স্ত্রীকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি স্বামী লাল চাঁন ওরফে রবিনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত লাল চাঁন সিঙ্গাইর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের করিম গাজী ও পালক পিতা মুন্নাফ পালের ছেলে।
তিনি হত্যাকাণ্ডের পর পরিচয় গোপন করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ ১৯ বছর আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানায় র্যাব।
রোববার (১৭ মার্চ) রাতে ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ জুন লাল চানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের দক্ষিণ শাহরাইলের নিহত সালমা আক্তারের। বিয়ের পরই লাল চান নেশা ও জুয়ার সাথে জড়িয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই সালমা আক্তার ও তার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করতে থাকে লাল চান।
সালমার পরিবার লাল চানের দাবিকৃত যৌতুক না দেওয়ায় তাকে প্রায় সময় মারধর করত। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশি বৈঠকও হয়। সবশেষ ২০০৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রবিনের পিটুনিতে নিহত হয় সালমা আক্তার। পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি নিহতের মা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে লাল চানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ আসামি লাল চানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি পলাতক থাকায় আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও জানা যায়, মামলা রুজুর পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি লাল চান ছদ্মনাম রবিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় একেক সময় একেক পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। প্রথম স্ত্রী হত্যার পর লাল চান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বর্তমানে তার পরিবারে রানী নামে একটি মেয়ে আছে।
র্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন