যৌতুক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
ঝালকাঠিতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসিবুল হাসান সোহেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক এএইচএম ইমরানুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন। মো. হাসিবুল হাসান সোহেল পটুয়াখালী শহরের নবাবপাড়া এলাকার সরদার আ. খালেকের ছেলে। তিনি বরগুনার আমতলী থানায় এএসআই পদে কর্মরত রয়েছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ঝালকাঠি সদর উপজেলার সারেঙ্গল গ্রামের তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করেন এএসআই মো. হাসিবুল হাসান সোহেল। তখন তিনি প্রথম স্ত্রীর পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। এ দম্পতির ৫ বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাসের দিকে তাহমিনা আক্তার আবার সন্তানসম্ভবা হয়। তখন থেকে তাকে নির্যাতন শুরু করেন হাসিবুল। একপর্যায়ে তাহমিনা আক্তার ও তার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এএসআই হাসিবুলকে আসামি করে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন তাহমিনা আক্তার।
০১ মার্চ, ২০২৪

যৌতুক না পেয়ে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’ করা হয় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী। পরে মরদেহ শৌচাগারে ফেলে পালিয়ে যান তিনি। স্বামী মো. আবু ইউসুফকে (২২) গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম। রোববার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনাইমুড়ী থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, চাটখিল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস ও সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিবের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বামী আবু ইউসুফ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গণি মাস্টারের পোল সংলগ্ন এলাকার ভাড়া বাসার শৌচাগার থেকে রহিমা আক্তার সুমির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আবু ইউসুফ একজন পেশাদার চোর। তিনি বিভিন্ন মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের মুঠোফোন চুরি করতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে নোয়াখালীর চাটখিলের তরুণী রহিমা আক্তার সুমির  (১৯) সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত এপ্রিল মাসে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে সুমি পালিয়ে যান। দুই দিন পর বাড়িতে ফোন করে জানান, তিনি কুমিল্লা আছেন, ভালো আছেন। এরপর সুমি ইউসুফকে নিয়ে চাটখিলের গ্রামের বাড়িতে এলে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের আবার বিয়ে দেওয়া হয়। ইউসুফের বরাত দিয়ে আরও জানানো হয়, গত মাসে ইউসুফ সোনাইমুড়ী পৌর শহরের দুশ্চিম পাড়া পৌরসভা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত ১ অক্টোবর সকালে তিনি বিদেশে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কবিতর্ক ও বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আবু ইউসুফ সুমিকে থাপ্পড় মারলে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তখন তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা আরও বেড়ে যায়। এ সময় ইউসুফ স্ত্রীর গলায় থাকা ওড়না পেছন দিয়ে প্যাঁচিয়ে ধরলে এক মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম আরও জানান, ইউসুফ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, স্ত্রী সুমির মৃত্যুর পর তিনি ওইদিন মেঝেতে লাশ ফেলে বাসার দরজায় তালা ঝুলিয়ে ঢাকায় চলে যান। পর দিন বাসায় আসেন। এ সময় স্ত্রীর লাশ বাথরুমে নিয়ে লুকিয়ে রাখেন এবং বাথরুমের দরজা বন্ধ করে বাসায় তালা দিয়ে সাতক্ষীরা পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
০৮ অক্টোবর, ২০২৩

স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুক মামলা
বরিশালের বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন স্বামী মো. মামুন মিয়া। সোমবার বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্ত্রী মোসা. ইয়াসমিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন তিনি।   এ ঘটনায় মো. মামুন মিয়া সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তিনি জানান, তার নিজ বাড়ি উজিরপুর উপজেলার বৈরকাঠী গ্রামে। ব্যবসা সূত্রে তিনি বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় বসবাস করেন। ২০১২ সালের ১৭ মে ভালবেসে তিনি ঝালকাঠী থানার উত্তমনগর গ্রামের নজির আহমেদের কণ্যাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে তাদের মাইশা নামের একটি কণ্যা সন্তান হয়। সংসার চলাকালীন ২০১৭ সালে মামুনের পিতা কাঞ্চন মিয়া তার পুত্রবধূ ইয়াসমিনকে ৮ শতাংশ জমি অছিয়তনামা দলিল করে দেন। এরপরেও তার স্ত্রী তার নিকট বিভিন্ন অযুহাতে টাকা পয়সা চায়তে থাকেন।  পরবর্তীতে তার স্ত্রী ইয়াসমিন তার মায়ের নামে জমি কিনে পাকা ঘর নির্মাণ করার জন্য টাকা পয়সা দিতে তার উপর চাপ সৃষ্টি এবং বিভিন্ন সময় মানসিক নির্যাতন করেন। এমতাবস্থায় স্ত্রী ইয়াসমিন তার মায়ের নামে পাকা ঘরের ছাদ তৈরির জন্য ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।  লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, গত ২৫ আগস্ট তাহার বসতবাড়িতে এনিয়ে সালিশ বৈঠক বসে। ওই বৈঠকেও তার স্ত্রী পূর্বের দাবিকৃত যৌতুকের ৫ লাখ টাকা না দিলে সংসার করবে না।  মামুন সাংবাদিকদের জানান, প্রশিকা এনজিওতে কর্মরত তার স্ত্রী ইয়াসমিন কথিত ম্যানেজার জলিলের সঙ্গে পরকীয়ায় মগ্ন রয়েছে। যে কারণে তার স্ত্রী নিজে এবং বিভিন্ন লোক দিয়ে তাকে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি তিনি যাতে বাকেরগঞ্জে বসবাস করে ব্যবসা না করতে পারেন সেজন্য তার স্ত্রী তাকে হুমকি দিচ্ছে। এতে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

যৌতুক দাবিতে দুই বোনের ওপর নির্যাতন বড় বোনের মৃত্যু
কুমিল্লার বরুড়া থানার গোপালনগর গ্রামের লিটন মিয়ার বড় মেয়ে ফাতেমাকে দুই বছর আগে বিয়ে দেওয়া হয় আড়াইহাজার উপজেলার লেঙ্গুরদী গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে বাবুর সঙ্গে। এক বছর পর তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। এ অবস্থায় লিটন মিয়া তার ছোট মেয়ে আসমার বিয়ে দেন বড় মেয়ের দেবর উজ্জ্বলের সঙ্গে। একপর্যায়ে দুই বোনের ওপর একসঙ্গে নেমে আসে যৌতুক দাবির খড়্গ। দুই ভাই শ্বশুরবাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে দুই বোনের ওপর শুরু করে নির্যাতন। গত ৬ জুন রাতে উপজেলার ব্রাþহ্মন্দী ইউনিয়নের লেঙ্গুরদী গ্রামের বাড়িতে বাবু ও উজ্জ্বল এবং তাদের পরিবারের লোকজন দুই বোনকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে। গুরুতর অবস্থায় দুই বোনকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বড় বোন ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে লিটন মিয়া ও তার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গিয়ে বড় মেয়ে ফাতেমার লাশ গ্রহণ করেন এবং ছোট মেয়ে আসমাকে হোমনার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে বড় মেয়ের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করে গত শুক্রবার রাতে আড়াইহাজার থানায় এসে সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন লিটন মিয়া। পুলিশ অভিযুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, মামলার মূল আসামি বাবু, উজ্জ্বলসহ চারজনকে শুক্রবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১১ জুন, ২০২৩
X