Fri, 31 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার
৫ মিনিট আগে
রাষ্ট্রকে লুণ্ঠনজীবীদের হাতে তুলে দিয়েছে সরকার : জেএসডি
৪৫ মিনিট আগে
মানুষের বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বন রাখেনি সরকার : রিজভী
১ ঘণ্টা আগে
বেনজীরের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে সরকার অবগত নয় : কাদের
১ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরে রানওয়েতে ঢুকে পড়ল শিয়াল
২ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ৩১ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
এক শর্তে কালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্দি ইসরায়েলি সব জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিলে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শনিবার সিয়াটলে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর সিএনএনের। বাইডেন বলেন, আমি যেমনটা বলেছি, এটি হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি তারা চায় তাহলে আমরা আগামীকালই একটি যুদ্ধবিরতি করতে পারব। আর যুদ্ধবিরতি আগামীকাল থেকেই শুরু হবে। গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
১২ মে, ২০২৪
চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে। খবর রয়টার্সের। গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য ইজ্জাত এল-রিশেক বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদনের বিষয়ে আবারও আশ্বস্ত করে হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করেছে। এই প্রস্তাবে গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কায়রোতে পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে। এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েল। নতুন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে হামাসের প্রস্তাব নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তেল আবিব নিজেদের আপত্তি জমা দিয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত সোমবার (৬ মে) হামাসের একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান। হামাসের এমন বার্তার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ইসরায়েলের সব দাবি পূরণ করেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের কাটছাঁট। তবে এতে এমন বিষয়ও রয়েছে যাতে ইসরায়েল রাজি হবে না। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪
যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলকে ছাড় দিতে নারাজ ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা
গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ইসরায়েলকে আর কোনো ছাড় না দেওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস। তারা জানিয়েছে, গত সোমবার তাদের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বাইরে কোনো শর্ত মেনে নেবে না তারা। খবর রয়টার্সের। কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইজ্জাত এল–রেশিক বুধবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। তারা বলে, ইসরায়েল চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ইহুদিরা রাফা আক্রমণ এবং সীমান্ত ক্রসিং দখল করার জন্য আলোচনাকে একটি আবরণ হিসেবে ব্যবহার করছে। মিসরের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত আল–কাহেরা টিভি জানায়, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার থেকে কায়রোয় বৈঠকে বসেছেন হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিরা। বুধবার সারা দিন ও রাতেও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যেই ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা প্রকাশ করল হামাস। এদিকে গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বুধবারও ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলে নেয় আইডিএফ। সেখানে বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান করছে। যেকোনো সময় রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা প্রয়োজন বলে মনে করে মধ্যস্থতাকারীরা। বহু প্রাণহানির পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পর তারা জানিয়েছে, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস রাজি হলেও তাদের দাবি-দাওয়া এখনো পূরণ হয়নি। যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবে গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে। তেমনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার শর্তও আছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে নতুন করে হামাসের কড়া বিবৃতির কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল।
০৯ মে, ২০২৪
নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমিতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা
দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার কালো মেঘ সরে গিয়ে যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, ঠিক সে সময় চুক্তি নিয়ে বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মিশরের রাজধানী কায়রোতে যে আলোচনা চলছে, সেখান থেকে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে। হামাস চুক্তিতে রাজি হওয়ার পর গাজাজুড়ে উল্লাসও শুরু হয়। সোমবার মধ্যরাতে হামাসের পক্ষ থেকে দেওয়া সেই বার্তা গাজা উপত্যকাজুড়ে স্বস্তি নিয়ে আসে। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সেই চুক্তিতে রাজি না হওয়ায় গাজার মানুষের স্বস্তি হাওয়ায় মিলে যায়। ইসরায়েল বলছে, এর শর্তগুলো তাদের দাবি অনুযায়ী হয়নি, তাই তারা রাফাহতে সামরিক অভিযান নিয়ে এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সোমবার মধ্যরাতে গাজা ও মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং ইসরায়েল আকস্মিকভাবে দখলে নেওয়ার পর এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি আরও বেশি অনিশ্চয়তা পড়েছে। সেইসঙ্গে রাফাহজুড়ে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে জার্মানি, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গতকাল ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধ থামাতে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে মিশরের কায়রোতে কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছে। সেখান থেকে হামাসকে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস সোমবার এক বিবৃতিতে বলে, তাদের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধানকে তাদের তিন দফার এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সাত মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের এমন এক সময় এ অগ্রগতি ঘটল যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে আকাশ ও স্থল থেকে হামলা চালানো শুরু করেছে আর বাসিন্দাদের শহরটির কিছু অংশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতির যে পরিকল্পনা হামাস অনুমোদন করেছে, তা মিশরীয় প্রস্তাবের একটি দুর্বল সংস্করণ, আর এতে এমন উপাদান আছে যা ইসরায়েল মেনে নিতে পারবে না। তিনি বলেন, এটি ইসরায়েলকে চুক্তি প্রত্যাখ্যানকারী একটি পক্ষের মতো দেখানোর কৌশল হতে পারে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবগুলো ইসরায়েলের দাবি পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি; তার পরও চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টায় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে তারা। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা ফের শুরু করতে মঙ্গলবার তাদের একটি প্রতিনিধিদল কায়রো যাবে। রাফাহ ক্রসিংয়ের দখল নিল ইসরায়েল: গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত রাফাহ ক্রসিংয়ের দখল নিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। মঙ্গলবার আইডিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত রাতে আইডিএফের সেনারা রাফাহ ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ মুহূর্তে ক্রসিংয়ের যাবতীয় অপারেশনাল কাজ নিয়ন্ত্রণ করছে আমাদের সেনারা। ক্রসিংয়ের আশপাশে সন্ত্রাসীদের কোনো গোপন আস্তানা রয়েছে কি না, তার অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এই অনুসন্ধান শুধু ক্রসিংয়ের গাজা অংশে চলছে।’ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত রাফাহ ক্রসিংয়ের একপাশে গাজা, অন্যপাশে মিশরের সিনাই উপদ্বীপ। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলা এবং তার জবাবে গাজায় আইডিএফের অভিযান শুরুর আগ পর্যন্ত এই সীমান্ত পথটিকে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ বলে বিবেচনা করা হতো। কারণ এই সীমান্ত পথ দিয়েই খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সব সামগ্রীর সরবরাহ প্রবেশ করত গাজায়। তবে ৭ অক্টোবর থেকে সেটি বন্ধ করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। মাঝেমধ্যে ত্রাণের গাড়ি প্রবেশের জন্য খুললেও গত ৭ মাসের অধিকাংশ সময় বন্ধই থেকেছে রাফাহ ক্রসিং। এদিকে পুরা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে রাফাহ শহরে জড়ো হয়েছিলেন ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এখন সেখানে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হলে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার রাফাহর কাছাকাছি এলাকায় হামাসের হামলায় চার ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর রাফাহর পূর্বাঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তার পর থেকে সেখান থেকে সরে যেতে শুরু করেছে হাজারো ফিলিস্তিনি।
০৮ মে, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি : ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রাজি হলেও ইসরায়েলের তালবাহানা
দীর্ঘ সাত মাসের যুদ্ধের পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পর তারা জানিয়েছে, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস রাজি হলেও তাদের দাবি-দাওয়া এখনো পূরণ হয়নি। এমনকি দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে স্থল হামলা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ফলে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা এত দূর আগালেও ইসরায়েলের তালবাহানায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্সের। সোমবার (৬ মে) হামাসের একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান। হামাসের এমন বার্তার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ইসরায়েলের সব দাবি পূরণ করেনি। তবে চুক্তি আলোচনা অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে তেল আবিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের কাটছাঁট। তবে এতে এমন বিষয়ও রয়েছে যাতে ইসরায়েল রাজি হবে না। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সিদ্ধান্তে গাজায় উল্লাস
