মুক্তিযোদ্ধার নাতি পরিচয়ে ১১ বছর সরকারি চাকরি করেন আবুল কাশেম
বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল করে পোষ্য কোটায় এক ব্যক্তি প্রায় ১১ বছর ধরে সরকারি চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. আবুল কাশেম উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে কর্মরত আছেন। জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল কঞ্ছিথল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. নবীর উদ্দিন আকন্দের কাগজপত্র জাল করে ভুয়া নাতি সেজে প্রায় ১১ বছর ধরে উক্ত পদে চাকরি করে আসছেন অভিযুক্ত আবুল কাশেম। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক, দুদক, জেলা কৃষি অধিদপ্তরসহ ৬টি দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবুল কাশেম ২০১৩ সালে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায় যোগদান করেছিলেন। বর্তমানে তিনি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত। আবুল কাশেম ঠিকানা পরিবর্তন করে নিজের মা সাহার বানুকে শিবগঞ্জের আটমুল কুঞ্ছিথল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিন আকন্দের কন্যা এবং নিজেকে নাতি বানিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অবৈধভাবে চাকরি নিয়েছেন। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি অফিসে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করা হলেও ইটনা উপজেলা কৃষি অফিসার আবুল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করেছেন। আবুল কাশেমের নানা এবং তার ওয়ারিশান সূত্রে তার বংশে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই। তার আসল নানার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিনের সনদপত্র জালিয়াতি করে রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে অবৈধভাবে যোগদান করেছেন এবং অবৈধভাবে সরকারের সুযোগ সুবিধা ও বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিনের ওয়ারিশান সূত্রে জানা যায়, তার এক স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তারা হলেন- স্ত্রী আছিমন বিবি, মেয়ে আনেছা বিবি এবং ছেলে আনিছুর রহমান। অন্যদিকে অভিযুক্ত আবুল কাশেমের আসল নানার নাম নজরুল ইসলাম। তার স্ত্রীসহ পরিবারের ৯ জন ওয়ারিশ। নজরুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া, মেয়ে শাহার বানু, আফিয়া, নার্গিস, মোরশেদা, নাদিরা, ছেলে মো. আতাউল, মো. আলম ও মো. আজম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, অভিযুক্ত আবুল কাশেমের নানার নাম এবং গেজেটভুক্ত ওই মুক্তিযোদ্ধার নামের কোনো মিল নেই। অভিযুক্ত আবুল কাশেম প্রকৃত নানার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তনমূলক জালিয়াতি করে সরকারি চাকরি হাতিয়ে নেন। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট তিনি কিশোরগঞ্জ জেলায় ইটনা উপজেলায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। বিষয়টি আমরাও জানতাম না। সম্প্রতি এটি জানতে পেরে আমরা অবাক হয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিন আকন্দ কালবেলাকে জানান, সাহার বানু বা আবুল কাশেম আমার কেউ না। আমি তাদের চিনি না। আমার মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে নিজের নাতি-নাতনিকেই তো চাকরি দিতে পারছি না। অন্য কাউকে কেন দেব? এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এ বিষয়ে আটমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, আবুল কাশেম নামের প্রত্যয়নে আমার যে স্বাক্ষরটি রয়েছে, সেটি আমার না। তিনি আমার স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যয়ন নিয়েছে হয়তো। এর আগেও দুএকজন এমন করেছিল। তারা ধরাও পড়েছে। আর সে মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিনের নাতি কিনা আমি জানি না। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবুল কাশেম বলেন, এগুলো ওদের সাজানো নাটক। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি আমার দুলাভাই। একটি ডিপ টিউবওয়েলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছে। আমার মান-সন্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি এসব করছেন। জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. রাহেলা পারভীন কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

সরকারি চাকরি পেয়ে ভুলে গেলেন স্ত্রীকে, দিলেন তালাক
