গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ইসরায়েলকে আর কোনো ছাড় না দেওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস। তারা জানিয়েছে, গত সোমবার তাদের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বাইরে কোনো শর্ত মেনে নেবে না তারা। খবর রয়টার্সের।
কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইজ্জাত এল–রেশিক বুধবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। তারা বলে, ইসরায়েল চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ইহুদিরা রাফা আক্রমণ এবং সীমান্ত ক্রসিং দখল করার জন্য আলোচনাকে একটি আবরণ হিসেবে ব্যবহার করছে।
মিসরের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত আল–কাহেরা টিভি জানায়, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার থেকে কায়রোয় বৈঠকে বসেছেন হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিরা।
বুধবার সারা দিন ও রাতেও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যেই ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা প্রকাশ করল হামাস।
এদিকে গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বুধবারও ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলে নেয় আইডিএফ।
সেখানে বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান করছে। যেকোনো সময় রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা প্রয়োজন বলে মনে করে মধ্যস্থতাকারীরা।
বহু প্রাণহানির পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পর তারা জানিয়েছে, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস রাজি হলেও তাদের দাবি-দাওয়া এখনো পূরণ হয়নি।
যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবে গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে। তেমনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার শর্তও আছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে নতুন করে হামাসের কড়া বিবৃতির কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন