শিল্পকলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন। ৩ দিনব্যাপী রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রদীপ প্রজ্বালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় প্রথম দিনের আয়োজন। এরপর সদ্য প্রয়াত শিল্পী সাদি মহম্মদকে স্মরণ করা হয় যন্ত্রসংগীতের করুণ সুর পরিবেশনার মাধ্যমে। ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ এবং বঙ্গবন্ধুর দর্শন একসাথে দেখলে তার কেন্দ্রে বাঙালি জাতিসত্তা , আত্মপরিচয় এবং আত্মমর্যাদা খুঁজে পাই’। তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠাই ছিল রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর মধ্যেকার নিবিড় যোগসূত্র। রবীন্দ্রনাথ বাঙালিকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব সভায়, বঙ্গবন্ধুও ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সভায় প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় সংগীতরূপে বেছে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথের দর্শন অনেকটাই বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, বাঙালি কবি এবং বাংলা কবিতা লিখে যিনি বিশ্বকবি হয়েছেন, স্বাধীনতার পর আমরা দেখেছি জাতীয় সংগীতকেও বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমনই এক রবি যে রবির উদয় আছে, কিন্তু অস্ত নেই। এছাড়াও আলোচনা পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘কবিগুরু মুক্ত চিন্তার পাঠের মাধ্যমে যেভাবে সাহিত্যকে রাঙিয়ে তুলেছেন, তেমনি জাতির পিতার দর্শন, আত্মপরিচয়ের সংগ্রাম আমাদের শক্তি জোগায়। সব পরিস্থিতিতেই বঙ্গবন্ধু ও কবিগুরুকে আমাদের ধারণ করতে হবে।’ আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আমরা যার কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণী তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুধু বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধিই নয়, তার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য বিশ্ব দরবারে পৌঁছেছে।’
০৮ মে, ২০২৪

শিল্পকলা একাডেমি কর্মকর্তা-শিল্পীদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে নিয়োগকৃত ৩৫ কর্মকর্তা ও শিল্পীদের নিয়ে বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।   শুক্রবার (৫ এপ্রিল) প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। গত ১৮ মার্চ শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ চলে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষক হিসেবে এতে অংশ নেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বাড়লে সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানের কাজ ও সেবা প্রদানের মান বাড়বে। ফলে এর সুফল পাবে সবাই। আমরা গণজাগরণের মাধ্যমে শিল্প সমাজ তৈরি করতে চাই, সংস্কৃতির যে বিষয়গুলো লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা আমাদের কাজ। এছাড়া একাডেমির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে যেভাবে কাজ করছি তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে কাজ করতে হবে।   প্রশিক্ষণে অংশ নেন ১০ জেলা কালচারাল অফিসার, জনসংযোগ কর্মকর্তা, ৩ ইন্সট্রাক্টর, ৪ কণ্ঠশিল্পী, ৫ নৃত্যশিল্পী, ৭ যন্ত্রশিল্পী, ৩ সহকারী পরিচালক, সেট ডিজাইনার ও লাইট ডিজাইনার। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ এবং সমন্বয় করেছেন সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর প্রদ্যুৎ কুমার ও গবেষণা বিভাগের উপপরিচালক আফজাল হোসেন।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে সৃজনশীলতাকে যুক্ত করব : দীপু মনি
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার মাধ্যমে নতুন বিশ্বে, প্রযুক্তি-বিজ্ঞানের এই যুগে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে, উদ্ভাবক হতে হবে, সেই সাথে নানারকম সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত হতে হবে। আমরা একই সাথে মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হবো। আমরা সুনাগরিক হবো ও তার মধ্য দিয়েই বিশ্ব নাগরিক হবো। একেবারে কায়মনে বাঙালি হবার চেষ্টা করব। সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা সৃজনশীলতাকে যুক্ত করব। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ আয়োজনে  শিশু-কিশোর ও যুবকদের ১০০টি নাট্য প্রযোজনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সমন্বয়ে এই উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন। এর মধ্য দিয়ে ১০ হাজার শিশুর মিলনমেলায় প্রতিদিন বৈচিত্র্যময় পরিবেশনার শুভ সূচনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হলো ‘পঞ্চদশ জাতীয় শিশু-কিশোর ও যুবনাট্যোৎসব-২০২৪’ এর। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন,  ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, আমি সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব, কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না, থামাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন সংগ্রাম করছেন তার সঙ্গে সর্বপ্রথম যারা থাকবে তারা শিল্পী, কবি, সাহিত্যিকরা, থাকবে শিশু-কিশোর-যুবরা। তারাই এই বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। শিশুবন্ধু ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকীর সাথে সংগীত পরিবেশন করে শিশুরা। শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে জাতীয় নাট্যশালা মূল হলে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সৌরভ শাখাওয়াতের রচনায়, শামীম আহমেদ নির্দেশনায় এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রাম পরিবেশনায় নাটক ‘অদ্ভুদ ভূত’ নাটক মঞ্চন্থ হয় এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। স্টুডিও থিয়েটার হলে সুকুমার রায়ের রচনা, অনিমেশ সাহা লিপুর নির্দেশনায় এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বরিশালের পরিবেশনায় ‘ঝালাপালা’ নাটক মঞ্চস্থ হয়। সংগীত ও নৃত্যকলা হলে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা সুমিত মহন্ত এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি, রংপুরের পরিবেশনায় ‘আরেক হীরক রাজ্য’ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ভবতোষ রায় বর্মণের রচনায় ও নির্দেশনায় এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের পরিবেশনায় ‘বাঘের শিন্নি’ নাটক মঞ্চস্থ হয়। স্টুডিও থিয়েটার হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা, শরণ রায়ের নির্দেশনা এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি, শেরপুরের পরিবেশনায় ‘খ্যাতির বিড়ম্বনা’ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পঞ্চাশ পেরিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে সব মানুষের জন্য শিল্প-সংস্কৃতির প্রবাহ তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে শিল্পকলা একাডেমি। গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। এদিন আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘ওরা আমার মুখের ভাষা’। পরিবেশন করে ‘ধ্রুপদী নৃত্যালয়’। নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য পরিচালক স্নাতা শাহরীন। এরপর একক সংগীত ‘ও আমার বাংলা মা তোর’ ও ‘সাঁঝের বেলায় পাখি ফিরে যায়’ পরিবেশন করেন জেবুন্নেছা সরকার নিঝুম। এরপর পরিবেশিত হয় একক আবৃত্তি। পরিবেশন করেন আবৃত্তিকার মীর বরকত। পরে কায়া আশ্রম নৃত্যদল পরিবেশন করে সমবেত নৃত্য ‘চর্যাপদ। নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য পরিচালক অমিত চৌধুরী। এরপর একক সংগীত ‘আমি বাংলায় গান গাই’ ও ‘মোদের গরব মোদের আশা’ পরিবেশন করেন ইবনে খালদুন রাজন।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৯ দিনব্যাপী গণজাগরণের যন্ত্রসংগীত উৎসবের উদ্বোধন
‘একসময় আমাদের ছয়শ একুইস্টিক যন্ত্র ছিল এই দেশে, কালের গর্ভে অনেক যন্ত্র হারিয়ে গেছে। যেগুলো আছে তা আর হারাতে চাই না, সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি যন্ত্রসংগীতের মিউজিয়াম করতে চাই তার মাধ্যমে সব যন্ত্রের সুর সংরক্ষণ করা হবে’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী দেড় হাজার যন্ত্রশিল্পীদের নিয়ে একযোগে ৯ দিনব্যাপী গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসবের উদ্বোধনী দিনে ভার্চুয়ালি এ কথা বলেন। শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষে  ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাব আমরা উন্নতির শিখর’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসবের যাত্রা শুরু হয় । জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন থেকে অনুষ্ঠানে সরাসরি সম্প্রচারে যুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসকগণ এবং জেলা কালচারাল অফিসারগণ। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব সালাউদ্দিন আহাম্মদ ও যন্ত্রসংগীত শিল্পী মনিরুজ্জামান এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন বরেণ্য শিল্পী মনিরুজ্জামানসহ একাডেমির যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

জিয়ার শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার বিচারের রিট সমাধানের আশ্বাস আইনমন্ত্রীর
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়ার শাসনামলে খুন হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের রিট দ্রুত সমাধান হবে। তার কারণ, আপনারা যার অভিভাবকত্বে আছেন, তিনিও একজন ভুক্তভোগী। তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে এই চেইন অব কিলিং শুরু করে জিয়াউর রহমান ও খুনি মোশতাক। ১৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মায়ের কান্না আয়োজিত খুনি জিয়ার শাসন আমলে গুম-খুনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই খুনিরা একটা জিনিস জানে না যে, আল্লাহ সব অন্যায়ের বিচার করেন। সুতরাং এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার আপনারা পাবেন। প্রশ্ন উঠেছে, মরণোত্তর বিচার হয় কিনা? উত্তর হচ্ছে, না। এ রকম বিচারে দোষীকে সাজা দেওয়া যায় না এবং তার আত্মপক্ষ সমর্থনেরও কোনো সুযোগ থাকে না। কিন্তু তাই বলে কি তাদের বিচার হবে না? হবে, এই যে মায়ের কান্না যে আন্দোলন শুরু করেছে, এর মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম খুনিদের ধিক্কার জানাবে, সেটাই হবে বড় বিচার। রিটে বলা হয়েছে স্বীকৃতি প্রদানের কথা, সেটাও দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি বজলুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আরও অনেকে।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
X