জেলে গিয়ে সাড়ে ৪ কেজি ওজন কমেছে কেজরিওয়ালের
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দুই সপ্তাহ ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আরও সপ্তাহ দুয়েক তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে। তবে জেলের ভেতরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি (আপ)। এমনকি জেলে গিয়ে তার ওজন সাড়ে চার কেজি কমে গেছে বলেও দাবি করেছে দলটি। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কেজরিওয়াল ঠিক আছেন। তার ওজন কমেনি। খবর এনডিটিভির। আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) আপের নেত্রী ও মন্ত্রী অতীশি এক এক্সবার্তায় বলেছেন, কেজরিওয়াল গুরুতর ডায়াবেটিক রোগী। স্বাস্থ্য সমস্যা সত্ত্বেও তিনি দেশবাসীর সেবায় দিন-রাত কাজ করেন। গ্রেপ্তারের পর কেজরিওয়ালের ওজন সাড়ে চার কেজি কমেছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক। বিজেপি তার স্বাস্থ্যকে বিপদে ফেলছে। তার কিছু হলে, শুধু দেশবাসী নয়, ঈশ্বরও ক্ষমা করবেন না। তবে কারা সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, তিহার জেলে আনার সময় কেজরিওয়ালের ওজন ৬৫ কেজি ছিল। তার ওজন এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তার রক্তে শর্করার মাত্রাও এখন স্বাভাবিক। আজ সকালেও তিনি যোগ ব্যায়াম করেছেন। সেলের ভেতরে হাঁটা-চলা করেছেন। গত ২১ মার্চ রাতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি। দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারের আগে তাকে ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল সংস্থাটি। তবে কোনো সমনেই তিনি হাজিরা দেননি। এমনকি বারবার সমন পাঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা করছে ইডি, এই অভিযোগ তুলে আগাম জামিন পেতে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। গত সোমবার ইডির রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ শেষের আগেই এদিন সকালে তাকে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করে ইডি। এদিন ইডির তরফ থেকে কেজরিওয়ালকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি। বরং তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে সংস্থাটি। তাই তাকে তিহার জেলে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এই কারাগারে থাকবেন। তবে আদালতে আগাম জামিন আবেদন করেছেন কেজরিওয়াল। তার আবেদনের ওপর আজ বুধবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

জেলেই থাকতে হচ্ছে কেজরিওয়ালকে
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আরও দুই সপ্তাহ কারাগারেই থাকতে হচ্ছে। সোমবার (১ এপ্রিল) তাকে আদালতে তোলা হলে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার ভারতীয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ শেষের আগেই আজ সকালে তাকে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করে ইডি। এদিন ইডির তরফ থেকে কেজরিওয়ালকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি। বরং তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে সংস্থাটি। তাই তাকে তিহার জেলে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এই কারাগারে থাকবেন। তিহার জেলে পাঠানোর আগে স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল এবং মন্ত্রী অতীশি ও সৌরভ ভরদ্বাজের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সোমবার আদালতকে ইডি জানায়, রিমান্ডে সহাযোগিতা করছেন না কেজরিওয়াল। অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন তিনি। এমনকি মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকার করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে আজ নতুন করে রিমান্ড দাবি না করলেও ভবিষ্যতে তাকে রিমান্ডে নেওয়া লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ইডি। এদিকে কেজরিওয়ালের আইনজীবী তার অসুস্থতার পরিপ্রেক্ষিতে জেলের ভেতরে কিছু ওষুধ ও বিশেষ খাবারের দাবি করেছেন। এ ছাড়া তার জন্য জেলে বই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক, তা জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছেন আইনজীবী। এর আগে গত ২১ মার্চ রাতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ইডি। দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হলেন। গ্রেপ্তারের আগে তাকে ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল সংস্থাটি। তবে কোনো সমনেই তিনি হাজিরা দেননি। এমনকি বারবার সমন পাঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা করছে ইডি, এই অভিযোগ তুলে আগাম জামিন পেতে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

ঘর-সংসার ছেড়ে হঠাৎ রাজনীতির মাঠে কেজরিওয়ালের স্ত্রী
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুক্তি কবে মিলবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। জেলে বসে বর্তমানে দল ও সরকার সামাল দিলেও কতদিন তা পারবেন তারও কোনো ঠিক নেই। স্বামীর এমন দুঃসময়ে ঘর-সংসার সব ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নেমেছেন স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল। প্রশাসন ও দলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগের অন্যতম দূত হয়ে উঠেছেন সুনীতা। এমনকি কেজরিওয়ালের অবর্তমানে সরকার ও দলের প্রধান হিসেবে তার নামও আলোচনায় এসেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হন। এরপর ২৮ মার্চ পর্যন্ত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পরপরই মুখ খুলেন সুনীতা। এক্সবার্তায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। সুনীতি বলেন, ‘তিনবারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতার দম্ভে মোদিজি গ্রেপ্তার করিয়েছেন। উনি সকলকেই ধ্বংস করে দিয়ে চাইছেন। দিল্লির মানুষের প্রতি এটা বিশ্বাসঘাতকতা। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী সবসময় আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ওর জীবন দেশের প্রতি নিয়োজিত।’ ১৯৯৪ সালে কেজরিওয়ালকে বিয়ে করেন সুনীতা। ২০১৫ সালে কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের। তবে এত বছরের সংসার জীবনে কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি সুনীতা। উল্টো রাজস্ব কর্মকর্তার চাকরি ছেড়ে ঘর ও সংসার সামাল দিয়েছেন। তবে গত বৃহস্পতিবার স্বামী গ্রেপ্তার হলে বারবার আলোচনায় আসছেন সুনীতা। গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে পড়েন তিনি। আর এতে রসদ জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে কড়া ভাষায় দেওয়া তার একাধিক এক্সবার্তা। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের পর তার ক্ষমতাসীন সরকার ও দল আম আদমি পার্টি (আপ) বড় ধরনের নেতৃত্বের সংকটে পড়েছে। এমন সংকটকালে সরকার ও দল পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দেয়। দল ও সরকার দুটিই একসঙ্গে সামলাতে পারবেন, কেজরিওয়ালের এমন যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে বের করাই দলটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অরবিন্দের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে যে তিনজনের নাম আলোচনায় এসেছে তাদের অন্যতম সুনিতা। অন্য দুজন হলেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য অতীশি ও সৌরভ ভরদ্বাজ। আনন্দবাজার পত্রিকার খবের বলা হয়েছে, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের পর প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন সুনীতা। এতে এই সংকটের সময় তাকে দলের মুখ করতে চাইছে আপ নেতৃত্ব।
২৫ মার্চ, ২০২৪

জেলে বসেই সরকারি নির্দেশ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে সরকার ও দলের প্রধান কারাগারে থাকলেও নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন না আনার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। এবার সেই ঘোষণা বাস্তবে পরিণত করে দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। গতকাল শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলে বসেই প্রথমবারের মতো সরকারি একটি নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ভারতের ইতিহাসে জেলে বসে সরকারি নির্দেশ দেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার। প্রথম নির্দেশে কেজরিওয়াল দিল্লির পানি সংকট মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। এই নির্দেশনাটি দিল্লির পানিমন্ত্রী অতীশির কাছে পাঠানো একটি নোটের মাধ্যমে দিয়েছেন তিনি। রোববার (২৪ মার্চ) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে অতীশি বলেন, সংকট দেখা দিয়েছে এমন এলাকায় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে দিল্লির কিছু এলাকায় মানুষ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এ নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি কারাগারে থাকার কারণে জনগণকে এই সমস্যায় ভুগতে হবে না। যেখানে পানির ঘাটতি রয়েছে সেখানে ট্যাংকারের ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষ যেন কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি না হয় সে জন্য কর্মকর্তাদের যথাযথ নির্দেশনা দিতে হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের পর অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটরেট (ইডি)। এরপর ২৮ মার্চ পর্যন্ত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন শহরের রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত।
২৪ মার্চ, ২০২৪

যে অভিযোগে গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হলেন। বারবার সমন পাঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা করছে ইডি, এই অভিযোগ তুলে অন্তর্বর্তী সুবিধা পেতে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপর রাতেই সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে পৌঁছান ইডির কর্মকর্তারা। এর আগেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় তার বাড়ির সামনে। কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হলেও দিল্লির পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দপ্তর। এদিন রাত ৯টার দিকে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসায় পৌঁছান ইডি কর্মকর্তারা। রাত প্রায় ১১টায় কেজরিওয়ালকে নিয়ে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ইডির সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গতকাল শুক্রবার তাকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হয়। এ সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ইডি। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার অনলাইনের। যে অভিযোগে গ্রেপ্তার: দিল্লিতে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার নীতি বদল করে কেজরিওয়াল এবং কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা মদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন, এই অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। সেই মামলাতেই কেজরিওয়ালের দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ও দিল্লির সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীষ শিশোদিয়া এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন। দলের সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং ওই একই মামলায় গত বছরের অক্টোবর মাসে গ্রেপ্তার হন। সম্প্রতি তেলেঙ্গানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন মদ ব্যবসায়ী, নেতা, মন্ত্রী ও তাদের কয়েকজন সহায়কও জেলে রয়েছেন। দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত ওই মামলায় কেজরিওয়ালকে জেরা করার জন্য ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে তিনি কোনোবারই জেরার মুখোমুখি হননি। আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই তাকে একবার জেরা করেছিল। কেজরিওয়ালকে ‘মূল চক্রান্তকারী’ বলছে ইডি: ইডি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালই এই মামলায় ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’। তিনি দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার ক্ষমতাসীন দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতা এবং এএপি নেতা মণীষ শিশোদিয়া ও সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কথিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এমন একটি নীতি তৈরি করা হয়েছিল, যা দক্ষিণ ভারতের একটি মদ লবিকে উপকৃত করেছিল, যাকে ইডি ‘সাউথ লবি’ বলে অভিহিত করেছে। সুবিধার বিনিময়ে ‘সাউথ লবি’ আম আদমি পার্টিকে ১০০ কোটি রুপি দেবে বলে জানিয়েছে ইডি। কয়েকজন অভিযুক্ত ও সাক্ষীর বয়ানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম উঠে এসেছিল বলে ইডি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে। কী ছিল কেজরিওয়ালের আবগারি নীতিতে: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার একটি নতুন আবগারি নীতি চালু করে ২০২১ সালের নভেম্বরে। ওই নীতি অনুযায়ী, সরকার মদ বিক্রি থেকে সরে আসে এবং বেসরকারি লাইসেন্সধারীদের মদের দোকান চালানোর অনুমতি দেয়। কালোবাজারি রুখতে, সরকারের রাজস্ব বাড়াতে এবং সামগ্রিকভাবে গ্রাহকদের সুবিধা দিতেই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে কেজরিওয়াল সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। নতুন নীতিতে মদের বিক্রি হঠাৎ আকাশ ছোঁয়া এবং দিল্লি সরকারের রাজস্ব বাড়ে ২৭ শতাংশ। তবে বিজেপি ওই নতুন আবগারি নীতির বিরোধিতা করে অভিযোগ করে যে, আবাসিক এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে এএপি সরকার এবং রাজধানীতে ‘মদের সংস্কৃতি’ প্রচার করছে। দিল্লির মুখ্য সচিব নরেশ কুমার ২০২২ সালের জুলাই মাসে নতুন আবগারি নীতিতে একটি গুরুতর অনিয়মের বিষয় চিহ্নিত করেন। তার রিপোর্টে মদের লাইসেন্সধারীদের ‘অন্যায্য সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। করোনা মহামারি চলাকালীন মদের লাইসেন্স ফি বাবদ ১৪৪ কোটি টাকা ছাড়ের কথাও তুলে ধরেন ওই কর্মকর্তা। মুখ্য সচিবের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। এর পরেই এএপি সরকারের ওপর বিজেপি তীব্র রাজনৈতিক আক্রমণ করতে থাকে। দিল্লির ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে বিতর্ক ওঠার পরই নতুন আবগারি নীতি প্রত্যাহার করে নেয় দিল্লি সরকার। এর ফলে নতুন চালু হওয়া ৪০০টিরও বেশি মদের দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
২৩ মার্চ, ২০২৪

