কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ০২:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

ডিবি হেফাজতে মিল্টন সমাদ্দার। ছবি : কালবেলা
ডিবি হেফাজতে মিল্টন সমাদ্দার। ছবি : কালবেলা

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে।

মানবপাচার আইনে তার বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি হয়েছে। তৃতীয় মামলার বাদী হলেন রাজধানীর জিগাতলার বাসিন্দা এম রাকিব (৩৫)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুন্সী ছাব্বির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মিলটন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। জাল মৃত্যু সনদ তৈরির করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চারসেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে। মানবপাচার আইনের মামলার বাদী হয়েছেন রাজধানীর জিগাতলার বাসিন্দা এম রাকিব।

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে জাল সনদ জালিয়াতির মামলা করেছে। লাশ দাফনের জন্য জালিয়াতি করে কাগজ তৈরির অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে ডিবি পুলিশ। এ সময়ে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা তাকে রিমান্ডে এনে অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করবো। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। মিল্টনকে রিমান্ড দেওয়ার সময় তার স্ত্রীকেও মুখোমুখি করা হবে। যদিও এ ঘটনায় তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

এর আগে আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে মিল্টনের বিস্তারিত ফিরিস্তি তুলে ধরেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।

সংবাদ সম্মেলনে মানবপাচার, কিডনি কেটে বিক্রি, মরদেহ দাফন গড়মিল, মৃত্যু সনদে জালিয়াতির মতো ভয়াবহ অভিযোগের বিষয় তুলে ধরেন ডিবিপ্রধান। তিনি বলেন, মৃত্যুর জাল সনদ তৈরিসহ তার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে। সব বিষয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে পেটালে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। সেখান থেকেই মূলত তার উত্থান হয়। পরে শাহবাগে এসে একটা ফার্মেসিতে চাকরি করে। সেখান থেকে ওষুধ চুরি করার কারণে বের করে দেয়। পরে মিটু হালদার নামে এক নার্সকে সে বিয়ে করে। বিয়ে করার পর তার স্বপ্ন এলো সে একটা ওল্ড অ্যান্ড কেয়ার স্থাপন করবে। তারপর সে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে।

গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। উঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পরিবর্তন হচ্ছে বাংলাদেশ জেলের নাম 

চট্টগ্রামে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

রাতে খাওয়ার পরও ক্ষুধা লাগার কারণ জেনে নিন

টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টি ঝরতে পারে যেসব অঞ্চলে

প্রেমের স্মৃতি টেনে কিমের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন ট্রাম্প

কমলাপুর রেলস্টেশনে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, প্রেমিক আটক

নদীভাঙনের কবলে শতবর্ষী স্কুল, হুমকিতে মাঠ ও শহীদ মিনার

আবারও সেরা ব্রাজিল, কলম্বিয়াকে হারিয়ে জিতল টানা তৃতীয় শিরোপা

দুদিন বন্ধ থাকবে ঢাবি মেট্রো স্টেশন

‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামের পেজটি গুজব তৈরির প্ল্যাটফর্ম : বাংলাফ্যাক্ট

১০

সরকারি ইজারাবিহীন বালুমহালে মোবাইল কোর্টের হানা

১১

পর্দায় শুভশ্রীর সঙ্গে নিজেকে দেখে অশ্রুসিক্ত দেব

১২

মার্কিন শুল্কে কঠোর অবস্থানে মোদি

১৩

‎নামাজ শেষে বেরিয়ে সড়কে গেল জামায়াত নেতার প্রাণ

১৪

মারা গেছেন কেজিএফের জনপ্রিয় অভিনেতা

১৫

ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

১৬

এনসিপির ৮ নেতা চীন সফরে যাচ্ছেন আজ

১৭

নেদারল্যান্ডসের চমক, বাংলাদেশ সফরের আগে বদলে ফেলল স্কোয়াড

১৮

ঢাকার ব্যস্ততম দুই সড়ক অবরোধ

১৯

রিজার্ভ চুরি মামলা  / ৮৮ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

২০
X