সরকারি চাকরি পেয়ে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বরগুনার আল মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে মামলা করেছেন স্ত্রী বিথি (ছদ্মনাম)। জানা যায়, এক যুগ আগে ভালোবাসার সম্পর্ক হয় গৌরনদী শহরের আল মাহমুদ ফয়সাল ও বরগুনার মেয়ে বিথির (ছদ্মনাম) সঙ্গে। দুজনই পড়াশোনা করতেন বরিশাল রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক ৬ মাস না পেরোতেই ভালোবাসার সম্পর্কে রূপ নেয় ফয়সাল বিথির সম্পর্ক। ২০১৩ সালে ডিপ্লোমা শেষ করেন একইসঙ্গে। তারপর বিএসসি গ্র্যাজুয়েশন নিতে ২০১৫ সালে ভর্তি হন ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।  ফয়সাল লেখাপড়া করত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে। আর বিথির বিষয় ছিল কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। ২০২০ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হওয়ার আগেই দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১৯ সালে বিয়ে করেন ফয়সাল এবং বিথি। ভালোবাসার প্রথম দিকে মেয়ে পক্ষের মা বাবা রাজি না থাকার কারণে ভালোবাসার সম্পর্ককে স্থায়ী সম্পর্কে রূপান্তর করার জন্য একটু তড়িঘড়ি করেই বিয়েটা করে নেন বিথি এবং ফয়সাল।  দুই পরিবার থেকেই মেনে নিয়েছিলেন তাদের বিয়ের সম্পর্ক। লেখাপড়া চলাকালীন অনুষ্ঠান করে বিথিকে তার স্বামীর ঠিকানায় উঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মেয়ের মা-বাবা। কিন্তু বিপত্তি জানায় ফয়সাল এবং ফয়সালের পরিবার। ফয়সালের পরিবার বিথির পরিবারকে জানায়, এখন যখন লেখাপড়া করছে তো লেখাপড়া শেষ করুক তারপর উঠিয়ে আনব আপনাদের মেয়েকে। ২০২০ সালে দুজনের বিএসসি শেষ হওয়ার পর আবারও মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে উঠিয়ে দিতে চান বিথির মা-বাবা। কিন্তু তখনও বিপত্তি প্রকাশ করে ফয়সাল এর পরিবার। তারা বলেন, ছেলে সবে মাত্র লেখাপড়া শেষ করল, একটা চাকরি হোক তারপর অনুষ্ঠান করে আমাদের পুত্রবধূকে উঠিয়ে আনব। এমনটাই সাংবাদিকদের জানান বিথির বাবা বজলুর রহমান। তারপর চাকরির জন্য চেষ্টা করতে থাকেন দুজনেই।  অনেক চেষ্টার পর ২০২৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে নেছারাবাদ পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যোগদান করেন মো. মাহমুদ আল ফয়সাল। চাকরিতে যোগদান করার পর বিয়ের অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করেন ফয়সাল ও বিথির পরিবার।  ফয়সাল চাকরিতে যোগদানের পর প্রায়ই আসতেন শ্বশুর এর বাসায় এমনটাই বলেন বিথি ও বিথির পরিবার। বিপত্তি শুরু হয় ৫ নভেম্বর ২০২৩ সকালে। স্বাভাবিক দিনের মতো ফয়সাল তার শ্বশুর বাড়ি থেকে সকাল বেলা কর্মস্থলে চলে যান।  পরে বিথি বিছানা ঠিক করতে গিয়ে একটা হলুদ খাম দেখতে পায় ফয়সালের বালিশের নিচে। খামটি খুলে বিথি দেখেন তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। পরে বিথি তার মায়ের ফোন থেকে ফয়সালকে কল দিতে থাকে, কিন্তু কোনোভাবে ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না বিথি। এই ব্যাপারে বিথি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি জানি না কী আমার অপরাধ। ফয়সাল যেই সময় আমার কাছে যা চাইত ও যেভাবে চলতে বলত আমি সব সময় সেই রকম চলতাম। আমরা দুজন যখন ঢাকাতে ভর্তি হই তখন ওর ইউনিভার্সিটির সেমিস্টার ফিসহ ওর যাবতীয় খরচ আমি বহন করেছি। আমার টিউশনির টাকা পুরোটা ফয়সালের হাতে তুলে দিতাম। বিথির বাবা জানান, আমাদের মেয়ের সঙ্গে হওয়া সকল অন্যায়ের বিচার চাই।  এই ঘটনার পরে বিথির সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে বিথি। যার মামলা নম্বর ৫৭৩/২০২৩। মামলা সূত্রে জানা যায়, ফয়সাল বিভিন্ন সময় তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে। স্ত্রীর পরিবার কমবেশি ফয়সালকে টাকা-পয়সা দিতেন। এরই মধ্যে ফয়সাল পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরে। ফয়সাল এ বছর ১৫ অক্টোবর তার স্ত্রীকে রেজিস্ট্রি তালাক দিয়ে সেই তালাক গোপন রেখে ১৯ অক্টোবর হতে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বরগুনার শ্বশুরের বাসায় তার স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করে। ৫ নভেম্বর সকালে ফয়সাল তার শ্বশুরের বাসা থেকে তাদের বাড়ি যাওয়ার সময় শ্বশুরের বাসায় যেখানে ফয়সাল ঘুমাতেন সেখানের বালিশের নিচে একটি খামে তালাকের নোটিশ গোপনে রেখে যায়।  এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফয়সালের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কালবেলাকে বলেন, মামলায় উল্লেখিত বিষয়গুলো মিথ্যা। তাকে ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে। ওই মেয়ে আমার সঙ্গে সংসার করতে ইচ্ছুক, কিন্তু আমি ইচ্ছুক না।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘মা আমাকে সরকারি চাকরি করতে বলেন’
চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদকে তার মা এখনো সরকারি চাকরি করতে বলেন। এই পরামর্শের জবাবে নায়ক তার মাকে জানান, তার অনেক বয়স হয়েছে, এখন আর সরকারি চাকরি হবে না। রাজধানীর কলাবাগান স্টাফ কোয়ার্টারে ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানিয়েছেন ফেরদৌস। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় ফেরদৌস বলেন, ‘শিল্পীদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেই ভালোবাসার উপহার হিসেবে আমার হাতে প্রধানমন্ত্রী এমন এক উপহার দিয়েছেন, আপনারা পাশে না থাকলে যার ভার আমি সামলাতে পারব না। আমাকে ঢাকা-১০ আসনের কাণ্ডারি হিসেবে দিয়েছেন তিনি’। ব্যক্তিজীবনের প্রসঙ্গ টেনে চিত্রনায়ক বলেন, ‘স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য পরিশ্রম করতে হয়। সেটা করতে পারি। আমি জীবনেও ভাবিনি সিনেমায় আসব, নায়ক হবো। এখনো আমার মা বলেন, অভিনয় অনেক হয়েছে, এবার একটা সরকারি চাকরি কর। আমি তখন মাকে বলি, আমার অনেক বয়স হয়েছে, সরকারি চাকরি হবে না। এমন একটা পারিবারিক আবহ থেকে সিনেমায় এসেছি আমি। আমার আত্মবিশ্বাস ও কঠিন পরিশ্রম আজকের এই জায়গায় নিয়ে এসেছে আমাকে’।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিচিত্র / সরকারি চাকরি করা যুবককে তুলে নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিলেন বাবা
রাস্তা, বাড়ি এমনকি বিয়ের আসর থেকে পিস্তল ঠেকিয়ে মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে অপহরণকারীকে বিয়ে করতে বাধ্য করার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। এর মধ্যে কিছু কিছু বিয়ে টিকে থাকে, আবার কিছু আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এবার ঘটেছে উল্টো ঘটনা। সরকারি চাকরি করা এক যুবককে তুলে নিয়ে নিজের মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়েছেন এক অপহরণকারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যে। খবর এনডিটিভির। বিহারের রেপুরা জেলার গৌতম কুমার সরকারি কর্মকমিশনের পরীক্ষায় পাস করে শিক্ষক হিসেবে সবে যোগদান করেছেন। প্রতিদিনের মতো গত বুধবারও স্কুলে ক্লাস নিচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি জোর করে ক্লাসে ঢুকে পড়েন। তারা মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গৌতমকে তুলে নিয়ে যান। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অপহরণকারী রাজেশ রাইয়ের বাড়িতে। সেখানে ওই ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে জোর করে গৌতমের বিয়ে দেওয়া হয়। গৌতম বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে তার দিকে বন্দুক তাক করলে প্রাণের ভয়ে রাজেশের মেয়ে চাঁদনিকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। গৌতমকে অপহরণের ঘটনায় থানায় জানান স্কুলটির প্রধান শিক্ষক। পরে গৌতমের ফোন ট্র্যাক করে তার খোঁজ পাওয়া যায়। পুলিশ গৌতমকে উদ্ধার করেছে। ততক্ষণে বিয়ের সব নিয়ম-কানুন সম্পন্ন হয়েছে। বিহার পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত চলছে।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

অনলাইনে সরকারি চাকরি পরীক্ষার আবেদন খরচ বাড়ল ৯ টাকা
সরকারি চাকরি পরীক্ষায় অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে খরচ বাড়ল ৯ টাকা। টেলিটকের মাধ্যমে যেসব পরীক্ষার্থী ফি পরিশোধ করতে চান, তাদের এই বাড়তি খরচ দিতে হবে। অর্থাৎ এখন থেকে কোনো চাকরি প্রার্থীকে টেলিটকের মাধ্যমে ফি পরিশোধের সেবা নিতে হলে, অপারেটর কমিশনের ওপর অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। গত ১৭ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। প্রজ্ঞাপনে সরকারি চাকরি পরীক্ষার ফি আগের মতোই অপরিবর্তিত রাখার তথ্য দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন উল্লেখ করা হয়, নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের (নন-ক্যাডার) জন্য পরীক্ষার ফি ধার্য হয়েছে ৬০০ টাকা। এ ছাড়া দশম গ্রেডের জন্য ৫০০ টাকা, একাদশ থেকে দ্বাদশতম গ্রেডে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া ত্রয়োদশ থেকে ষোড়শতম গ্রেডের পরীক্ষা ফি ২০০ টাকা ও সপ্তদশ থেকে ২০তম গ্রেডের ফি ১০০ টাকা ধার্য করা হয়।
২৫ আগস্ট, ২০২৩
X