কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মঙ্গলবার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রয়াত জননেতা এ কে এম নাসিম ওসমান। ছবি : সংগৃহীত
প্রয়াত জননেতা এ কে এম নাসিম ওসমান। ছবি : সংগৃহীত

আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত জননেতা এ কে এম নাসিম ওসমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের দেরাদুনে চিকিৎসাকালীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম নাসিম ওসমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি শুধু মহান ’৭১-এ প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধই করেননি, ১৯৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রতিরোধ যুদ্ধেও।

প্রয়াত নাসিম ওসমান ১৯৫৩ সালের ৩১ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ঐহিতাসিক ওসমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরোণত্তর ) প্রয়াত এ কে এম শামসুজ্জোহা ছিলেন ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার মা মরহুম বেগম নাগিনা জোহাও ছিলেন ভাষাসৈনিক। স্বদালাপী নাসিম ওসমান ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান।

ছাত্রজীবনে পরিবারের ভূমিকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নাসিম ওসমান আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অকুতোভয় বীর সেনানী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নাসিম ওসমান পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেখানে তিনি গেরিলা যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষ করে দেশে ফিরে এসে যুদ্ধ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট রাতে নাসিম ওসমানের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, যে অনুষ্ঠানে তোলা ছবিটি ছিল শেখ কামালের জীবনের শেষ আলোকচিত্র। পর দিন তথা ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর একটি অনুষ্ঠান থাকায় নাসিম ওসমানের অনুরোধ সত্ত্বেও শেখ কামাল ওই রাতে নারায়ণগঞ্জে আসেননি। তিনি নারায়ণগঞ্জে এলে বাংলাদেশের ইতিহাস হয়তো অন্যভাবেও রচিত হতো। ১৯৭৫-র ১৫ আগস্ট নিজের নবপরিণীতা স্ত্রীকে রেখে পরিবারের সব নারী সদস্যদের অলংকার সংগ্রহ করে নাসিম ওসমান চলে যান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হলেও শুধু তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে কৌশলগত কারণে আশির দশকের শুরুতে নাসিম ওসমান যোগ দেন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে। তিনি আমৃত্যু জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তিনি যথাক্রমে ১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে মোট চারবার জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বন্দরের নাসিম ওসমান উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলাদ ও দোয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এতিমখানা, মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি তার ছোট ভাই ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার শ্রমিক ও এতিমদের নিয়ে দোয়ার ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় অংশ নেওয়ার আকুল আবেদন জানানো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লিফট ছিঁড়ে নিহত ১, আটকা ১৪

এসএসসি পাসেই ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে দুদকের হানা

কুরকুরে চিপস না আনায় ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী

মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশের উন্নতি অকল্পনীয় : ইউএনএফপিএ

আবারও চমক দেখিয়ে প্রযুক্তির এলিট ক্লাবে ঢুকল ইরান

আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই : প্রধানমন্ত্রী

ভোটারকে চড় মেরে পাল্টা চড় খেলেন এমপি

কনকা ও হাইকোর ক্যাম্পেইন, ঘষা দিলেই গোল্ড অফার শুরু

ইউরোপকে যেভাবে দুই ভাগ করছে চীন

১০

জয়পুরহাটে কৃষক হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

১১

ব্যাংক খাতে আড়তদার তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক : সাংবাদিক নেতারা

১২

কেন বন্ধু শি’র সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন পুতিন?

১৩

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে ডোনাল্ড লু

১৪

ওয়ার্ল্ড ভিশনে চাকরি, মাসিক বেতন ৯০ হাজার

১৫

এবার ক্রিকেট খেলে আলোচনায় ১০২ বছরের করম

১৬

জলবায়ু মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

১৭

লুর সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করলেন পরিবেশমন্ত্রী?

১৮

হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে দেশের মানুষের প্রতি হুইপ স্বপনের বার্তা

১৯

তাপপ্রবাহ নিয়ে ফের দুঃসংবাদ

২০
X