নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে দাবি করে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকারের মন্ত্রীরা শুধু কথা বলছেন, জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারছেন না। নিত্যপণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার কোনো উদ্যোগ নেই।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধসহ ৫ দফা দাবিতে আগামী ৮ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ সফলে রোববার (৩ মার্চ) গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। পুরানা পল্টনের আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এই পথসভা হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, হুড়হুড় করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। জনগণ বাজারে গিয়ে একটা পণ্য কিনলে আরেকটা কিনতে পারে না। জনজীবনে দুর্ভোগ, একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। জনগণ দিশেহারা। আমরা জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করে দাম কমাতে বাধ্য করতে আগামী ৮ মার্চ ঢাকা এবং পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করব।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি আহ্বান আপনারা জনসম্পৃক্ততা ইস্যুতে রাজপথে নামুন। জনমত উপেক্ষা করে সরকার ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করেছে। জনগণ সে নির্বাচনে ভোট দেয়নি। এই সরকারকে ৯৫ ভাগ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশে-বিদেশে কোথাও এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, জনগণের দাবি নিয়ে আমরা রাজপথে নেমেছি। সরকার ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলে ৭০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াচ্ছে। আমাদের দাবি, চালের দাম ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা ও তেলের দাম ১০০ টাকা করতে হবে। সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা সরকার। এই সরকার থাকলে নিত্যপণ্যের দাম কমবে না। তাই জনগণের মুক্তির জন্য রাজপথের আন্দোলনের বিকল্প নেই। আগামী ৮ মার্চের সমাবেশে দেশের জনগণকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
পথসভায় সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন