কর্মজীবী মায়ের ত্বকের যত্ন
কর্মজীবী প্রতিটি মা একজন বিস্ময়কর নারী। ঘরের পাশাপাশি বাইরের কাজও দক্ষতার সঙ্গে সামলে নেন তারা। সন্তানদের বড় করার পাশাপাশি ঘর-অফিস এ দুটি ভিন্ন জগৎ পরিচালনা করা মোটেও সহজ নয়। এমনকি নিজেদের জন্য একটু সময় বের করতে পারেন না কর্মজীবী মায়েরা। ত্বক তো দূরের কথা, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতিও তাদের নজর থাকে না। কিন্তু ত্বক ও স্বাস্থ্য নিয়ে একদম হেলাফেলা করা যাবে না। কীভাবে কম সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন কর্মজীবী মায়েরা—রইল কিছু টিপস। সকালের রুটিন কর্মজীবী মায়েরা সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন সকালে। তাই এ সময়ে স্কিনকেয়ারের জন্য খুব বেশি কিছু না রাখাই ভালো। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্রাশ করে ত্বকের সঙ্গে মানানসই একটি ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর একটি ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই মুখে এবং ঘাড়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিনটি যাতে এসপিএফ৩০ বা ৫০ যুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটের কথা ভুলে গেলে চলবে না। গোসলের পর কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে লিপবাম ব্যবহার করুন। এটি আপনার ঠোঁটের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করতে। রাতের রুটিন ক্লান্তিময় একটি দিন পার করার পর ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে ত্বক যেমন সতেজ থাকবে, মেজাজও থাকবে ফুরফুরে। কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে যত দ্রুত সম্ভব একটি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটি পরিষ্কার করে নিন। প্রয়োজনে ডাবল ক্লিনজিং করে নিন। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে ভিটামিন-সি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন-সি সিরাম কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা ও বয়সের দাগের মতো বার্ধক্যের চিহ্ন কমাতে সাহায্য করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখে ভালোমানের নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। প্রসাধনী পণ্য যাই হোক না কেন, হাতের আঙুলের সাহায্যে আলতো করে মুখ ম্যাসাজ করুন। খুব বেশি ঘষবেন না। ছুটির দিনে সপ্তাহের ছয় দিন ঘর-বাইরে সামলে এই একটি দিন কর্মজীবী মায়েরা পান আরামের জন্য। এদিন ঘরের কাজ থেকে না হলেও অফিরের কাজ থেকে তাদের ফুরসত মেলে। তাই ছুটির এ দিনটিতে ভালোভাবে স্কিনকেয়ার করা যেতেই পারে। শুরুতে ভালো একটি স্ক্র্যাবার দিয়ে মুখটি ভালোভাবে স্ক্র্যাব করে নিন। এজন্য মধু ও চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে বাড়িতেই স্ক্র্যাবার তৈরি করে নিতে পারেন। তবে স্ক্র্যাবার ব্যবহারের সময় ত্বকে একদম জোরে ঘষাঘষি করবেন না। স্ক্র্যাব করার ফলে ত্বকে থাকা মৃত কোষ সহজেই উঠে আসে। একই স্ক্র্যাবার দিয়ে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁট স্ক্র্যাব করে নিন। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালো ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করুন। এজন্য ক্লে মাস্ক, শিট মাস্ক, ক্রিম মাস্ক বা ত্বকের সঙ্গে মানানসই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ফেসিয়াল মাস্ক আপনার ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে। প্রতিটি স্কিনকেয়ার রুটিনের শেষ ধাপ হলো ময়েশ্চারাইজিং। শিয়া বাটার, কোকো বাটার, গ্লিসারিন ইত্যাদি ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখতে দারুণভাবে কাজ করে। ছবি: রনি বাউল
১১ মে, ২০২৪

