সাতক্ষীরা সিটি কলেজে কবির হোসেন মিলন নামে তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারীকে কলেজ সভাপতি করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদরের নব নির্বাচিত জাপার সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জান আশুর সুপারিশে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক পত্রে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে মিলনকে সভাপতি করে কলেজের এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে সভাপতি করে কলেজের কমিটি গঠন করায় বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে, এমন ঘটনায় মহাজোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় আগড়দাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সিটি কলেজ আমার ইউনিয়নের মধ্যে। কিন্তু আমরা যারা দলীয় নেতাকর্মী আছি আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করেই কলেজের অফিস সহকারী এবং জামায়াত নেতা মিলনকে কলেজের সভাপতি বানিয়েছেন নতুন এমপি।’
তিনি বলেন, ‘এমপি হিসেবে শপথ নেওয়ার তিন দিনের মধ্যেই যদি জামায়াত নেতাকে কলেজের সভাপতি বানানো হয়। তাহলে সামনের দিনগুলোতে কী হবে বুঝতে বাকি থাকে না।’
তবে সাতক্ষীরা-২ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি আশরাফুজ্জামান আশু বলেন, কলেজের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আমি সভাপতি বানিয়েছি।
সাতক্ষীরা সিটি কলেজের নব গঠিত এডহক কমিটির সভাপতি কবির হোসেন মিলন বলেন, আমি কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ছিলাম, তবে গত মাসে অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।
এসব বিষয়ে জানতে সরেজমিনে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা সিটি কলেজে গেলে অধ্যক্ষ ডা. মো শিহাবুদ্দীন উদ্দিনকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি।
তবে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত মাসে কলেজের অফিস সহকারী কবির হোসেন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এডহক কমিটির মিটিং না হওয়ায় তিনি এখনো অফিস সহকারী পদেই আছেন।
এসব বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, স্থানীয় নতুন এমপির সুপারিশে কবির হোসেন মিলনকে সভাপতি করা হয়েছে। তবে তিনি কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী এটা গোপন রেখেই কমিটির অনুমোদন নিয়েছেন। যদি কেউ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত থাকেন তাহলে তিনি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না। সাতক্ষীরা সিটি কলেজের বিষয়টি আমি জেনেছি, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন