হাজিদের জন্য অত্যাধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থার ঘোষণা সৌদির
চলতি বছরেই হাজিদের জন্য অত্যাধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, এবার হজের মৌসুমেই হাজিদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি ও ড্রোন ব্যবস্থা চালু করা হবে। গত ১০ মে মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সৌদি আরবের পরিবহন ও লজিস্টিক মন্ত্রী সালেহ আল জাসের বলেন, এ বছর হজের মৌসুমে উড়ন্ত ট্যাক্সি এবং ড্রোন ব্যবহারের পরীক্ষা চালানো হবে। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়াকে তিনি বলেন, উড়ন্ত ট্যাক্সি অত্যন্ত উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে। আসন্ন বছরগুলোতে সর্বোত্তম সেবা দেওয়ার জন্য পরিবহন সেক্টরে অনেক বিশেষায়িত সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব হজযাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে এ বছরের হজ মৌসুমে আরও দ্রুত এবং নির্বিঘ্ন করতে উন্নত প্রযুক্তি এবং পরিবহন ব্যবস্থা চালুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এগুলোর সুবিধা নেওয়ার জন্য অমাদের অবশ্যই এগিয়ে থাকতে হবে। চলতি বছরের শুরুর দিকে উড়ন্ত ট্যাক্সি চালুর পরিকল্পনার কথা জানায় সৌদি আবর।
১২ মে, ২০২৪

হাজিদের জন্য অত্যাধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থার ঘোষণা সৌদির
চলতি বছরেই হাজিদের জন্য অত্যাধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, এবার হজের মৌসুমেই হাজিদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি ও ড্রোন ব্যবস্থা চালু করা হবে। শুক্রবার (১০ মে) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সৌদি আরবের পরিবহন ও লজিস্টিক মন্ত্রী সালেহ আল জাসের বলেন, এ বছর হজের মৌসুমে উড়ন্ত ট্যাক্সি এবং ড্রোন ব্যবহারের পরীক্ষা চালানো হবে। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়াকে তিনি বলেন, উড়ন্ত ট্যাক্সি অত্যন্ত উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে। আসন্ন বছরগুলোতে সর্বোত্তম সেবা দেওয়ার জন্য পরিবহন সেক্টরে অনেক বিশেষায়িত সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব হজযাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে এ বছরের হজ মৌসুমে আরও দ্রুত এবং নির্বিঘ্ন করতে উন্নত প্রযুক্তি এবং পরিবহন ব্যবস্থা চালুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এগুলোর সুবিধা নেওয়ার জন্য অমাদের অবশ্যই এগিয়ে থাকতে হবে।  চলতি বছরের শুরুর দিকে উড়ন্ত ট্যাক্সি চালুর পরিকল্পনার কথা জানায় সৌদি আবর। পরিকল্পনা অনুযায়ী সৌদি আরব এয়ারলাইনস জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মক্কার হোটেলগুলোর মধ্যে হজযাত্রীদের জন্য এ উড়ন্ত ট্যাক্সি চালুর কথা রয়েছে। এজন্য প্রায় ১০০ উড়ন্ত ট্যাক্সি কেনার পরিকল্পনার কথাও জানানো হয় তখন।  এর আগে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবারের হজ মৌসুমে প্রত্যেককে আলাদা করে একটি ডিজিটাল ট্যাগ দেওয়া হবে। তাদের উদ্দেশ্য, কোনোভাবেই যেন নিবন্ধন ছাড়া অবৈধভাবে কেউ হজ করতে না পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে এই উদ্যোগ নিল বাদশা সালমান প্রশাসন। সৌদি আরবের হজবিষয়কমন্ত্রী জানান, চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় বৈধ হজযাত্রীদের জন্য একটি করে ডিজিটাল নুসুক কার্ড দেওয়ার প্রকল্প শুরু হয়েছে। এই কার্ডগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদি আরবে যাওয়া হজযাত্রীদের দেওয়া হবে। ডিজিটাল এই নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য মজুত থাকবে এবং হজের জন্য পবিত্র কাবার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে চাইলে এই ডিজিটাল কার্ড অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া, হজের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনেও বিভিন্ন জায়গায় এই ডিজিটাল কার্ড দেখাতে হবে।
১০ মে, ২০২৪

বাসাভাড়া বাঁচাতে বিমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত
পড়াশোনার জন্য বাড়ির বাইরে থাকার সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। তবে বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারা যেন স্বগীয় স্বস্তি। কেননা প্রাথমিক জীবনে বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতে পারলেও উচ্চতর শিক্ষার জন্য বেশিরভাগেরই বাড়ি ছাড়তে হয়। বাড়ি থেকে প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব অনুসারে অনেকে গণপরিবহনে বা বিভিন্ন উপায়ে যাতায়াত করে থাকেন। তবে এবার সামনে এসেছে বিচিত্র ঘটনা। বাড়িভাড়া বাঁচাতে বিমান করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন এক শিক্ষার্থী। যা শুনে যে কারও চক্ষু চড়কগাছে ওঠার উপক্রম। অবিশ্বাস্য এ ঘটনা জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।  অবিশ্বাস্য এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার (ইউবিসি) এক শিক্ষার্থী। বাসাভাড়ার খরচ বাঁচাতে তিনি বিমানে চেপে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। বিমানে ক্লাস করতে যাওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম টিম চেন। তিনি ক্যালগেরির বাসিন্দা। এক কক্ষের একটি বাসা নিয়ে থাকার চেয়ে তার বিমানে করে ক্লাসে যাতায়াতে খরচ অনেক কম হয় বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সপ্তাহে দুদিন ক্লাসে আসা-যাওয়া করেন তিনি।  প্রতিদিন আসা-যাওয়ার জন্য টিমকে ১৫০ মার্কিন ডলার ব্যায় করতে হয়। ফলে মাসে এক হাজার ২০০ ডলার খরচ করতে হয় তাকে। যা বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৪২ হাজার টাকার মতো। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় এক কক্ষবিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্টের জন্য তাকে ২ হাজার ১০০ ডলার ব্যয় করতে হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এয়ার কানাডার ফ্লাইটে যাতায়াত করেন তিনি। টিম নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, আমি অনেক দূর থেকে ইউবিসির নিয়মিত যাত্রী। ক্যালগেরিতে থাকায় আমাকে মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। আমি সকালে বিমানে করে যােই এবং রাতে ফিরে আসি।  তিনি লেখেন, জানুয়ারি মাসে আমি এভাবে সাতবার যাতায়াত করেছি। এতে আমার অনেক ডলার বেঁচে গেছে। কেননা আমাকে সেখানে বাড়ি ভাড়া দিতে হচ্ছে না। ভ্যানকুভারে এক কক্ষের বাসা ভাড়া নেওয়ার চেয়ে এটি অনেক সস্তা। তার এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অনেকে প্রশংসা করেছেন। 
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সুনামগঞ্জে নির্বাচনের যাতায়াত ভাতা না দেওয়ার অভিযোগ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপালকারী কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাড়া দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী ১ হাজার ৬১ জন প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার।  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো প্রকার যাতায়াত ভাড়া পাননি এমন অভিযোগ করে কর্মকর্তারা বলেন, এ আসনের আমাদের এ উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা ধর্মপাশা ও বিশ্বম্ভরপুরে নির্বাচনী কাজে কর্মরত সকল প্রিসাইডিং, সহাকরী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাতা বাবদ দুই হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। আমাদের উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার আমাদের কাছ থেকে ব্ল্যাংক কাগজে দস্তখত রেখেছেন কিন্তু যাতায়াত ভাতা পরিশোধ করেননি। আমরা কেন তা থেকে বঞ্চিত হবো। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সালমা পারভিনের নজরে আসে। তিনি সোমবার বিকালে উপজেলার সকল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উপজেলা হলরুমে জরুরী আলোচনার জন্য ডাকেন। তখন সকল প্রিসাইডিং অফিসার ইউএনওর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যাতায়াতের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা নির্বাচনের মালামাল কেন্দ্র পৌঁছে দিতে ও নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী স্ট্রাইকিং ফোর্সের খরচ বহন করেছি। নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যে আমাকে এ উদ্যোগ নিতে হয়েছে। এ সময় তিনি দস্তখতকৃত ব্ল্যাংক কাগজ স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ছিঁড়ে ফেলেন। বাদাঘাট সরকারি কলেজ প্রভাষক (প্রিসাইডিং অফিসার) মুশারফ হোসেন বলেন, আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা তিনি (ইউএনও) কোন আইনে অন্য খাতে ব্যয় করেন তাই বুঝতে পারছি না। ১ হাজার ৬১ জনের সর্বমোট ২১ লাখ ২২ হাজার টাকা -এটা আমাদের অধিকার। কিন্তু এখন আমরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনের মালামাল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের ব্যয় বাবাদ আলাদা বরাদ্দ রয়েছে। তাদের নির্ধারিত বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ব্যয় করার কথা না। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সালমা পারভিন সাংবাদিকদের বলেন, বিধি মোতাবেক তিনি নির্বাচনে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ভাতাদি দিয়েছেন। তবে ব্ল্যাংক কাগজে তাদের দস্তখত নেওয়াটা ভুল হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

গজারিয়া-চরকিশোরগঞ্জ নৌপথে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত
চলছে আশ্বিন মাস। উত্তাল হয়ে আছে মেঘনা নদী। আর সেই উত্তাল মেঘনায় মুন্সীগঞ্জ সদরের চর কিশোরগঞ্জ ও গজারিয়া লঞ্চঘাট নৌপথে ঝুঁকি নিয়েই খেয়া পারাপার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জানা যায়, জেলা শহর থেকে জেলার গজারিয়া উপজেলার দূরত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার। কিন্তু মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মেঘনা নদী। সেতু কিংবা সড়কপথের যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকায় এ উপজেলার সাধারণ জনগণকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। তবে কেউ যদি মেঘনা নদীকে এড়িয়ে যাতায়াত করতে চান তাহলে তাকে অন্তত ৭৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হবে। কেননা, জেলা শহর থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর ও সোনারগাঁও উপজেলা ঘুরে জনসাধারণকে গজারিয়ার গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। এদিকে, মেঘনা নদী পাড়ি দিতে গজারিয়া-চরকিশোরগঞ্জ নৌরুটে একমাত্র ভরসা ইঞ্জিনচালিত নৌকা। এ নৌ-পথে ২৫ থেকে ৩০টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চলাচল করে থাকে।  আর এইসব ইঞ্জিনচালিত ট্রলারগুলোর একটিতেও নেই লাইফ জ্যাকেট। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলেও যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে উত্তাল হয়ে ওঠা মেঘনায় যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।  জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় জেলার অপর পাঁচটি উপজেলার সাথে জেলা শহরের পূর্বাঞ্চলের গজারিয়াকে মেঘনা নদী বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এতে করে জেলার পাঁচটি উপজেলার সঙ্গে গজারিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। নৌপথ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই দীর্ঘ পথ অতিক্রম ও অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ হয়ে মুন্সীগঞ্জে আসা-যাওয়া করে থাকেন।  প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চরকিশোরগঞ্জ গজারিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। জানা যায়, এ ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের বাড়ি গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর ও গজারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলদি গ্রামে। তারা সবাই একই পরিবারের আত্মীয়স্বজন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনও তিন শিশুসহ ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।  