সুনামগঞ্জে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২৬ জন আহত
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কুকুরের কামড়ে ৭ শিশুসহ ২৬ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর, মধ্য তাহিরপুর, তাহিরপুর বাজার, ভাটি তাহিরপুর, ঠাকুরহাটি ও দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শাহগঞ্জ এলাকায়  কুকুরের আক্রমণের ঘটনাটি ঘটে।  আক্রমণকারী কুকুরটি মধ্য তাহিরপুর গ্রামের সনুকুল দাসের ছেলে শ্রীবাসের পালিত কুকুর। পরে দুপুর ২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শাহগঞ্জ গ্রামে স্থানীয়রা কুকুরটিকে হত্যা করে। স্থানীয় ও  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারী ও শিশুসহ প্রায় ২৬ জন কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ১৬ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। কুকুরের কামড়ে আহতদের কারো হাত, পা ও মুখ ক্ষত হয়েছে।  আহতরা হলেন- তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের মধ্য তাহিরপুর গ্রামের স্বর্গজিৎ (৫), তাওহীদ (৩), তৌফিক মিয়া (৪০), তাহি (১২), তাজ মাহমুদ (৩২), ফয়সাল মিয়া (৪৫), একই ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের পরভেজ মিয়া ( ১২), রফিক নুর (১৮), তাসিন (৮), চিরশ্রী (৪), আজিমা বেগম (৬০), রতনশ্রী গ্রামের আয়ান মিয়া (৬), বায়তুল (২৫), দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শাহগঞ্জ গ্রামের আশ্বাদ নুর (৬০), সনীল দাস (৬৫), টিটন (৪০)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত স্বর্গজিৎ (৫) ও ফয়সাল আহমদকে (৪৫) সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, কুকুরের কামড়ে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের রেবিক্স ভাইরাসের ইমিউনি গ্লোবিলিন ও রেবিক্স ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। দুইজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মে, ২০২৪

হাসপাতালে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ল চিকিৎসকের টেবিলে
জামালপুর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের একটি কক্ষে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে চিকিৎসকের টেবিলের কাচ ভেঙে গেছে। কক্ষের মেঝেতেও পলেস্তারা খসে পড়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বহির্বিভাগের ৩ নম্বর কক্ষে এ ঘটনার উপস্থিতদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কক্ষটি অর্থোপেডিক্স বিভাগের চিকিৎসকরা ব্যবহার করছেন। দুপুরে কক্ষে থাকা চিকিৎসক আবু সাইদ, মাইনুদ্দিন আকন্দ ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট মুরশিদুল হক বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে এ ঘটনা ঘটে। পলেস্তারা খসে পড়ার প্রত্যক্ষদর্শী চিকিৎসকের সহকারী সোহাগ জানান, চিকিৎসক বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি কক্ষ পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। তবে এতে কেউ আহত হননি।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, এ ভবন অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই জনসাধারণের সেবা দিতে হচ্ছে আমাদের। এর বাইরে বলার কিছু নেই। জানা গেছে, ১৯৬১ সালে নির্মিত ভবনটি ২০২১ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে গণপূর্ত বিভাগ।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে দালাল আটক
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের হয়ে দালালরা রোগীদের সদর হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দালালদের এমন উৎপাতের কারণে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৯ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের সোপর্দ করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্যথোয়াইপ্রু মারমা ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, আটককৃতদের যাচাই-বাছাই করে ৫ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। প্রত্যেকের ১০ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক জনগণ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে এদের হাতে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। যা আইনত অপরাধ। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওমর ফারুক (২৭), আমিনুল (২৩), রহমান আল আজাদ (৩৭), সুজন (২৩) ও আকরাম হোসেন (২৭)।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল যেন চোরদের অভয়ারণ্য
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বেড়েছে চোরদের উৎপাত। ফলে  হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের খোয়া যাচ্ছে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, ওষুধসামগ্রীসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারির অভাবে এমন পরিস্থিতি দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সেবাপ্রার্থীরা। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, শয্যা সংকট থাকায় একদিকে যেমন রোগীর চাপ ও চিকিৎসা পেতে বিড়ম্বনা, অন্যদিকে হাসপাতালের অধিকাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো হওয়ায় রোগীদের ভিড়ে হাসপাতালে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে কেটে পড়ছে চোরচক্রের সদস্যরা।  ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ১১ মাসের শিশু ফারিসতার মা ডলি আক্তার কালবেলাকে বলেন, হাসপাতালের আয়া ঝাড়ু দিয়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই আমার ব্যাগটি গায়েব হয়ে গেছে। আমার ব্যাগের মধ্যে নগদ ২৬ হাজার টাকাসহ ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল। হাসপাতালের কক্ষে সিসিটিভি না থাকায় দেখতেও পারছি না কীভাবে আমার ব্যাগটি চুরি হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা তাসকিন নামের একমাসের শিশুর বাবা মোরশেদ সরদার বলেন, তিন দিন ধরে তাসকিনকে নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি। সোমবার ভোর রাতে আমার পাশে থাকা ব্যাগ থেকে তিন হাজার টাকা, তাসকিনের প্যামপাস ও দামি কিছু ওষুধ নিয়ে গেছে চোর। গ্রাম থেকে চিকিৎসা করাতে অল্প কিছু টাকা নিয়ে আসি। এভাবে যদি চোররা সবকিছু নিয়ে যায় আমরা কীভাবে চলব।  আছিয়া বেগম নামের রোগীর এক স্বজন বলেন, আমার নাতিন নিয়ে চিকিৎসা করাতে সদর হাসপাতালে আসছি বাইরে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই। এখানে আসার পর গত কাল ভোররাতে আমার ব্যাগ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গেছে। আমরা গরীব মানুষ। এখন টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।  শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতু আক্তার বলেন, ভোরে হাসপাতাল থেকে চারজন রোগীর স্বজনদের টাকা পয়সা ও মালামাল খোয়া যাওয়ার বিষয়ে শুনেছি। হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনদের মূল্যবান জিনিসপত্র তাদের নিজ দায়িত্বে রাখার কথা। হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে তবে সবগুলো সচল নয়। হয়তো ওই ওয়ার্ডের সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না।  সিসিটিভি অকেজো হওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং চুরির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা সকল রোগীর ও তাদের লোকজনকে মালামাল নিজ দায়িত্বে নিরাপদে রাখার জন্য বলা হয়ে থাকে। সাধারণত ভোরের দিকে চোররা রোগীর লোক সেজে চুরি করে। আয়ার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, না দেখে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া ঠিক না। যদি কেউ চোর ধরতে পারে সেক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাসপাতালে আরও বেশি সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। চুরির বিষয়ে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবদুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্‌ পরান কালবেলাকে বলেন, হাসপাতালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়কের। উনি একাই ওটা সামলান, হাসপাতালের উপরে আমার কোনো কর্তৃত্ব নেই। হাসপাতালে লোকবলের অভাব আছে কী না, বা সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজনীয়তা আছে কী না সব পরিকল্পনা তার। আমি শুধু তাকে পরামর্শ দিতে পারি।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩
X