পিতার লাশ ঘরে রেখে পরীক্ষা, এসএসসিতে যে ফল পেল সে শিক্ষার্থী
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে অংশ নেওয়া সেই মেমেসিং মারমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। রোববার (১৩ মে) এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর জানা যায়, মেমেসিং মারমা জিপিএ- ৩.০৬ পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সে কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কুকিমারা এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তার পিতা উপেচিং মারমার আকস্মিক মৃত্যু হয়। সেইদিন মেমেসিং তার পিতার মরদেহ ঘরে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ওই ঘটনার ছবি ও সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর কাপ্তাইবাসীসহ সারা দেশের মানুষকে মর্মাহত করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সুবিমল তঞ্চঙ্গ্যা জানান, মেমেসিং মারমা যেই পরিস্থিতিতে এসএসসিতে অংশ নিয়েছিল আসলেই বিষয়টি ছিল অনেক কষ্টের। বিশেষ করে পিতার মরদেহ ঘরে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এটি ছিল অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। তাই সে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে, এতে সে অনেক ভালো ফলাফল করেছে। হয়তো এমন একটি দুর্ঘটনা না ঘটলে সে আরও ভালো ফলাফল করতে পারত। এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরঞ্জিত তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, মেমেসিং মারমার এই ফলাফলে আমরাও অনেক আনন্দিত। সে ভবিষ্যতে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাবে এবং আরও ভালো ফলাফল করবে বলে আমরা আশাবাদী। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে কোনো সহযোগিতায় আমরা তার পাশে থাকব।
২ ঘণ্টা আগে

সোশ্যাল সাইট নির্মাণ করে তাক লাগালেন যবিপ্রবির শিক্ষার্থী এজাজ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একত্রিত করতে একটি নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাইট নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী শেখ এজাজুল কবির। সাইটটির নাম justian.xyz। এটি ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে সহজেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এটি পাবলিক করার পর প্রশংসায় ভাসছেন এজাজুল কবির। সাইট নির্মাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে নিজ উদ্যোগে তিলে তিলে নিজের শ্রম, মেধা ও প্রজ্ঞার সমন্বয়ে প্রায় আট মাসের সাধনায় অত্যন্ত জাস্টিয়ান ডট এক্স ওয়াই জেড নামের এই ওয়েবসাইট নির্মাণ করেছেন তিনি। সাইটটি মার্ন (MERN) স্ট্যাকে বিল্ড ও কোডিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নির্মাতা এজাজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওয়েবসাইটটির দুটি সেকশন রয়েছে। যার একটি সোশ্যাল সেকশন এবং অপরটি ই-কমার্স সেকশন। ই-কমার্সের অংশটি এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে ওপেন করা হয়নি, কিছু বৈধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এই সেকশনটি চালু করা হবে। একই সঙ্গে মাল্টিভেন্ডর ই-কমার্স সিস্টেমে আপগ্রেড করা হবে। ফলে শিক্ষার্থীরা যে কোনো পণ্য বেচা-কেনা করতে পারবে। বর্তমানে সাইটটিতে ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেকশনের কাজ চলছে, এর ফলে ইমার্জেন্সি ইস্যুতে এক ক্লিকেই একটা মেসেজ সবার ই-মেইলে পৌঁছে যাবে। সাইটটি নির্মাণের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে শেখ এজাজুল কবির বলেন, জাস্টিয়ান ডট এক্স ওয়াই জেড (justian.xyz) সাইটটি আমার নিজ উদ্যোগে তৈরি করা। এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে এক প্ল্যাটফর্মে আনার জন্য ডিজাইন করেছি। এতে আমরা শিক্ষার্থী বান্ধব যে কোনো ডিজিটাল কাজ অনেক সহজে করতে পারব। যেমন- পেমেন্ট, গেটওয়ে, যেহেতু ইন্টিগ্রেট করা আছে তাই ডোনেশন, শপিং, টিকিট রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি কাজ করা যাবে। বর্তমানে সাইটটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, ধীরে ধীরে আরও নতুন কিছু যুক্ত করার ইচ্ছা আছে আমার। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে কোড করে এটি বানিয়েছি। সাইটে অথেনটিকেশনসহ অনেক ধরনের সিকিউরিটি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। ওয়েবসাইটকে ঘিরে কেমন সাড়া পড়েছে জানতে চাইলে এজাজুল বলেন, আমাদের অ্যাল্যামনাই সাইটটি নিয়ে সবাই বেশ আগ্রহী। তবে প্রচারের অভাবে আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই সাইটটির ব্যাপারে জানেন না। ফলে অ্যাকাউন্ট খোলার হার একটু কম। তবে এ পর্যন্ত  ৪৩৮টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যার প্রায় ৩০ শতাংশ অ্যাকাউন্টই সাবেক ভাই-আপুদের। তারা অ্যাকাউন্ট খুলছে, ছবি আপলোড দিচ্ছে, সবাই বেশ ইনজয় করছে। ওয়েবসাইট নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইটটিকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাল্যামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে দিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে। সাইটটি হোস্ট করে রাখার জন্য প্রতি মাসে ১৮০০ টাকা খরচ করতে হয় সার্ভারের জন্য। সাইটটি রেডি হয়েছিল বেশ আগে। কিন্তু হোস্ট করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলসহ অনেক জায়গায় যাওয়ার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে শেষে নিজেই সার্ভার নিয়ে হোস্ট করেছি। এখন প্রতি মাসে আমাকেই সেই বিল দিতে হচ্ছে। আশা করি বিনিয়োগ বৃথা যাবে না।
