বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় কেরানিগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় দণ্ডিত হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, আসামি হাফিজের সাজার বিরুদ্ধে আপিলসহ তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল গ্রহণ করে এ মামলার নথি তলব করেছেন আদালত। পরে আপিল শুনানি শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন সাজা বহাল থাকবে, না খালাস পাবেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ভারতে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত তার ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে গত ৩ মার্চ ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর ৫ মার্চ আত্মসমর্পণের পর ঢাকার মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেছ গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচার চালাকালীন সময়ে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
মন্তব্য করুন