উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের ‘আকাল’ : মেজর হাফিজ
উপজেলা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের ‘আকাল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক স্মরণ সভায় উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তিনি এই মন্তব্য করেন। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাঙালিরা ১৯৩৭ সাল থেকে ভোট দিয়ে তাদের নেতা নির্বাচিত করে এসেছে। আজকে দেশে গণতন্ত্র নির্বাসনে, ভোট ব্যবস্থা ধবংস হয়ে গেছে। আজকে দেশে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে, টেলিভিশনগুলোতে দেখাচ্ছে- কেন্দ্রগুলো খা খা করছে, কোনো ভোটার সেখানে যায়নি। কেন এই অবস্থা হলো? কেন মানুষ ভোট দিতে পারে না? কেন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বিলুপ্ত হলো? কেন দেশে আইনের শাসন নেই? কেন মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। কারণ ভোট ব্যবস্থাকে ওরা ধবংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আমরা যুদ্ধ করেছিলাম কোথায় গেলে সেই সামাজিক মূল্যবোধ? মানবিক মর্যাদা-সাম্য, সামাজিক সুবিচার বিলুপ্ত হয়ে গেছে বাংলাদেশ থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের দুঃশাসনের কারণে।  গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস বর্বর হামলার ঘটনা তুলে ধরে হাফিজ উদ্দিন বলেন, কোথায় আজকে আমাদের ছাত্র সমাজ, কোথায় আমাদের তরুণেরা, কোথায় কোনো প্রতিবাদ দেখি না। আমেরিকাতে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে, আমরা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করি অথচ আমাদের মধ্যে কোনো প্রতিবাদ দেখি না।  বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে ছাত্রদের সামনে, তরুণ যুবকদের সামনে কোনো রোল মডেল নাই। হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পরে একজন উপন্যাসিক বাংলাদেশে নাই। একজন ভালো কবির নাম আপনারা বলতে পারবেন না, সাহিত্যিকের নাম বলতে পারবেন না। তিনি বলেন, আজকে দেশ ও সাধারণ মানুষের চিন্তা আমাদের ছাত্র সমাজের মধ্যে নেই, যুবকদের মধ্যে নেই। সবাই আছে হালুয়া-রুটির লোভে আর রাজনৈতিক দলগুলো আছে শুধু ক্ষমতার চিন্তায়। কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে কিংবা কিভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে। সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে ‘রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা’ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, নাসির উল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
০৮ মে, ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে : মেজর হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমদ বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ সাধারণ মানুষের যুদ্ধ। যা শুরু করেছিল ছাত্র-সৈনিক ও যুবকের দল। কিন্তু আজ সবকিছুর কৃতিত্ব নিতে চায় আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।  শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।  জেডআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডক্টরস এসোসিশেয়ন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, জেডআরএফর স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ। এসময় অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ড. মফিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন এবং জেডআরএফ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে মেজর হাফিজ বলেন, যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির কথা শুনি তখন খুব বেদনার্ত হই। আওয়ামী লীগ তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা চেয়েছিল পাকিস্তানের অখণ্ডতা। অন্যদিকে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন একজন সৈনিক মেজর জিয়াউর রহমান। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং যুদ্ধ করার আহ্বান জানান।  তিনি বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্র-যুবক-বৃদ্ধ সবার ভূমিকা ছিল। অনেক ছাত্র সরাসরি যুদ্ধ করে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। আজকে দেশে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। জীবনের নিরাপত্তা নেই।
৩০ মার্চ, ২০২৪

