কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / সাতক্ষীরা সীমান্তে মাদক পাচার বন্ধে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন 
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অভিনব কায়দায় পাচার হচ্ছে মাদক। সম্প্রতি দৈনিক কালবেলায় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির নজরে আসলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাদক চোরাচালানিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার বিজিবি ক্যাম্প শোলপুর বিওপি থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে ইছামতি নদীর খানজিয়া এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শেখ সাব্বির আহমেদ ও কুদ্দুস গাজী বালু উত্তোলন করেন। এতে করে একদিকে যেমন বিলীন হতে চলেছে বাংলাদেশের ভূখণ্ড, দেশ হারাচ্ছে সীমানা।  অপরদিকে এই বালু উত্তোলনের আড়ালে চলছে চোরাকারবারিদের রমরমা মাদক ব্যবসা। এই রুটকে নিরাপদ হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদক কারবারিরা। তারা বালুভর্তি ট্রাক ও ট্রলারে করে ভারত থেকে কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। সম্প্রতি মাদক চোরাচালান বন্ধে অনুমোদিত বালুমহাল বাতিলসহ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বিজিবি ও জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির আহমেদের নামেই বালুমহালের লাইসেন্স রয়েছে। তবে এসব ব্যবসা দেখাশোনা করেন কুদ্দুস গাজী ও রনি নামে দুজন।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি মাদক চোরাচালান বন্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা চোরাচালান বন্ধে ইছামতি নদীতে অনুমোদিত বালুমহাল বাতিলসহ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। কালীগঞ্জ বাজারে মাদক চোরাকারবারি শেখ সাব্বির আহমেদের অনুমোদিত দেশি মদের দোকান রয়েছে।  কর্মকর্তারা বলেন, দেশি মদের পাশাপাশি গোপনে বিদেশি মদের ব্যবসা রয়েছে তাদের। মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য নির্ধারিত মূল্যের থেকেও বেশি টাকার টেন্ডার দিয়ে বালুমহাল নিয়েছে তারা। তারা আরও বলেন, বালুমহাল বাতিলসহ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা চোরাচালান নির্মূল করতে সক্ষম হব।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

সামেকে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে দেওয়া এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।  মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল কুদ্দুছ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বেলা ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে হলে অবস্থানরত সব শিক্ষার্থীকে জরুরি ভিত্তিতে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।  এ বিষয়ে অধ্যাপক রুহুল কুদ্দুছ কালবেলাকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় নতুন করে সংঘর্ষ হতে পারে বা এমন আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য ছাত্রছাত্রীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  এর আগে সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে কলেজ চত্বরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রিন্স সাহাসহ কয়েকজন আহত হন।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সামেকের শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল মুহিত, শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন হামলা চালায়। তারা আওয়ামী সমর্থিত ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ শিক্ষকদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এ সময় উপস্থিত আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও বহিরাগতদের নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেন তারা। পুরো ঘটনাটি সি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী মেডিকেল কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির গত ২৭ মার্চ ইন্টার্ন ডা. আব্দুল মুহিতকে দুই মাসের ইন্টার্নশিপ স্থগিত করে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তানভীর আহমেদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সামেক কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে আব্দুল মুহিতকে সভাপতি ও তানভীর আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে কমিটির বাকি সদস্য ও পদবঞ্চিতরা। সোমবার বেলা ১২টায় মুখোমুখি অবস্থানে ছিল দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সভাপতি আব্দুল মুহিত ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এরপর দুই পক্ষই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও থানা পুলিশের হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।  
০২ এপ্রিল, ২০২৪

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে (সামেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রিন্স সাহাসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সামেকের শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল মুহিত, শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন হামলা চালায়। তারা আওয়ামী সমর্থিত ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ শিক্ষকদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এ সময় উপস্থিত আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও বহিরাগতদের নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেন তারা। পুরো ঘটনাটি সি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী মেডিকেল কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির গত ২৭ মার্চ ইন্টার্ন ডা. আব্দুল মুহিতকে দুই মাসের ইন্টার্নশিপ স্থগিত করে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তানভীর আহমেদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সামেক কর্তৃপক্ষ। এদিকে গত ২৯ মার্চ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে আব্দুল মুহিতকে সভাপতি ও তানভীর আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে কমিটির বাকি সদস্য ও পদবঞ্চিতরা। সোমবার বেলা ১২টায় মুখোমুখি অবস্থানে ছিল দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সভাপতি আব্দুল মুহিত ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এরপর দুই পক্ষই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও থানা পুলিশের হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে আগামীকাল বসে সমাধান করব। আশা করছি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়ে যাবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল কুদ্দুছ বলেন, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে দুটি গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।  
০১ এপ্রিল, ২০২৪

সাতক্ষীরা সীমান্তে গলদা রেণুর সঙ্গে অভিনব কায়দায় মাদক পাচার
প্রশাসনের নজর এড়াতে মাদক পাচারকারীরা এখন নতুন কৌশল হিসেবে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে গলদা রেণুর সঙ্গে অভিনব কায়দায় ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল ও বিদেশি ব্র্যান্ডের মদসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বসন্তপুর, উকশা, বাঁশঝাড়িয়া, খড়মি, দুরমুজ খালি এবং শ্যামনগর উপজেলার কৈখাল সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে অভিনব কৌশলে তৈরি নৌকা, ট্রলার ও সাঁতরে এসব মাদক নিয়ে আসছে চোরাকারবারিরা। আর এসব অবৈধ মালামাল পারাপারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে কালিগঞ্জের বসন্তপুর গ্রামের মো. ফারাকত, চাকদা গ্রামের মো. আকবর আলী, হাড়বদা গ্রামের আব্দুর সবুর, মানপুরের মো. আরিফ ওরফে গুলি, মোস্তফাপুরের মো. হামিদ, উকশার মো. বাবু, বসন্তপুরের মো. সিরাজুল, কালিগঞ্জ থানা এলাকার মোটরসাইকেল ড্রাইভার মো. ফরিদ উদ্দিন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. রাজাক, বাঁশঝাড়িয়ার ধনঞ্জয়, বসন্তপুরের মো. জালাল, মো. খোকন, আবু তালেব, হাড়বদার মো. আলাউল, মুড়াগাছার উজ্জল কয়াল, খড়মি এলাকার সুব্রত, সাহাদাত হোসেন, কালিগঞ্জ থানা এলাকার রফিকুল ইসলাম ও শ্যামনগরের নুরনগরের আবুল কাশেম। এ ছাড়াও জেলার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নীরবে গলদা রেণুর সঙ্গে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল পাচার করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। স্থানীয়রা জানান, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার বসন্তপুর, উকশা, বাঁশঝাড়িয়া, খড়মি, দুরমুজ খালি, কৈখালী পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ৩টার দিকে গলদার রেণুর সঙ্গে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মালামাল এসে কালিগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর নামক স্থানে জমা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সাতক্ষীরার দিক থেকে আসা ৮-১০টা প্রাইভেট, ৩-৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি পিকআপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়। শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিগঞ্জে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিজিবির কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে মূলত গলদা রেণুর পাচারের অনুমতি নিয়েছে একটি চক্র। তবে তারা গলদা রেণুর সঙ্গে অভিনব কায়দায় ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, বিদেশি ব্র্যান্ডের মদসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে। এদিকে, গলদা রেণুর সঙ্গে মাদক পাচারের বিষয়টি এখনও সামনে না আসায় এই নিরাপদ কৌশলটি ব্যবহার করছে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা।  অপরদিকে, গলদা রেণুর সঙ্গে আসা সর্বনাশা মাদকের নীল ছোবল থেকে সাতক্ষীরার যুবসমাজকে বাঁচাতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা-১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানবির হাসান মজুমদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  কালিগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহিন বলেন, সীমান্ত এলাকার দায়িত্ব বিজিবির। সীমান্তে কী হচ্ছে পুলিশের জানা নেই। তবে আমরা মাদকের ব্যাপারে সোজাসাপটা আছি। কালিগঞ্জ থানা এলাকায় পুলিশের নজরদারি জোরদার করেছি। মাদক পাচারের খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
০৯ মার্চ, ২০২৪

সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপির অপসারণের দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের
সাতক্ষীরা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষের প্রতিবাদে তারা এ আয়োজন করেন। রোববার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আয়োজনে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জি এম আব্দুল গফুর, অ্যাড. মোস্তফা নূরুল আলমসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বক্তারা এ সময় বলেন, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ওরফে খাটাল লতিফ তার পদ ব্যবহার করে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কেও নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। যা খুবই দুঃখজনক।  মানববন্ধন থেকে বক্তারা অ্যাড. আব্দুল লতিফের পিপি পদ থেকে অপসারণের জোর দাবি জানান।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

