কক্সবাজারে ৪ রোহিঙ্গা শরণার্থী আটক
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৪ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ মার্চ) রাতে স্থানীয় ধুরুং বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী ক্যাম্পের নুর কামাল, মো. রিদোয়ান, সুফিয়ান  এবং চাকমারকুল ক্যাম্পের এনায়েত। পুলিশ সূত্র জানায়, ধুরুং বাজারের পূর্ব পাশে আশ্রয়ণ প্রকল্পে কিছু রোহিঙ্গা ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. গোলাম কবির জানান, আটককৃতরা থানা হেফাজতে রয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতায় কারা জড়িত, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা যুবক খুন
কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাদশা মিয়া (৩৮) নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে।  শনিবার (১৭ ফেরুয়ারি) দিবাগত রাতে উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৩ ব্লকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত বাদশা মিয়া উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সিরাজুল মিয়ার ছেলে। উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার রাতে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মিলে বাদশা মিয়া নামে এক রোহিঙ্গাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসাপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের পর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা স্থগিত করল কানাডা
ইসরায়েলে হামাসের হামলার সঙ্গে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত এমন অভিযোগ ওঠায় সংস্থাটির অর্থায়ন স্থগিত করে দিয়েছে কানাডা। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে কানাডাও। খবর টামইস অব ইসরায়েলের। কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হোসেন এক এক্সবার্তায় বলেছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কোনো দ্বিধা ছাড়াই নিন্দা করে কানাডা। এ হামলার সঙ্গে ইউএনআরডব্লিউএর কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত থাকার অভিযোগে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, আমি কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি যেন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউএনআরডব্লিউএর সব ধরনের তহবিল বন্ধ রাখে। এর আগে শুক্রবার ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ হামলায় ইউএনআরডব্লিউএর কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত, তাদের কাছে এমন তথ্য জমা দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের এমন তথ্য দেওয়ার পর ১২ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগের পর ইউএনআরডব্লিউএকে অর্থ দেওয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ইসরায়েলের এ অভিযোগ খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে দেশটি। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীর দেখাশোনায় ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে অবস্থান করা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ নানা ধরনের সামাজিক সেবামূলক কাজে সহায়তা দেয় সংস্থাটি। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮৩ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ে গাজা যুদ্ধে ২৬ হাজার ৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬৪ হাজার ৪৮৭ জন মানুষ।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজার শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার পর ইসরায়েলি বাহিনীর ‘বড়দিন’ শুরু
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খ্রিষ্টধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের প্রাক্কালে অর্থাৎ স্থানীয় সময় রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এ বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ইসরায়েলি এই বর্বর হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা রোববার গভীর রাতে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘আল-মাগাজি ক্যাম্পের জনাকীর্ণ আবাসিক চত্বরে যা সংঘটিত হচ্ছে তা আসলে গণহত্যা।’ আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বর্বর এই হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে এবং হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলার পর সেখানকার মানুষ বেঁচে যাওয়া লোকদের খুঁজে বের করার চেষ্টায় ধ্বংসস্তূপের ভেতরে তল্লাশি করছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে দেশটির ১২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৩০ জন। হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবরই গাজায় পালটা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এর পর আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। এ হামলা থেকে মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির - কিছুই বাদ যায়নি। ইসরাইলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আর উদ্বাস্তু হয়েছেন গাজার ২৩ লাখের মধ্যে ১৮ লাখের বেশি বাসিন্দা।  
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাজায় শরণার্থী শিবিরে শতাধিক নিহত
ইসরায়েলের হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে অনেকে। স্থানীয় সময় রোববার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরের আল ফারা নামে আরও এক শরণার্থী শিবিরে হামলায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ইসরায়েল গাজায় লাখো মানুষের ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে খাদ্য সরবরাহে বাধা দিয়ে তারা যুদ্ধাপরাধের মতো অন্যায় করছে। অন্যদিকে গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আবার একটি প্রস্তাব এনেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জাবালিয়া শরনার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও আহত ব্যক্তি ও মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। হামলায় শিশুসহ আহত ব্যক্তিদের পার্শ্ববর্তী চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোয় নেওয়া হয়েছে; যদিও এসব চিকিৎসাকেন্দ্র আগে থেকেই রোগীতে ভরে আছে। এ হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ‘প্যালেস্টানিয়ান ইসলামিক জিহাদ’ দলের মুখপাত্র দাউদ শেহাবের ছেলে রয়েছেন। এ দলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে টেলিফোনে বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মরদেহের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু ইসরায়েলি হামলার মাত্রা এত বেশি যে, এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাদের উদ্ধারের কোনো উপায় নেই।’ এদিকে গাজার মধ্যাঞ্চলেও হামলা হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আর গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা পরিষদে ফের প্রস্তাব আমিরাতের: এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পর বৈশ্বিক এই সংস্থার সবচেয়ে ক্ষমতাধর অংশ নিরাপত্তা পরিষদে ফের প্রস্তাব এনেছে পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোববার প্রস্তাবটি আনে আমিরাত। প্রস্তাবের একটি খসড়া অনুলিপিতে বলা হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা সামগ্রী পৌঁছানোর জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।’ নিরাপত্তা পরিষদে এরই মধ্যে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। সোমবার সেটির ওপর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গত ২৫ নভেম্বর প্রথমবারের মতো বিরতিতে যায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। ১ ডিসেম্বর উপত্যকায় ফের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় অস্থায়ী এই মানবিক বিরতি। গাজায় হামাস-আইডিএফের তীব্র সংঘাতের মধ্যেই গত ৯ ডিসেম্বর উপত্যকায় ফের যুদ্ধবিরতি চেয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো প্রস্তাব তোলে আমিরাত। তবে পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির (ভেটো) কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। নিরাপত্তা পরিষদে আমিরাতের প্রস্তাব বাতিল হওয়ার কয়েক দিন পর, ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় এবং সাধারণ পরিষদের ১৯১টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৫৩টিই সেটির পক্ষে ভোট দেয়। মূলত সাধারণ পরিষদের ভোটের ফলাফলকে আমলে নিয়েই দ্বিতীয়বার এ পদক্ষেপ নিয়েছে আমিরাত।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। এর আগেও শরণার্থী শিবিরটিতে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি হামলায় শরণার্থী শিবিরে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। এ হামলায় জাবালিয়া শহরের আল-বারশ এবং আলওয়ান পরিবারের একটি আবাসিক ব্লকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। কয়েক ডজন মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মৃতদেহ রয়েছে। আহতদের অনেককে কাছাকাছি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাজা শহরের কামাল আদওয়ান হাসপাতালের ধ্বংসকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছে এবং আল-শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতিকে ‘সম্পূর্ণ ভীতিকর দৃশ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হতাশা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার এবং পানি পেতে সাহায্য ট্রাক লুট করছে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা। গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাজায় শরণার্থী শিবির ও স্কুলে হামলায় নিহত ১০০
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এবং কেন্দ্রে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আগের দিন সোমবার রাতে উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দুটি স্কুলে বোমা বর্ষণ করেছিল ইসরায়েল, সেই অভিযানেও নিহতের সংখ্যা ছিল ৫০ জন। ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের এসব হামলায় মোট ১০০ জন নিহত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। আর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে জুয়া খেলছেন বলে অভিযোগ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তারা উভয়েই কাতারের রাজধানী দোহায় মঙ্গলবার শুরু হওয়া উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট জিসিসির সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। খবর আলজাজিরার। গাজায় মঙ্গলবারের হামলায় নিহতদের মধ্যে ৪০ জন খান ইউনিস শহরের এবং ১০ জন নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের। এ ছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবির চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের দাবি হামাস যোদ্ধারা এসব শিবিরে ছদ্মবেশে রয়েছে। সোমবার রাতে গাজা উপত্যকার উত্তরে দারাজ এলাকায় দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেক ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ওই স্কুল দুটি ব্যবহৃত হচ্ছিল। এরকম