গরমে গাছের যত্ন
গরমে দুর্বিষহ সময় পার করছেন বাগানপ্রেমীরাও। গরমে স্বল্প পরিসরে টবে বা ড্রামে থাকা গাছগুলো নেতিয়ে পড়ছে সহজেই। আর এ মৌসুমে বাগানিদের জন্য কিছু টিপস তুলে এনেছেন সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি দিনে নয়, ভোরে কিংবা সন্ধ্যার পর গাছে পানি দিন। হিউমিডিটি বাড়াতে পাতায়ও পানি ছিটিয়ে দিন। সকাল ৮টার মধ্যে পানি দিয়ে দিলেই সবচেয়ে ভালো। তবে আলো ফুটলে যদি পানি দিতে হয় তবে তা যেন পাতায় না পড়ে। পরিমিত পানি দিন। মাটিতে আঙুল দিয়ে দেখুন ভেজা কি না। ভেজা থাকলে পানি দেওয়া যাবে না। প্রতিবারে গাছের ধরন বুঝে টব ভরে পানি দিন। টবের ওপর শুকনো পাতা, ছোবড়া দিয়ে মালচিং করুন। এতে মাটির আর্দ্রতা ঠিক থাকবে। পানি দ্রুত শুকাবে না। গরমে টবকে পাটাতনের ওপর রাখুন। তা না হলে ছাদের গরম দ্রুত গাছেও ছড়াবে। গাছ নেতিয়ে গেলে তাতে দ্রুত পানি না দিয়ে সেটাকে প্রথমে ঘণ্টাখানেক ছায়ায় রাখুন, তারপর পানি দিন। গাছগুলো কাছাকাছি রাখুন। এতে করে গাছগুলো একে অন্যের নিঃসৃত বাষ্পেও সতেজ থাকবে। এ সময় শীতকালীন গাছ ও গোলাপগাছ অবশ্যই ছায়ায় রাখুন। অসহনীয় কড়া রোদ পড়লে গাছে ছায়ার ব্যবস্থা করুন। সরাসরি এসির এক্সহস্টের সামনে গাছ রাখবেন না। এতে গাছ দিনে দিনেই মরে যাবে। এ মৌসুমে ফলগাছ লাগাবেন না। এখন চারা বানাতে গেলেও তা না টেকার সম্ভাবনা বেশি। বর্ষার শুরুতে ফলগাছ লাগান। গরমে ইউরিয়া, পটাশ বাদ দিয়ে গোবর, সবজির খোসা বা পেঁয়াজের খোসা ভেজানো পানি দিন।
০৭ মে, ২০২৪

গরমে চুলের যত্ন
গরমে সবার জীবনই প্রায় অতিষ্ঠ। ঘরে-বাইরে সবখানেই রোদের তাপ। সেইসঙ্গে আছে ধুলাবালু। আবহাওয়ার এই চরম অবস্থার প্রভাব পড়ছে আমাদের চুলে। কারণ যেখানে তাপ, সেখানেই ঘাম। আর ঘামের সঙ্গে যোগ হয় স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল। এই তেল-চিটচিটে ঘাম ও বাতাসের ধুলাবালু মিশে চুলে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়ে দেখা দেয় খুশকি, র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি। সেইসঙ্গে এদের প্রভাবে চুল পড়তে থাকে। চুল দেখাবে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে চুলের বিশেষ পরিচর্যার বিকল্প নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরমে চুলের যত্নের ধাপগুলো সম্পর্কে। চুল শুকিয়ে নিন বাইরে থেকে ঘরে ফিরে চুলের গোড়া ঘেমে গেলে ফ্যানের ঠান্ডা বাতাসে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। কোনোভাবেই ঘামে ভেজা চুল বেঁধে রাখা যাবে না। এটি হলো গরমে চুলের যত্ন নেওয়ার প্রথম শর্ত। শ্যাম্পু করুন যাদের প্রতিদিন বাইরে যেতে হয় তাদের অবশ্যই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা এবং কন্ডিশনার লাগানো উচিত। চুল প্রতিদিন বেশি পানি দিয়ে ধুতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে শ্যাম্পু করার পর চুলের গোড়ায় যেন বাড়তি শ্যাম্পু না লেগে থাকে। সম্ভব হলে শ্যাম্পুর সঙ্গে একটু কফি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। তেল দিন প্রতি রাতে চুলে তেল লাগিয়ে রাখতে পারেন। এটি চুলের ডিপ কন্ডিশনিংয়ের কাজ করবে। চুলে তেল লাগানোর আগে তেলের সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিলে চুল খুশকিমুক্ত থাকবে। চুল পড়া কমাতে আমলকীর রস, মেথি, কালোজিরা, অ্যালোভেরা ও ক্যাস্টর অয়েল নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। পরের দিন শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন! গরমে চুলের যত্ন নিতে গিয়ে তেল বাদ দিলে হবে না! অ্যালোভেরার প্যাক এই গরমে ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে এবং এটি চুল পড়াও কমাবে। অ্যালোভেরার রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। ঘৃতকুমারীর রস, মেথি গুঁড়া ও ত্রিফলা (আমলকী, হরীতকী ও বহেরা ভিজানো পানি) একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। এতে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো করবে। মেহেদি ও টক দইয়ের প্যাক চুলের পরিচর্যার জন্য টক দই, মেহেদি পাতা, মেথি গুঁড়া ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ৩০ মিনিটের মতো লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। টক দই চুলকে ময়েশ্চারাইজ করবে। মেথি গুঁড়া খুশকি দূর করে এবং চুল ঝলমল করবে লেবুর রস। এটি অন্তত সপ্তাহে এক দিন করা উচিত। কলা ও আমলকীর প্যাক চুলের পাকা কলা, আমলকীর রস, মধু এবং মেথি গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন। এটি একই সঙ্গে চুল নরম করবে এবং রোদে পুড়ে লালচে হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে। চুল হালকা করে বাঁধুন এই গরমের সময় চুলটা আঁটসাঁট করে না বেঁধে পাঞ্চ ক্লিপে হালকা করে আটকে নিন। আর এমন হেয়ার স্টাইল করুন, যেটি গরমের সময় আরামদায়ক হয়। হেয়ার ড্রায়ারে চুল শুকাবেন না এই গরমে চুল তো ঘামেই। তাই বলে গরমে চুলের যত্ন নিতে গিয়ে চুল শুকাতে বা ঘাম শুকাতে হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস ব্যবহার করা যাবে না। চুলের আগা ফেটে যাওয়া হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস প্রধান কারণ। ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন গরমে চুলে যত্ন নিতে রোদে বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। এতে চুল কড়া রোদ ও অতিরিক্ত ধুলাবালু থেকে রক্ষা পাবে।
০৪ মে, ২০২৪

সুতি পোশাকের যত্ন
n সুতির যে পোশাকগুলো পাতলা হয়, সেগুলো যত্নের সঙ্গে রাখতে হয়। খুব বেশি ঘষে বা আছাড় মেরে কাচলে ছিঁড়ে যেতে পারে। যদিও এখন বেশিরভাগ মানুষের জামাকাপড় কাচার ভরসা ওয়াশিং মেশিন। তবু সুতির জামাকাপড় কাচলে আপনাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমে ঠান্ডা পানিতে লিকুইড সাবান গুলে সুতির পোশাকগুলো ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর কেচে নিন কিংবা ওয়াশিং মেশিন দিয়ে কেচে ফেলুন। n গরমে প্রতিদিন জামাকাপড় কাচা উচিত। যেহেতু গরমে ঘাম হয়, এতে জামাকাপড়ে দুর্গন্ধ ছাড়ে এবং জীবাণু বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুতির পোশাক এক দিন পরপর কেচে ফেলতে পারেন। কিন্তু খুব বেশি নোংরা করবেন না। এতে দাগ বসে যাবে এবং চেপে কাচলে কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে। n সুতির পোশাক ভালো রাখতে কাচার পর মাড় দিন। ব্যস্ত জীবনযাত্রার মধ্যে অনেকেই এই মাড় দেওয়ার ধাপটি এড়িয়ে যান। কিন্তু মা-দাদিরা আজও সুতি কাপড় কাচার পর মাড় দেন। মাড় দিলে বেশি জোরে কাপড় নিংড়াবেন না। পানি ঝরিয়ে শুকাতে দিন। n এখন যে পরিমাণ রোদের তেজ, তাতে সরাসরি সূর্যালোকে পোশাক দিলে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সব সময় হালকা রোদে কিংবা ছায়ায় ও বাতাসে পোশাক শুকাতে দিন। এতে আপনার পোশাকের রং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে না। খুব টানটান করে কাপড় মেলবেন না। n সুতির পোশাক কেনার সময়ও সতর্ক থাকুন। সব সময় এক সাইজ বড় পোশাক কিনুন। কারণ সুতির কাপড় কাচার পর তা একটু ছোট হয়ে যায়। n সুতির পোশাক আলমারিতে রাখার সময় ছোট টোটকা মেনে চলুন। আলমারির তাকে কালোজিরা আর শুকনো মরিচ সাদা কাপড়ে পুঁটলি বেঁধে রেখে দিন। এতে আপনার সুতির পোশাক ভালো থাকবে।
০৪ মে, ২০২৪

গরমে পোষা প্রাণীর যত্ন নেবেন যেভাবে
দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে গরম। প্রচণ্ড রোদে নাজেহাল আপনি। ঠিক তেমনই চরম গরমে কষ্ট পাচ্ছে আপনার বাড়ির পোষা প্রাণীটি। এই সময়টা তাদের প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। কী করবেন?  চরম গরমে ডিহাইড্রেশনে ভোগে প্রাণীরাও। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গিয়ে মারাত্মক অসুস্থ হতে পারে তারাও। এই সমস্যার আগে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায় তাদের শরীরে। যা দেখে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়।  অত্যধিক গরমের কারণে স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় লালা ঝরতে পারে প্রাণীদের। অন্যসময়ে লালার যা ঘনত্ব হয়, গরমে তার চেয়ে ঘনত্ব বেশি হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কুকুরের নাক গরম হয়ে গেলে বা শুকনো মনে হলে জ্বর আসতে পারে, সেজন্য সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।   গরম থেকে পোষা প্রাণীদের ডায়রিয়া হতে পারে। অস্বাভাবিকভাবে মলত্যাগ করলে, মলে রক্তের উপস্থিতি থাকলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। হিটস্ট্রোক হলে প্রাণীদের মূত্রত্যাগের সমস্যা হয়। তাই এ বিষয়টি খেয়াল রাখুন। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে প্রাণী। অতিরিক্ত ঘুম হয়। দৌড়ঝাঁপ করতেও সমস্যা হয়। আপনার পোষা প্রাণী হঠাৎ চুপচাপ হয়ে গেলে বা অধিকাংশ সময় শুয়ে কাটালে ভালো করে পরীক্ষা করা দরকার। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আগেভাগে বেশ কিছু সতর্কতা নেওয়া গেলে, অনেক সমস্যা ঠেকানো যাবে। গরমের সময় পোষা প্রাণীকে কোনোভাবেই বন্ধ গাড়ির মধ্যে রাখা যাবে না। খুব প্রয়োজনে রাখতে হলেও এসি চালিয়ে রাখতে হবে বা সব জানলা খোলা রাখতে হবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

গরমে ত্বকের যত্ন
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত বা বসন্ত—প্রতিটি মৌসুম ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়া নিয়ে হাজির হয়। প্রতিটি মৌসুমের বদলানো আবহাওয়ার প্রভাব আমাদের ত্বকের ওপর নানাভাবে পড়ে। যেমন— শীতকালে ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু শুষ্কতা, গ্রীষ্মে ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার পাশাপাশি কালো দাগ, শুষ্ক ও র‌্যাশ ওঠার ভয়ও থাকে। তাই যদি ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে চান তাহলে মৌসুম বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে স্কিন কেয়ারের রুটিনেও আনতে হবে পরিবর্তন। বর্তমানে চলছে গ্রীষ্মকাল। এ কারণে ত্বকের সঠিক যত্ন নিতেই হবে। না হলে বড় সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। এ সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এত বেশি থাকে যে, প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণেও ত্বকে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে বেশি। অতিরিক্ত প্রাকৃতিক তেল ক্ষরণ এবং ধুলো-ময়লা জমার কারণেও ত্বকরন্ধ্র বদ্ধ হয়ে যায়। সারা সপ্তাহে কয়েকটি ছোট ছোট নিয়ম মেনে যত্ন নিলেই ত্বকের জেল্লা নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না! তবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ত্বকের সৌন্দর্য নয়, স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। তাই গরমকালে ঘরোয়া স্কিন কেয়ার রুটিন কেমন হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে জেনে নিন ঝটপট— তিল পরীক্ষা গ্রীষ্মের শুরুতেই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে সম্পূর্ণ শরীর পরীক্ষা করিয়ে নিন। এতে করে আপনার ত্বকে থাকা মোলস বা তিলগুলো ওই বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করতে