ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিলেন মোদি
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোট দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ মে) গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের একটি কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। তিনি ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে অমোচনীয় কালি লাগানো হাতের আঙুল সমর্থকদের দেখান। তিনি হাত নেড়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উপস্থিত সবাই উল্লাসে ফেটে পড়েন। সবাই মোদির ছবি তোলার চেষ্টা করেন। পরে মোদি এক্সে পোস্ট দেন। তাতে লেখেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তিনি। সবাইকে ভোট দিতে অনুরোধ জানিয়ে মোদি ভারতের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য আহ্বান জানান। আজ ভারতে লোকসভার তৃতীয় দফার ভোট হচ্ছে। এই পর্বে ৯৩ আসনে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে আলোচিত গুজরাট রাজ্য ও কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, আসাম, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার রাজ্য রয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা-নগর হাভেলি ও দমন-দিউয়ে ভোট হচ্ছে। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সহজ জয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৭ মে, ২০২৪

নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে প্রাণে বাঁচলেন সায়নী
টালিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় বের হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যেই তার গাড়ির সামনে ভেঙে পড়ে গাছের ডাল। অল্পের জন্য বেঁচে যান অভিনেত্রী। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।    সোমবার ঝড়ের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে নির্বাচনের প্রচারে বের হন সায়নী। এরপর তৃণমূলের র‍্যালির সামনেই ভেঙে পড়ে গাছের ডাল। নিতাকর্মীরা সতর্কতার সঙ্গে অভিনেত্রীকে সরিয়ে নেন। এরপর গাছের দাল সরিয়ে আবারও নির্বাচনের প্রচারে বের হতে দেখা যায় তাকে। যার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  উল্লেখ্য, ভারতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। সে অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয় ২৬ এপ্রিল। ৭ মে মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি কেন্দ্রে।
০৭ মে, ২০২৪

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু
ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট। দ্বিতীয় দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোট হচ্ছে। এ ছাড়া কর্ণাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের ৮টি করে, বিহার ও আসামের ৫টি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এ তালিকায়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও। আজ দ্বিতীয় দফার এ নির্বাচনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর দিকে নজর থাকবে সবার। খবর এনডিটিভির। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় মোট ১ হাজার ২০৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর ওপর সবার নজর। রাহুল গান্ধী: সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়েনাড লোকসভা আসন থেকে ফের নির্বাচনে লড়ছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিআইর অ্যানি রাজা এবং কেরালা রাজ্য বিজেপির সভাপতি এনডিএ জোটের কে সুরেন্দ্রন। শশী থারুর: কংগ্রেস সংসদ সদস্য শশী থারুর ফের কেরালার তিরুবনন্তপুরম লোকসভা আসনের প্রার্থী হয়েছেন। তিনি এ আসন থেকে তিনবার লোকসভার এমপি নির্বাচিত হন। বিজেপি তার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরকে। এ ছাড়া বামজোট থেকে পানিয়ান রবীন্দ্রন প্রার্থী হয়েছেন। ওম বিড়লা: লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আবারও রাজস্থানের কোটা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রহ্লাদ গুঞ্জালকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। মহেশ শর্মা: উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর লোকসভা আসনে বিজেপির মহেশ শর্মার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সমাজবাদী পার্টির মহেন্দ্র সিং নগর এবং বিএসপির রাজেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি। হেমা মালিনী: কংগ্রেসের মুকেশ ধানগার উত্তর প্রদেশের মথুরা লোকসভা আসন থেকে অভিনেত্রী, বর্তমান সংসদ সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী হেমা মালিনীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অরুণ গোভিল: উত্তর প্রদেশের মিরাট লোকসভা আসনে বিজেপির অরুণ গোভিল মুখোমুখি হচ্ছেন সমাজবাদী পার্টির সুনিতা ভার্মা। অরুণ গোভিল নব্বইয়ের দশকে রামায়ণ সিরিয়ালে রামের চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পান। প্রহ্লাদ যোশী: কর্নাটকের ধারওয়াড় লোকসভা আসন থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির প্রহ্লাদ যোশীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডিঙ্গলেশ্বর স্বামী। নবনীত রানা: তেলেগু চলচ্চিত্রের তারকা অভিনেত্রী নবনীত রানা মহারাষ্ট্রের অমরাবতী লোকসভা আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এবার তার বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েকে মাঠে নামিয়েছে বিজেপি জোট। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে লোকসভার প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপে ভোট পড়ে প্রায় ৬৩ শতাংশ। এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোট পর্ব শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে।  
