খালে ময়লা ফেললে আইনি ব্যবস্থা : মেয়র আতিক
রাতের আঁধারে চোর যেভাবে চুরি করে, ডাকাত যেভাবে ডাকাতি করে তাদের থেকেও খালে নোংরা যারা ফেলে তারা বড় অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।  তিনি বলেন, যারা যারা খালে বর্জ্য ফেলবে আমি যদি দেখতে পারি তাহলে চোর চুরি করলে যেমন আইনের ধারায় শাস্তি হয় ঠিক তেমনি এদের জরিমানা করা হবে। এদের যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে যাব। বুধবার (১৫ মে) গুলশানে নগর ভবনের সামনে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরকে পরিষ্কার করার জন্য আমাদের নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ শহর আমাদের। এখানে আমরা থাকি। নিজেদের শহরকে ভালোবাসতে হবে। যিনি ঢাকা শহরে বাস করেন তিনি কীভাবে একটা নষ্ট ফ্রিজ খালের মধ্যে ফেলতে পারে। সর্বপ্রথম আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। একটা সোফা বা একটি জাজিম কিন্তু কোনোভাবেই খালের মধ্যে ফেলা যায় না। এগুলো কিন্তু অহরহ আমরা আমাদের ড্রেন এবং খাল থেকে উদ্ধার করছি। তিনি বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন ধরনের ট্রল হচ্ছে, যে রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। কিন্তু পানিটা কি জন্য জমে যাচ্ছে এটা আমরা কেউ চিন্তা করি না। আমাদের বিভিন্ন এলাকাতেও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন আছে। সেখানে কিন্তু সহজে আমরা বর্জ্য ফেলতে পারি। এখানে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ। একটা হলো মানুষের পয়ঃবর্জ্য। আরেকটি হলো কঠিন বর্জ্য। আমি বলেছি যারা যারা বর্জ্য ফেলবে আমি যদি দেখতে পারি তাহলে চোর চুরি করলে যেমন আইনের ধারায় শাস্তি হয় ঠিক তেমনি এদের জরিমানা করা হবে। এদের যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে যাব। প্রদর্শনী পরিদর্শনে এসে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই অনেক সময় বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাই। অনেকে ভিডিও করেও আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমরা গিয়ে দেখি, ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বোতল, চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকে। পানির মধ্যে বড় বড় জিনিসপত্র, জাজিম, সোফা, ফ্রিজ ফেলে রাখা হয়। তিনি বলেন, সরকার কাজ করবে। কিন্তু নাগরিকদের দায়িত্বের জায়গা থেকে, নাগরিকদের অধিকার যেমন সংরক্ষণের বিষয় আছে, তেমন দায়িত্ব পালনেরও বিষয়টি থাকে। নাগরিক তার দায়িত্বের জায়গা থেকে নিজ দায়িত্বটুকু পালন করলে তখনই সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে একটি পার্টনারশিপ তৈরি হয়। তখনই সমস্যাগুলো অনেক সহজে দূর হয়। একদিকে সিটি করপোরেশন সারাক্ষণই যদি পরিষ্কার করতে থাকে, অন্যদিকে আপনারা নোংরা করতে থাকেন, নিয়মের মধ্যে না থাকেন, তাহলে তো এ সমস্যা কোনোদিনও সমাধান হবে না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, উত্তর সিটি এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
১৫ মে, ২০২৪

৪ বছর পূর্তিতে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরলেন মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের চার বছর পূর্তিতে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা ভোট দিয়ে আমাকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সবার গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সাদরে গ্রহণ করে সমস্যা সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করেছি। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে গুলশান নগরভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের ও কাউন্সিলরদের চার বছরপূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, নির্বাচনের আগে নগরবাসীর প্রতি আমরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম। আমার নির্বাচনী ইশতেহার ছিল সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার। নগরবাসী আমাকে তাদের সেবক নির্বাচন করেছেন। আমি পুরোটা সময় চেষ্টা করেছি আমার প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের। বিগত চার বছরে যতগুলো সফলতা রয়েছে তার সব কৃতিত্ব নগরবাসীর। তাই আজ ভালো-মন্দ কাজের বিচারভার প্রিয় নগরবাসীর হাতে তুলে দিলাম। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই বছরে দুই লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। গত বর্ষায় (জুন- অক্টোবর) ফুটপাত, মিডিয়া, পার্কসহ, অন্যান্য খোলা জায়গায় প্রায় ৯০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন গাছগুলো বড় হচ্ছে। কিছু গাছ নষ্ট হয়েছে। এই বর্ষায় আমরা সেটা পরিবর্তন করে দেবো। পাশাপাশি ডেঙ্গু সচেতনতায় কাউন্সিলদের নেতৃত্বে নাগরিক কমিটি গঠন (প্রতি কাউন্সিলরকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ) এলাকাভিত্তিক জনসংযোগ ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ অভিযান এবং চার কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কিউলেক্স মশা নিধনে ডিএনসিসি এলাকার খাল ডোবা ও জলাধারের কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়েছে। মেয়র বলেন, মশক নিধনের অন্যতম একটি ন্যাচার বেজড সলিউশন বিটিআই। আমরা গতবার ডেঙ্গুর মৌসুমে বিটিআই এনেছিলাম। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল। আমরা তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার ডিএনসিসি নিজেই বিটি আই আমদানি করবে। মন্ত্রিপরিষদের সভায় ইতোমধ্যে এটি পাস হয়েছে। বর্ষাকালে যত্রতত্র পরে থাকা বিভিন্ন ময়লা যেমন টায়ার, দইয়ের বাটি, আইসক্রিমের কাপ, কোমড, পলিথিন ইত্যাদি পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি নগদ টাকায় কিনে নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে ডেঙ্গু মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে। আতিকুল ইসলাম বলেন, দুর্গম এলাকায় কার্যকরভাবে লার্ভিসাইট প্রয়োগের জন্য বাফেলো টার্বাইন মেশিন ব্যবহার করা হয়। বড় ডোবা, জলাশয়ের মতো জায়গায় লার্ভাসাইডিং করতে মশককর্মীরা যেতে পারেন না। সেসব জায়গায় বাফেলো টার্বাইন ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও গাবতলীতে ৪০ একর এবং মহাখালী টার্মিনালে ব্যাপক উচ্ছ্বেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বসিলার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন অবৈধ ফার্ম উচ্ছ্বেদ করে দুই একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। মগবাজার ফ্লাইওভারের ন্যায় মহাখালী ফ্লাইওভারের পুরোটাই (নিচে) দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো অবকাঠামো সাজানো হবে।   তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহন করে আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে ব্যবস্থাপনা করছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন হবে। একইসঙ্গে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রেডে যুক্ত হবে। গত সপ্তাহ থেকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মূল প্লান্ট নির্মাণের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসিসির ২৪টি পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করে এ বছর সবগুলো পার্ক ও খেলার মাঠ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মিরপুরের প্যারিস মাঠটি উদ্ধার করে ২২শ ট্রাফ বালু ফেলে ওই এলাকার শিশু কিশোরদের জন্য খেলার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন শতশত ছেলে মেয়ে খেলাধুলা করে। পাশাপাশি লাউতলা খালের পাড়ে অবৈধ মার্কেট ও ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছ্বেদ করে পার্ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জুন মাসে ৪৬ হাজার ৮শ ৯৯টি সড়ক বাতি লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনসিসি কাউন্সিলরদের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে দেখা যায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাতি নষ্ট ছিল। পরবর্তীতে আমরা সেই সাড়ে তিন হাজার বাতি প্রতিস্থাপন করে দিয়েছি। এছাড়া ২ হাজার বাতি নিয়মিত মেইনটেনেন্স রাখতে হচ্ছে। কোথাও বাতি নষ্ট হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটা প্রতিস্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে। বাতিগুলো যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০ হাইড্রলিক গাড়িও আমদানি করা হয়েছে। আতিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ান ওয়ে রোড সার্ভে শেষে সামনের মাসেই বনানীতে ওয়ান ওয়ে রোড চালু হতে যাচ্ছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস, গ্লোবাল রোড সেফটি এবং ওয়ার্ল্ড রিসোর্চেস এ কাজটির জন্য সহযোগিতা করছে। এ অঞ্চলে যানজট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া অনস্ট্রিট স্মার্ট পার্কিং রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রাথমিকভাবে গুলশানের আটটি রাস্তার ১৯৮টি অনস্ট্রিট পার্কিং চালু করা হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে এই সেবা নেওয়া যায়। অ্যাপটি ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার যানবাহন পার্ক করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।
১৩ মে, ২০২৪

ডিএনসিসির একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কিন্তু সবাই সচেতন না হলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সোমবার (৬ মে) রাজধানীর কুড়িল প্রগতি সরণিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও মশক নিধন অভিযান শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, রোদ ও বৃষ্টি এমন আবহাওয়ায় জমা পানিতে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই এই সময়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বর্ষা শুরুর আগে থেকেই আমরা একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে আছে, অভিযান করছেন। এডিসের লার্ভা পেলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মেয়র বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ কিন্তু অনেক। একদিকে দাবদাহ, অন্যদিকে এডিস মশা, আরেক দিকে সিটি করপোরেশনের রোপণ করা গাছগুলোকে রক্ষা করা। আমরা মনে করি, কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না, যদি জনগণ আমাদের সঙ্গে এগিয়ে আসে। অফিস, দোকান ও যার যার বাসাবাড়ি যদি নিজেরা পরিষ্কার করি তাহলে এডিস মশা জন্মাবে না। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছে, লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং করছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি আমরা। এডিসের লার্ভা পেলে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা জরিমানা করছেন। আমাদের উদ্দেশ্য জেল-জরিমানা করা না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা। মেয়র বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, খালের ও ড্রেনের ময়লা পানিতে এডিস মশা জন্মায় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা জন্মায়।  যেসব পরিত্যক্ত দ্রব্যাদিতে পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে সেসব দ্রব্যাদি সিটি করপোরেশন কিনে নিচ্ছে। ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, দইয়ের কাপ এগুলো যত্রতত্র না ফেলে ডিএনসিসির কাউন্সিলরদের কাছে জাম দিন নগদ টাকা গ্রহণ করুন। পুরোনো টায়ার, কমোড, রঙের কৌটা এগুলো ছাদে বা বারান্দায় না রেখে আমাদের কাউন্সিলরদের কাছে জমা দিয়ে টাকা নিন। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র ট্রাকে ওঠে এডিস মশার উৎসস্থল-গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলো দেখিয়ে জনগণকে সচেতন করেন এবং প্রগতি সরণি এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। এডিস মশা জন্মাতে পারে এমন পরিত্যক্ত জিনিসপত্র ক্রয় করেন মেয়র আতিক। কুড়িল ব্রিজের নিচে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা, পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ করেন মেয়র। পরে মেয়র কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেন। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মেয়রের উপস্থিতিতে একটি বাড়িতে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অন্য আরেকটি বাড়িতে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত।
০৬ মে, ২০২৪

পথচারী ও শিশুদের নিয়ে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’তে ভিজলেন মেয়র আতিক
বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র তাপপ্রবাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে নগরীতে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ পথচারী ও শিশুদের ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’তে ভিজে আনন্দ করতে দেখা যায়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে গিয়ে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন করেন এবং নিজে ট্যাপ ছেড়ে পানি পান করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। পরে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো শুরু হলে মেয়র নিজে উচ্ছ্বসিত শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ছিটানো ওই পানিতে ভিজেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক মাস ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ তাপপ্রবাহ থেকে নাগরিকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএনসিসিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন। সে অনুযায়ী ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেয়র আতিক বলেন, দুটি গাড়ি দিয়ে প্রতিদিন চার লাখ লিটার পানি আমরা ছিটাব। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি দেওয়া হবে। তবে গাড়িগুলো অলিগলিতে যেতে পারবে না, মেইন রোডে থাকবে। আর সড়কে পানি ছিটানোর জন্য ১০টি ব্রাউজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একেক ব্রাউজারে ১৫ হাজার লিটার করে পানি ধরে। আগামী সাত দিনের মধ্যে উত্তর সিটির বিভিন্ন পার্কে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলেছি। আমরা আশা করি, আগামী সাত দিনের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম পানির ব্যবস্থা করতে পারব। এ ছাড়া আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বিশুদ্ধ পানির ভ্যান থাকবে। ছোট ছোট ভ্যানগুলো নিয়ে অলিগলিতে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগরের মানুষ ভ্যান থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারবেন। এগুলোও আমাদের চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে করা হয়েছে। নগরের দোকান এবং শপিংমলগুলোর সামনে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি দোকান বা শপিংমলে পানির ব্যবস্থা রাখুন। যাতে নগরবাসী তৃষ্ণা মেটাতে পারে। গত বছর নগরের বিভিন্ন এলাকায় ৮০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমরা চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এবার আমরা আরও এক লাখ ২০ হাজার গাছ লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পরপরই আমরা এ কার্যক্রম শুরু করব। পাশাপাশি এসব কাজ রক্ষণাবেক্ষণে আমরা বেশ গুরুত্ব দিচ্ছি। যে এলাকায় গাছগুলো লাগানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কমিউনিটিকে আমরা যুক্ত করছি।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

হিট অফিসার শুধু পরামর্শ দেন, বাস্তবায়ন করতে হবে আমাদের: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। হিট অফিসার একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু কাজগুলো আসলে আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এ কাজগুলো করছি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।   চিফ হিট অফিসারের কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে শুনছি চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন। আসলে এটা সঠিক নয়। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি করপোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনো চেয়ারও নেই। হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান (অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ দিয়েছে এবং ৭ জনই নারী। পথচারীদের বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য মেয়র প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি বিশেষ ভ্যানগাড়ির (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) ব্যবস্থা করেছেন। ভ্যানগুলো পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যাতে শহরের অলি-গলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী এবং শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি পান করতে পারেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোতেও কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান ডিএনসিসির মেয়র। নগরবাসীকে আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নগরবাসীর প্রতি আমার ৩টি আহ্বান। আমি ডিএনসিসি এলাকার দোকানদার, ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের অনুরোধ করছি- আপনারা প্রতিটি দোকান, শপিংমল, মার্কেটের সামনে পানি খাওয়ার জন্য একটি ড্রামের ব্যবস্থা রাখবেন। সবাই যেন পানি পান করতে পারে। আমরা গত বছর ৮০ হাজার গাছ রোপণ করেছিলাম। এই বছর আরও ১ লাখ ২০ হাজার গাছ রোপণ করা হবে। এই গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করছি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হামিদা আক্তার (মিতা) প্রমুখ।  
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদে ঘরমুখী মানুষদের যে বার্তা দিলেন মেয়র আতিক
সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সবাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে চায়। এ জন্যই ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখী মানুষ।  এবারের ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা এসব মানুষের জন্য সচেতনতামূলক বার্তা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। শনিবার (৬ এপ্রিল) ডিএনসিসির ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আসছে ঈদ। ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে নাড়ির টানে অনেকেই বাড়ি ফিরছেন। বাসাবাড়ি, স্কুল-কলেজসহ সব প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নিরাপত্তা ছাড়াও আরও কিছু বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’  তিনি বলেন, ‘ছাদ, বেজমেন্ট, বারান্দা, ফুলের টব, ফ্রিজের ট্রেসহ কোথাও কোনো পানি জমছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া। কমোডের ঢাকনাটি যথাযথভাবে লাগিয়ে রাখা। কারণ আপনার অনুপস্থিতিতে এই স্থানগুলো হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী এডিস মশার বংশবৃদ্ধির উপযুক্ত জায়গা। তাই নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি।’
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুই এনে দিয়েছেন : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে ডিএনসিসি।   আজ রোববার (১৭ মার্চ ) ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম রাজধানীর গুলশান-২ এ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মূল ফটকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ডিএনসিসির সকল কর্মকর্তা, কাউন্সিলর, ডিএনসিসি শ্রমিক লীগ, ডিএনসিসি স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ডিএনসিসি পরিবহন চালক-শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ ইউনিয়ন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নগর ভবনের হলরুমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতেই জাতির পিতার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। সভায় উপস্থিত অতিথিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা সভায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, পাল, সেন, সুলতান, মোঘল, আফগান, ইংরেজ শাসন যাই বলি না কেনো, হাজার বছর পরাধীনতার গ্লানি বয়ে বেড়িছে এ জাতি। স্বাধীনতা ছিল আজন্ম চাওয়া। কেউ স্বাধীনতা দিতে পারেনি। কেবল স্বাধীনতা দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। যার তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ সমুদ্রের মতো জেগে উঠেছিল। ছিনিয়ে এনেছিল এই দেশ, এই স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন মানচিত্র। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন। নিজেকে নিয়ে কখনো ভাবেননি। সবসময় এই দেশের জনগণের কথা ভেবেছেন। আমি বলতে চাই বঙ্গবন্ধুর মতো জীবন দেওয়ার দরকার নাই, শুধু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে নিজেদের দায়িত্ব পালন ও নিজেদের কাজটা সঠিকভাবে করে যান। তাহলেই সুন্দর শহর গড়ে উঠবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাসিনা বারী চৌধুরী, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।
১৭ মার্চ, ২০২৪

প্যারিস খাল / সময়ের মধ্যে না সরলে উচ্ছেদ করা হবে : মেয়র আতিক
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মিরপুর প্যারিস খাল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যোগ দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খালের জায়গায় কিছু বস্তি আছে। বস্তিবাসীদের এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে সরে যাওয়ার জন্য। চাইলে আজকে বুলডোজার দিয়ে সব ভেঙে ফেলতে পারতাম কিন্তু ভাঙিনি, তাদের সময় দিয়েছি। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর প্যারিস খালে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে বিডি ক্লিনের স্বেচ্ছাসেবীদের দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ বাক্য পাঠ করান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মেয়র বলেন, এরই মধ্যে খালের জমি মাপা শুরু হয়েছে। খালের জায়গার মধ্যে যে বিল্ডিং পড়বে সেগুলো ভেঙে দেওয়া হবে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, প্যারিস খাল পরিষ্কার শুরু করেছি। প্রথম ধাপে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া প্যারিস খালে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।  তিনি বলেন, দুই দিন আগে পরিদর্শনে এসে আমি সবাইকে খালের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অনেকে যার যার স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ সময় চেয়েছে। অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য আমি তাদের এক মাস সময় দিয়েছি। ময়লা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। মেয়র বলেন, একসময় মিরপুর প্যারিস খাল দিয়ে লঞ্চ চলত। আর আজ সেই খাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লার কারণে এই খালে কোনো পানি নেই বরং খালের ওপর দিয়ে হাঁটা যায়। আমি নিজে জনগণের জন্য খাল পরিষ্কারে অংশ নিয়েছি। এলাকাবাসীর লজ্জা হওয়া দরকার তারা এই খালটিকে ময়লা ফেলে, দখল করে গলা টিপে হত্যা করেছে। স্বেচ্ছাসেবীরা আজ ছুটির দিনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে খাল পরিষ্কারের জন্য ছুটে এসেছে। অথচ এই ছেলেমেয়েদের আজকে মাঠে খেলাধুলা করা কথা ছিল, বাসায় বিশ্রাম করা কথা ছিল। কিন্তু তারা খেলা, বিশ্রাম বাদ দিয়ে খাল পরিষ্কারে অংশ নিয়েছে। এলাকাবাসীকে আহ্বান করছি এর থেকে শিক্ষা নিয়ে খালে ময়লা ফেলা বন্ধ করুন। এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, এই এলাকার মানুষ আমাকে অভিযোগ করে একটু বৃষ্টি হলে এই এলাকা পানিতে ডুবে যায়। অনেক মুরুব্বি আমাকে জানিয়েছে মসজিদের অযুখানা পর্যন্ত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। প্যারিস খাল দিয়ে যদি পানি প্রবাহিত হতে পারে তাহলে কিন্তু এই জলাবদ্ধতা থাকবে না। সবাই বলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কিছু করে না। এলাকাবাসীকে বলতে চাই আপনারা যদি খালে ময়লা ফেলা বন্ধ করেন তাহলে জলাবদ্ধতা থাকবে না। শুধু সিটি না, আপনাদের নিজেদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, এখানে কিছু কিছু জায়গায় মাদকের বাণিজ্য চলে। এখানে বড় একটি চক্র ও গ্যাং মাদক কারবারি করছে আমার কাছে তথ্য এসেছে। অভিযান শুরু হয়েছে। এখানে ধাপে ধাপে কাজ করা হবে। প্রথমে আমরা প্যারিস খালে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই। দ্বিতীয় ধাপে খালের ৪০ ফিট জায়গায উদ্ধারের পরে যে জায়গা থাকবে সে জায়গায় ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। পরে আরও দুপাশে জায়গা পাওয়া গেলে সেখানে একটি নান্দনিক পার্ক তৈরি করব। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহে আলম, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি মিরপুর প্যারিস খাল পরিদর্শনে এসে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র।   
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শুক্রবার থেকে প্যারিস খালে উদ্ধারকাজ শুরু : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগামী শুক্রবার সকালে আমি সশরীরে উপস্থিত থেকে প্যারিস খাল পরিষ্কার অভিযান শুরু করব। সিটি করপোরেশনের কর্মী, বিডি ক্লিনের স্বেচ্ছাসেবী এবং এলাকাবাসীকে নিয়ে এই খাল পরিষ্কার করব। ময়লা ও দখলমুক্ত করে মিরপুর প্যারিস খাল আগের রুপে ফেরানো হবে। এই খাল পরিষ্কার হলে মেয়র এবং কাউন্সিলররা কিন্তু এর সুফল ভোগ করবে না। এর সুফল ভোগ করবে এলাকাবাসী।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মিরপুর ১১ তে প্যারিস খাল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমি আজ মিরপুর প্যারিস খালের উপরে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি খাল। অথচ একসময় এই প্যারিস খাল দিয়ে নৌকা চলত, এই খালে মানুষ সাঁতার কাটত। সবাই নির্বিচারে ময়লা ফেলে খাল ভরাট করে ফেলেছে। পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, এই এলাকার বাড়িঘর ডুবে যায়। কারণ এই খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খালটিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। অথচ এই এলাকার মানুষই অভিযোগ করছে জলাবদ্ধতার বিষয়ে। ঐতিহ্যবাহী এই প্যারিস খাল পুনরুদ্ধারে আমি এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই। মেয়র বলেন, প্যারিস খালটির প্রস্থ ৪০ ফুট হলেও কোনো কোনো জায়গায় ১৮ ফুট, ১৫ ফুট। কোনো কোনো জায়গায় এখন ১০-১১ ফুট অবশিষ্ট আছে। এতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা খুব প্রয়োজন। যখন মেশিন আসবে, তখন তাদের নানা বিপত্তিতে পড়তে হবে। খাল দখল কোনো সমাধান না। উচ্ছেদ না করা ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই। যারা এখানে বসবাস করেন, তাদের চলে যেতে হবে। কারণ ভাঙা শুরু করলে থাকার কোনো অবস্থা থাকবে না। ময়লামুক্ত ও দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান ও উচ্ছেদ চলমান থাকবে। এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে আতিকুল ইসলাম বলেন, খাল পরিষ্কার থাকলে রোগবালাই কম হবে। মশার প্রজনন কমে যাবে। দুর্গন্ধ থাকবে না। আপনারাই ভালো থাকবেন। উন্নত দেশে খাল সামনে রেখে বাড়ি নির্মাণ করা হয়। আর আমাদের দেশের উল্টো চিত্র। আমাদের দেশে সবাই খাল পেছনে রেখে বাড়ি নির্মাণ করি। বাড়ির পেছনে খালকে ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করি। এ অবস্থা থেকে পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিদর্শনে এসে দেখলাম খালে অনেক বাঁশের সাঁকো, বিদ্যুতের সংযোগ, সুয়ারেজের সংযোগ। সবাইকে অনুরোধ করছি এগুলো সরিয়ে নিবেন। দূষণকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র বলেন, আমরা খালটি পরিষ্কার করার পর আর কেউ ময়লা ফেলতে পারবেন না। খালের পাড়ে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিব। খালে ময়লা ফেললে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ দখলদাররা নিজ দায়িত্বে দখলমুক্ত করে দিবেন। আমরা যখন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব তখন কিন্তু সময় পাবেন না।  সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে একের পর এক অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান করছি। এর আগে আমরা লাউতলা খাল, রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধার করেছি। দীর্ঘ ৪০ বছর পর সূতিভোলা খাল উদ্ধার করেছি। গত সপ্তাহে মোহাম্মদপুরে জাকের ডেইরি ফার্মের অবৈধ দখল থেকে ডিএনসিসির জমি উদ্ধার করেছি। নগরের অন্য খালগুলো যেভাবে সংস্কার করা হয়েছে, এখানেও তাই করা হবে। ঢাকার যেসব খাল এভাবে দখল করা হয়েছিল, সবই কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা উদ্ধার করেছি। খাল উদ্ধারের পর খালের পাশে ওয়াকওয়ে করা হবে, সাইকেল লেন করা হবে। স্থায়ীভাবে এসবের সমাধান করা হবে। পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ (জনি) প্রমুখ।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব দেবে : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব দেবে। তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস যারা করছে তারা চায় না সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র চলুক। কিন্তু জনগণ চায়, প্রধানমন্ত্রী চায় এবং আমরা চাই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। পাঁচ বছর পরপর ভোটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন হবে। জনগণ যাকে ভোটের মাধ্যমে জয়ী করবে সংবিধান অনুযায়ী সে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে উত্তরা রাজউক মডেল কলেজ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।  ট্রেনে অগ্নিসন্ত্রাসকে অমানবিক ও পৈশাচিক উল্লেখ করে মেয়র বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে বাচ্চাদের হত্যা করা অমানুষিক। বিএনপি, জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস প্রমাণ করে যারা দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর তারা এখনো আছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পেট্রল মেরে, বোমা মেরে, মানুষ খুন করে ভোটের ধারাকে ব্যাহত করা যাবে না। জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। মেয়র বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন জনগণ বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবে। আমি বলি নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নাই, নৌকার গিয়ার একটি সেটি হলো উন্নয়নের গিয়ার। আজ ভোটের দিন সবার মধ্যে ঈদের আনন্দের মতো উৎসব। পুরো শহরে পুলিশ বাহিনী নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে৷ সুন্দর আবহাওয়া সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন, ভোট দিন। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, পাঁচ বছর জাতীয় নির্বাচন হয়। ভোট দেওয়া জনগণের নাগরিক অধিকার। খুব সুন্দর সুশৃঙ্খল ভোটের পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করব সবাই ভোট দিন, আপনাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করুন। আমি বিশ্বাস করি, এ বছর ভোটের পার্সেন্টেজ বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হবে। শীতের সকাল তাই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতি অনেক বাড়বে।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪
X