পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত রমনা পার্ক, জাতীয় জাদুঘরের সামনে শাহবাগ মোড় ও রবীন্দ্র সরোবরে রাত পর্যন্ত ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর রমনা, শাহবাগ, ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ছাড়ে কোটির বেশি মানুষ, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে কর্মসূত্রে ঢাকায় বাস করেন। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে প্রত্যেকে শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বা পুনর্মিলন করতে। তবে এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি একসাথে হওয়ায় ছুটির দিনের তালিকা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশ দীর্ঘ।
এ ছাড়াও রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। তাই অনেকেই আগেভাগে রাজধানী ছেড়েছেন। তার পরও অনেকেই অবস্থান করছেন রাজধানীতে। আজ ঈদের দিন তারা সকাল থেকে দুপুর অব্দি রান্না-বান্না-খাওয়া-দাওয়াসহ ঘরের কাজ শেষ করে বিকেল থেকে ভিড় করেছেন রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত স্থানগুলোতে।
ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে চুড়ি, মালা, খেলনা, ওয়াটার রাইড, ফাস্টফুডের দোকান, ঝালমুড়ির দোকানসহ নানা আয়োজনে যেন অনেকটাই মেলায় রূপ নিয়েছিল লেকের পাড়। এ সময় নৌকায় করে ধানমন্ডি লেকে ঘুরে বেড়ান অনেকে।
এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি নরসিংদী না যাওয়ায় আদাবরের বাসিন্দা রাব্বি রহমান বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন রবীন্দ্র সরোবরে। তিনি বলেন, মন ঘুরতে চাইছিল, সে জন্য এখানে ঘুরতে নিয়ে এসেছি। এখানে এসে বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটছে। তা ছাড়া এ রকম সুন্দর পরিবেশ ও জ্যামবিহীন ফাঁকা রাস্তায় ঘুরার মজাই আলাদা।
শাহবাগ মোড়ে সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন আলিফ। তিনি বলেন, এবার ঈদের গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়নি। তাই সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। রমনা পার্ক থেকে শাহবাগ এলাম জাতীয় জাদুঘরে যাব। কিন্তু তার আগে ছেলে বলল, সে ফুচকা খাবে তাই তাকে নিয়ে ফুচকা খাচ্ছি। গ্রামের বাড়ি যেতে পারলে ভালো লাগত কিন্তু কাজের চাপ প্রচুর তাই যেতে পারিনি।
রমনা পার্কে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে হাঁটছিলেন আজগর হোসেন। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদায়। এবার ঈদে সরকারি কর্মচারীরা বড় ছুটি পেলেও তিনি সেই ছুটি পাননি। তাই তার আর পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ভাই-বোনদের সঙ্গে ঈদ পালন করা হয়নি। তাই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন রমনা পার্কে।
মন্তব্য করুন