ঢাকার কেরানীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুল্লাহ্ চৌধুরী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) গুলজার (৫৮) নামের ওই ব্যক্তিকে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় আজকের সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবীর এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুল্লাহ্ চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদের কাজে হাসনাবাদ এলাকার উদ্দেশ্যে তার নিজ বাসা থেকে বের হন। ওই দিন রাতে তিনি বাসায় না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরের দিন ভুক্তভোগীর ছেলে মো. সাইদুর রহমান চৌধুরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করেন।
থানায় অবস্থানকালেই মো. সাইদুর রহমান চৌধুরী সংবাদ পান, কোন্ডা ১০ শয্যার হাসপাতালের কাছে পোড়া লাশ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে তিনি আগুনে পোড়া বিকৃত একটি লাশ দেখতে পান।
পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে একটি এটিএম কার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের কাগজপত্র দেখে সাইদুর নিজের বাবাকে শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় তদন্ত শেষে পুলিশ গুলজার ও তানুসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ২০২০ সালে তাজুল ইসলাম তানু, গুলজার, মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু ও মো. আসিফকে মৃত্যদণ্ডাদেশ দেয়।
এর আগে অন্যান্য আসামিরা গ্রেপ্তার হলেও গুলজার, শিহাব আহমেদ শিবু, টুন্ডা আমিন পলাতক ছিলেন।
এদিকে গুলজার গ্রেপ্তারের খবরে নিহত আতিকুল্লাহ্ চৌধুরীর ছেলে ও বর্তমান কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘অন্যান্য পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দণ্ড কার্যকর করার দাবি জানাই। এর মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে।’
মন্তব্য করুন