আ.লীগ দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে : মেজর হাফিজ
ব্যক্তিগত লাভের জন্য আওয়ামী লীগ দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.)  হাফিজ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি, এতে কোনো সন্দেহ নেই।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বুয়েট ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দ। রাজধানীর লেকশোর হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আ ন হ আক্তার হোসেন।  বুয়েট ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসিফ হোসেন রচির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান, প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী মামুন গাজী, প্রকৌশলী নেছার উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় এ্যাবের সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, মহিউদ্দিন সেলিম, আব্দুল হালিম মিয়া, প্রকৌশলী হানিফসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে মেজর হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি জিয়াউর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তার মতো নেতা দেখিনি। তার ঘোষণায় অনেকেই উজ্জীবিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে আমরা ৫টি ক্যান্টনমেন্টে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলাম। আজকে তাকে বলা হয়- বেতনভুক্ত কর্মচারী। যারা বলেন- এ কথা বলার আগে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। আমার তো শেখ মুজিবুর রহমানকে ছোট করি না। যার যা অবদান তাকে তার সম্মান দিতে হবে। ইতিহাস তার সঠিক পরিমাপ নিরূপণ করবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার চিন্তা আওয়ামী লীগের কখনোই ছিল না। তারা তো পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনে বিভোর ছিল। তাদের নেতা তো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তো ধানাই পানাই করার সুযোগ নেই। এ দেশের ছাত্রসমাজের বিশাল অবদান স্বাধীনতা যুদ্ধে রয়েছে। অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন। মেজর হাফিজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে তিনজনকে আমি রোল মডেল মানি। এরা হলেন- তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এরা ছিলেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর দেখা গেল তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে একটি টাকা নেই। আজকে মুক্তিযুদ্ধের নানারকম গল্প-কাহিনি শোনান অনেকে। আমরা জীবন হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছি। আর আমাদেরই বলা হয় বেতনভুক্ত কর্মচারী! জিয়াউর রহমান ছিলেন অনুপ্রেরণা।  সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, আজকে দেশে কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। ব্যাংকগুলো লুট হয়ে গেছে। এভাবে কী দেশ চলবে? বিএনপি অনেক করছে। জনগণকে বলব আপনারা সবাই আমাদের সঙ্গে শামিল হোন। তিনি বলেন, আমি ১৯৭১ সালে দেখেছি দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। আজকে ব্যক্তিগত লাভের জন্য দেশের সবকিছু ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। ইনশাআল্লাহ জনগণ সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এই সরকারের পতন ঘটবে। আপনারা সকলে প্রস্তুত থাকুন আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক আসবে।
২৯ মার্চ, ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধের নতুন প্রজন্ম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে : মেজর হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা দেশবাসীর জন্য সংগ্রাম করছি এই সংগ্রামে দেশ অবশ্যই আমাদেরকে জয়ী হতে হবে। এই সংগ্রামে চুল-দাঁড়ি পেকে গেলেও মুক্তিযোদ্ধাদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। আপনারা (মুক্তিযোদ্ধা) দেশের আদর্শ। আপনাদের দিকে তাকিয়ে একজন তরুণ অনুপ্রাণিত হবে। মুক্তিযুদ্ধের নতুন প্রজন্ম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মেজর হাফিজ এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘অরক্ষিত স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিহীন বিপন্ন বাংলাদেশ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে আমরা-আপনারা আগামী প্রজন্মকে দীক্ষা দিয়ে যাবো দেশকে ভালোবাসো, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার মনমানসিকতা অর্জন করো। এটাই হলো আজকের দিনে আমাদের সবার প্রতিজ্ঞা। আমরা যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেমেছি এই সংগ্রাম ব্যর্থ হতে পারে না। অবশ্যই দুঃশাসনের অবসান হবেই। হাফিজ বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধান রাজনৈতিক দল তারা জনগণের ভোট পেয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্যে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে দোষের কিছু নাই। ২৪ বছর অনেক অন্যায়-অবিচার-বঞ্চনার শিকার আমরা হয়েছি। শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ন্যায্য দাবিদার ছিলেন সেটাই তিনি চেষ্টা করেছেন দোষের কিছুই নাই। কিন্তু তার দলের অনুসারীরা প্রমাণ করে যে, স্বাধীনতার ঘোষণা তিনি দিয়ে গিয়েছেন। তাজউদ্দিন আহমেদ সাহেব মিলিটারি মুভেমেন্ট শুরু হওয়ার পরেই তিনি সম্ভবত সর্বশেষ শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেখানে টেপ রেকর্ডার নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, আপনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন পাকিস্তান সেনা বাহিনী আক্রমনাত্মকভাবে জনতার উপরে আক্রমন করবে শিগগিরই। রাজপথে তারা ছড়িয়ে গিয়েছে। আপনি স্বাধীনতার ঘোষণাটি দেন। তিনি বলেছিলেন, আমি পাকিস্তান ভাঙার দায়িত্ব নিতে পারি না। আমি বিচ্ছন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হবো যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দেই, এটি হলো বাস্তব সত্য। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদকের কথা। দেশের অবস্থা থেকে উত্তরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির পথ নির্দেশ করেছে তারেক রহমান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (মহাসচিব) সহ শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন স্বাধীনতার মূল্যবোধকে উজ্জীবিত করার জন্যে। স্বাধীনতার লক্ষ্যসমূহকে বাস্তবায়ন করার জন্যে বিএনপি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিএনপির সংগ্রাম জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাবার সংগ্রাম, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে সংগ্রাম। তিনি বলেন, তার (শেখ মুজিবুর রহমান) অনেক কৃতিত্ব আছে। কিন্তু একজন সৈনিক চট্টগ্রাম থেকে জীবন বিপন্ন করে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এই কৃতিত্ব আপনাকে দিতে হবে। এটুকু কৃতিত্ব অন্যকে দিতে কেনো এতো অপরাগতা? কেনো বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানি এজেন্ট বলে প্রমাণ করতে চায়? তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধূলিসাত করে দিয়েছে। অবাক হয়ে ভাবি কিভাবে দেশটা নষ্ট হয়ে গেলো। দেশে যা কিছু করে ভালো-খারাপ সবকিছু বিএনপি করেছে। আমরা ক্ষমতায় নেই এতো বছর এই জিনিসপত্রের দাম নাকি বিএনপি বাড়াচ্ছে তাদের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য। সভায় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাহাবুদ্দিন রেজার সঞ্চালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য ও গবেষণা বিষক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হালিম মিঞা, সৈয়দ সরোয়ার আলম, আবদুস সামাদ, ফরিদ উদ্দিন, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শাহ নেছারুল হক, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।   
২৩ মার্চ, ২০২৪

