‘শান্তির সংস্কৃতি’সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত
‘শান্তির সংস্কৃতি’সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘শান্তির সংস্কৃতি’সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদের হলে প্রস্তাবটি উন্থাপন করেন। শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্ব প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে। সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়। এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সর্বস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে নারীদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে, যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে। তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই বছরের প্রস্তাবটি ১১২টি দেশ সমর্থন করেছে।
০৩ মে, ২০২৪

শিল্প এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী 
শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মেন্টর এক্সপোজিশন অব ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার।  অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার। তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের অনেক অর্জন ইতোমধ্যে হয়েছে। গত পনেরো বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরও উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সংস্কৃতির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসঙ্গে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।  প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেওয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরও মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ দেশে নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করব।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বড় দুর্ভাগ্য স্বাধীন দেশে সংস্কৃতি চর্চায় হুমকি পেতে হয় : গোলাম কুদ্দুস
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেছেন, বাঙালির অসাম্প্রদায়িক উৎসব বাংলা নববর্ষ। বড় দুর্ভাগ্য স্বাধীন দেশে এই ঐতিহ্যপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি চর্চা করার জন্য নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন হতে হয়।  তিনি বলেন, যারা বাঙালির জাতিসত্তায়, জাতীয়তাবাদে, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রে বিশ্বাস করেন না তারাই আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে ধর্মের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। সংস্কৃতি, সব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতি কর্মীরা এই বিভাজনের বাইরে কাজ করবে। মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে সুখী হোক ধরা প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল ৪টায় বর্ষবরণ ১৪৩১ আয়োজনে এ কথা বলেন তিনি। গোলাম কুদ্দুস বলেন, অন্য অনুষ্ঠান যদি সন্ধ্যার মধ্যে শেষ না হয়, তাহলে বাংলা নববর্ষ কেন সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করতে হবে। এতে সাম্প্রদায়িকতার জয় হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার। নাট্যজন রামেন্দ্র মজুমদার বলেন, বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আরও প্রসারিত হচ্ছে। বিদেশেও বাঙালিরা এই সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এটাকে নিয়ে যারা সমালোচনা করেন, ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। তাদের জানা দরকার ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির কোনো বিরোধ নেই। সব ধর্মের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। ধর্মের প্রতি আমাদের বৈরিতা নেই। ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণের মনে বিভ্রান্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে সমাজে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। নাট্যজন মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা দীক্ষিত হচ্ছি মানবিকতায় অসাম্প্রতিকতায়। গণতন্ত্র এবং সাম্যের সঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। কিন্তু আমাদের চারদিকের দৃশ্যপট পাল্টে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বিমূর্ত হচ্ছে। এই বিমূর্তার মধ্য দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা প্রসার লাভ করেছে। যার ফলে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সরকারের ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র , গণতন্ত্রের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।  সারা দেশে আমরা অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাব্যবস্থা চাই। দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন বহ্নিশিখা ও সুরতালীয় শিল্পীরা। স্পন্দনের অনিক মিত্রের পরিচালনায় ১২ নৃত্যশিল্পী, মুনমুন আহমেদের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্য শিল্পীরা। আতরের বঙ্গপালা পথনাটক পরিবেশিত হয়। বাউল গান পরিবেশন করেছেন লাভলী দেব, মমতা দাসী, রহিমা চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, সোনিয়া আক্তার। আবৃত্তি করেছেন বেলায়েত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, গোলাম সারোয়ার, সুপ্রভা সেব্রতী প্রমুখ।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না : ওবায়দুল কাদের
বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এ দেশের সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। কারা বৈশাখের চেতনাবিরোধী, তা আজ দেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য। তারা বাঙালির সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না। তাদের চেতনা ও হৃদয়ে পাকিস্তান।  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তার হোসেন।  আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। আলোচনাসভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।  এর আগে, এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে নতুন বছরে শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বছর ঘুরে আবারও এসেছে বাঙালির প্রাণের উৎসবের দিন পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে, প্রতিটি প্রহর আমাদের স্বপ্নের জয়গানে মুখরিত হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এগিয়ে যাব অর্জনের সুবর্ণ দিগন্তে- এই হোক আজকের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল হিসেবে নতুন বছরে নতুন আশা-প্রত্যাশার নয়া উৎসর্গকৃত চেতনায় নবতর পথযাত্রার সূচনা করতে চায়। সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দল আওয়ামী লীগকে আরও সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত, আধুনিক, স্মার্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে এ দেশের গণমানুষের স্বপ্ন পূরণে ইতিবাচক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের প্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথরেখায় ইতিবাচক ধারায় আরও বলিষ্ঠ, বেগবান অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখব। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে দেশের সব গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল শক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। দেশবাসীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা, শুভ নববর্ষ।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি : রাষ্ট্রপতি
বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শনিবার (১৩ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, শুভ নববর্ষ-১৪৩১। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন। আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশাখের আগমনে বেজে ওঠে নতুনের জয়গান। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। ফসলি সন হিসেবে মুঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ সমগ্র বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।  তিনি বলেন, বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে। মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা, আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন বার্তা।  তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য পরম গৌরব ও মর্যাদার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন করেছিলেন।  রাষ্ট্রপতি বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সবার অঙ্গীকার। তিনি আরও বলেন, সব অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি- এ প্রত্যাশা করি।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদের নতুন কমিটি গঠন 
বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, বাংলাদেশে'র ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।  কমিটিতে আশুতোষ রায়কে সভাপতি ও ড. সুকান্ত রায়কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।  বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা'র পূজ্যপাদ অধ্যক্ষ ও সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজের অনুমোদনক্রমে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, বাংলাদেশে'র অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক বিচারপতি শ্রীসৌমেন্দ্র সরকার এবং রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী শক্তিনাথানন্দজী মহারাজ। বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, বাংলাদেশের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টাপর্ষদ গঠনের পূর্বে সাধারণ সভায় সংশোধিত গঠনতন্ত্র সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
২৪ মার্চ, ২০২৪

‘আইন অমান্যর সংস্কৃতি থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে’
নারীর প্রতি যৌন নির্যাতনসহ সব ধরনের নির্যাতন একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটি কেবল নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়। এ ধরনের অপরাধে বিচার প্রক্রিয়া বলবৎ করতে হবে। আইন অমান্য করার সংস্কৃতি থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে। অভিযোগ কমিটির কার্যকারিতা তরান্বিত করাসহ এই কমিটির কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দায়বদ্ধতার ভূমিকা পালন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এসব কথা বলেন। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে সাম্প্রতিক সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত যৌন-নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে এ সংবাদ-সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি বিদ্বেষের সংস্কৃতি, ঘৃণার সংস্কৃতির বিস্তার ঘটে চলেছে সর্বস্তরে। এটি অত্যন্ত আশঙ্কার বিষয়। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অহরহ যৌন হয়রানি, যৌন উত্ত্যক্তকরণের মতো লজ্জাজনক, চরম নীতিহীনতার ঘটনা ঘটছে। সমাজের চলমান নিরবতার সংস্কৃতি চালু থাকার কারণে জনসমক্ষে আসলেও অনেক ঘটনাই চাপা পড়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে, নানা ধরনের অন্যায় আচরণের কারণে, হুমকি-ভয়-ভীতির কারণে অনেক নারী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ছেন। প্রচণ্ড মানসিক চাপ আর অসহায়ত্বের কারণে আত্মহননের দিকে যেতে অনেক শিক্ষার্থী বাধ্য হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো যৌন হয়রানি প্রতিরোধের অভিযোগ কমিটি গঠিত হয়নি। কোথাও কোথাও কমিটি গঠিত হলেও সেসব কমিটি সক্রিয় নয়। হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং অভিযোগ কমিটি সম্পর্কে শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অনেকেই অবহিত নন, সচেতন নন। কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য শিরিন আখতার সুপারিশগুলো তুলে ধরে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীর প্রতি যৌন নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা পালন বেশি প্রয়োজন। যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রতিরোধ করতে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার, প্রশাসন ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক শাহনাজ সুমী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপদ পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে কিছু দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। শিক্ষক নিয়োগের সময় ও তাদের কাজের মূল্যায়নের সময় আচার-আচরণের বিষয়টি মূল্যায়নের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।  বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান নিপীড়নের ঘটনা প্রতিরোধে হাইকোর্ট প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী মন্ত্রণালয়কে ঘটনাগুলোর মনিটরিং করাসহ প্রতিষ্ঠানে থাকা যৌন নিপীড়ন কমিটির তৎপরতা বৃদ্ধি, ৫-৭ সদস্যবিশ্ষ্টি কমিটি গঠন, দুইমাস পরপর কমিটির পরিবর্তনের উপরগুরুত্বারোপ করেন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন একশন এইডের মরিয়ম নেসা। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক জনা গোস্বামী।
২১ মার্চ, ২০২৪

