বগুড়ায় স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুরে গ্রেপ্তার
বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি আব্দুর রাজ্জাককে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার রাতে গাজীপুরের পোড়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক কাহালু উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মীর মনির হোসেন বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, গোয়ালপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর নাম এলেমা বেগম আর দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বিবি। যৌতুকের দাবিতে তিনি প্রথম স্ত্রী এলেমাকে নির্যাতন করতেন। ২০০৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ওই সময় কাহালু থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়। পরে মরদেহের ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়ায় নিহত এলেমার ভাই হাফিজার রহমান রাজ্জাক ও মনোয়ারাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন। আদালত মামলাটিকে এফআরআই হিসেবে গ্রহণ করতে কাহালু থানাকে নির্দেশ দেয়। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে রাজ্জাক ও মনোয়ারার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারক প্রক্রিয়া শেষে ২০২১ সালে বিচারক আসামি রাজ্জাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আরেক আসামি মনোয়ারাকে খালাস দেওয়া হয়।  তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের পর রাজ্জাক ৫ বছর জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে যান। রায় ঘোষণার সময়ও তিনি পলাতক ছিলেন। নাম পরিচয় বদলে রাজ্জাক গাজীপুর এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।
১৪ মে, ২০২৪

ধর্ষণ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরের সিংড়ায় অপহরণের পর গণধর্ষণ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছাব্বির আহম্মেদ ওরফে আবু সাইদকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। গ্রেপ্তার ছাব্বির আহম্মেদ বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ এলাকার বাসিন্দা। এর আগে বৃহস্পতিবার ( ২ মে) রাতে ঢাকার বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, চান্দাই গ্রামের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে ছাব্বির আহম্মেদ ওরফে আবু সাইদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছাব্বির ওই ছাত্রীকে কৌশলে সিংড়া উপজেলার কলম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যায়। সারাদিন ঘোরাঘুরির পর রাতে কলম মির্জাপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে নিয়ে সে ও তার বন্ধুরা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর সিংড়া থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করা হয়।  ক্যাম্প সূত্রে আরও জানা গেছে, তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে নাটোরের নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম গত বছরের ৫ এপ্রিল ছাব্বির আহম্মেদ ওরফে আবু সাইদসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে আবু সাইদ পলাতক ছিলেন। র‍্যাব-৫ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে আসামিকে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়।  বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউর আজম খান বলেন, আসামি ছাব্বির আহম্মেদকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

স্ত্রীকে হত্যার পর ২৩ বছর পালিয়েছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান
লক্ষ্মীপুরে রায়পুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আমেনা খাতুন ডলিকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রপ্ত শাহজাহান মিয়া ব্যাপারী ওরফে খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৯ টায় র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবদুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্ত্রীকে হত্যার পর ২৩ বছর তিনি পলাতক ছিলেন। এর আগে সকালে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খোকনকে শরিয়তপুর জেলার শখিপুর থানাধীন সরদারকান্দি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। খোকন রায়পুর উপজেলার দিঘলদী গ্রামের রহিম আলী ব্যাপারীর ছেলে। আদালত ও র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, যৌতুকের দাবিতে ২০০০ সালের ৫ ডিসেম্বর মাথায় আঘাত করে আমেনাকে হত্যা করে স্বামী খোকন। এ ঘটনায় আমেনার মা উম্মে কুলছুম বাদী হয়ে একইদিন রায়পুর থানা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে খোকনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তার হলেও তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ তখনকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজী হত্যা মামলার রায় দেন। এতে আসামি খোকনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পলাতক থাকায় রায় কার্যকর হয়নি। র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবদুর রাজ্জাক বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খোকনকে ধরতে আমরা ছায়াতদন্ত শুরু করি। অবশেষে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তাকে রায়পুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। রায়পুর থানার ডিউটি অফিসার পুলিশের এসআই আশিকুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে র‌্যাব আমাদের কাছে আসামিকে হস্তান্তর করেছেন। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

স্ত্রী হত্যার ২১ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেপ্তার
স্ত্রীকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি স্বামী লাল চাঁন ওরফে রবিনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃত লাল চাঁন সিঙ্গাইর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের করিম গাজী ও পালক পিতা মুন্নাফ পালের ছেলে। তিনি হত্যাকাণ্ডের পর পরিচয় গোপন করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ ১৯ বছর আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানায় র‍্যাব। রোববার (১৭ মার্চ) রাতে ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‍্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ জুন লাল চানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের দক্ষিণ শাহরাইলের নিহত সালমা আক্তারের। বিয়ের পরই লাল চান নেশা ও জুয়ার সাথে জড়িয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই সালমা আক্তার ও তার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করতে থাকে লাল চান। সালমার পরিবার লাল চানের দাবিকৃত যৌতুক না দেওয়ায় তাকে প্রায় সময় মারধর করত। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশি বৈঠকও হয়। সবশেষ ২০০৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রবিনের পিটুনিতে নিহত হয় সালমা আক্তার। পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি নিহতের মা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে লাল চানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ আসামি লাল চানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি পলাতক থাকায় আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আরও জানা যায়, মামলা রুজুর পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি লাল চান ছদ্মনাম রবিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় একেক সময় একেক পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। প্রথম স্ত্রী হত্যার পর লাল চান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বর্তমানে তার পরিবারে রানী নামে একটি মেয়ে আছে। র‍্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

সৌদিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে
সৌদি আরবের জিয়ান অঞ্চলে এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই বাংলাদেশি কর্মীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে একজন ফরিদপুরের মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এবং অন্যজন যশোরের মোফাজ্জল। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানান। সেহেলী সাবরীন বলেন, সৌদি আরবের জিযান অঞ্চলে একজন ভারতীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার তথ্য জানা গেছে। ওই দুজন ব্যক্তি হলেন- ফরিদপুর সদরের নর সিংহদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ জালাল বেপারির ছেলে মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এবং যশোর সদরের বনিয়াবহু গ্রামের মজুন আলীর ছেলে মোফাজ্জল। তিনি জানান, অর্থ নিয়ে বিরোধের জেরে একজন ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করে লাশ দাফনের অভিযোগে ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয় মর্মে জানা যায়। বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল, জেদ্দা বিষয়টি নিয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে জহিরুল হক ভূইয়া (৭০) নামে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতালে ওই আসামির মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। মৃত জহিরুল হক ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার লহ্মীবরদী এলাকার ফাজিল উদ্দিনের ছেলে। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন জহিরুল হক ভূঁইয়া। এ সময় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে আড়াই হাজার থানায় দায়ের করা এক হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২০১৯ সালের ১ মার্চ তাকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৩

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রোকনুজ্জামান গ্রেপ্তার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খান রোকনুজ্জামানকে (৭২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধাপরাধী খান রোকনুজ্জামানসহ অন্যান্য দোসররা সাতক্ষীরা এলাকায় মুক্তিকামী মানুষের ওপর নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা-গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কাজ করে। রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে খান রোকনুজ্জামান মানবতাবিরোধী কাজে সরাসরি অভিযুক্ত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে নিয়ে খান রোকনুজ্জামান সাতক্ষীরা জেলায় পাঁচজনকে গলা কেটে ও একজনকে হত্যা, দুজনকে ধর্ষণ ও ১৪ জনকে আটক করে নির্যাতনের মতো অপরাধে জড়িত ছিল। এসব ঘটনায় ২০১৫ সালে সাতক্ষীরায় খান রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খান রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত শেষে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের প্রেক্ষিতে আসামি খান রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে ছয়জনকে হত্যা, দুজনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে আটক ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ৬টি অভিযোগ আনা হয়। ট্রাইব্যুনাল দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় গত ২০২২ সালের ২৪ মার্চ খান রোকনুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ তাকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। যার ধারাবাহিকতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
০১ অক্টোবর, ২০২৩

যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নুরুল আমিন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-২-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানান, ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে নুরুল আমিন হাওলাদারসহ রাজাকার বাহিনীর অন্য সদস্যরা পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার হাতালিয়া ও চরখালী এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা-গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কাজ করেন। রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে তিনি মানবতাবিরোধী কাজে সরাসরি অভিযুক্ত।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

টাঙ্গাইলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ‘ভাড়াটে খুনি’ মান্নান গ্রেপ্তার 
টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ভাড়াটে খুনি মো. মান্নানকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৪ আগস্ট) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৩০ জুন রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাংগুরী দক্ষিণপাড়া গ্রামে মো. আসাদুজ্জামান মিয়া তার বাবা আব্দুল আউয়ালকে ভাড়াটে লোক দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।  তিনি জানান, এ ঘটনায় মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক শ্যামল কুমার দত্ত বাদী হয়ে ১ আগস্ট মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারকাজ ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক এ ঘটনায় জড়িত চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার আগে থেকেই মান্নান পলাতক ছিলেন। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন।
১৪ আগস্ট, ২০২৩
X