সাকিবের সঙ্গে ছবি নিয়ে মুখ খুললেন মেজর হাফিজ
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বিএনএম-এ যোগ দেওয়ার ছবি প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এটা তো গোপন করার কিছু নয়। আমাকে অ্যাপ্রোচ করেছিল, আমি গ্রহণ করিনি। সাকিব আল হাসান দেশের গৌরব, তিনি এখানে কিছু করতে পারেনি। তবে অন্য কোথায় যোগ দিয়েছে।   মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে তার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, দেশে নোংরা রাজনীতি বিরাজমান। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে অনেক নোংরা খেলা খেলে থাকে, যে দলই সরকারের থাকে। রাজনীতিতে কোনো শর্টকার্ট বলতে কিছু নেই। সাধারণ মানুষের সঙ্গ ছাড়া রাজনীতিতে টিকে থাকা যায় না। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে যারা যোগাযোগ করেছে তাদের বলেছি ৩২ বছরের রাজনীতিক জীবনে দল পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আমি রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাই। আমার সঙ্গে সামরিক বাহিনীর কয়েকজন বারবার অফার নিয়ে আসেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে। সামরিক বাহিনীর কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য সাকিব আল হাসান হাসানকে আমার কাছে নিয়ে আসেন। আমি তখন বলি, তুমি বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তুমি রাজনীতি করবে কি না সেটি তোমার ব্যাপার। সাকিব তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনের আগে সাবেক তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঘোষণা দিলেন, ‘আমি বিএনএম পার্টিতে যোগ দিব’ এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি এখানেই সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। সাবেক মন্ত্রী মেজর হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনের আগেই বলেছি। যারা অফার নিয়ে এসেছিল, তাদের বলেছি, এই বয়সে রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করতে পারব না। আমার রাজনৈতিক কোনো বিলাস নেই। আমি নির্বাচন কমিশনে কাউকে পাঠাইনি। বিএনপির অনেক সংসদ সদস্য যোগযোগ করেছিল, আমি তাদের নিরস্ত্র করেছি। বিএনএম অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন, আমি নাকি টালবাহনা করেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মনে হয় সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই আমার বিরুদ্ধে এটা করেছে। আমি সরকারের শেষ সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম। আমি খেজুরের বদলে বরই খেতে বলিনি। সিন্ডিকেট করতে দেইনি। আমি বাবার দেওয়া বাড়িতে থাকি। আমার বিরুদ্ধে দুদকে কোনো অভিযোগও নাই। আমি কী বিএনএম যোগ দিয়েছি এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, কী দোষ আমার। তার বিরুদ্ধে এমন কিছু না করার অনুরোধ জানান তিনি। দল ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিয়ে কখনো অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলেননি বলে জানান মেজর হাফিজ।
১৯ মার্চ, ২০২৪

