খুলনার কয়রায় পাথরখালী বদ্ধ জলমহলটির ইজারার জন্য আইট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও পাথরখালী মৎসজীবী সমবায় সমিতি সদস্য বানিয়ে উক্ত সমিতির দুটির আবেদন করায়। এতে সমবায় আইন অমান্য করা হয়। তাই এটি বাতিলের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কয়রা মধ্যচক দেওয়ানখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৩টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কয়রা মধ্যচক দেওয়ানখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী সানা।
লিখিত বক্তব্যে ইয়াকুব আলী সানা জানান, ১নং কয়রা পায়রা তলার আইট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সাবেক সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম গাজী বহু বছর ধরে উক্ত সমিতির সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সমবায় সমিতি লিঃ এর উপ-আইন বই সংশোধন না করে একই দিনে সমবায় সমিতি আইন (সংশোধন ২০০১,০২,২০১৩) এর ১৩ ধারা মোতাবেক সকল সদস্য পরিবর্তন করে একই দিনে বিভিন্ন গ্রাম হতে জেলে কার্ডধারী ব্যক্তিদের নিয়ে সদস্য তৈরি করেছেন।
যা ১নং কয়রা পায়রা তলার আইট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর উপ-আইনের সদস্য সভ্যসাচি নির্বাচনীয় এলাকার মধ্য পড়ে না। একই পন্থা অবলম্বন করেছেন পাথরখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি হিজবুল বাহার। তাদের নিয়ম না মেনে সদস্য নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা সমবায় অফিসার বরাবর অভিযোগ করিলে তদন্তের জন্য জেলা সমবায় কার্যালয়ের প্রশিক্ষক ও কয়রা উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারি পরিদর্শকের তদন্তের আদেশ প্রদান করা হয়।
কিন্তু তারা ১নং কয়রা পায়রাতলার আইট সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম গাজীর দ্বারা প্রভাবিত হইয়া মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন। সে কারণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টির পূর্ণ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন