেম্বর, ২০২৩

টাকার জন্য ছোট ভাইকে কুপিয়ে মারল বড় ভাই
ঢাকার ধামরাইয়ে বড় ভাইয়ের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে ছোট ভাই। মাত্র ৬০ হাজার টাকার জন্য ধারাল অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপোরি কুপিয়ে ছোট ভাই মো. ফারুক হোসেনকে (৪৫) নির্মমভাবে হত্যা করে বড় ভাই মো. উসমান গণি। স্থানীয় লোকজন খুনি বড় ভাই ওসমান আলীকে আটকে রেখে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।   বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম ফারুক হোসেন (৪৮)। তিনি ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান কালার ছেলে। তিনি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। আটক উসমান গণি (৫০) নিহতের আপন বড় ভাই। তারা একই বাড়িতে বসবাস করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান গ্রামের মো. আব্দুর রহমান কালার বড় ছেলে উসমান আলী তার ছোট ছেলে ফারুক হোসেনের কাছে ধারের ৬০ হাজার টাকা পায়। বুধবার সকালের দিকে বড় ভাই উসমান আলী ছোট ভাই ফারুকের কাছে তার দাবিকৃত ৬০ হাজার টাকা ফেরত চায়। ফারুক হোসেন উক্ত টাকা দিতে পারবে না বলে অপারগতা প্রকাশ করলে উসমান ক্ষিপ্ত হয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপোরি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু ঘটে। এ ব্যাপারে ভাড়ারিয়া ইউপি সদস্য মো. আদর আলী বলেন, ফারুক ও উসমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টাকা-পয়সা ও জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। ওরা পাঁচ ভাই কিছু জমি কিনে। সেখান থেকে উসমানের অংশটুকু ফারুকের কাছে বিক্রির জন্য বায়না বাবদ টাকা নেয়। আবার উসমানও ফারুকের কাছে টাকা পায় শুনেছি। মূলত জমি ও টাকা পয়সা নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব। ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩
X