এ পথে যাতায়াতকারী জহিরুল ইসলাম নামে এক যাত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মামলা মোকাদ্দমা থাকার কারণে মাসে দু’একবার মুন্সীগঞ্জ আদালতে যেতে হয় তাকে। দোয়া-দরুদ পড়ে, চোখ বুজে নদী পার হতে হয়। তার দাবি, প্রশাসন যেন নদী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা করে দেন। ফেরদৌস বেগম নামের এক নারী জানান, তাকে কয়েক দিন পর পর চিকিৎসক দেখানোসহ বিভিন্ন কাজের জন্য মুন্সীগঞ্জ শহরে যেতে হয়। কিন্তু মেঘনা নদী যখন ভয়ংকর রূপ ধারণ করে তখন তিনি ভয় পেয়ে যান। কারণ তিনি সাঁতার জানেন না। তবুও ঝুঁকি নিয়ে এই নদী পারাপার হতে হয় তাকে। অর্নাস পুড়ুয়া ফাতেমা আক্তার বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি মুন্সীগঞ্জ শহরে একটি প্রতিষ্ঠানে জব করি। তাই প্রতিদিন আমাকে এখান দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যখন নদীতে উত্তল হয়ে যায় চোখ বুজে ট্রলারের মেঝেতে বসে পড়ি। আর এই ট্রলারগুলোতে লাইভ জ্যাকেট বা বয়া কোনোটিরই ব্যবস্থা নাই। প্রশাসন এখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যদি এতটাই নিরুপায় হয়ে পড়ে, তাহলে অন্তত যেন লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করে দেয়। তা ছাড়া মুন্সীগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি হরগঙ্গা কলেজের শিক্ষার্থী রুনা ইসলাম জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। এজন্য ঠিকমতো ক্লাসও করতে চাই না। এতে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে। আমাদের এই পথ নিরাপদ করার জন্য কার কাছে বলব, কেইবা আমাদের এই পথ নিরাপদ করার ব্যবস্থা করে দিবেন। জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ শহরে বেশ কয়েকটি স্কুল কলেজে গজারিয়া উপজেলা থেকে প্রায় হাজারও শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে প্রতিদিন যাতায়াত করে। এ সব শিক্ষার্থী মধ্যে বেশির ভাগ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। এদের মধ্যে কেউ কেউ সাঁতার জানালেও অনেকে সাঁতার জানে না। ফলে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি হবে। এমনিতেই ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার তার ওপর টলার চালকদের অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো ঝুঁকির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়।  এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা দেখব আর এখানে প্রতিটি ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া দিব।  অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে ট্রলারগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তখন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কার্যক্রমের সক্ষমতা কতটুকু আছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের নৌ-পুলিশ, কোচগার্ড, ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধারকারী দল আছে তবে প্রয়োজনে আমরা মুন্সীগঞ্জ সদর এবং নারায়ণগঞ্জের উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিতে পারি। গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে স্টেশন কর্মকর্তা রিফাত মল্লিক বলেন, যদি মুন্সীগঞ্জে কেউ পানিতে ডুবে যায় তাহলে তাকে উদ্ধার করার মতো ডুবুরি দল মুন্সীগঞ্জে নেই। এক্ষেত্রে আমাদের একটু কালবিলম্ব হয়। তখন আমরা ঢাকা হেডঅফিস থেকে ডুবুরি দল নিয়ে এসে উদ্ধার কার্যক্রম চালাই। খবর শোনার পর ডুবুরি দলটির গজারিয়াতে আসতে ৪০-৫০ মিনিট সময় লাগে।  গজারিয়া কলিমউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ সভাপতি মো. মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা এ বিষয়ে বলেন, যেহেতু মেঘনার এই ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত নিরসনে এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রয়োজন, তা হুট করে সম্ভব নয়। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে লাইভ জ্যাকেট, নদী পারাপারের ট্রলারগুলোতে প্রদান করে। এবং যাত্রীদের এই পথ ঝুঁকিপূর্ণ- এমন নির্দেশনা জানিয়ে মাইকিং করে সচেতন করা যায়। রাতের বেলায় অবৈধ বাল্কহেডের যাতায়াত বন্ধ করা যায়, তাহলে ঝুঁকি কিছুটা হ্রাস পাবে।
০৭ অক্টোবর, ২০২৩
X