কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট সাংবাদিকদের
সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছে ব্যাংক রিপোর্টাররা। বুধবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়াকআউট করেন সাংবাদিকরা। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যাংক রিপোর্টাররা। তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। ইতোমধ্যে টিআইবি, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ, ইআরএফ, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজে নিন্দা জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে এমন অলিখিত এ নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন সাংবাদিকতা, গণতন্ত্র এবং মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি বলে মনে করছে সংগঠনগুলো। এদিন দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকরা জানতে চান গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য সংগ্রহে প্রবেশ ইস্যুর বিষয়ে সুরাহা হয়েছে কিনা। সন্তোষজনকে জবাব না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনটি বর্জনের ঘোষণা দেন অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকরা।
৮ ঘণ্টা আগে

শিক্ষা অফিসার কন্যার বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস আরার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। বসত-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, হামলা-মামলা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই শিক্ষা অফিসারের মা। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১১টায় শহরের আরাপপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন নির্যাতিতা ওই মা। প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে। এ ছাড়া সাধারণ ডায়েরি করেছেন শৈলকুপা থানায়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি শৈলকুপার ফাজিলপুর গ্রামের মৃত আবুবকর সিদ্দীকির স্ত্রী হাজি আনজুমান আরা খানম। আমার স্বামী ১৯৯০ সালে মৃত্যু বরণ করলে আমার দুই মেয়ে ফেরদৌস আরা (১২) এবং জাফরিন আরা (৮) কে অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে এমনকি জমি বিক্রি করে লেখা পড়া শিখিয়ে বড় করেছি। এর মধ্যে বড় মেয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করে ও তাকে ভালো পাত্র দেখে বিয়েও দেই। কিন্তু সেখানে তার সংসার ভেঙে যায়। পরে আবারও অনেক টাকা খরচ করে দ্বিতীয়বার বিয়ে দেই। ছোট মেয়েও বিয়ের পর তার নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বর্তমানে আমি একা অসহায় জীবনযাপন করছি। দেখার কেউ নেই। এরই মধ্যে দুই মেয়ে তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ মাঠের জমা-জমি বিক্রি করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে আমার অংশের ভিটা জমিতে একটি বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে ভাড়া দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই আমার ওষুধ খরচসহ সংসার চলে। এসময় তিনি বলেন, আমি একজন হার্টের রোগী। এরই মধ্যে বড় মেয়ে এবং জামাই এসে আমার ঘরের ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয় এবং ঘরবাড়ি তার নামে লিখে দিতে অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে। এমনকি আমার নামে আদালতে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা পর্যন্ত দায়ের করেছে। সংবাদ সম্মেলনে ছোট মেয়ে জাফরিন আরা উপস্থিত থেকে তার বড় বোনের অত্যাচার নির্যাতন, হুমকি-ধমকি, ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ, জবরদখল এবং কুৎসা রটানোর বিষয়টি তুলে ধরেন। এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে শৈলকুপা ইউএনও ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফেরদৌস আরার কাছে ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
০২ মে, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু
থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্কসংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছেন শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে এটাই ছিল প্রথম সফর। সফরটি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। একই সময়ে তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
০২ মে, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বেলা সাড়ে ১১টায়
থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (২ মে) বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছেন শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে এটাই ছিল প্রথম সফর। সফরটি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। একই সময়ে তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
০২ মে, ২০২৪

নিরাপত্তার দাবিতে বুয়েটে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
ক্যাম্পাসে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে স্মারকলিপি দেওয়ার পর বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।  স্মারকলিপি দেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৩০ মার্চ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মতো সংগঠনের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি জানিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী পাঁচ শিক্ষার্থী।  একইসঙ্গে, ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার ও সামাজিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এসব অভিযোগের তদন্ত এবং ক্যাম্পাসে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরা লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা প্রায়ই অনলাইন ও সরাসরি হেনস্তা বা অপমানের শিকার হয়েছি। গত ২০২৩ সালে সুনামগঞ্জে আটককৃত ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে মামলা হয়, আমরা একটি মানববন্ধনের মাধ্যমে দোষীদের সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কারণে সব ছাত্রদের ডেকে ডেকে জবাবদিহিতা চাওয়া হয় হল বা ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ব্যাচ ও যার যার নিজ নিজ ব্যাচের ছাত্রদের দ্বারা। বিভিন্নভাবে হলে সিট বাতিল অথবা টার্ম বহিষ্কারের ভীতি প্রদর্শন করে অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্তকে আহসান উল্লাহ হলের কমন রুমে এবং মাঠে জবাবদিহিতা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে কিছু মানুষ দ্বারা অসংলগ্ন আচরণ আমাদের অপমানের সামিল। তারা বলেন, রাতে একসঙ্গে কাচ্চি খাওয়ার এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে সবার সামনে অপরাধী বানিয়ে আমাদের ওপর যে মব জাস্টিস শুরু করে তা আমরা উপাচার্য বরাবর জমা দিয়েছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত তার কোনোরূপ তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের ওপর শাস্তি আরোপ হতে দেখিনি। যার ফলে, নিপীড়ন ও সামাজিকভাবে আমাদের হেনস্তা করার দিনের পর দিন তারা নতুন নতুন ধরন বের করা শুরু করে। যেমন প্রথমে সব গ্রুপগুলো থেকে বের করে দেওয়া হয়। যাতে আমরা তথ্য ঘাটতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান গতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে যেতে না পারি, ক্লাবগুলো থেকে বের করে দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে দূর করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া, খেলাধুলা এমনকি যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে মানসিকভাবে অত্যাচার চালানো এবং স্টাডি ম্যাটেরিয়ালস শেয়ার না করার জন্য ঘোষণা করে একটি দল সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর তাদের মতামত চাপিয়ে দেয়। কেউ যদি না মানে তাকেও হেনস্তা করা হবে বলে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা বুয়েট ক্যাম্পাসে হিজবুত তাহরীর ও শিবিরের মতো মৌলবাদী সংগঠনের সক্রিয়তার ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম। আমাদের সেই অভিযোগের সত্যতা আজ বুয়েটের সিসিটিভি ফুটেজ দিয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাদের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই। এ ছাড়াও, টাঙ্গুয়ার হাওরে যারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার মামলার আসামি তাদের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে একসঙ্গে থাকাটা আমাদের জীবনের জন্য হুমকি। জঙ্গিবাদের সিক্রেট গ্রুপে আমাদের নাম ও পরিচয় উন্মোচন আমাদের জন্য ভীতিকর। আমরা ধারণা করি, আমাদের পরিচয় সেখানে উন্মোচিত করার সঙ্গে অবশ্যই বুয়েটের কেউ সংযুক্ত। কে বা কারা এটা করছে এই বিষয়ে লক্ষ্যপাত করার জন্য অনুরোধ জানাই।  প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের অক্টোবরে বুয়েটের এক আবাসিক হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি। এরপর থেকে গত সাড়ে চার বছর এখানে সব সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছিল। এর মধ্যেই গত মাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দপ্তর সম্পাদকসহ একদল নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে পরের দিন নতুন করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।  তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা লঙ্ঘন করে পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বি এ ঘটনার জন্য দায়ী। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাব্বির সিট বাতিল করলে বুয়েটে ফের ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর দাবিতে সমাবেশ আয়োজন ও এরপর প্রকাশ্যে নেতাকর্মী নিয়ে গত ৩১ মার্চ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ। এরপরের দিন ছাত্ররাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী রাব্বির হাইকোর্টে করা রিট মামলার প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি আদেশ স্থগিত করেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ। অন্যদিকে, গত ৩১ মার্চ থেকে চলতি মাসের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন। এরপর ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে গত ১৭, ১৮ ও ২০ এপ্রিল কয়েক ব্যাচের অনুষ্ঠিত পরীক্ষা প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী বর্জন করে। যার প্রেক্ষিতে পূর্ব নির্ধারিত সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগের দাবির সাথে সংহতি, বুয়েটে ৬ শিক্ষার্থীর সংবাদ সম্মেলন
