সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপালকারী কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাড়া দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী ১ হাজার ৬১ জন প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো প্রকার যাতায়াত ভাড়া পাননি এমন অভিযোগ করে কর্মকর্তারা বলেন, এ আসনের আমাদের এ উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা ধর্মপাশা ও বিশ্বম্ভরপুরে নির্বাচনী কাজে কর্মরত সকল প্রিসাইডিং, সহাকরী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাতা বাবদ দুই হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। আমাদের উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার আমাদের কাছ থেকে ব্ল্যাংক কাগজে দস্তখত রেখেছেন কিন্তু যাতায়াত ভাতা পরিশোধ করেননি। আমরা কেন তা থেকে বঞ্চিত হবো।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সালমা পারভিনের নজরে আসে। তিনি সোমবার বিকালে উপজেলার সকল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উপজেলা হলরুমে জরুরী আলোচনার জন্য ডাকেন। তখন সকল প্রিসাইডিং অফিসার ইউএনওর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যাতায়াতের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা নির্বাচনের মালামাল কেন্দ্র পৌঁছে দিতে ও নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী স্ট্রাইকিং ফোর্সের খরচ বহন করেছি। নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যে আমাকে এ উদ্যোগ নিতে হয়েছে। এ সময় তিনি দস্তখতকৃত ব্ল্যাংক কাগজ স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ছিঁড়ে ফেলেন।
বাদাঘাট সরকারি কলেজ প্রভাষক (প্রিসাইডিং অফিসার) মুশারফ হোসেন বলেন, আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা তিনি (ইউএনও) কোন আইনে অন্য খাতে ব্যয় করেন তাই বুঝতে পারছি না। ১ হাজার ৬১ জনের সর্বমোট ২১ লাখ ২২ হাজার টাকা -এটা আমাদের অধিকার। কিন্তু এখন আমরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনের মালামাল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের ব্যয় বাবাদ আলাদা বরাদ্দ রয়েছে। তাদের নির্ধারিত বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ব্যয় করার কথা না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সালমা পারভিন সাংবাদিকদের বলেন, বিধি মোতাবেক তিনি নির্বাচনে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ভাতাদি দিয়েছেন। তবে ব্ল্যাংক কাগজে তাদের দস্তখত নেওয়াটা ভুল হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন