গত কয়েক দিন ধরে আলোচনায় রয়েছে রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি। তবে রমজান চলে আসলেও এ নিয়ে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষই। এমন পরিস্থিতিতে রোববার গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। সোমবার (১১ মার্চ) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হানিয়াহ বলেন, হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইতিবাচকতা ও দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে। আন্তর্জাতিক গ্যারান্টির অধীনে হামাস ব্যাপক চুক্তি চায় যা ইসরায়েল মানতে বাধ্য থাকবে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হানিয়াহ বলেন, আমরা এমন চুক্তি চাই না যেখনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শেষ হবে না অথবা বাস্তুচ্যুত মানুষরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে না অথবা ইহুদি শত্রুদের গাজা থেকে প্রত্যাহার করা হবে না। তিনি বলেন, কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারার দায় ইসরায়েলের। কেননা তারা চুক্তির মৌলিক নীতিগুলোর সঙ্গে একমত হতে পারেনি। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই।
ইসমাইল হানিয়াহ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ৫টি শর্তের কথা জানিয়েছেন। এগুলো হলো ব্যাপক পরিসরে যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুতদের কোনো শর্ত ছাড়াই ফিরতে দেওয়া, উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ, অবরোধের অবসান, আশ্রয় ও পুনর্গঠন এবং বন্দিদের বিনিময়ের ব্যাপারে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।
মন্তব্য করুন