চাঁদপুরে একদিনেই মারা গেলেন ৩ বীর মুক্তিযোদ্ধা
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে একদিনেই তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। এই ৩ রণাঙ্গনের বীরের জন্য শোকে কাতর স্থানীয়রা। শুক্রবার (১৭ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শহীদ উল্যাহ তপাদার। মৃত রণাঙ্গনের বীররা হলেন- ফরিদগঞ্জের ২নং বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মিয়াজী বাড়ির বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ উল্লাহ মিয়াজী (৭৮), একই ইউনিয়নের দেইচর গ্রামের খাঁন বাড়ির বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ খাঁন (৭২) এবং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের তপাদার বাড়ির বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল কাদের তপাদার (৭৫)। ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শহীদ উল্যাহ তপাদার বলেন, বার্ধক্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাতে প্রত্যেকের নিজ নিজ বাড়িতে আমাদের তিনজন রণাঙ্গনের সাথী ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যান। তাদের মৃত্যুতে আমরা সবাই গভীরভাবে শোকাহত। ফরিদগঞ্জের বাসিন্দা সাবেক ভূমি সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, রণাঙ্গনের ৩ বীরের মৃত্যু ফরিদগঞ্জ উপজেলার জন্য অনেক বড় দুঃসংবাদ এবং অপূরণীয় ক্ষতি। মহান আল্লাহ তাদের পরকালেও বীরের মর্যাদা দান করুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন। 
১৮ মে, ২০২৪

দেড় শতাধিক লোকসহ টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ
গোপালগেঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।  এ উদ্দেশে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন চউক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ।  তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন- চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, শহীদ পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ প্রায় দেড় শতাধিক লোক।  শুক্রবার (১৭ মে) সকালে গোপালগেঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। পাশাপাশি ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশেষ দোয়া, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে চউক চেয়ারম্যানের উদ্যোগে।  সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, বাঙালি জাতির কখনো নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তিনি না হলে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন কখনোই সফল হতো না। তাই জাতির জনকের সোনার বাংলার স্বপ্ন বানচাল করতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আজও তৎপর।  তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী সকল বাধা পেরিয়ে পিতার সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণের জন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন। শত প্রতিকূলতা আর মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তাই এ দিনটি বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের জন্য পুনঃজাগরণের দিন।
১৭ মে, ২০২৪

নাশকতার ১৪ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন আবদুস সালাম
নাশকতার ১৪ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এসব মামলার শুনানি শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আল-সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন। গত ২৯ এপ্রিল নাশকতার এসব মামলায় আবদুস সালাম উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান। আজ মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক সব মামলায় তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন। আব্দুস সালামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম তাহের সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন থানার নাশকতার এসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন আবদুস সালাম। জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে নাশকতার এ ১৪ মামলায় অস্থায়ী (অন্তর্বর্তীকালীন) জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। নাশকতার ১৪টি মামলার মধ্যে পল্টন, রমনা, মতিঝিল, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি থানার মামলায় আবদুস সালামের জামিন হয়। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
১৬ মে, ২০২৪

নাবিকদের বুকে টেনে নিলেন চসিক মেয়র
চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি প্রত্যেক নাবিককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে শুভেচ্ছা জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাতসহ আরও অনেকে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আজকের এই মুহূর্ত আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। আমরা নানা প্রচেষ্টার পর আজ আপনাদের সামনে দেখছি। এই আবেক কিংবা অনুভূতির কথা বলে বোঝানো যাবে না। আমি আপনাদের সবার উজ্জ্বল ভবিষৎ কামনা করি। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তাদের বহন করা লাইটার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। এরপর একে একে নাবিকরা জাহাজ থেকে নেমে আসেন। এনসিটি জেটিতে আগে থেকে অপেক্ষায় ছিলেন নাবিকদের অনেক স্বজন, জাহাজের মালিক পক্ষসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা। জেটিতে নাবিকরা নামার পর স্বজনরা তাদের জড়িয়ে ধরেন। এ সময় কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। বন্দরের এনসিটি এলাকায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মুহূর্তে যেন নিস্তব্ধতা নেমে আসে কর্মচঞ্চল জেটিতে। এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে এমভি জাহান মণি নামে একটি লাইটার জাহাজ কুতুবদিয়া উপকূল থেকে নাবিকদের নিয়ে রওনা দেয়। এনসিটি-১ নম্বর জেটিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাবিকদের জন্য এক সংবর্ধনার আয়োজন করে। এর আগে, সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে নোঙর করে। গত ৩০ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয়।
১৪ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহের প্রথম এমবিবিএস চিকিৎসকের মৃত্যু
ঝিনাইদহ শহরের প্রথম এমবিবিএস চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আজিজুর রহমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শনিবার (৪ মে) সকাল ৮টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের মডার্ণ মোড়ে নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।  শনিবার বাদ আসর ঝিনাইদহ উজির আলী স্কুল মাঠে গার্ড অব অনার ও জানাজা শেষে চুয়াডাঙ্গায় গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।  পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৩৯ সালে ডা. আজিজুর রহমান চুয়াডাঙ্গার মোহাম্মদজুমা সম্ভ্রান্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম খোরশেদ আলী বিশ্বাস। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। পড়ালেখা শেষ করে ডা. আজিজুর রহমান মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।  সরকারি চাকরির লোভনীয় অফার তিনি না নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে হতদরিদ্র রোগীকে সেবা দিতেন। ডা. আজিজুর রহমান ডাক্তারদের সংগঠন বিএমএ ও ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের প্রায় ৩৫ বছর ধরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্ব দেন।  তার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন ও বিএমএ গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কোনো সরকারই পদক্ষেপ নেয়নি : শেখ বাবলু
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেছেন, স্বাধীনতাপরবর্তী কোনো সরকারই শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। শ্রমিকরা বরাবরই অবহেলিত। অথচ শ্রমিকরাই উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি।  মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) রাজধানীতে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত র‌্যালি ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।  এর আগে পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংগঠনের নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়। এরপর তারা র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। র‍্যালিটি জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন মোড়, বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে বটতলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভাসানী শ্রমিক পরিষদের সভাপতি বাবুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, দলের কেন্দ্রীয় নেতা আহসান হাবিব, মোহাম্মদ রফিক, মুকিম খান, শ্রমিক নেতা আব্দুল আলীম স্বপন, নারীনেত্রী সোনিয়া আক্তার, শাহানা বেগম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ভিপি আনোয়ার প্রমুখ।
০১ মে, ২০২৪

মারা গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিশিষ্ঠ সমাজসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (আমুস)’ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজস্ব বিভাগের ডেপুটি কমিশনার আল-আমিন মৃদুলের বাবা। আব্দুল খালেকের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ৫ ছেলে ও ৫ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার সাওরাকাঠি গ্রামের জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেককে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. কাজী সাইফুদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য জোবায়দা হক অজন্তা ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

মঙ্গলবার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী
আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত জননেতা এ কে এম নাসিম ওসমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের দেরাদুনে চিকিৎসাকালীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম নাসিম ওসমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি শুধু মহান ’৭১-এ প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধই করেননি, ১৯৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রতিরোধ যুদ্ধেও। প্রয়াত নাসিম ওসমান ১৯৫৩ সালের ৩১ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ঐহিতাসিক ওসমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরোণত্তর ) প্রয়াত এ কে এম শামসুজ্জোহা ছিলেন ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার মা মরহুম বেগম নাগিনা জোহাও ছিলেন ভাষাসৈনিক। স্বদালাপী নাসিম ওসমান ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। ছাত্রজীবনে পরিবারের ভূমিকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নাসিম ওসমান আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অকুতোভয় বীর সেনানী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নাসিম ওসমান পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেখানে তিনি গেরিলা যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষ করে দেশে ফিরে এসে যুদ্ধ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট রাতে নাসিম ওসমানের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, যে অনুষ্ঠানে তোলা ছবিটি ছিল শেখ কামালের জীবনের শেষ আলোকচিত্র। পর দিন তথা ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর একটি অনুষ্ঠান থাকায় নাসিম ওসমানের অনুরোধ সত্ত্বেও শেখ কামাল ওই রাতে নারায়ণগঞ্জে আসেননি। তিনি নারায়ণগঞ্জে এলে বাংলাদেশের ইতিহাস হয়তো অন্যভাবেও রচিত হতো। ১৯৭৫-র ১৫ আগস্ট নিজের নবপরিণীতা স্ত্রীকে রেখে পরিবারের সব নারী সদস্যদের অলংকার সংগ্রহ করে নাসিম ওসমান চলে যান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হলেও শুধু তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে কৌশলগত কারণে আশির দশকের শুরুতে নাসিম ওসমান যোগ দেন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে। তিনি আমৃত্যু জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তিনি যথাক্রমে ১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে মোট চারবার জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বন্দরের নাসিম ওসমান উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলাদ ও দোয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এতিমখানা, মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি তার ছোট ভাই ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার শ্রমিক ও এতিমদের নিয়ে দোয়ার ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় অংশ নেওয়ার আকুল আবেদন জানানো হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা বাবার ঋণ পরিশোধে কিডনি বিক্রি করতে চান ছেলে
পিতার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে নিজের একটি কিডনি স্বেচ্ছায় বিক্রি করতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র  দিনমজুর ছেলে। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল গ্রামের বাসিন্দা মো. নাসির তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এ পোস্টটি করেন। ঘটনার বিস্তারিত জানতে নাসিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে জানান, আমার দিনমজুর পিতা মো. নুরুল ইসলাম ছিলেন রনাঙ্গন কাঁপানো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার গেজেট নাম্বার-৩৪৯৩। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অনেক পদক পেয়েছেন তিনি। তিনি গৌরনদী সোনালী ব্যাংক থেকে সরকারি ভাতাও উত্তোলন করতেন। মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে আমার পিতার বাবার অর্থাৎ আমার দাদার নাম ভুলবসত আমজেদ আলী হাওলাদারের পরিবর্তে মৃত মোসলেম উদ্দিন মুন্সী লেখা হয়। ২০১৮ সালে ভুল সংশোধনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে আমার পিতা আবেদন করেন। তার জীবদ্দশায় ভুল সংশোধন করে যেতে পারেননি। এরই মধ্যে ২০২০ সালে তিনি মারা যান। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। পিতা নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর সমাজসেবা অফিসে এমআইএস সংশোধন করতে গিয়ে দেখি আমার পিতার ছবির জায়গায় অন্য একজনের ছবি। এতে আমার সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ছবির ওই ব্যক্তি মুলাদী উপজেলার মধ্য গাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে গৌরনদীর সরিকল নিজাম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক। তার নাম নুরুল ইসলাম এবং তার বাবার নাম মৃত মোসলে উদ্দিন। এরপর এমআইএস ফরম সংশোধনের জন্য ২০২১ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমি লিখিত আবেদন করি।  আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিয়ে শুনানির জন্য আমাকে এবং মুলাদীর নুরুল ইসলামকে তার অফিস কক্ষে হাজির হতে বলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। ওই শুনানিতে মুলাদীর নুরুল ইসলাম ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হন। একপর্যায়ে সে (মুলাদীর নুরুল ইসলাম) ইউএনও’র কাছে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু মুলাদীর ওই নুরুল ইসলাম প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে স্থানীয় কিছু অসৎ মুক্তিযোদ্ধার যোগসাজশে ফের পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করেন। সম্প্রতি উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নাসির অভিযোগ করে বলেন, মুলাদীর নুরুল ইসলামের বাড়ি মুলাদী উপজেলায়। নিয়ম অনুযায়ী, তার গেজেট হবে মুলাদীতে। কিন্তু ওই নুরুল ইসলাম মুলাদীতে গেজেট না করে আমার পিতার নামের সঙ্গে তার নামের মিল থাকায় বিভিন্ন জালজালিয়াতির মাধ্যমে আমার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পিতার গেজেট দিয়ে সে  নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আসছে।  তিনি আরও বলেন, আমার পিতা মৃত্যুর আগে সোনালী ব্যাংক গৌরনদী শাখা থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ উত্তোলণ করেন। ব্যাংক দুই লাখ তেতাল্লিশ হাজার টাকা আমার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পিতার কাছে পাওনা রয়েছে। ওই ঋণের জামিনদার ছিলাম আমি। সে হিসেবে ব্যাংক থেকে আমার নামে নোটিশ দিয়েছে। সময়মতো টাকা দিতে না পারলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। মুলাদীর ওই নুরুল ইসলামের কারণে আমার পিতার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তিনবছর যাবত বন্ধ। এ নিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন অফিসে দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। বর্তমানে স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে মানববেতর জীবনযাপন করছি। আমার এমন কোনো সম্পদ নেই যা দিয়ে পিতার ঋণ পরিশাধ করব। তাই স্বেচ্ছায় একটি কিডনি বিক্রির জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন, আবুল কাসেম ও মতিউর রহমানসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধারা জানান, সরিকলের মৃত নুরুল ইসলাম একজন প্রকৃত ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার মৃত্যুর পর মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম সরিকলের মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের গেজেট ব্যবহার করে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আসছে। এ জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ ভাতা স্থগিত রয়েছে। ফলে মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে নাসির মানববেতর জীবনযাপন করছে। মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার যাতে ভাতা উত্তোলন করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তারা। সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মোল্লা বলেন, নাসিরের পিতা নুরুল ইসলাম একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ থাকায় অসহায় ওই পরিবারটি চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন। কখনো শুনিনি নিজাম উদ্দিন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক মুলাদীর বাসিন্দা নুরুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এখন তিনি কীভাবে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করছেন তা জানা নেই। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক ও মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে গেজেটে ৩৪৯৩ নম্বরটি তার বলে দাবি করেছেন। গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আবদুল্লাহ খান জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। নাসিরকে যাতে ব্যাংক থেকে চাপ প্রয়োগ করা না হয় এজন্য ম্যানেজারকে বলে দেওয়া হয়েছে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

আ. লীগের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে আগামী ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। এদিকে, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সমাবেশ করতে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দেয় দলটি। বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। গত ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে বিএনপি। তবে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ রাজধানীতে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। এর পরদিন উত্তরার বাসায় গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর থেকে কয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় জেলেই ছিলেন তিনি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
X