কারাগারে কেজরিওয়াল, কে হবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ায় তার ক্ষমতাসীন সরকার ও দল আম আদমি পার্টি বড় ধরনের নেতৃত্বের সংকটে পড়েছে। এমন সংকটকালে সরকার ও দল পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন দল ও সরকার দুটিই একসঙ্গে সামলাতে পারবেন, কেজরিওয়ালের এমন যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে বের করাই দলটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, অরবিন্দের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালের নাম আলোচনায় রয়েছে। তিনি একজন সাবেক আইআরএস কর্মকর্তা। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্য অতীশি ও সৌরভ ভরদ্বাজের নাম আলোচনায় আসছে। কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভার বেশ প্রভাবশালী সদস্য অতীশি। তিনি একাই বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সামলে আসছেন। এদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, অর্থ, পিডব্লিউডি, রাজস্ব ও পরিষেবা। তাকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অতীশি আম আদমি পার্টির একজন মুখপাত্রও বটে। তিনি আম আদমি পার্টি সরকার ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে কথা বলে আসছেন। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলন ও টকশোতে বিজেপিকে একহাত নিয়ে আসছেন। অন্যদিকে সৌরভ ভরদ্বাজও দিল্লি মন্ত্রিসভার এক পরিচিত মুখ। তিনি স্বাস্থ্য ও নগর উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সামলে আসছেন তিনি। এ ছাড়া দলের একজন সুপরিচিত মুখও সৌরভ। তিনি দলের নেতাদের ঢাল হিসেবে কাজ করছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি ও ভারতীয় ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর তোপ দাগিয়ে আসছেন। তবে গত ডিসেম্বরে ‘আমিও কেজরিওয়াল’ নামে একটি প্রতীকী জরিপ পরিচালনা করে আম আদমি পার্টি। সেখানে মানুষে কাছে জানতে চাওয়া হয় যে গ্রেপ্তার হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত হবে নাকি জেলে বসে সরকার পরিচালনা করা উচিত হবে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ভরদ্বাজ বলেছেন, এই জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বলেছেন কেজরিওয়ালের প্রতি দিল্লির জনরায় রয়েছে। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তাই যেখান থেকেই হোক না কেন শুধু তিনিই দিল্লিতে সরকার চালাবেন।
২২ মার্চ, ২০২৪

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার
ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটরেট (ইডি)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। এদিন দিল্লি হাইকোর্ট আবগারি দুর্নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করার কয়েক ঘণ্টা পর তার বাসভবনে প্রবেশ করেন ইডির কর্মকর্তারা। সেখানে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায়ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির ৯টি সমন এড়িয়ে গেছেন আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান কেজরিওয়াল। গত সোমবার ইডির করা দিল্লি পানি বোর্ডে কথিত অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচার মামলার পৃথক আরেকটি সমনেও তিনি হাজির হননি। গত বছরের অক্টোবরে ইডি কেজরিওয়ালকে প্রথম সমন জারি করে। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ইডি গ্রেপ্তার করতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করে ইডি। আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিংকে গত অক্টোবরে হেফাজতে নেওয়া হয়। কেজরিওয়াল অবশ্য একাধিকবার দাবি করেছেন, বিজেপি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ইডি তাকে গ্রেপ্তার করে আম আদমি পার্টিকে দমাতে চায়। এ ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসসহ আরও কয়েকটি বিরোধী দলও বিজেপির বিরুদ্ধে ইডিকে নিজ স্বার্থে কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এ সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। আগামী ১০ এপ্রিল জাতীয় তথা লোকসভা নির্বাচন। এর আগেই বিরোধীদের গ্রেপ্তারে এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে।
২২ মার্চ, ২০২৪

রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা 
নিজ বাড়ির চত্বরে হাঁটার সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।  হাসপাতাল সূত্রের বরাতে আনন্দ বাজার জানায়, তার কপালে সেলাই করা হবে। তার দল তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটার) থেকে মমতার কপাল ফেটে যাওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে আনন্দ বাজার জানায়, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাসভবন চত্বরে হাঁটছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই সময়েই পড়ে যান তিনি।    Our chairperson @MamataOfficial sustained a major injury. Please keep her in your prayers pic.twitter.com/gqLqWm1HwE — All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 14, 2024 মমতার ঘনিষ্ঠদের বরাতে আনন্দবাজার জানায়, পড়ে যাওয়ার পর তার কপাল ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে বর্তমানে উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  