সরকার ধর্মীয় সংস্কৃতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, ইফতার পার্টি নিষিদ্ধ করে সরকার বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করছে। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  রিজভী বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। দেশে ৯০ ভাগের বেশি মুসলমান। সুতরাং, আমরা দেখে আসছি, রমজান মাসজুড়ে সাধারণত সারা দেশের সব স্কুল কলেজ কিংবা মাদ্রাসা— সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকত। অথচ, এবার ব্যতিক্রম। সরকার রমজানের অর্ধেক মাস দেশের সব স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতি মুসলমানের কাছেই রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। পবিত্র রমজান মাসে মানুষ একটু শান্তি এবং স্বস্তিকর পরিবেশে রোজা রাখবে, সেহরি করবে, ইফতার করবে, ইবাদত বন্দেগি করবে, প্রত্যেকটি মানুষেরই এমন আশা—আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু গণবিরোধী অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের আশা—আকাঙ্ক্ষা গভীর হতাশায় নিমজ্জিত থাকবে— এটাই স্বাভাবিক। যারা দেড় দশক ধরে বিনা ভোটের ডামি সরকার হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তাদের প্রথম এবং প্রধান শত্রু হচ্ছে গণতন্ত্রকামী জনগণ।      তিনি বলেন, সরকার গতকাল নিম্নমানের পচা খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে রোজাদারদের উপহাস করেছে। রমজান মাসে ইফতারের সময় খেজুর খাওয়ায় ধর্মীয় অনুভূতি কাজ করে। অথচ ডামি সরকারের একজন ডামি মন্ত্রী ইফতার নিয়ে কতই না উপদেশ দিচ্ছেন জনগণকে।  রিজভী বলেন, পবিত্র রমজান মাসের খেজুর আমদানির জন্য ভতুর্কি দূরে থাক, উল্টো খেজুরকে বিলাসী পণ্য উল্লেখ করে খেজুর আমদানির ওপর শুল্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিনা ভোটের সরকার। খেজুরের ওপর ভর্তুকি না দিলেও ‘ডামি সরকার’ শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংককে। তারা ব্যাংক থেকে বিভিন্ন প্রজেক্টের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া বানিয়ে দিয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে ৯টি ব্যাংকে জ্বলছে লাল বাতি, আরও ১২টির অবস্থা খুব খারাপ। সব মিলিয়ে ৩৮টি ব্যাংকে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে ‘ডামি সরকার’ এইসব ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। ঋণ খেলাপি, লুটেরা, টাকা পাচারকারীদের বাঁচিয়ে রাখতে ভর্তুকি দিলেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতার করার জন্য খেজুর আমদানির ওপর ভর্তুকি দিচ্ছেন না। খেজুর আমদানির ওপর ভর্তুকি না দিয়ে উল্টো বেশি করে শুল্ক আরোপ কোনো সাধারণ অপরাধ নয়, রীতিমতো মহাপাপ।     তিনি বলেন, শুধু খেজুর নয়, সরকারের সিন্ডিকেটবান্ধব লুটপাটের নীতি ও চরম ব্যর্থতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। বাজারে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চিনি, আটা, ময়দা, ছোলা, বেসন, লেবু, শসা, মাছ— মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম মানুষের আয় থেকে দুস্তর ব্যবধান।  রিজভী আরও বলেন, সারা বিশ্বে দাম কমলেও বাংলাদেশে প্রতিদিন কেবল বাড়াচ্ছে জনগণের ‘পকেট কাটা সরকার’। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়া-কমার সঙ্গে বিশ্ব পরিস্থিতির সম্পর্ক নেই। দেশে জিনিসপত্র দাম বাড়া-কমার সঙ্গে সম্পর্ক আওয়ামীদের সঙ্গে।  তিনি বলেন, আলেম সমাজ যদি অন্য কোনো ইস্যু নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ বাড়াতে থাকে আমরা যদি দেশে ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক সচেতন না হই, আমরা যদি প্রায়োরিটি ইস্যু নির্ধারণ কিংবা করণীয় নির্ধারণে ব্যর্থ হই তাহলে সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয় আমাদেরও হয়তো নিজ ভূমিতেই নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যবরণ করতে হবে।  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুস সালাম, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।
১৩ মার্চ, ২০২৪

সংবাদমাধ্যম গণমুখী সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে : বিএফইউজে মহাসচিব
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, এই সরকারের কারণে সংবাদমাধ্যম গণমুখী সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে। সাংবাদিকের কাজ রাজনীতি করা নয়।  শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, সরকারের কারণে সংবাদমাধ্যম গণমুখী সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে। সাংবাদিকের কাজ রাজনীতি করা নয়। তবে ভালোর পক্ষে কল্যাণের পক্ষে থাকতে হবে। সাংবাদিকরা হবে সত্যের পন্থি। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলবে। বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকারহরণ, ভোটাধিকারহরণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, শোষণ, অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবে সাংবাদিকরা। এজন্যই গণমাধ্যম আর সাংবাদিকদের ভরসার শেষ ঠিকানা মনে করে সাধারণ মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতা না থাকায় সংবাদমাধ্যম আজ গণমুখী সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে।  সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মির্জা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে শহরের টিএমএসএস অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ কাউন্সিল অধিবেশনে বিশেষ অতিথি  ছিলেন বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা।  সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল ওয়াদুদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক গনেশ দাস, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাবেক সভাপতি মতিউল ইসলাম সাদী, সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, কার্যনির্বাহী সদস্য (সদ্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক) এস এম আবু সাঈদ, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোমিন রশিদ শাইন প্রমুখ।  এ সময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম গণমাধ্যমের হতে পারছে না। সত্য তুলে ধরতে না পারায় সংবাদমাধ্যম দিন দিন মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলছে। যা সংবাদমাধ্যমকে অস্তিত্বের সংকটে ধাবিত করছে। গণমাধ্যম সব সময় জনগণের পক্ষে থাকার কথা। কিন্তু কীভাবে জানি না, জনগণের সঙ্গে গণমাধ্যমের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কালে কালে সে দূরত্বটা বাড়ছেই শুধু। আমরা জানি না আমাদের মিডিয়া মালিকরা তা অনুধাবন করছেন কিনা!