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামীদের সংগঠন হামাস। দলটির এমন সিদ্ধান্তে উৎসবে মেতেছে গাজাবাসী। সোমবার (০৬ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা হামাসের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হওয়ার সংবাত শুনে উচ্ছ্বাসিত। রাফাহ সীমান্তে আসন্ন স্থল অভিযানের আশঙ্কার সময়ে হামাস এ প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা তারেক আবু আজম আলজাজিরাকে বলেন, আমরা আশা করি আল্লাহ এটি সহজ করে দেবেন এবং আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারব। অপর এক ফিলিস্তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যে তারা রাফাহ আক্রমণ করেনি। যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং গাজার পাশে দাঁড়িয়েছেন আমরা তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আরেক ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধান চাই, শুধু সামরিক সমাধান নয়। তিনি বলেন, এর জন্য আমাদের অবশ্যই ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে স্বাধীনতা পেতে এবং গাজা ও পশ্চিম তীরে আগ্রাসন বন্ধ করতে সংগ্রাম করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ করুক। আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাই। আমাদের পরিবারগুলি খুব ব্যাথিত অবস্থায় রয়েছে। তবে আজ সন্ধ্যায় এই ঘোষণার পরে আমরা আমাদের বেশিরভাগ লোককে খুশি দেখতে পাচ্ছি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর সেন্ট্রাল গাজার আল আকসা হাসপাতালের বাইরে মানুষ উল্লাস করছে। এ সময় শিশুরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে এবং স্থানীয়রা গান গেয়ে এবং হাঁড়ি-পাতিলের শব্দ করে এটি উদযাপন করে। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও আলোচনায় ফিরছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হতে চলেছে। আজ রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে পরোক্ষ এই আলোচনা শুরু হবে। গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) মিসরীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে প্রথমবারের মতো একটি প্রস্তাব পাসের কয়েকদিন পর আবারও দুপক্ষ আলোচনায় বসছে। এ ছাড়া গাজায় বন্দিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জোরদারের পরিপ্রেক্ষিতে এই খবর দিল মিসরের আল কাহেরা টিভি চ্যানেল। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন। বর্তমানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন আরেকটি চুক্তি সম্পাদনে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এবারের আলোচনার মূল লক্ষ্য গাজায় যুদ্ধবিরত এবং হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করা। এ ছাড়া এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রোববার কায়রো আলোচনায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইসরায়েল। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা অবশ্য রয়টার্সকে বলেছেন, প্রথমে ইসরায়েলের সাথে আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে কায়রোর মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে শোনার অপেক্ষা করবেন তারা। এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি আলোচনাকারী দলকে কায়রো ও দোহা উভয়ের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে তাদের সাথে আলোচনা করার জন্য একটি আদেশ দিয়েছেন তিনি। আলজাজিরার সাংবাদিক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তির বিষয়ে আশাবাদী। তারা বলছেন দুপক্ষের মাঝে একটি চুক্তি হতে পারে। তবে এখনো তাদের মাঝে কিছু বিষয় রয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে যে কোনো ধরনের চুক্তির বিনিময়ে হামাস চাইছে যুদ্ধের সমাপ্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। অন্যদিকে এমন সম্ভবনা উড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েল বলছে, যুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি বিরতি হলেও হামাসকে পরাজিত না করা পর্যন্ত তারা থামবে না।
৩১ মার্চ, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এবার রাশিয়া-চীনের ভেটো
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি পাস হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১ দেশ। বিপক্ষে দেয় তিন দেশ। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে একটি দেশ। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘে এ ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াশিংটনের দ্বিমুখী নীতি ইসরায়েলের ওপর কোনো চাপ তৈরি করছে না বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রের আনা খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দেয় রাশিয়া ও চীন। খবর আলজাজিরার। জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, এই খসড়াটি অত্যন্ত রাজনীতিকরণ করা হয়েছে এবং এতে রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য কার্যকর সবুজ সংকেত রয়েছে। তা ছাড়া কীভাবে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া যাবে, তার কোনো পরিকল্পনা নেই খসড়া প্রস্তাবে। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধিও। উল্লেখ্য, গাজায় আরও মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে ও বেসামরিকদের সুরক্ষায় বেশি কিছু করতে মিত্র ইসরায়েলের ওপর অনবরত চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সাড়ে পাঁচ মাস ধরে চলা যুদ্ধের এ সময়কালে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটির বিরোধিতা করেছে এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া সব প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা খসড়া প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, প্রায় ছয় সপ্তাহ স্থায়ী একটি ‘আশু ও টেকসই যুদ্ধবিরতি’ বেসামরিকদের সুরক্ষা দেবে ও মানবিক সহায়তা সরবরাহ অনুমোদন করবে। খসড়া প্রস্তাবে ইসরায়েলি জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবের ভাষ্যে যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিরতির সময়টিতে ‘স্থায়ী শান্তি প্রচেষ্টা’ জোরদার করার উদ্যোগগুলো আরও জোরালো করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় চলা আলোচনার প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। এদিকে কাতারে ফের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমরা দ্রুতই চুক্তিতে পৌঁছাব। তবে এখনো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই মুহূর্তে ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করছেন।
২৩ মার্চ, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে চীন-রাশিয়ার ভেটো
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা এ প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে শুক্রবার গাজায় অবিলম্বের যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবে জাতিসংঘে ভোটাভুটি হয়। তবে খসড়া এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছে তিন দেশ। তারা হলো চীন, রাশিয়া ও আলজেরিয়া। অন্যদিকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১১ দেশ। এছাড়া প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল গায়ানা। ভেটো দেওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবাঞ্জা বলেন, এ প্রস্তাব হলো যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামি। গাজায় প্রথমদিকে ইসরায়েলকে থামাতে কিছু করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তারা এমন সময় যুদ্ধবিরতির কথা বলেছে যখন গাজা কার্যত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা এখানে একটি পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী দেখছি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে পচীন রাশিয়া এ প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কারণ তারা যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় চায়। মার্কিন দূত লিন্ডা-থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, চীন ও রাশিয়া চায় যেকোনোভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্র হেরে যাক। এজন্য তারা ভেটো দেয়। রাশিয়া আরেকবার প্রগতির সামনে রাজনীতিকে নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত প্রস্তাবে গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চাওয়া হয়। এটির মাধ্যমে যুদ্ধও বন্ধ হবে একইসাথে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা হবে। এছাড়া প্রস্তাবে গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহের কথাও বলা হয়। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সে সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর আটক জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসকেও চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত বুধবার সৌদি সংবাদমাধ্যম আল হাদাথকে বলেন, আমি মনে করি এই প্রস্তাব একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ইসরায়েলের পাশে আছি। তাদের আত্মরক্ষার প্রতি আমাদের সম্মান আছে। গাজায় যে সব বেসামরিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং চরম দুর্দশায় আছেন তাদের প্রতিও আমাদের নজর দিতে হবে। তাদের সুরক্ষার বিষয়টা আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে। তারা যেন মানবিক সহায়তা পেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
২২ মার্চ, ২০২৪
রমজানের আগে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি নেতা
গত কয়েক দিন ধরে আলোচনায় রয়েছে রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি। তবে রমজান চলে আসলেও এ নিয়ে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষই। এমন পরিস্থিতিতে রোববার গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। সোমবার (১১ মার্চ) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হানিয়াহ বলেন, হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইতিবাচকতা ও দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে। আন্তর্জাতিক গ্যারান্টির অধীনে হামাস ব্যাপক চুক্তি চায় যা ইসরায়েল মানতে বাধ্য থাকবে। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হানিয়াহ বলেন, আমরা এমন চুক্তি চাই না যেখনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শেষ হবে না অথবা বাস্তুচ্যুত মানুষরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে না অথবা ইহুদি শত্রুদের গাজা থেকে প্রত্যাহার করা হবে না। তিনি বলেন, কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারার দায় ইসরায়েলের। কেননা তারা চুক্তির মৌলিক নীতিগুলোর সঙ্গে একমত হতে পারেনি। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই। ইসমাইল হানিয়াহ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ৫টি শর্তের কথা জানিয়েছেন। এগুলো হলো ব্যাপক পরিসরে যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুতদের কোনো শর্ত ছাড়াই ফিরতে দেওয়া, উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ, অবরোধের অবসান, আশ্রয় ও পুনর্গঠন এবং বন্দিদের বিনিময়ের ব্যাপারে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।
১১ মার্চ, ২০২৪
আরও
X