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
শুরু হয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে ১ জুন পর্যন্ত। মোট ৯৭ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এই নির্বাচনে। তবে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভোটার এবং আসন রয়েছে উত্তর প্রদেশে। তাই নির্বাচনের মাঠে এই প্রদেশের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সব দলের টার্গেট থাকে এই অঞ্চল। উত্তর প্রদেশে যে দল এগিয়ে থাকে ফলাফলেও তারা এগিয়ে থাকে।  ভারতে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। কারণ লোকসভায় উত্তর প্রদেশের রয়েছে ৮০টি আসন। প্রায় ২৪ কোটি ভোটারের এই প্রদেশ ভারতের সবচেয়ে জনবহুল এবং বৃহত্তম রাজ্য।  লোকসভায় সর্বমোট আসন ৫৪৩টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে অন্তত ২৭২ আসনে জয়ী হতে হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য, লোকসভায় তার নেতৃত্বাধীন জোটের চার শতাধিক আসনে বিজয় নিশ্চিত করা। আর উত্তর প্রদেশে জয়ী হতে পারলে তা মোদিকে তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অনেকখানি এগিয়ে দেবে। জনবহুল উত্তর প্রদেশর লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সাত দফায়। প্রথম ধাপে গতকাল শুক্রবার আটটি আসনে ভোট হয়েছে। পরে আরও ছয় ধাপে হবে ৭২টি আসনের ভোট। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন বিজেপি এই রাজ্যে বেশ ভালো ফল করবে।   বিশ্লেষকরা বলেন, দিল্লি যাওয়ার পথটা উত্তর প্রদেশ হয়েই যায়। এই রাজ্যে যে দল ভালো ফল করে, সাধারণত: ভারত শাসন করে থাকে তারাই। এই রাজ্য থেকে ভারতের আটজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন, সে বছর বিজেপি উত্তরপ্রদেশের ৮০টির মধ্যে ৭১ টি আসনে জিতেছিল। পরের বার, ২০১৯ সালে অবশ্য বিজেপির জেতা আসনের সংখ্যাটা কমে ৬২ হয়েছিল। মোদি ২০১৯ সালে প্রাচীন শহর বারাণসী আসন থেকে জিতেছিলেন, এবারও তিনি ওই আসন থেকেই ভোটে লড়ছেন। উত্তর প্রদেশ থেকে যেমন সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, অন্যদিকে রয়েছে সিকিম, নাগাল্যাণ্ড, মিজোরাম আর আন্দামান, লাক্ষাদ্বীপ এবং লাদাখের মতো কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলো, যার প্রতিটি থেকে মাত্র একজন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অন্য যেসব রাজ্য এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তার মধ্যে আছে ৪২ টি আসনের পশ্চিমবঙ্গ, ৪৮টি আসনের মহারাষ্ট্র, ৪০ আসনের বিহার এবং ৩৯টি আসনের তামিলনাডু। দেশের ২২টি রাজ্য আর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে একদিনেই ভোট নেওয়া হয়ে যাবে, তবে উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ আর বিহারের মতো বড় রাজ্যগুলিতে সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। বিজেপি, কংগ্রেস,আম আদমি পার্টি আর সিপিআইএম সহ ছয়টি জাতীয় স্তরের স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ছাড়াও আরও কয়েক হাজার প্রার্থী এই নির্বাচনে লড়তে চলেছেন। জাতীয় দলগুলি ছাড়াও ৫৮টি আঞ্চলিকভাবে স্বীকৃত দল এবং আরও অনেক ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও ভোটের ময়দানে নেমেছেন। 
২০ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট আগামীকাল থেকে শুরু
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে আগামীকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। লোকসভার ৫৪৩ আসনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে। পরে আগামী ৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে।  এ নির্বাচনে প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার ভোট দেবেন, যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি।  নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ জোটের মধ্যে। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন। বেশিরভাগ জনমত জরিপে ফের বিজেপি জোটেরই ক্ষমতায় আসার আভাস মিলেছে। গত ১৬ মার্চ ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লোকসভা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন। তপশিল অনুযায়ী, মোট সাত দফায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার ভোটের দিন ১৯ এপ্রিল, এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন সবশেষ দফার ভোট হবে। ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে। লোকসভা আসন কম এমন কয়েকটি রাজ্যে মাত্র এক দিনেই ভোট হবে। কিন্তু যেসব রাজ্যে আসন বেশি সেখানে কয়েক দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ২ হাজার ৬০০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর রয়েছে নিজস্ব প্রতীক—যেমন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতীক পদ্ম, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের হাত আর অন্যান্য দলের হাতি থেকে শুরু করে বাইসাইকেল, চিরুনি বা তীর নানাবিধ প্রতীক রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে নির্বাচনী প্রতীক ভোটের মাঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ভারতের বেলায় সত্য। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ ভোটারই নিরক্ষর, তাই প্রতীক দেখেই তারা কে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তা বুঝতে পারেন। এবার ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি। তারা সাড়ে ১০ লাখ ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেবেন। অনেক ভোটকেন্দ্র হবে অতি-দুর্গম। কোনোগুলো সুউচ্চ হিমালয়ের তুষারঘেরা পর্বতের কোলে, আবার গা পোড়ানো উষ্ণতার রাজস্থানের মরুর বুকেও চলবে ভোটগ্রহণ। এমনকি ভারত মহাসাগরে খুবই কম জনসংখ্যার দ্বীপপুঞ্জগুলোও বাদ যাবে না। নির্বাচন পরিচালনার জন্য দেড় কোটি নির্বাচনকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন। এই কর্মীরা নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে পাড়ি দেবেন শীতল হিমবাহ ও মরুভূমি।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

লোকসভা নির্বাচন গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে গণতন্ত্র এবং সংবিধান বাঁচানোর লড়াই বলে অভিহিত করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গতকাল শুক্রবার লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে কংগ্রেসের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দিল্লিতে দলের সদর দপ্তরে এ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেসহ দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খবর এনডিটিভির। এ ইশতেহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যায় পত্র’। কংগ্রেস তার ইশতেহারে পঞ্চ ন্যায় বা ‘ন্যায়বিচারের পাঁচটি স্তম্ভ’র ওপর জোর দিয়েছে। এগুলো হলো ‘যুব ন্যায়’, ‘নারী ন্যায়’, ‘কিষান ন্যায়’, ‘শ্রমিক ন্যায়’ এবং ‘হিসসেদারি ন্যায়’। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের জন্য তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে জনগণকে দেওয়া গ্যারান্টিগুলোর ওপরও জোর দিয়েছে দলটি। ইশতেহারে ভারতের ৩০ লাখ সরকারি শূন্যপদে চাকরি, ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবীমা, নারীদের আর্থিক সহায়তা, জাতগণনা এবং ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জাতভিত্তিক সংরক্ষণ (এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য), আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, এই নির্বাচন গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন। একদিকে রয়েছে এনডিএ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি যারা সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে ক্রমাগত ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। অন্যদিকে রয়েছে ইন্ডিয়া জোট যারা সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে প্রতিনিয়ত প্রাণপাত করে চলেছে। নির্বাচনে জিতলে জোটের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রাহুল বলেন, নির্বাচনের পর জোটের তরফে আলোচনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি ঠিক করা হবে। ইন্ডিয়া জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আমরা এই নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ছি। নির্বাচনের পর জোট একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে কে হবেন নেতা এবং কে হবেন প্রধানমন্ত্রী।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

লোকসভা ভোটের আগে নতুন চাপে কংগ্রেস
ভারতে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে চলছে প্রচার-প্রচারণা। আর এরই মধ্যে আয়কর দপ্তরের একটি নোটিশ পাওয়ার পর বেশ বেকায়দায় পড়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খাড়গের দলের কাছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে পাঠানো হয়েছে এ নোটিশ। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত আয়কর সংক্রান্ত রিটার্ন পর্যালোচনা করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সংস্থাটির একটি সূত্র। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন আয়কর নোটিশের প্রাপ্তি স্বীকার করে শুক্রবার বলেন, ‘পুরোনো ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে আয়কর রিটার্ন পুনর্মূল্যায়নের নামে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত শয়তানি শুরু হয়েছে।’ বকেয়া কর, তার সুদ এবং জরিমানার অঙ্ক মিলিয়েই ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। আয়কর আইনের ১৩(১) ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলার পরই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করার পরই ধারাবাহিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে আয়কর দপ্তর। বৃহস্পতিবারও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের কর পুনর্মূল্যায়নের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের একটি নতুন আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছিলেন। এর পরই পাঠানো হয় নতুন নোটিশ। ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে কংগ্রেসের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল হাইকোর্টে। এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে আয়কর দপ্তরের নোটিশ পেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। শুক্রবার এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিজেপি আয়কর আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। ওদের কাছে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে আয়কর নোটিশ পাঠানো উচিত। এ সময় সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেন, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ‘কর সন্ত্রাস’ শুরু করেছে। ওরা বিরোধীদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিতে চাইছে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির চমক কঙ্গনা-গোভিল