০৮ মার্চ, ২০২৪

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নবীনবরণ
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের (২০২২-২৩) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ফুয়াদ মন্ডল ও নিশাত শাওরিনের সঞ্চালনায় সকাল ১১টা থেকে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে সবাই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলায় মেতে উঠে। এ সময় এক ঝাঁক শিক্ষানবীশের মিলনমেলায় মুখরিত ছিল বোটানিক্যাল গার্ডেন। প্রতিদিনের নিয়মমাফিক ক্লাস করতে করতে যখন নবীন শিক্ষার্থীদের হাঁসফাঁস অবস্থা উঠেছিল ঠিক তখনই এমন উৎসবমুখর একটি অনুষ্ঠানে প্রাণ ফিরে পেয়েছে তারা। নবীন শিক্ষার্থী মাহফুজ রহমান নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, সিনিয়রদের পক্ষ থেকে এত সুন্দর আয়োজন অপেক্ষা করছিল তা আমাদের কল্পনাতীত। আমাদের খুব ভালো লেগেছে। বাসা থেকে অনেক দূরে থেকেও আমরা আপন একটি পরিবারের  সন্ধান পেয়েছি। আজীবন যেন আমাদের এ বন্ধন অটুট থাকে সেই কামনা করি। আরেক নবীন শিক্ষার্থী এস এম অভি বলেন, আমি আমাদের ৪৯ ব্যাচের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও যেন এমন আয়োজন অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশা করছি। অনুষ্ঠানে নবীনদের উদ্দেশ্য ৪৮ ব্যাচের পক্ষ থেকে ফাতেমা তুজ জোহরা মীম বলেন, বসন্তের মধ্যাহ্নে অন্তরের অন্তস্থল থেকে নবীনদের বরণ করে নিয়েছি। আমাদের একসঙ্গে পথচলা শুরু হয়েছে। আমাদের এ সিনিয়র-জুনিয়র ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সবসময় অটুট থাকুক। সিনিয়রদের ভালোবাসা ও স্নেহ এবং জুনিয়রদের সম্মান ও আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ থাকুক এ বন্ধন। ৪৯ ব্যাচ আমাদের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ঐতিহ্য ধরে রাখবে বলে প্রত্যাশী। ৪৮ ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম জুনিয়রদের উদ্দেশে বলেন, নিঃসন্দেহে চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ একটি সমৃদ্ধশীল একটি বিভাগ। এই বিভাগ থেকে অনেক বড় জায়গায় আমাদের সিনিয়ররা অবস্থান করছেন। বিসিএস ক্যাডার, দেশে বিদেশে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে। যদি এখন থেকে তোমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করো তাহলে সফলতার শেষ চূড়া সেটা স্পর্শ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। ভর্তিযুদ্ধে হাজার শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে তোমরা এ অবস্থানে এসেছ। অবশ্যই তোমরা প্রত্যেকে মেধাবী এবং সফল মানুষ। সার্বিক অনুষ্ঠান নিয়ে (২০২১-২২) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহারিয়ার ইমন হৃদয় বলেন, আমাদের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রতিবছর ইমিডিয়েট সিনিয়ররা বিভাগে আগত নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় আমরাও আমাদের জুনিয়র ব্যাচকে নবীনবরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিয়েছি। এই আয়োজন সুন্দর করে সফল করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X