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাসিন আজফার পান্থর সমন্বয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সংবাদ সম্মেলন করেছে বুয়েটের ৬ শিক্ষার্থী।  বুধবার (৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন ৬ শিক্ষার্থী। তারা হলেন, তাদের নাম: অর্ঘ্য দাস, সাগর বিশ্বাস জয়, আশিকুল , তানভীর আহমেদ স্বপ্নীল, অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্ত চাঁদ। সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এবং ক্যাম্পাসে শিবির ও হিজবুত তাহরীরের তৎপরতা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার কারণে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।  সংবাদ সম্মেলনের আগে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক. ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।  সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ থেকে তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়টি অবহিত করার জন্য বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারের কাছে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন।  এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাসিন আজফার পান্থ সাংবাদিকদের এই সংবাদ সম্মেলনের আমন্ত্রণ জানান।  এছাড়াও, সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার একপর্যায়ে তারা ছাত্রলীগের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানান। স্মারকলিপি প্রদান প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আশিকুল আলম বলেন, গত শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে শিবির ও হিজবুত তাহরীরের বিরুদ্ধে কথা বলার পর থেকে আমাদের ওপর নানা ধরনের বুলিং ও হুমকি আসছে। আমাদের পরিবারের কাছেও বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য যাচ্ছে। আমাদের বাবা-মাকে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে যে, আপনাদের সন্তানদেরকে দেখে রাখুন, পরের দিন কিন্তু পাবেন না। এ প্রেক্ষিতে আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছি, যাতে এই হুমকিদাতাদেরকে দমন করা হয়।  তিনি আরও বলেন, যারা ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে তাদের কোন দফায় শিবির বা হিজবুত তাহরীরের কোন নাম উল্লেখ ছিল না। এরপরে হঠাৎ করে কেন তারা এদের পয়েন্ট নিয়ে কেন কথা বলছে, সেটা এখন ভাববার বিষয়। আমরা যখন এই বিষয়টা সামনে নিয়ে এসেছি তখন তারা এটা নিয়ে কথা বলছে, যাতে তারা আমাদের পয়েন্টগুলো তুলে দিতে পারে।  প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশকে কেন্দ্র করে রাজনীতি প্রতিরোধে আন্দোলন শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট বাতিলসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ও ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতি পুনরায় চালুর দাবিতে ছাত্রলীগ এক প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে এবং নেতাকর্মী নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে প্রবেশ করে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। এরপর সবশেষ, গত সোমবার বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। দেশের শীর্ষ এ প্রকৌশল উচ্চশিক্ষালয়ে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ আদেশ দেন।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

কয়রায় মধ্যচক দেওয়ানখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সংবাদ সম্মেলন
খুলনার কয়রায় পাথরখালী বদ্ধ জলমহলটির ইজারার জন্য আইট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও পাথরখালী মৎসজীবী সমবায় সমিতি সদস্য বানিয়ে উক্ত সমিতির দুটির আবেদন করায়। এতে সমবায় আইন অমান্য করা হয়। তাই এটি বাতিলের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কয়রা মধ্যচক দেওয়ানখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।  শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৩টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কয়রা মধ্যচক দেওয়ানখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী সানা। লিখিত বক্তব্যে ইয়াকুব আলী সানা জানান, ১নং কয়রা পায়রা তলার আইট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সাবেক সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম গাজী বহু বছর ধরে উক্ত সমিতির সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সমবায় সমিতি লিঃ এর উপ-আইন বই সংশোধন না করে একই দিনে সমবায় সমিতি আইন (সংশোধন ২০০১,০২,২০১৩) এর ১৩ ধারা মোতাবেক সকল সদস্য পরিবর্তন করে একই দিনে বিভিন্ন গ্রাম হতে জেলে কার্ডধারী ব্যক্তিদের নিয়ে সদস্য তৈরি করেছেন। যা ১নং কয়রা পায়রা তলার আইট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর উপ-আইনের সদস্য সভ্যসাচি নির্বাচনীয় এলাকার মধ্য পড়ে না। একই পন্থা অবলম্বন করেছেন পাথরখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি হিজবুল বাহার। তাদের নিয়ম না মেনে সদস্য নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা সমবায় অফিসার বরাবর অভিযোগ করিলে তদন্তের জন্য জেলা সমবায় কার্যালয়ের প্রশিক্ষক ও কয়রা উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারি পরিদর্শকের তদন্তের আদেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা ১নং কয়রা পায়রাতলার আইট সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম গাজীর দ্বারা প্রভাবিত হইয়া মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন। সে কারণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টির পূর্ণ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