অবস্থায় আহত মানুষে ভরে গেছে হাসপাতালগুলো। তাদের জরুরিভাবে রক্ত দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এদিকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিকল্পিত গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তিনি বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে। শিগগিরই গাজায় পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার দোহায় উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে কাতারের আমির বলেন, ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী সব ধরনের রাজনৈতিক, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেছে। নিরীহ নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক গণহত্যার ঘটনার মতো এই জঘন্য অপরাধ অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়াটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য লজ্জাজনক। ন্যায় উদ্দেশ্যের প্রতি অবিচল থাকায় এ সময় ফিলিস্তিনিদের প্রশংসা করেন তিনি। কাতারের এই শাসক দোহায় উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের বৈঠকে দেওয়া বক্তৃতায় গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর টানা প্রায় ২ মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় একই পরিবারের অর্ধশতাধিক নিহত
গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে একই পরিবারের অর্ধশতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বুধবার ইসরায়েলি হামলায় গাজার বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে এমন ঘটনা জানিয়েছে দেশটি।  ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালাকি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ৫২ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। বুধবার সকালে তাদের মৃত্যু হয়েছে।  তিনি বলেন, বুধবার সকালে জাবালিয়ার কাদোরা পরিবারের ৫২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের সবার নামের তালিকা আমাদের হাতে রয়েছে। এ তালিকায় দাদা থেকে নাতি-নাতনি রয়েছে।  বিবিসি জানিয়েছে, তারা এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। কেননা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হলো পশ্চিম তীর ভিত্তিক আর এ অঞ্চলটি হামাস থেকে হামাস থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।  এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ে দুপক্ষই সম্মত হলেও এখনও নির্ধারিত হয়নি সময়। হামাস বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে যুদ্ধবিরতির কথা জানালেও বন্দিবিনিময়ের ব্যাপারে নতুন বার্তা দিয়েছে ইসরায়েল। তারা জানিয়েছে, শুক্রবারের আগে কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেবে না হামাস। বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান জাচি হানেগবি জানান, শুক্রবারের আগে ফিলিস্তিনের কাছে থাকা কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেবে না হামাস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে আমাদের আলোচনা ও পদক্ষেপের অগ্রগতি হয়েছে, যা ক্রমাগত অব্যাহত থাকবে।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩১
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরণার্থী শিবিরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ১২টি ভবনকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। শরণার্থী শিবিরের জাবালিয়া সার্ভিস ক্যাম্পের কাছাকাছি এলাকায় এ হামলা করা হয়।  গাজায় স্থল অভিযান ‍শুরুর পর থেকে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এসব শিবিরের বেশিরভাগই এই ভূখণ্ডের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।  নিজেদের এ হামলার পক্ষে যুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তারা জানিয়েছে, বেসামরিক লোক নয়, হামাসের কমান্ডারদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা। তবে এসব হামলার বেশিরভাগই বেসামরিক লোকজন।  এর আগে চলতি মাসের শুরুতে টানা তিন দিন জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালায় ইসরায়েল।  ওই সময়ের ইসরায়েলি হামলায় জাবালিয়ার ১৯৫ জন নিহত ও ১২০ জন নিখোঁজ হয় বলে জানায় ফিলিস্তিন। 
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

গাজায় শরণার্থী শিবিরে আবারও ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৩০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও আরেকটি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলায় ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আলজাজিরার। হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, মাগাজি শরণার্থী শিবিরে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলার পরপর দেইর আল-বালার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে ৩০টির বেশি মৃতদেহ আনা হয়েছে। এর আগে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছিল, ইসরায়েলি এই হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এখনো এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, বোমা হামলার সময় ওই এলাকায় তাদের সেনাবাহিনী ছিল কি না, তা তারা খতিয়ে দেখছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পরপর সারা বিশ্বে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ ছাড়া গত শুক্রবার গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের পাশে একটি অ্যাম্বুলেন্স বহরে ইসরায়েল বোমা হামলা চালালে ১৫ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৩
X