ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খ্রিষ্টধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের প্রাক্কালে অর্থাৎ স্থানীয় সময় রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এ বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরায়েলি এই বর্বর হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা রোববার গভীর রাতে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘আল-মাগাজি ক্যাম্পের জনাকীর্ণ আবাসিক চত্বরে যা সংঘটিত হচ্ছে তা আসলে গণহত্যা।’
আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বর্বর এই হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে এবং হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলার পর সেখানকার মানুষ বেঁচে যাওয়া লোকদের খুঁজে বের করার চেষ্টায় ধ্বংসস্তূপের ভেতরে তল্লাশি করছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে দেশটির ১২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৩০ জন। হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবরই গাজায় পালটা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এর পর আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। এ হামলা থেকে মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির - কিছুই বাদ যায়নি।
ইসরাইলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আর উদ্বাস্তু হয়েছেন গাজার ২৩ লাখের মধ্যে ১৮ লাখের বেশি বাসিন্দা।
মন্তব্য করুন