Wed, 15 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
ব্যাংক ১ টাকা দিয়ে ১০ টাকার জমি নিতে চায় : রাফসান
২ ঘণ্টা আগে
গতিসীমার মধ্যে থেকেও ওভারটেকিংয়ের পথ দেখালেন ডিএমপি কমিশনার
৩ ঘণ্টা আগে
‘এক মণ ধানেও মেলে না এক কেজি মাংস’
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ফুচকা বেস্ট : ডোনাল্ড লু
৪ ঘণ্টা আগে
ডোনাল্ড লু’র সফরে সরকার অস্থিরতায় ভুগছে : রিজভী
৫ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৫ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
মিল্টন সমাদ্দারকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখালেন আদালত
মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখান। আদালতের মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এ বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪
মানবপাচার ও টর্চার সেল ইস্যু উঠে এলো ডিবির ব্রিফিংয়ে
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার, রাতের আঁধারে মরদেহ দাফন ও টর্চার সেলসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বুধবার (১ মে) রাত সাড়ে ৮টার পর ডিবির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবিপ্রধান বলেন, মৃত্যুর জাল সনদ তৈরিসহ তার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে। সব বিষয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। উঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিল্টন সমাদ্দারের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। যেখানে দেখা যায়, অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তুলেছেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে ওই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দেন, করেন সেবা-শুশ্রূষা। জনসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও। তবে ভালো কাজ যতটুকু করেছেন, প্রচার করেছেন তার চেয়েও কয়েক গুণ। মানুষের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রির মতো ভয়ংকর অপকর্মের পাশাপাশি রয়েছে বহু অভিযোগ। অনুসন্ধানে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠে এসেছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মিল্টন সমাদ্দারের দাবি, আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হয় না। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার আশ্রমে চিকিৎসার খরচ বাবদ প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ হয়; যা অস্বাভাবিক। আবার আশ্রমে চিকিৎসা না দেওয়ার দাবি করলেও তিনি ডাক্তারদের জন্য ৬০ লাখ টাকার বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন বলেও অভিযোগ আছে। আশ্রমের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০০ মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে দাবি করেন মিল্টন। এসব মরদেহ রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান ও আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে দাবি তার। তবে কালবেলার অনুসন্ধানে উঠে আসে মিল্টনের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সব মিলিয়ে ৫০টি মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ছাড়া রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ১৫টির মতো মরদেহ দাফনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু আজিমপুর কবরস্থানে ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোনো মরদেহের দাফন হয়নি। তবে মিল্টন সমাদ্দারের দাবি অনুযায়ী ৯০০ মরদেহ দাফন করা হলে বাকি ৮৩৫টি মরদেহ কোথায় দাফন করা হয়েছে, তার কোনো সুদুত্তর পাওয়া যায়নি। এসব মরদেহ আবার বেশিরভাগ সময় রাতে দাফন করা হয়েছে না রহস্যের জন্ম দিয়েছে। তাছাড়া দাফন করা মৃতদেহের পেটে আবার কাঁটাছেঁড়ার দাগ থাকার অভিযোগও রয়েছে। আশ্রমে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের ডেথ সার্টিফিকেট মিল্টন নিজেই তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। ডাক্তারের সীল-সাক্ষর জাল করে এসব করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে। আবার মৃতদেহের শরীরে কাঁটাছেঁড়ার দাগ থাকার বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুললে বিনামূল্যে সেখানে গোসল (মৃতদের) করানো বাদ দেন মিল্টন। পরে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে খরচ করে আশ্রমের মধ্যে মৃতদেহ গোসল করানো হতো বলে জানা গেছে। মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে এক বৃদ্ধকে রেখে আসেন মিরপুরের দারুস সালাম থানার বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি রনি মল্লিক। তবে সেই বৃদ্ধের ভাগ্যে কী ঘটেছিল সেই উত্তর পাননি রনি মল্লিক। রনির অভিযোগ, বৃদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে উল্টো আমাকে নির্যাতন করা হয়। তার ধারণা বৃদ্ধকে হয়তো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
০১ মে, ২০২৪
মানবপাচার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ইতালি নেওয়ার কথা বলে নির্যাতনের ঘটনায় মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার এক ছাত্রলীগ নেতা। গ্রেপ্তার মো. শাকিল হোসাইন সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া মানবপাচার দলের প্রধান অভিযুক্ত মুকুল ঠাকুরের মেয়ে-জামাই তিনি। অন্যদিকে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন শাকিল। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে সালথা থানার মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান। সালথা থানার ওসি বলেন, মুক্তিপণের দাবিতে লিবিয়ায় শাকিল মিয়াকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। ঘটনাটি গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় শাকিল মিয়ার বাবা টিটুল মিয়া বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মানবপাচার দমন আইনে সাত জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ওসি কালবেলাকে আরও বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে এজারনামীয় আসামি শাকিল হোসাইনকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আমাদের অনেক তথ্য দিয়েছে। সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, মো. শাকিল হোসাইন সালথা উপজেরা ছাত্রলীগের আট নম্বর সহসভাপতি। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত দেবে তা আমরা মেনে নেব। এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ঘটনাটি অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক। আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে কোনো নেতাকর্মীর অপরাধ করলে তার দায় সংগঠন নেবে না। তদন্ত করে সত্যতা পেলেই তাকে বহিষ্কার করা হবে। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আছাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, লিবিয়ায় শাকিল মিয়ার ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযোগের পরেই শাকিলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানানো হবে। প্রসঙ্গত গত চার মাস আগে প্রতিবেশী মুকুল ঠাকুর নামে এক দালালের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালির উদ্দেশ্য রওয়ানা হন উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তুপুর গ্রামের দিনমুজুর মো. টিটুল মিয়ার একমাত্র ছেলে শাকিল মিয়া। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। দালালেরা তাকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতন করছেন। এ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
৩০ মার্চ, ২০২৪
ঝিনাইদহে মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তার ৩
ঝিনাইদহে মানব পাচার মামলার তিন আসামিকে যশোর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে যশোরের মনিরামপুরের শৈলী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, শৈলী গ্রামের মোস্তাক আহম্মেদের ছেলে মো. রুবেল হোসেন (৩৩), শাহেদ আলীর ছেলে মো. মোস্তাক আহমেদ (৪৮) ও ইসমাইল সরদারের ছেলে মো. ইমদাদুল হক (৪৭)। শনিবার (২ মার্চ) র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী দালাল চক্রের সদস্য। তারা ভিকটিমের নিকটাত্মীয় হওয়ার সুবাদে মালয়েশিয়া পাঠানোর নাম করে সাড়ে চার লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে মালয়েশিয়া পাঠানোর নামে একটি প্রতারক চক্রের হাতে তুলে দেয়। ওই চক্রটি মালয়েশিয়ায় নিয়ে ভিকটিমকে কোনো কাজ না দিয়ে একটি আবদ্ধ কক্ষে আটকে রাখে এবং ওয়ার্ক পারমিট করে দেওয়ার নাম করে আরও ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ভিকটিমের পিতা সন্তানের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে আসামিরা কোনো সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। ভিকটিমের পিতা বারবার চেষ্টা করেও নিজ সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ঝিনাইদহ ও যশোরের র্যাব যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
০২ মার্চ, ২০২৪
থাইল্যান্ডে মানবপাচার চক্রের মূলহোতাসহ দুই বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
থাইল্যান্ডে মানবপাচার চক্রের মূলহোতাসহ দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইমিগ্রেশন ব্যুরোর কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডভিত্তিক ইংরেজি সংবাদমাধ্যম খাওশোদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অভিবাসন ব্যুরোর কর্মকর্তারা জানান, ওই চক্রটিকে গ্রেপ্তারে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছিলেন তারা। আটক ব্যক্তিরা আশরাফ গ্যাংয়ের সদস্য। অবৈধ মানবপাচার চক্রটিকে শেষ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই বাংলাদেশি হলেন আশরাফ (৪৬) এবং আবু (৪৭)। এদের মধ্যে আশরাফ গ্যাংয়ের মূলহোতা আশরাফ নিজেই। আমদানি রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে তিনি মানবপাচার করতেন। থাইল্যান্ড ইমিগ্রেশন ব্যুরোর অপরাধ তদন্ত বিভাগের ডেপুটি কমান্ডার কর্নেল পানুপাকায়া জিত্প্রায়ুরাথি বলেন, গেল বছরের জানুয়ারি ও মার্চে সোংখলা, পাত্তানি এবং রানাথিওয়াত থেকে ৪১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে অভিবাসন কর্মকর্তারা। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তে চক্রটিকে শনাক্ত করে অভিবাসন বিভাগ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে আটজন থাই, একজন পাকিস্তানি ও একজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তদন্তে দেখা গেছে, এসব অভিবাসী থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত দিয়ে সা কাইও প্রদেশে প্রবেশ করেছিলেন। পরে বাসে করে তারা ব্যাংকক যান। সেখানে আশরাফের সহযোগী আবুর কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করে চক্রের সদস্য আবু। চক্রের মূলহোতা আশরাফ একটি আমদানি রপ্তানি কোম্পানির মালিক। প্রায় এক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে অভিবাসন বিভাগ তদন্ত চালিয়েছে। তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। চক্রটি কয়েক বছরে ১১৭ মিলিয়ন থাই বাথ হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্নেল পানুপাকায়া জিত্প্রায়ুরাথি।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪
রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করতে মানবপাচার করতেন তারা
ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করতে কিউবার তরুণ নাগরিকদের প্রলুব্ধ করার অভিযোগে একটি মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিউবান কর্তৃপক্ষের বরাতে আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চলতি সপ্তাহের শুরুতে কিউবা জানিয়েছিল, এই মানবপাচার চক্রকে নির্মূল করতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। এই চক্রটি কিউবা ও রাশিয়া, দু’দেশের মাটিতেই সক্রিয়। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিউবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সিজার রদ্রিগেজ বলেন, তদন্তের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চক্রটির নেতাও রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ না করলেও রদ্রিগেজ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে ভাড়ায় যুদ্ধ করতে কিউবা থেকে লোক সংগ্রহের জন্য দুজনের ওপর নির্ভর করতেন দলনেতা। ওই দুই ব্যক্তি কিউবার নাগরিক। আইনজীবী হোসে লুইস রেয়েস বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার, ভাড়ায় যুদ্ধ করা এবং বিদেশি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শত্রুতাপরায়ণ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। সমাজতান্ত্রিক কিউবার সঙ্গে রাশিয়ার শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা থেকে বাঁচতে কিউবার অভিবাসীরা রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়ে আসছেন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
উখিয়ায় অপহরণ ও মানবপাচার চক্রের দুজন গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ায় অপহরণ ও মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
১১ আগস্ট, ২০২৩
টেকনাফে মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্য আটক, উদ্ধার ১
মানবপাচার চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে উঠেছে উখিয়া ও টেকনাফের সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গারাও মানবপাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ছে নিয়মিত। শুধু পুরুষরাই নয়, চক্রের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না নারী ও শিশুরা।
২১ জুলাই, ২০২৩
আরও
X