স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে বিতর্কিত করা হয়েছে : মেজর হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে ইতোমধ্যে বিতর্কিত করা হয়েছে। তবে বাঙালি সংগ্রামী জাতি, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ হোক কাল হোক, সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণ আবার তাদের মৌলিক অধিকারসমূহ ফিরে পাবে। এই সংগ্রামে বিএনপি নেতৃত্ব দেবে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিএনপি গঠিত স্বাধীনতা উদযাপন কমিটির আলোচনা সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে ইতোমধ্যে বিতর্কিত করা হয়েছে। মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিদের কবিতার মতো ইতিহাসও রচিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৮০ থেকে ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হলেও এখন আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ও সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য দায়ী। ২৫ মার্চের পর শুরু হয়েছিল সশস্ত্র সংগ্রাম। এটি খুব কঠিন। লাখ লাখ মানুষ তার জীবন ও রক্ত দিয়ে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। এই অংশটি সম্পর্কে শাসক দল নীরব। কারণ সেখানে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। জেড ফোর্স’র অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান অসীম সাহসী ছিলেন। তবে এখনকার শিশুদের মনে এই ধারণা দেওয়া হচ্ছে, তিনি ছিলেন একজন পাকিস্তানের এজেন্ট। অথচ আমি এখনও জীবিত আছি। আমি মেজর জিয়াউর রহমানের অধীনে রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছি। বিএনপির এ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা যদি প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ না হতেন। তবে আজও দেশ পাকিস্তান থাকত। কারণ পাকিস্তানের বর্বর বাহিনীর অস্ত্রের সামনে দাঁড়ানোর মতো নিরস্ত্র বাঙালির কাছে কোনো হাতিয়ার ছিল না। আমরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। একটি রাজনৈতিক দলের কৃতিত্বকে বড় করে দেখানোর জন্য দেশের সাধারণ মানুষদের অন্ধকারের রাখা হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অবশ্যই রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব আছে। স্বীকার করি। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন পর্যায় যেখানে জীবন দিতে হয়, সেখানেই এগিয়ে এসেছে বাঙালি সৈনিকরা। মুক্তিযুদ্ধে ছিল সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, এটি কোনো রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ ছিল না। মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রমকে ও সদস্য সচিব বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এ ছাড়া সদস্য রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সিলেট বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
১৪ মার্চ, ২০২৪

দুপুরে জামিন সন্ধ্যায় কারামুক্ত মেজর হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান হাফিজ উদ্দিন। এর আগে দুপুরে হাফিজ উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, হাফিজ উদ্দিনের সাজার বিরুদ্ধে আপিলসহ জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আপিল গ্রহণ করে এ মামলার নথি তলব করা হয়। পরে আপিল শুনানি শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন সাজা বহাল থাকবে না খালাস পাবেন। ভারতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত হাফিজ উদ্দিনের ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। দেশে ফিরে ৫ মার্চ আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
১১ মার্চ, ২০২৪

কারামুক্ত হলেন মেজর হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় কেরানিগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে দুপুরে রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় দণ্ডিত হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত।  এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, আসামি হাফিজের সাজার বিরুদ্ধে আপিলসহ তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল গ্রহণ করে এ মামলার নথি তলব করেছেন আদালত। পরে আপিল শুনানি শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন সাজা বহাল থাকবে, না খালাস পাবেন।  গত ১৪ ডিসেম্বর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ভারতে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত তার ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে গত ৩ মার্চ ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর ৫ মার্চ আত্মসমর্পণের পর ঢাকার মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেছ গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচার চালাকালীন সময়ে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।  
১০ মার্চ, ২০২৪

জামিন পেলেন মেজর হাফিজ
রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  রোববার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ১৪ ডিসেম্বর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ভারতে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত তার ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে গত ৩ মার্চ ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি। গত ৫ মার্চ আত্মসমর্পণের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।  ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচার চালাকালীন সময়ে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
১০ মার্চ, ২০২৪

বিএনপি নেতা মেজর হাফিজ কারাগারে
রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আত্মসমর্পণের পর গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে হাফিজ আদালতে হাজির হন। সে সময় তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের জন্য গত বছর ১৪ ডিসেম্বর ভারতে যান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত তার ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। গত ৩ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পানির ট্যাঙ্কের সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন মেজর হাফিজ। এ ছাড়া রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। মেজর হাফিজের মুক্তি দাবি দেশে বিরোধী দল ও ভিন্নমত পোষণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও জুলুম-নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি। মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন ফখরুল। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় হাফিজ উদ্দিনকে ফরমায়েশি সাজা প্রদান করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতার দম্ভে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলোর সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনাকে সরকার গণতন্ত্রকামী রাজনীতিবিদদের জন্য প্রযোজ্য করেছে। তিনি বলেন, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ’৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন, তা জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না। অথচ মিথ্যা মামলায় তার মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় আবারও প্রমাণ হলো, দেশে বিরোধী দল ও ভিন্নমত পোষণকারী মুক্তিযোদ্ধাদেরও জুলুম-নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না।
০৬ মার্চ, ২০২৪
X