সাতক্ষীরা ভোমরায় খান ইমপোর্টার্স-এক্সপোর্টসের যাত্রা শুরু
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খান ট্রেড এবং খান ইমপোর্টার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টসের অফিস আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এবার নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের কার্যক্রম শুরু করল। রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ভোমরা বন্দরের সোনালী ব্যাংক ভবনের দ্বিতীয় তলায় খান ট্রেড এবং খান ইমপোর্টার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিন আরমান খানের উদ্যো‌গে নতুন এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রুহুল আমীন, ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলওয়ার রাজু, সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমসহ ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ সময় বক্তারা বলেন, খান ইমপোর্টাস অ্যান্ড এক্সপোর্টসের নতুনভাবে যাত্রার ফলে আগামী দিনে সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্ট সকলকে এ প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিষ্ঠানটির সফলতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের কমিটি বাতিল
দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সাতক্ষীরা সিটি কলেজের এডহক কমিটি অবশেষে বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত পত্রে ওই কমিটি বাতিল করা হয়। এর আগে সাতক্ষীরা-২ আসনের নবনির্বাচিত জাপার সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জান আশুর সুপারিশে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একই কলেজের রানিং অফিস সহকারী কবির হোসেন মিলনকে সভাপতি করে এডহক কমিটির অনুমোদন দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বুধবার অনলাইন ভার্সনে ও বৃহস্পতিবার প্রিন্ট ভার্সনে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এদিকে কলেজের রানিং অফিস সহকারী ও জামায়াত নেতা কবির হোসেন মিলনকে সভাপতি করায় সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা। চাপা ক্ষোভে ফেটে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতা, ওই কলেজের শিক্ষক ও সুধীমহল। পরে ওই কমিটি বাতিল করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের একাধিক শিক্ষক বলেন, আমাদের কলেজের রানিং অফিস সহকারী কবির হোসেন মিলনকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠিত হয়েছে শুনে আমরা অনেক দুঃখ পেয়েছিলাম। তবে আমরা সেগুলো প্রকাশ করতে পারছিলাম না। কারণ নতুন এমপি স্যার নিজে ওই কমিটির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। তবে আজ আমরা অনেক আনন্দিত যে ওই কমিটি বাতিল হয়েছে। আমাদের কলেজে অন্য যে কেউ সভাপতি হোক সেটি আমরা মেনে নেব এবং তার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করব। কমিটি ঘোষণার পর আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি বলেছিলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত। সিটি কলেজ আমার ইউনিয়নের মধ্যে। কিন্তু আমরা যারা দলীয় নেতাকর্মী আছি আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা না করেই কলেজের অফিস সহকারী এবং জামায়াত নেতা মিলনকে কলেজের সভাপতি বানিয়েছেন নতুন এমপি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এমপি হিসেবে শপথ নেওয়ার তিন দিনের মধ্যেই যদি জামায়াত নেতাকে কলেজের সভাপতি বানানো হয়। তাহলে সামনের দিনগুলোতে কি হবে বুঝতে বাকি থাকে না। তবে সাতক্ষীরা-২ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি আশরাফুজ্জামান আশু বলেছিলেন, কলেজের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সভাপতি বানিয়েছি।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলেন কলেজের সভাপতি
সাতক্ষীরা সিটি কলেজে কবির হোসেন মিলন নামে তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারীকে কলেজ সভাপতি করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদরের নব নির্বাচিত জাপার সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জান আশুর সুপারিশে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক পত্রে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে মিলনকে সভাপতি করে কলেজের এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে সভাপতি করে কলেজের কমিটি গঠন করায় বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে, এমন ঘটনায় মহাজোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় আগড়দাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সিটি কলেজ আমার ইউনিয়নের মধ্যে। কিন্তু আমরা যারা দলীয় নেতাকর্মী আছি আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করেই কলেজের অফিস সহকারী এবং জামায়াত নেতা মিলনকে কলেজের সভাপতি বানিয়েছেন নতুন এমপি।’ তিনি বলেন, ‘এমপি হিসেবে শপথ নেওয়ার তিন দিনের মধ্যেই যদি জামায়াত নেতাকে কলেজের সভাপতি বানানো হয়। তাহলে সামনের দিনগুলোতে কী হবে বুঝতে বাকি থাকে না।’ তবে সাতক্ষীরা-২ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি আশরাফুজ্জামান আশু বলেন, কলেজের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আমি সভাপতি বানিয়েছি। সাতক্ষীরা সিটি কলেজের নব গঠিত এডহক কমিটির সভাপতি কবির হোসেন মিলন বলেন, আমি কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ছিলাম, তবে গত মাসে অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। এসব বিষয়ে জানতে সরেজমিনে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা সিটি কলেজে গেলে অধ্যক্ষ ডা. মো শিহাবুদ্দীন উদ্দিনকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি।  তবে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত মাসে কলেজের অফিস সহকারী কবির হোসেন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এডহক কমিটির মিটিং না হওয়ায় তিনি এখনো অফিস সহকারী পদেই আছেন।  এসব বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, স্থানীয় নতুন এমপির সুপারিশে কবির হোসেন মিলনকে সভাপতি করা হয়েছে। তবে তিনি কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী এটা গোপন রেখেই কমিটির অনুমোদন নিয়েছেন। যদি কেউ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত থাকেন তাহলে তিনি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না। সাতক্ষীরা সিটি কলেজের বিষয়টি আমি জেনেছি, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

যোগদান করেই সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সফলতা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার পদে রদবদল করা হয়। নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী। জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে এটাই ছিল তার প্রথম পদায়ন। ফলে নতুন কর্মস্থলে নির্বাচনের মাত্র ২৪ দিন পূর্বে এই যোগদান ছিল চ্যালেঞ্জের। বিশেষ করে বিরোধী দলের বর্জন এবং সহিংস কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের ছিল। যোগদান করে মাস না পেরোতেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফলতা আনলেন সাতক্ষীরার নবাগত এই পুলিশ সুপার। ১৮ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নবাগত পুলিশ সুপার বলেছিলেন, আমি একটা স্বপ্ন নিয়ে এসেছি। আমাকে একটা নিদিষ্ঠ লক্ষ্য পূরণের জন্য এখানে পাঠানো হয়েছে। নবাগত পুলিশ সুপার আরও বলেছিলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর। ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান ও ভোটাররা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ধরনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াই ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বলা যায়, অতিতের যে ১১টি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর চেয়ে অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবারের নির্বাচন। যদিও এ কৃতিত্ব শুধু পুলিশের নয়। কারণ নির্বাচনের সাথে যুক্ত ছিল সরকারের আরও বিভিন্ন দপ্তর এবং আইনপ্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা। রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিন্ট্রেট, জেলা নির্বাচন অফিস, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসার, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ অন্যান্য দপ্তরের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে করা হয়নি। সব জল্পনা-কল্পনায় শেষ হলো গত ৭ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে। কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সাতক্ষীরায় একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এই নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা সাতক্ষীরা জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকীর স্বপ্ন বাস্তাবায়নে সহায়ক হবে বলে সাতক্ষীরাবাসী মনে করেন। সাতক্ষীরা-১ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের যে ভূমিকা রেখেছেন তা সাতক্ষীরাবাসী মনে রাখবেন। আমরা সরকারি দলের প্রার্থী হয়েও স্পেশালভাবে পুলিশের থেকে কোনো প্রকার সুযোগ সুবিধা নিতে পারিনি। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আমাকে সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়। নবাগত পুলিশ সুপার হিসেবে আমি যোগদানের পর থেকেই জেলা পুলিশের সকল সদস্যকে নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছি। তা ছাড়া একটি পক্ষ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে নির্বাচনের আগে এবং পরে বিভিন্নভাবে নাশকতা করার চেষ্টা করেছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের সকল সদস্যের তৎপরতার কারণে তারা সেই লক্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি।
১১ জানুয়ারি, ২০২৪

সাতক্ষীরা জেলার সর্বোচ্চ করদাতা জাহাঙ্গীর হাসান
সাতক্ষীরা জেলার সর্বোচ্চ করদাতা হয়েছেন মেসার্স এসএম করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. জাহাঙ্গীর হাসান। কর অঞ্চল খুলনার সম্মানিত করদাতা হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সাতক্ষীরা জেলায় সর্বোচ্চ আয়কর প্রদান করায় জাহাঙ্গীর হাসানকে সম্মাননা দেওয়া হয়।  মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) খুলনা পাবলিক কলেজ অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে সেরা করদাতাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর হাসানের হাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট  তুলে দেওয়া হয়।   প্রধান অতিথি হিসেবে করদাতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ। খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার ৭৭ জন করদাতাকে সম্বর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।  এ সময় খুলনার কর কমিশনার সিরাজুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম, কাস্টম এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনর সৈয়দ আতিকুর রহমান, খুলনা পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ শামিমুল আহসান শামীম এবং খুলনা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি কাজী আমিনুল হক।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
X