কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রমজানের আগে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি নেতা

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বসতি। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বসতি। ছবি : সংগৃহীত

গত কয়েক দিন ধরে আলোচনায় রয়েছে রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি। তবে রমজান চলে আসলেও এ নিয়ে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষই। এমন পরিস্থিতিতে রোববার গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। সোমবার (১১ মার্চ) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হানিয়াহ বলেন, হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইতিবাচকতা ও দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে। আন্তর্জাতিক গ্যারান্টির অধীনে হামাস ব্যাপক চুক্তি চায় যা ইসরায়েল মানতে বাধ্য থাকবে।

টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হানিয়াহ বলেন, আমরা এমন চুক্তি চাই না যেখনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শেষ হবে না অথবা বাস্তুচ্যুত মানুষরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে না অথবা ইহুদি শত্রুদের গাজা থেকে প্রত্যাহার করা হবে না। তিনি বলেন, কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারার দায় ইসরায়েলের। কেননা তারা চুক্তির মৌলিক নীতিগুলোর সঙ্গে একমত হতে পারেনি। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই।

ইসমাইল হানিয়াহ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ৫টি শর্তের কথা জানিয়েছেন। এগুলো হলো ব্যাপক পরিসরে যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুতদের কোনো শর্ত ছাড়াই ফিরতে দেওয়া, উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ, অবরোধের অবসান, আশ্রয় ও পুনর্গঠন এবং বন্দিদের বিনিময়ের ব্যাপারে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডেঙ্গু পরীক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধ

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক / সংসদ নির্বাচনে আলাদা ব্যালট রাখার কথা বলেছে বিএনপি

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

‘সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ক্লিন ইমেজের নেতাদের মনোনয়ন দেবে বিএনপি’

চট্টগ্রামে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলায় সিইউজের নিন্দা

কুর্দিস্তানে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে

হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে আগে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ 

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পোকামাকড়ের উপদ্রব!

৫৮ বছরে সন্তানের বাবা হলেন আরবাজ খান

শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১১০ ধারা প্রয়োগ করা হবে : ঢাকা জেলা প্রশাসক

১০

একতা থাকলে ক্লিন গ্রিন হেলদি সিটি গড়া সম্ভব : চসিক মেয়র

১১

ধানমন্ডিতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ১০

১২

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার বার্তা

১৩

ছুটি শেষে রাকসুর প্রচার শুরু, রয়ে গেছে শঙ্কা

১৪

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এলো ২৬৮ কোটি ডলার

১৫

অনেক উপদেষ্টা সেফ এক্সিটের কথা ভেবে রেখেছেন : নাহিদ

১৬

নতুন সংকট তৈরি হলে আরও একটা গণঅভ্যুত্থান হবে : মঞ্জু

১৭

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

১৮

তাহিরপুরে বালু মহালের জায়গা নির্ধারণ করে দিল প্রশাসন

১৯

সমালোচনায় আমার কিছু যায় আসে না : বাঁধন

২০
X