সিরাজগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে আদালতের তিনতলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আব্দুর রাজ্জাক রনি (২৬) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল।
আজ রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। আহত কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কাজিপুর উপজেলার কুনকুনিয়া গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে।
আদালতের পেশকার মো. রাসেল জানান, ২০২২ সালের ১ মার্চ কাজিপুর উপজেলার কুনকুনিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে তিথি আক্তার বন্যা বাদী হয়ে স্বামী কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাক রনির বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে এনে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন-২ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
রোববার স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম সালমা খাতুন উভয়পক্ষের আইনজীবীকে বলে মামলাটি মিমাংসার চেষ্টা করেন। প্রথমে রনি সংসার করার জন্য রাজি হয়। পরে বলেন, সংসার করবেন না। বিজ্ঞ বিচারক আইনজীবীদের উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে মিমাংসার জন্য ১০/১৫ মিনিট সময় দেন। পরে ডাকা হলে আসামি বলেন, আমি সংসার করবো না, আমাকে জেল দেন ফাঁসি দেন। বিচারক আবারও মিমাংসার জন্য সময় দেন। তৃতীয়বার যখন ডাকা হয়, তখন ওই রনি তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট জাহিদা সুলতানা বিথি বলেন, বিচারক মিমাংসার কথা বললে বাদী তিথি আক্তার বন্যা রাজি হলেও আসামি রাজি হয় না। একপর্যায়ে তিনি এজলাস থেকে বেরিয়ে বারান্দায় গিয়ে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
সিরাজগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোহা. মোস্তফা কামাল বলেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক আসামি মায়ের সাথে ঝগড়া করে হঠাৎ তিনতলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মন্তব্য করুন