১২ মে, ২০২৪

বয়সসীমা ৩৫ চেয়ে আন্দোলন / আদালতে গ্রেপ্তার ১৪ শিক্ষার্থী
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর চেয়ে আন্দোলন করা গ্রেপ্তার ১৪ শিক্ষার্থীকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়েছে।  রোববার (১২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আল আমিন তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা হলেন- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চাই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন রশিদ রতন, সদস্য সচিব মো. রাসেল, হুমায়ন কবির মানিক দাস, আল আমিন, শেখ ফরিদ, আজম মোহাম্মদ, মো. সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাকিম, রিমা আক্তার, শারমিন আক্তার দৃষ্টি, ফাতেমা আক্তার, মো. শরীফুল হাসান শুভ ও খোকন।    এর আগে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর দাবি করা ৫১৪ আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক এম এলিস মাহমুদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় অবৈধভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
১২ মে, ২০২৪

রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ২২১২ শিক্ষার্থী
বই পড়ে পুরস্কার পেল রাজশাহীর ২ হাজার ২১২ শিক্ষার্থী। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মহানগরীর ৫১টি স্কুলের প্রায় ৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী বই পড়া কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এসব স্কুলের যেসব ছাত্র-ছাত্রী মূল্যায়নপর্বে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে আজ তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ পুরস্কার বিতরণীতে সহযোগিতায় ছিল গ্রামীণফোন। এক বর্ণাঢ্য উৎসবের মধ্য দিয়ে চারটি পর্বে মোট ২ হাজার ২১২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ১ হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং ৫৫২ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক পুরস্কার গ্রহণ করেন।  দিনব্যাপী পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া, বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক ও অনুবাদক খায়রুল আলম সবুজ, গ্রামীণফোনের সার্কেল মার্কেটিং হেড শাহিনুর রহমান এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।  এ ছাড়া অন্যান্য পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নাটোর শাখার সংগঠক অধ্যাপক অলোক মৈত্র, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক জুলফিকার মতিন, লেখক, উপন্যাসিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবাল, বিশ্ব-পরিব্রাজক ও লেখক তারেক অণু, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ  ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সুজন এর সভাপতি ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র রাজশাহী শাখার সাবেক সংগঠক আহমেদ শফিউদ্দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন তার স্বাগত বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং এই বিশাল আয়োজনে ও পুরস্কারের বই স্পন্সরের জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, বই মানুষের মনঃস্তাত্ত্বিক বিকাশে সহায়তা করে। বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে জীবনে সার্বিক উন্নয়ন অনেকটাই সহজতর হয়। সে জন্য তিনি বেশি বেশি বই পড়তে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিগত ৪৫ বছর ধরে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নেতৃত্বে সারা দেশে বইপড়া আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বই পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানা যায়। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থেও বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। একটি উন্নত ও সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে বই পড়ার গুরুত্ব অপিরসীম বলে উল্লেখ করেন এবং সবাইকে বইপড়ার আহবান জানান। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীসহ আগত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি আরও বলেন, একটি দেশের জাতিসত্ত্বা নির্মাণ করার জন্য বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বই পড়ার গুরুত্ব আমরা সবাই যদি অনুধাবন করি তাহলে আগামীতে আমাদের সন্তানরা নৈতিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ বলেন, পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের বই পড়ে চিন্তার জায়গায় সৎ হওয়ার পরামর্শ দেন কারণ আলোকিত মানুষ হতে হলে সৎ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান। গ্রামীণফোনের সার্কেল মার্কেটিং হেড শাহিনুর রহমান তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই গ্রামীণফোন সবসময়ই তরুণদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী। এরই ধারাবাহিকতায় বই পড়ার সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই মহতী উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে তারা আনন্দিত বলে জানান। এদিকে আজকের উৎসবে প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরাপাঠক পুরস্কার শিরোনামে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। আজকে ৫১টি স্কুলের ২ হাজার ২১২ জন ছাত্রছাত্রী পুরস্কার প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ৭৫৫ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ৫৭৫ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৭২৬ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ১৫৬ জন। বিজয়ী ১৬৬০ জন শিক্ষার্থীকে সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং ৫৫২ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরা পাঠক বিজয়ীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জনে একটি হিসেবে মোট ১৫টি বিশেষ পুরস্কারও প্রদান করা হয়। বিশেষ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ১০টি  মূল্যবান বইয়ের একটি করে সেট।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
১০ মে, ২০২৪

বাজার করতে গিয়ে দোকানির হাতে মারধরের শিকার চবি শিক্ষার্থী
বাজার করতে গিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং ফটকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আনাস মাহদী। তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ সেশনের ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ২নং ফটকে বাজার করতে যান ওই শিক্ষার্থী। দোকানির সঙ্গে দামাদামির একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর ওপর হাত তোলেন দোকানি। এ সময় পাশ থেকে আরও কয়েকজন গিয়ে মারধর করে ভুক্তভোগীকে। এ ঘটনায় মাথা ফেটে রক্ত বের হয় তার ভুক্তভোগীর।  মারধরের শিকার আনাস মাহদী কালবেলাকে বলেন, প্রতিদিনের মতোই আমি বাজার করতে ২নং ফটকে যাই। এ সময় রহমানিয়া হোটেলের পাশের একটি দোকানে বাজার করতে গেলে দাম বেশি চায় শামসুদ্দিন নামের ওই দোকানি। তখন কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আমাকে ওই দোকানি ও তার কিছু অনুসারী মিলে মারধর করে। এতে আমার মাথা ফেটে রক্ত পড়ে পুরো গেঞ্জি লাল যায়।  আনাস মাহদী আরও বলেন, পরবর্তীতে খোঁজ পেয়ে আমার কিছু বড় ভাই ও প্রক্টর স্যার আসেন। চবি মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাটহাজারী থানায় একটি একটি সাধারণ ডায়েরি করছি। প্রশাসনের কাছে আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার বিচার চাচ্ছি।  এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদী হয়ে মামলা করার দাবি জানায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।  এ বিষয়ে চবি মেডিকেলে দায়িত্বরত ডা. আতাউল গনি পারভেজ বলেন, মারধরের ঘটনায় তার (ভুক্তভোগী) মাথা থেকে রক্ত ঝরেছে অনেক।  তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।    বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, ২নং ফটকে মারধরের ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিক ওই জায়গায় যাই। পরে স্থানীয় দোকানদের সঙ্গে কথা বলে তাকে (ভুক্তভোগী) মেডিকেলে পাঠাই। সে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ নেবে।
০৮ মে, ২০২৪

বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ফসল, ঘরবাড়ি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দুপুর থেকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড় প্রায় দেড় ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়েছে। প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ায় উপজেলার অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উড়ে গেছে বসতঘরের টিনের চাল। উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ। বড় বড় গাছ পড়ে আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বোরো ধান, আম ও কাঠালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছ পড়ে উপজেলা ভূমি অফিসের একটি ভবন ভেঙে গেছে। এদিকে বারইয়ারহাট পৌর এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে টিন উড়ে এসে পড়ে সিএনজি চালক আমলমগীর গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুলে ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় বজ্রপাতে আতঙ্কিত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার মিঠাছরা এলাকায় লাইনে বজ্রপাতে তিন ইঞ্চি পাইপ ফেটে যাওয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ।   জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে বারইয়ারহাট পৌরসভা, মিরসরাই পৌরসভা, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন, মিঠানালা, ওয়াহেদপুর, দুর্গাপুর, খৈয়াছড়া, কাটাছরা ও ইছাখালী ইউনিয়নে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকভাবে গাছপালা উল্টে গেছে। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি। এছাড়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে গাছপালা ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  কাটাছরা ইউনিয়নের কৃষক মুসলিম উদ্দিন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার জমিতে চাষ করা প্রায় ১ হাজার ২৫০ পিস সাম্মাম গাছ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। অনেক গাছে ফলনও এসেছিল। এতে প্রায় আমার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  আবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নুরুল আবছার বলেন, বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়া দেখে ক্লাসের ভেতরে আতঙ্কিত হয়ে আমার বিদ্যালয়ের সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ কাশেম বলেন, ঝড়ে আমার এলাকার অনেক জায়গায় গাছ-পালা ভেঙে অনেক ঘরবাড়ির টিন উপড়ে গেছে ও সড়কে গাছ পড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তন্ময় জামশেদ আলম জানান, সোমবার দুপুরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম আদনান আহমেদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের অফিসের আওতাধীন প্রায় ৩০টি খুঁটি ভেঙে গেছে। অসংখ্য জায়গায় গাছপালা ভেঙে তার ছিঁড়ে গেছে। এছাড়াও উপজেলার আরও বিভিন্ন এলাকায় প্রায় আরও অর্ধশত বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যেতে পারে। আমাদের কর্মীরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছে, তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। ইউএনও মাহফুজা জেরিন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলাজুড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। তিনি বলেন, মিঠাছরা এলাকায় লাইনে বজ্রপাত হয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কর্মীরা এসে লাইন মেরামতের কাজ করছে।
০৬ মে, ২০২৪

সংহতি সমাবেশ আয়োজনের জন্য ছাত্রলীগকে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ 
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশাল ‘পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ’ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে যুক্ত হয়ে ছাত্রলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি দুই শিক্ষার্থী। সোমবার (৬ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল এক মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সমাবেশ আয়োজন করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে ফিলিস্তিনি নাগরিক ইসহাক আহমেদ নামে একজন বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং আমাদের সঙ্গে সংহতি পোষণ করার জন্য আপনাদের সবাইকেই ধন্যবাদ জানাই। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য পুরো বিশ্বের যে বা যারা কথা বলছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।  বাংলাদেশে ফিলিস্তিনি এক ছাত্র সংগঠনের প্রধান নেতা ও বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ অধ্যয়নরত আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বাদাওয়ী বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিনিয়ত আমাদের ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, আমাদের স্বপ্নগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশকে, ছাত্রলীগকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ সংবলিত ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রা ও সমাবেশে অংশ নিতে দেখা যায়। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’; ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’; ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জয় জয় ফিলিস্তিন’; ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।  সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের এই ছাত্র আন্দোলন আর দেশীয় গণ্ডির ভিতর সীমাবদ্ধ নেই। সীমান্ত বেরিকেড, ভাষার ব্যবধান সবকিছু মুছে দিয়ে একাকার হয়ে গেছে যুদ্ধ-মুক্ত, ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। আমাদের এই ছাত্র আন্দোলনে সমবেত হয়েছেন নির্যাতিত নিষ্পেষিত ফিলিস্তিনের বন্ধুরাও। আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের দেশের মুক্তির জন্য বীরত্বের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছে ঠিক তেমনি আমরাও ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের পাশে দাঁড়াব। তাছাড়া, এসময় সাদ্দাম হোসেন ইংরেজিতে একটি শান্তি স্মারক পড়ে শোনান। এর একাংশে বলা হয়, সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের সঙ্গে ন্যায়বিচার, শান্তি এবং সংহতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকারে অটুট আশার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে। আজ, যখন ফিলিস্তিনের ভূমিতে সূর্য অস্তমিত হচ্ছে, এর জনগণের হৃদয়ে অন্যায়ের ছায়া ফেলেছে, আমরা ইসরায়েলের গণহত্যামূলক শাসনের যুদ্ধের অবসান এবং প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। দীর্ঘ সময় ধরে, ফিলিস্তিনি জনগণ একটি নৃশংস দখলদারত্বের শিকার হয়েছে, তাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন নিপীড়নের শৃঙ্খলে বেঁধেছে। গাজার ধ্বংসস্তূপযুক্ত রাস্তা থেকে পশ্চিম তীরের জলপাই গাছ পর্যন্ত, ক্ষমতার করিডোরে নিপীড়িতদের আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হয়, যা তাদের যন্ত্রণার জন্য প্রায়শই বধির একটি বিশ্ব শুনতে চায়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর সৈকত এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
০৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনি ৫০ ছাত্রীকে স্কলারশিপ দেবে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি
সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ালেখার জন্য ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রীকে স্কলারশিপ দেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) কর্তৃপক্ষ। রোববার (৫ মে) সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রমাদানের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ। সেখানেই ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনের গাজার ৫০ ছাত্রীর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বৃত্তি ঘোষণা করেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বৃত্তির অধীনে ৫০ ছাত্রী ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারে একাডেমিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে বিনামূল্যে বৃত্তিসহ আগামী ১ জুলাই ২০২৪ থেকে পড়াশোনা শুরু করতে পারবে। কর্তৃপক্ষের মতে, এমন সিদ্ধান্ত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃত্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি ছাত্রীদের জন্য ড্যাফোডিল স্মার্টসিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নারী আবাসিক হলে আবাসন সুবিধা দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের সাইকো সেশ্যাল সাপোর্টও নিশ্চিত করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীদের জীবিকা নির্বাহের বিষয়ে, ডিআইইউ ক্যাম্পাসে তাদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও অধ্যয়নের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত স্পন্সর খুঁজতে একসঙ্গে কাজ করবে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশা, এই বৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে ডিআইইউ উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য একটি ঘরোয়া ও অনুকূল পরিবেশ দিতে সক্ষম হবে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সমর্থনের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান, উপ- উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন, বাণিজ্য ও উদ্যোক্ত বৃত্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাসুম ইকবাল, হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন, রেজিস্ট্রার ড. নাদির বিন আলী এবং আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।
০৬ মে, ২০২৪

মাদ্রাসার দুই ছাত্র বলাৎকার, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক
তৃতীয় শ্রেণিপড়ুয়া দুই শিশুশিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের রাজনগর মুহাম্মদিয়া জামিয়া শরিফ নামের এক মাদ্রাসার। যা ঢাকার রাজারবাগ দরবার শরিফ হতে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। শুক্রবার (৩ মে) অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। পরে শনিবার থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ফারুক (৭০)। তিনি এই মাদ্রাসার বাংলা বিষয়ে শিশুদের পড়ান কয়েক বছর হলো। এর আগে তিনি পুলিশে কর্মরত ছিলেন বলে জানায় এলাকাবাসী। এ ছাড়াও তিনি গুলশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শিশুদের অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক ফারুক আহমেদ বাগান থেকে বাঁশ আনবে বলে গত বুধবার শিশুশিক্ষার্থী আমার ভাগিনাকে বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। বাগানের টং ঘরে শিশুটিকে বলাৎকার করে এবং কাউকে বলতে নিষেধ করে। এ সময় সে চকলেট খেতে ৫০ টাকা দেয়। এরপর গতকাল শুক্রবার আমার শিশুপুত্রকেও বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাঁশ বাগানের একই স্থানে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করে। শিশুটি বাড়িতে ফিরে অসুস্থ বোধ করলে পুরো ঘটনা জানতে পারি আমরা। এরপর আমরা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে তারা শুক্রবার রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। এরপর শনিবার সকালে আমরা থানায় মামলা করি। আমরা এই ভণ্ড শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একই মাদ্রাসার অন্য কয়েকজন ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠলে এলাকার মানুষজন তা স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দেন।  বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা হাফিজ বলেন, গতকাল শুক্রবার আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। ফারুক স্যার আমাকে কল দিয়েছিল, তিনি বাগান থেকে কিছু বাঁশ আনবে। সেই সুবাদে মাদ্রাসার ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে লোকমুখে শুনি তিনি সেই ছাত্রদের বলাৎকার করেছেন। যদি এর সত্যতা পাই তাহলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, শিশুদের পরিবার আমার কাছে আসলে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসি। দুই পক্ষের কথা শুনে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে সহযোগিতা করি। গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওলি উল্লাহ জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে অভিযুক্ত ফারুক আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরে তাকে লংগদু থানায় হস্তান্তর করি। লংগদু থানার ওসি হারুনুর রশিদ জানান, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৪ মে, ২০২৪

এক টেবিলে ভর্তি পরীক্ষা দিল ১৮ শিক্ষার্থী
দেশের ২৪টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার (৩ মে)। এর মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রে কয়েকটি বিভাগের সেমিনার ও লাইব্রেরি কক্ষের এক টেবিলে বসে ১৮-২০ জন পরীক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সব সেমিনার লাইব্রেরিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় সেখানে একেক টেবিলে ১৮-২০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছেন। এ ছাড়া প্রশাসনিক ভবনের হলরুমেও এবার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পূর্বের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়ও এভাবে সেমিনার লাইব্রেরিগুলোতে আসন বিন্যাস করা হয়েছে। সেমিনার লাইব্রেরিতে পরীক্ষা দেওয়া এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেমিনার কক্ষে তাদের কোনো সিট প্ল্যান বসানো হয়নি। শিক্ষকরা যাকে যেখানে বসতে বলেছেন তারা সেখানেই বসে পরীক্ষা দেন। এক সঙ্গে এক টেবিলে এতজন গাদাগাদি করে পরীক্ষা দেওয়াতে মনোযোগেও সমস্যা হচ্ছিল বারবার। আরও বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আসলেও এভাবে ঠাসাঠাসিভাবে বসে পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা এখানেই প্রথম। এ নিয়ে বিজ্ঞান অনুষদের পঞ্চম তলার হল পরিদর্শক ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ককে প্রশ্ন করতে বলেন। ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, আমি ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক। কিন্তু সিট প্ল্যানের জন্য ‘কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটি’ নামে আলাদা একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিই আসন বিন্যাসের ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. প্রদীপ দেবনাথ বলেন, আমার অনুষদের প্রতিটি বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতেই পরীক্ষা হয়েছে। এভাবে এক টেবিলে ১৮-২০ জন পরীক্ষা দিলে সেটার স্বচ্ছতা কতটুকু থাকবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটিই বলতে পারবে। শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, পূর্বে যত ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে সেগুলো আমরা খুব ইমেজের সঙ্গে শেষ করেছি। কিন্তু এই উপাচার্য এবার আসন বণ্টনের যে কমিটি করেছেন সেখানে তিনি তার আস্থাভাজন একেবারে অনভিজ্ঞ, জুনিয়র শিক্ষকদের তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন। ফলে এরা ল্যাব, সেমিনারের মতো রুমগুলোতেও এবার পরীক্ষা নিয়েছে।  তিনি বলেন, যেখানে পাঁচজন বসতে পারবে সেখানে ১০ জন বসিয়েছে। এটা আসলে এদের অনভিজ্ঞতার ফল। আর এ দায়ভার সম্পূর্ণ উপাচার্যের। তিনি ভর্তি পরীক্ষার মতো একটি আয়োজনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছেন। দেশবাসীর কাছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে হাস্যকর করে তুলছেন। কেন্দ্র ব্যবস্থা কমিটির সদস্য সচিব আবু উবায়দা রাহিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার কমিটির আহ্বায়কের অনুমতি ব্যতীত এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানান। এমন অদ্ভুত আসন বিন্যাসের দায়ভার তিনি নিবেন কিনা, সেই প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজে কোনো দায় না নিয়ে কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, এবার আমরা চেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে। সেজন্যই সেমিনার ও লাইব্রেরিগুলোতেও পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অল্পসংখ্যক পরীক্ষার্থীর জন্য আরেকটা কেন্দ্র ব্যবস্থা করা কঠিন ছিল। এক টেবিলে ১৮ থেকে ২০ জন একসঙ্গে পরীক্ষা দিলে সেখানে স্বচ্ছতা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেখানে আমাদের শিক্ষকেরা দায়িত্বে ছিলেন। তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছেন। এখন যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে পরবর্তীতে এভাবে সেমিনার লাইব্রেরিগুলোতে আমরা আর পরীক্ষা নেব না। গুচ্ছভুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে এবার চার হাজার ২৯২ জন পরীক্ষার্থীর আসনের ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে এ দুই কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা নেওয়া হয়।
০৩ মে, ২০২৪
X