২৩ মার্চ, ২০২৪

বাউফলে ছাত্রলীগ নেতা ও ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
ব্যবসায়ীকে মারধর, প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং পরবর্তীতে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদী বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী ফিরোজ মাতব্বর অভিযোগ করেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা সৌমিক, সৌমিকের ফুফাতো ভাই জাবির, জসিম আকন, শামিমসহ ৬-৭ জন সন্ত্রাসী একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সামনে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় তারা আমার দোকান ভাঙচুর করে এবং দোকানে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাউফল থানায় এ সংক্রান্ত অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করে। পরবর্তীতে চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের ধারা বাদ দিয়ে মারামারির মামলা দায়েরের জন্য মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। এরপরে আমি পরবর্তীতে এজাহার জমা দেই। এই সময়ক্ষেপণের সুযোগ নিয়ে হামলাকারী জাবির আহত হওয়ার মিথ্যা অভিনয় করে আমার বিরুদ্ধে মারধর, ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগ দিলে সেটাকে এজাহার করেন ওসি। যেখানে আমাকে মারধর ও প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনার একাধিক নিরপেক্ষ সাক্ষী আছে, সেখানে কীভাবে আমার বিরুদ্ধে হামলাকারীরা মামলা এজাহার করতে পারেন-বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে সন্ত্রাসীদের কালো টাকার বিনিময়ে পুলিশ এ মিথ্যা মামলা গ্রহণ করতে পারে বলে জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফিরোজ মাতব্বর।  তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক বিচার চাই এবং আমার বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলার প্রতিকার চাই। আমি যেন সুখে শান্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি সে বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি। এ সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন ব্যবসায়ী ফিরোজ মাতব্বর। অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা ইবনে ফারুক সৌমিক কালবেলাকে বলেন, আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী হওয়ায় বিরোধী পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মারামারি কিংবা চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত না। এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন কালবেলাকে বলেন, উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে।
০৬ মার্চ, ২০২৪

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সংবাদ সম্মেলন
বেইলি রোডে ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ শপিংমলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।  বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে বাস্থই প্রাঙ্গণে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ‘অগ্নি নিরাপত্তা ও জীবনের সুরক্ষা’ নিয়ে নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ শপিংমলে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্যলাভ কামনা করছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল দায়ী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের পরের দিন সকালেই বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাস্থই সভাপতি, সহ-সভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি), সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকগণ (সদস্যপদ)। জননিরাপত্তার স্বার্থে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার ইতোমধ্যেই একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি জাতীয় সংগঠন যা দেশের পেশাজীবী স্থপতিদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণে প্রয়োজনীয় সহায়তাও প্রদান করছে। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, এই দুর্ঘটনার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ এবং ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জনসাধারণের অবগতি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বাস্তুই‍’র পক্ষ হতে উপস্থিত ছিলেন- বাস্থই সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, সহ-সভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি) স্থপতি প্রফেসর মুহাম্মদ আলী নকী, সহ-সভাপতি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) স্থপতি খান মো. মাহফুজুল হক সাধারণ সম্পাদক স্থপতি নবী নেওয়াজ খান, সম্পাদক (পেশা) স্থপতি মো. নাজমুল হক বুলবুল এবং সম্পাদক (পরিবেশ ও নগরায়ন) স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান সহ অন্যান্য নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ। বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ শপিংমলে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রাথমিকভাবে নিম্নের পর্যবেক্ষণগুলো বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট জনসাধারণের কাছে উপস্থাপন করেন- ১. অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির নির্গমন পথ বাধা মুক্ত ছিল না বলে প্রতীয়মান হয়। বিশেষ করে সিঁড়িগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্যান্য মালামাল সংরক্ষিত ছিল। ২. ভবনটির সিঁড়ির ফায়ার রেটেড ডোর পরিলক্ষিত হয়নি। এর ফলে অগ্নিকাণ্ডের ধোঁয়া অতি দ্রুত এক ফ্লোর থেকে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ৩. প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে ভবনের নিচতলার পশ্চাত অংশে, যেখানে দমকল বাহিনীর কর্মীরা সহসা পৌঁছাতে পারেননি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্নিনির্বাপন করতে সক্ষম হননি। উল্লেখ্য, ভবনের নিচতলার পশ্চাত অংশে কোনো নির্গমন পথ ছিল না। ৪. ভবনটিতে অগ্নিপ্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় শনাক্তকরণ এবং অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা ছিল খুবই অপ্রতুল। ৫. ভবনটিতে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবস্থাপনা যথাযথ ছিল না। ৬. ভবনটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছিল কিনা কিংবা অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেওয়া হয়েছিল কিনা তা তদন্তের দাবি রাখে। এই মর্মান্তিক ভয়াবহতার পুনরাবৃত্তি রোধকল্পে করণীয় বিষয়সমূহ তুলে ধরেছেন প্রতিনিধিদল- ১. আইনি কাঠামো এবং আইনের প্রয়োগ : বাংলাদেশ স্থপতি ইনসটিটিউট, অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ এবং বাংলাদেশ অগ্নিনিরাপত্তা আইন ২০১৪ তে দেওয়া আইনগুলো পর্যবেক্ষণ করে এই অভিমত দেয় যে, এই তিন সূত্রে উল্লিখিত আইনসমূহ জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত। তবে আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব সুস্পষ্ট। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। ২. ভবনের ব্যবহার পরিবর্তন বিষয়ে : একটি ভবনের আয়ু সাধারণত ৫০ বছর পর্যন্ত ধরা হয়। ভবনের আয়ুষ্কালে শহর ও সমাজের পরিবর্তন অতি স্বাভাবিক, তাই ভবনের অনুমোদিত ব্যবহারও বদলাতে পারে। অতি দ্রুত বর্ধনশীল, ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরে প্রয়োজনীয় সামাজিক পরিসর এবং চিত্তবিনোদনের সুযোগ অতি সীমিত যা ভবনগুলোর ব্যবহারের উপর প্রভাব ফেলে। এই পরিস্থিতিতে ভবনের ব্যবহার পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এ পরিবর্তন করা প্রয়োজন। ঢাকায় কোন ভবনের ব্যবহার পরিবর্তন করার জন্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অনুমতি প্রয়োজন হয়, যার মধ্যে রাজউক, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইত্যাদি রয়েছে। প্রয়োজনে ভবন ব্যবহার পরিবর্তন করার পদ্ধতিটি ডিজিটাল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। ৩. ভবনের অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক অগ্নিনিরাপত্তা কৌশলের ব্যবহার : বর্তমানে অগ্নিনিরাপত্তা কৌশল নির্ধারণ একটি অত্যন্ত পরিশীলিত বিজ্ঞান। একটি ভবনে ব্যবহৃত নির্মাণ উপকরনের দাহ্যতা সম্পর্কে তথ্যাদি Material Safety Data Sheet এর মাধ্যমে স্থপতি, প্রকৌশলী এবং সকল অংশীজন অবগত থাকেন। প্রতিটি ভবনের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী Life Safety Plan বা জীবন রক্ষা নকশাও করা হয়। অগ্নি নিরাপত্তার জন্য ভবনের ধারণ ক্ষমতা, ব্যবহারের প্রকৃতি অনুযায়ী পৃথকীকরণের জন্য ভবনে ব্যবহৃত নির্মাণ উপকরণের দাহ্যতা বিবেচনা করা হয়। তবে আমাদের দেশে এসবের অনেক কিছুই বেশ ব্যয়বহুল। কিছু নির্মাণ উপকরণের Material Safety Data Sheet ও অনুপস্থিত। অতি ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরের সু-উচ্চ ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এসব উপকরণের সাশ্রয়ী মূল্য ও মান নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাগুলোর দক্ষতা ও সক্ষমতা এবং সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪. NFPA এর সূত্রমতে পৃথিবীর ৫০% অগ্নিকাণ্ডের সূচনা রান্নাঘর থেকেই হয়। একে বিশেষ বিবেচনায় নিতে হবে। রান্নাঘরের ব্যবহারগুলোকে কম্পার্টমেন্টালাইজড করে ধোঁয়া, আগুন ও ক্ষতিকর গ্যাসকে সীমাবদ্ধ করা যায়। এ ছাড়া কমার্শিয়াল কিচেনের জন্য আলাদা অনুমোদন প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ৫. অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বছরে একাধিক নির্দিষ্ট দিনে শহরের সকল ভবনে ফায়ার ড্রিল করা, অগ্নিদুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিউনিটি ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন এবং মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে এ সম্পর্কিত অধ্যায় সংযোজন করা যেতে পারে। ৬. অগ্নিনিরাপত্তায় ব্যবহৃত আমদানিকৃত উপকরণের শুল্ক ও কর সর্বক্ষেত্রে কমানো, মূল্য নির্ধারণ করা এবং দেশি শিল্প খাতকে তা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনে প্রনোদণা দেওয়া যেতে পারে। ভবনে ইন্টেরিয়র ডিজাইনে যে সকল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয় তা কতটুকু ফায়ার রেটিং সম্পন্ন তার বিস্তারিত তথ্য ওই নির্মাণ সামগ্রীসমূহে উল্লেখ করার জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং আমদানিকারকদের নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৭. বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট মনে করছে যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং পেশাজীবী ইনস্টিটিউটের অংশীজনদের সমন্বয়ে ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করার এখনই উপযুক্ত ও সঠিক সময়। ৮. রাজউক এলাকাসহ সারা দেশে স্থপতিদের স্বাক্ষর জাল করে নকশা অনুমোদন করার বিষয়টি মহামারি আকার ধারণ করেছে। নকশা প্রণয়নের ন্যূনতম যোগ্যতা নেই এমন অসাধু চক্র এই কাজে জড়িত। ফলস্বরূপ বিপুল, মতান্তরে অধিকাংশ ভবন অনুমোদিত হচ্ছে যার নকশা প্রকৃতপক্ষে এমন ব্যক্তির দ্বারা প্রণীত, যার অগ্নি নিরাপত্তা ও জীবন সুরক্ষা বিষয়ে ন্যূনতম কোনো জ্ঞান নেই। অতিসত্বর এই অসাধু চক্রকে প্রতিহত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া স্থপতি আইন প্রণয়ন করতে হবে। ৯. বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা এবং জনগণের সঙ্গে যুগপৎভাবে কাজ করতে আগ্রহী যেন এই মর্মান্তিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ লক্ষ্যে ইনস্টিটিউট যে কোনো ধরনের ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনসেবামূলক পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি হেল্পডেস্ক খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। ভবনের মালিকগণ এই হেল্পডেস্ক থেকে ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে প্রাথমিক পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যথাযথ নিয়মানুযায়ী ভবন নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা করে ভবিষ্যতে এই জাতীয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রোধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট পূর্বে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ও বনানী এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ড নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানাতে অনুরূপ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট ভবন নির্মাণের জন্য প্রণীত ‘ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮’ ও ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০’ প্রণয়নের কার্যক্রমের অন্যতম সক্রিয় অংশীজন এবং বর্তমান ‘ড্যাপ ২২-৩৫’ এর প্রয়োজনীয় সংস্কারে সচেষ্ট।
০৬ মার্চ, ২০২৪

পাইকগাছায় খাস সম্পত্তি দখলের ব্যর্থ চেষ্টা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
খুলনার পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খাস সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাইকগাছা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গোপালপুর গ্রামের মৃত বাবর আলী গাজীর স্ত্রী নবিরণ বিবি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে রোববার একই বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সহিল উদ্দীন মিস্ত্রির স্ত্রী হাছিনা বিবি। পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে নবিরণ বিবি লিখিত বক্তব্যে বলেন, হাছিনা বিবি শিববাটী মৌজায় ২৫২/৩৫৭ দাগে এক একর জমি বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করছে। এ ছাড়া একই মৌজায় ২৫২/২৬৮ দাগে আমার নিজ, আমার স্বামী বাবর আলী গাজী ও আমার পুত্রবধূর নামে ২০১৩-১৪ সালে বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করি। যা দখলে রয়েছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পাইকগাছা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সরকারকে বিবাদী করে ৪৮/১৪ দেওয়ানি মামলা করেন আমার স্বামী। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। এদিকে প্রতিপক্ষরা তাদের বন্দোবস্ত জমির বাইরে আমাদের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে।  গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষরা ওই জমি দখল করতে যায়। সে সময় তারা আমাদের বাসা বাড়ি ভাঙচুর করে, বাঁধ কেটে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ দিকে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে দোষারোপ করেছে। সেখানে যেসব ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাসী বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাদের আমরা চিনি না। প্রকৃতপক্ষে প্রতিপক্ষরা আমাদের হয়রানি করার জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করে দোষারোপ করছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X