পারবেন এবং সেগুলো সময়ের সঙ্গে কতটা বিবর্তিত হয় তাও জানতে পারবেন। এমনকি আপনি সূর্যের সংস্পর্শে কত সময় থাকতে পারবেন তারও পরামর্শ দিয়ে দেবেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। যদি সময় থাকতে মোলস বা তিলগুলো পরীক্ষা করিয়ে সতর্ক থাকতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে মেসতার মতো ভয়ানক সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন। শুধু গ্রীষ্ম মৌসুমে নয়, আপনার ত্বকে যদি তিল বা মোলস বাড়তে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম রোদ হোক বা বৃষ্টি, বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। তবে সানস্ক্রিন মেখেই বাইরে বের হওয়া যাবে না। ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যাতে এটি ত্বকে প্রবেশ করে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। তাই বাইরে বের হওয়ার ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার। এসপিএফ ধারণা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ বিষয়টি এখনো অনেকের কাছে অজানা। গ্রীষ্ম মৌসুমে ঘরে থাকুন বা বাইরে বের হন, সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। কিন্তু ন্যূনতম কতটুকু এসপিএফ থাকতে হবে সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-এর মতে, সানস্ক্রিনে ন্যূনতম ১৫ এসপিএফ থাকা জরুরি। তবে ইউরোপীয় একাডেমি অব ডার্মাটোলজি অ্যান্ড ভেনারোলজি এবং আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি ৩০ বা তার বেশি এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ছায়ায় থাকুন বাইরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে একটি ছাতা রাখার চেষ্টা করুন। সূর্যের রশ্মি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তবে অধিক সময় সূর্যের আলোতে থাকলে ত্বকে নানা ধরনের ক্ষতি হয়। তাই রোদে বের হওয়ার সময় ছাতা সঙ্গে রাখুন। বাইরে চলাচলের সময় গাছের ছায়া দিয়ে হাঁটুন। ময়েশ্চারাইজ সানস্ক্রিন ব্যবহারের পাশাপাশি ত্বকে ভালোমানের একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। প্রয়োজন গোসল মৌসুম যাই হোক না কেন, অনেকেই আছেন গরম পানি দিয়ে গোসল করতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার। এটি আমাদের ত্বকের জন্যও বেশ ভালো। এ ছাড়া ঠান্ডা পানি রক্তপ্রবাহ ও ত্বকের মাইক্রোসার্কুলেশনের জন্যও ভালো। পোশাক পরিবর্তন এক্সারসাইজ বা বাইরে থেকে বাড়ি ফেরার পর পোশাক পরিবর্তন জরুরি। গ্রীষ্ম মৌসুমে বাইরে ঘোরাফেরা এবং এক্সারসাইজের পর শরীরে ঘাম হয়, যা অনেক সময় জীবাণুর সৃষ্টি করে। এর ফলে ত্বকে র‌্যাশ ওঠার পাশাপাশি আরও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মডেল : অনামিকা, ছবি : রনি বাউল
২০ এপ্রিল, ২০২৪

প্রথমবারের মতো বশেমুরবিপ্রবিতে শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো চালু হলো শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র। এর প্রধান কার্যক্রম হলো মায়ের অনুপস্থিতিতে দিনের বেলায় শিশুকে প্রতিপালন এবং তাদের প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম, ট্রেজারার ড. মোবারক হোসেন, রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষিকা শিশুদের উপস্থিতিতে মেডিকেল সেন্টারের নিচতলায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।  বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শিশু ডে কেয়ার সেন্টার গঠনের সদস্য জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল নারীবান্ধব তৈরি করা। আমরা বেশ কয়েকজন নারী সহকর্মী আলাপ-আলোচনা করি। আমরা সহকর্মীদের বোঝাতে পেরেছি এবং একসময় প্রশাসনকেও বোঝাতে পেরেছি। প্রশাসনকে দীর্ঘ ৬-৭ বছর বলার পর আজকে ডে-কেয়ার সেন্টার চালু হয়েছে। এটা সফল হোক এটাই আমার চাওয়া। সার্বিক উদ্বোধন ও শিশু ডে কেয়ার সেন্টারের সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ছেলে-মেয়ে আছেন। তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই ভালো পরিবেশ থাকলে সুবিধা হয়। আমরা দেরিতে হলেও এটা শুরু করে ফেলেছি। এখানে বাচ্চা-কাচ্চা আগে এত ছিল না, এখন হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ডে-কেয়ার সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সেন্টারে বিশেষভাবে রয়েছে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর স্থান।  শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী, বিশ্রামের স্থান, মিনি ডাইনিং ও রান্নার জন্য কিচেন।  
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

টিপস / শীতে পোষা পাখির যত্ন
কয়েক দিন ধরে বেশ শীত পড়েছে। সঙ্গে কনকনে বাতাস। এ অবস্থা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও থাকতে পারে। শীতে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল তো রাখছেন সবাই, সেইসঙ্গে পোষা পাখিটারও চাই ঠিকঠাক যত্ন। n খাঁচা কিংবা কলোনি; যেভাবেই পাখি পালন করুন, সরাসরি ঠান্ডা বাতাস যেন পাখির গায়ে না লাগে। n ফিঞ্চের মতো ছোট পাখিরা তাপমাত্রাজনিত কারণে বেশি অসুস্থ হয়। তাদের বারান্দার খোলা জায়গায় রাখতে হলে রুম হিটার লাগান। পাখির জন্য হিট বাল্বও পাওয়া যায়। সরাসরি ১০০ ওয়াটের লাইট না জ্বালানোই ভালো। অতিরিক্ত আলো পাখির অসময়ে পালক ঝরা তথা মল্টিংয়ের কারণ হতে পারে। n অনেকে পুরো খাঁচা মোটা কাপড় বা চট দিয়ে ঢেকে দেন। এটি করলেও পাখি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকা চাই। প্রয়োজন একটি বা দুটি পাশ ঢেকে দিন—পাখির মল থেকে তৈরি গ্যাস যেন বেরিয়ে যেতে পারে। n শীতে সিড মিক্সে গুজিতিল, ক্যানারি, মিলেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। n ড্রাই এগ ফুড দিন পাখিকে। এটি পাখির শরীর গরম রাখবে। n এ সময় পাখির পানির সঙ্গে আপেল সাইডার ভিনেগার (অপরিশোধিত) দিতে পারেন। পাঁচ এমএল এসিভি মিশিয়ে দিন এক লিটার পানিতে। এরপর তা পাখিকে দিন। n পাখি ঝিমাচ্ছে কি না দেখুন। স্বাভাবিক তৎপরতা লোপ পেলে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে শীতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। কোনো একটা পাখিকে অসুস্থ মনে হলে ওটাকে আলাদা খাঁচায় নিয়ে রাখুন। তার জন্য সবার আগে গরমের ব্যবস্থা করুন। ৪০ ওয়াটের একটি বাতি জ্বালিয়ে দিলেই যথেষ্ট উষ্ণতা পাবে। তারপর লক্ষণ বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

‘শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, শিশু বিকাশ কেন্দ্রের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খাবার, বাসস্থান, লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পরিদর্শনে গিয়ে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রকল্প বাস্তবায়নকালের সময়কাল জানুয়ারি ২০২২ হতে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। সেসঙ্গে শিশু একাডেমির প্রকাশিত বইগুলো প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসেবে প্রদানের প্রজ্ঞাপন দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। পরে শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘উঠবো জেগে, ছুটবো বেগে’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।   অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাজমা মোবারেক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাপতি লাকী ইনাম ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বাস্থ্য / শীতকালে শিশুর যত্ন
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব মাজেদ ভেজা ডায়াপার শীতে সহজে কিছু শুকাতে চায় না। তাই শিশুর ডায়াপার চেক করুন। ভেজা থাকলেই শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। বেশিক্ষণ ওটার সংস্পর্শে থাকলে ত্বকে ফুসকুড়িও হবে। কাপড় ধোয়া শীতে শরীর তেমন ঘামে না। তাই অনেকে মনে করেন, নিয়মিত কাপড় না ধুলেও চলে। তবে শিশুকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই কাপড় ধুয়ে পরাতে হবে। কারণ শীতে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। বিশেষ করে বাড়িতে নবজাতক বা ছোট শিশু থাকলে—শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় তাদের ত্বক সহজেই শুকিয়ে যায়। ফলে তারা খুব তাড়াতাড়ি আর্দ্রতাও হারায়। লালচে শুষ্ক গাল অনেক সময় শিশুর গাল সহজেই লালচে শুষ্ক হতে দেখা যায়। বাইরের শীতল হাওয়া এর জন্য দায়ী। সমাধান দিতে বেবি অয়েল বা শিশুর উপযোগী লোশন ব্যবহার করুন। চুলকানি শুষ্ক শীতল বাতাস শিশুর ত্বকে জন্ম দিতে পারে র‌্যাশের। আগে থেকেই যদি বাচ্চার একজিমার সমস্যা থাকে, তবে এ সময় চুলকানি বেড়ে যেতে পারে। তাই এ সময় শিশুর ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখতে হয়। তেল মালিশ শিশুর ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন তেল মালিশ করতে পারেন। হালকা গরম তেল দিয়ে মালিশ করলে ত্বকের আর্দ্রতা যেমন বজায় থাকে, তেমনি রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়। নিয়মিত গোসল হালকা উষ্ণ পানিতে শিশুকে শীতের সময় নিয়মিত গোসল করান। পানি যেন অতিরিক্ত গরম না হয়। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যাবে। তাতে ত্বক আরও শুষ্ক হবে। শীতকালে সপ্তাহে তিন-চারবার গোসল করালেই ভালো। তবে শরীর নোংরা মনে হলে গোসল করাতেই হবে। কারণ শীতে ধুলোবালি আরও বেশি ক্ষতিকর। যে কোনো সাবান শিশুর গায়ে দেবেন না। বেবি ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। হাত ধোয়া শীতকালে বেশিরভাগ বাবা-মা শিশুকে পানি ধরতে দিতে চান না। ভাবেন এতে হয়তো ঠান্ডা লেগে যাবে। ধারণাটি ঠিক নয়। শিশুকে সুস্থ রাখতে শীতেও নিয়মিত হাত ধোয়ানো জরুরি। কারণ শিশুরা সারা দিন নানা রোগ-জীবাণুবাহী বস্তু হাত দিয়ে ধরে, যা তাদের অসুস্থতার অন্যতম কারণ। ঘরের আবহাওয়া শীতে অনেকেই দরজা-জানালা খুলতে চান না। বদ্ধ ঘরে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে না বলে জীবাণুর সংক্রমণও বেড়ে যায়। তাই শীতেও ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস সঞ্চালনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। দিনের বেলায় কিছু সময়ের জন্য ঘরের সব দরজা-জানালা খুলে রাখুন। খাবার ও পানি শীতকালে শিশুদের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব ঠান্ডা খাবার ও পানি এড়িয়ে চলুন। ফ্রিজের খাবার পরিবেশনের আগে গরম করে নিন। তবে এ সময় টাটকা খাবার খাওয়ানোই ভালো। দিনে অন্তত একবার গরম দুধ, স্যুপ খাওয়ান শিশুকে। শীতে পানি কম খাচ্ছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। এ সময় শিশুর খাবারে চাই পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। মাল্টা, লেবু ও কমলার মতো সাইট্রাসজাতীয় ফল দিন। যেসব শিশু চিবিয়ে খেতে পারে না, তাদের ডিমের কুসুম, সবজির স্যুপ, খিচুড়ি, ফলের রস খাওয়ান। খেলাধুলা অসুস্থতা বা ঠান্ডার কারণ দেখিয়ে শিশুকে বাইরে খেলা থেকে বিরত রাখবেন না। শীতে খেলাধুলা কমিয়ে দিলে শিশুর শরীরের যে কোষগুলো রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সেগুলো দুর্বল হতে থাকে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X