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে পঞ্চম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ১১১ জন থাকলেও নেই গান্ধী পরিবারের সন্তান বরুণ গান্ধী। তবে তার মা মানেকা গান্ধী রয়েছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি সরকারের সমালোচনায় মুখর থাকার কারণে এবার বরুণ দলের টিকিট পাননি বলে মনে করা হচ্ছে। বরুণের মতো একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে সাবেক সেনাপ্রধান ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিংকেও। তবে এ তালিকার সবচেয়ে বড় চমক অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বছর কয়েক ধরেই তিনি বিজেপির সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। তারই পুরস্কার পেলেন তিনি। নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে এবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়াও বিজেপির টিকিট পেয়েছেন এক সময় ‘রামায়ণ’ সিরিজে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া অভিনেতা অরুণ গোভিল। খবর এনডিটিভির। বরুণের মা মানেকা গান্ধী উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর আসনে লড়বেন। বরুণকে ছেঁটে ফেলে বিজেপি পিলিভিট আসনে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস থেকে যোগ দেওয়া জিতিন প্রসাদকে। জিতিন ছিলেন মনমোহন সিং মন্ত্রিসভার সদস্য ও রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ। অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে বিজেপি এবার বেছে নিয়েছে অভিনেতা অরুণ গোভিলকে, যিনি ১৯৮৭-৮৮ সালে দূরদর্শনে ‘রামায়ণ’ সিরিজে রামের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। অরুণ প্রার্থী হয়েছেন উত্তর প্রদেশের মেরঠ আসনে। উত্তর প্রদেশে বিজেপি এবার ৮০টির মধ্যে ৭৬ আসনে লড়বে। বাকি ৪টি তারা ছাড়ছে শরিকদের। কংগ্রেস ত্যাগী আরও এক নেতা রাজ্যসভার সাবেক সদস্য নবীন জিন্দল রোববার রাতে বিজেপিতে যোগ দিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র থেকে প্রার্থী মনোনীত হন। সাবেক সেনাপ্রধান ভি কে সিং আগেই গাজিয়াবাদে প্রার্থী হিসেবে দেয়াললিখন করেছেন। পোস্টার ও হোর্ডিং লাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি সরে দাঁড়ান। বিজেপি টিকিট দেয়নি কর্ণাটকের নেতা অনন্ত হেগড়েকেও। দিনকয়েক আগেই তিনি বলেছিলেন, বিজেপি ৪০০ আসন জিততে চাইছে সংবিধান বদলে দেবে বলে। বিজেপি তখনই তার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ওই মন্তব্যের খেসারত দিতে হলো অনন্তকে। তালিকায় বিজেপি ৩৭ জন এমপিকে বাদ দিয়েছে। বি কে সিংয়ের মতো বাদ পড়েছেন মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবেও। রাজ্যসভায় দুবার নির্বাচিত হওয়া সদস্যদের এবার লোকসভায় দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি সচেষ্ট। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে তাই প্রার্থী করা হয়েছে ওডিশার সম্বলপুর থেকে। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র দাঁড়াচ্ছেন পুরী থেকে। কর্ণাটকের নেতা জগদীশ শেট্টার বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের পর আবার তিনি বিজেপিতে ফিরে যান। তিনি বেলগাম থেকে ভোটে লড়বেন।
২৬ মার্চ, ২০২৪

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু ১৯ এপ্রিল
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সাত ধাপে এই ভোট গ্রহণ শুরু হবে ১৯ এপ্রিল; চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন। গতকাল শনিবার ভোটের এই তারিখ ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন। বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৬ জুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। সেখানে প্রায় ৯৭ কোটি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে। খবর এনডিটিভির। সাত ধাপে ভোট গ্রহণের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, সাড়ে ১০ লাখের বেশি ভোটকেন্দ্রে দেড় কোটি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। ৫৫ লাখের বেশি ইভিএম, ৪ লাখ যানবাহন ভোটের কাজে ব্যবহার হবে। ভারতে টানা দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন নরেন্দ্র মোদি। জনমন জরিপে এবারও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালিয়েন্সের (এনডিএ) সহজ জয়ের পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। মোদির এনডিএকে টেক্কা দিতে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রায় দুই ডজন দল মিলে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালিয়েন্স- আইএনডিআইএ (ইন্ডিয়া) জোট গঠন করেছে। ভারতের লোকসভায় আসনসংখ্যা ৫৪৩। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২৪০০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। লোকসভা নির্বাচনে ভোটের তারিখ ঘোষণা ছাড়াও ভারতের চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করা হয়। অরুণাচল প্রদেশে ১৯ এপ্রিল, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৩ মে, ওড়িশায় ১৩ ও ২০ মে এবং সিকিমে ১৯ এপ্রিল ভোট গ্রহণ হবে।
১৭ মার্চ, ২০২৪
X