১৪ মার্চ, ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই সমালোচনার মুখে মরিয়াম নওয়াজ
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মারিয়ম নওয়াজ। নির্বাচিত হয়ে তিনি পাকিস্তানের সাত দশকের মধ্যে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তবে ইতিহাস গড়লেও এরইমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ পুলিশের এক কর্মকর্তার মাথা থেকে ওড়না সরে যাওয়ায় তা নিজের হাতে ঠিক করে দেন। আর এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। প্রদেশের নিরাপত্তাবিষয়ক কার্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে এক নারী কর্মকর্তা কম্পিউটারে কাজ করছিলেন। আর পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন নওয়াজ। একপর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তার মাথা থেকে ওড়না সরে গেলে নিজ হাতে তিনি সেটি তুলে ঠিক করে দেন।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জনসংযোগ বিভাগ এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ক্যাপশনে কর্মকর্তারা বিষয়টিকে ‘সহানুভূতি ও বোঝাপড়ার মুহূর্ত’ উল্লেখ করলেও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটিজেনরা এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান।             View this post on Instagram                       A post shared by IMAGES (@dawn_images) নেটিজেনদের একটি অংশ বিষয়টি নিয়ে মরিয়মকে বাহবা দিয়েছেন। অন্যদিকে আরেকটি অংশ সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি, পুলিশ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করেছেন। তিনি তাকে অস্বস্তিতে পড়েন।  পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে জরিপ চালিয়েছেন তারা। এতে ৩৩ শতাংশ কাজটি ঠিক বলে মতো দিয়েছেন। অন্যরা বিষয়টির সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি, মিরয়ম কাজটি ঠিক করেননি। তিনি বাস্তব আলোচনার চেয়ে ব্যক্তির পোশাককে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।  কেউ কেউ বলেছেন, মরিয়ম ধর্মীয় উগ্রবাদিতা ও গোঁড়ামি থেকে এটি করেছেন তিনি। এতে করে আরও অনেকে নারীদের ওপর এমনভাবে নিজেদের ধর্মীয় গোঁড়ামি প্রয়োগে উৎসাহিত হবেন। আরেকজন বলেন, মরিয়মের কিছু করার দরকার ছিল না। ওড়না যেমন ছিল তেমন থাকুক। এটি ঠিক করে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাজ নয়।  বুধবার মরিয়মের দল পিএমএলএনের নেতা আজমা বোখারি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পুলিশ কর্মকর্তার কাজের সময় মাথার ওড়না পড়ে গিয়েছিল। মরিয়ম তাৎক্ষণিক মা বোনের মতো মমতার সাথে সেটি ঠিক করে দিয়েছেন। মনে হচ্ছে সন্তানতুল্য একজনের সঙ্গে তিনি এমনটি করছেন। 
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই মরিয়ম নওয়াজের হুঙ্কার
পাকিস্তানের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পাঞ্জাব তথা পাকিস্তানের সাত দশকের ইতিহাসে প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচিত হয়েই তিনি বলেছেন, পাঞ্জাবের নারীদের নিরাপত্তা তার প্রথম অগ্রাধিকার। কোনো নারীর ওপর নিপীড়ন সহ্য না করার ঘোষণা দিয়েছেন। খবর দ্য ডন ও জিও নিউজের। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন পরিষদের ২২০ জন এমপি মরিয়মকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) নির্বাচন বর্জন করায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী রানা আফতাব আহমাদ কোনো ভোট পাননি। রানা আফতাব সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) প্রার্থী ছিলেন। মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, পাঞ্জাবে নারীদের নিরাপত্তা তার প্রথম অগ্রাধিকার। তাই নারীদের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করা হবে। নারীদের কর্মক্ষেত্রে পৃথক ওয়াশরুম, দিবাযত্ন কেন্দ্রসহ সব সুবিধা দেওয়া হবে। পিএমএল-এনের সিনিয়র সহসভাপতি বলেন, যে কোনো নারীকে হয়রানি করা মরিয়ম নওয়াজের রেড লাইন। তিনি বলেন, আমার নির্বাচিত হওয়া প্রতিটি মা, বোন ও মেয়ের জন্য সম্মানের। আমি দোয়া করি, এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে। আরও নারী সংসদের নেত্রী হিসেবে আমার স্থান গ্রহণ করেন। মরিয়ম বর্তমানে পিএমএল-এনের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নওয়াজ শরিফের বড় মেয়ে এবং শাহবাজ শরিফের ভাতিজি। তিনি পাঞ্জাব থেকে শরিফ পরিবারের চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী ও এমপি। একই সঙ্গে তিনি এই পরিবারের প্রথম নারী এমপি।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X