ব্যবসায়ীকে মারধর, প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং পরবর্তীতে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদী বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী ফিরোজ মাতব্বর অভিযোগ করেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা সৌমিক, সৌমিকের ফুফাতো ভাই জাবির, জসিম আকন, শামিমসহ ৬-৭ জন সন্ত্রাসী একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সামনে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় তারা আমার দোকান ভাঙচুর করে এবং দোকানে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাউফল থানায় এ সংক্রান্ত অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করে। পরবর্তীতে চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের ধারা বাদ দিয়ে মারামারির মামলা দায়েরের জন্য মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। এরপরে আমি পরবর্তীতে এজাহার জমা দেই। এই সময়ক্ষেপণের সুযোগ নিয়ে হামলাকারী জাবির আহত হওয়ার মিথ্যা অভিনয় করে আমার বিরুদ্ধে মারধর, ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগ দিলে সেটাকে এজাহার করেন ওসি।
যেখানে আমাকে মারধর ও প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনার একাধিক নিরপেক্ষ সাক্ষী আছে, সেখানে কীভাবে আমার বিরুদ্ধে হামলাকারীরা মামলা এজাহার করতে পারেন-বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।
মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে সন্ত্রাসীদের কালো টাকার বিনিময়ে পুলিশ এ মিথ্যা মামলা গ্রহণ করতে পারে বলে জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফিরোজ মাতব্বর। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক বিচার চাই এবং আমার বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলার প্রতিকার চাই। আমি যেন সুখে শান্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি সে বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি। এ সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন ব্যবসায়ী ফিরোজ মাতব্বর।
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা ইবনে ফারুক সৌমিক কালবেলাকে বলেন, আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী হওয়ায় বিরোধী পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মারামারি কিংবা চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত না।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন কালবেলাকে বলেন, উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন