বিচিত্র / বিমানযাত্রীর পকেটে মিলল জ্যান্ত সাপ
বিমানবন্দরে যাত্রীদের যথারীতি তল্লাশি করছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। এ সময় এক যাত্রীর প্যান্টের পকেটে লুকানো একটি ব্যাগ পাওয়া যায়। পরীক্ষায় তা থেকে উদ্ধার হয় দুটি জ্যান্ত সাপ। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। মিয়ামি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (টিএসএ) কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল বিমানবন্দরের একটি চেক পয়েন্টে এক যাত্রীর প্যান্টের পকেটে লুকানো একটি ছোট ব্যাগে দুটি সাপ পাওয়া গেছে। টিএসএ এ ঘটনার একটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, সানগ্লাসের মতো দেখতে একটি ব্যাগে দুটি ছোট সাপ রয়েছে। টিএসএ জানিয়েছে, উদ্ধার করা সাপগুলো ফ্লোরিডার মৎস্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সূত্র: এপি
০৬ মে, ২০২৪

ভুট্টা গাছ টানতেই বেরিয়ে এলো ৪৫ গোখরা সাপ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আইজল নামে এক কৃষকের বাড়িতে ৪৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা পাওয়া গেছে। পরে সাপগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চর মজলিশপুরে কৃষকের বাড়ি সাপগুলো পাওয়া যায়। কৃষক আইজল কালবেলাকে বলেন, ভুট্টা তুলে বাড়ির আঙিনায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সোমবার সেই ভুট্টা ছাড়াতে একটি গাছ টান দেয় আমার স্ত্রী। এ সময় একটি সাপের বাচ্চা বেরিয়ে এলে লাঠি দিয়ে মেরে ফেলা হয়। পরে একসঙ্গে অনেক সাপের বাচ্চা বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, সবাই মিলে সাপগুলো মেরে ফেলেছি। ৪৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা ছিল। বড় কোনো সাপ দেখতে পাইনি। মেরে ফেলা সাপগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরে এলাকার ফসলের মাঠে সাপ দেখা যাচ্ছে। কয়েকটা সাপ মারাও হয়েছে। এই ঘটনার পর আমরাসহ স্থানীয়রা সাপের ভয়ে আছি।  উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা কালবেলাকে বলেন, কয়েকদিন ধরে শুনতেছি মজলিশপুর এলাকায় প্রচুর সাপ দেখা যাচ্ছে। সোমবার আইজলের বাড়িতে অনেক সাপের বাচ্চা মারা হয়েছে।  গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক বলেন, বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চরাঞ্চলে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। সাপের কামড়ে কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে আনতে হবে। হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম মজুত রয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

বাড়ির ছাদ থেকে ৩টি কালনাগিনী সাপ উদ্ধার
বরিশালের একটি বাড়ির ছাদ থেকে তিনটি কালনাগিনী সাপ ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিরল প্রজাতির চিল উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা।  শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে বরিশাল-ভোলা সড়কের পাশে বনবিভাগের বাগানে সাপগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে। বনবিভাগের বরিশাল সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান সাকিব জানান, নগরীর চৌমাথা এলাকার সুলতান মাহমুদ রিয়াদের প্রফেসর ভিলার ছাদে বৃহস্পতিবার রাতে সাপের বাসা দেখতে পান বাসিন্দারা। বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরে সামাজিক বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী গ্রুপের সদস্যদের সহায়তায় ছাদ থেকে তিনটি কালনাগিনী প্রজাতির সাপ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে একই দিন সিটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিরল প্রজাতির একটি চিল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সাপ তিনটি বনবিভাগের বাগানে অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও চিলটি অসুস্থ থাকায় তার চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে বনে অবমুক্ত করা হবে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপ
আমাজনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ গ্রিন অ্যানাকোন্ডা পাওয়ার খবর বের হয়েছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এবার সেই সাপটিকে মেরেই ফেলা হয়েছে। দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  চলতি বছর গ্রিন অ্যানাকোন্ডার সন্ধান পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। স্থানীয় ওয়াওরানি আদিবাসীদের আমন্ত্রণ পেয়ে ইকুয়েডরীয় আমাজন বনে যান তারা।    ওই দলের নেতৃত্ব দেওয়া জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ব্রায়ান ফ্রাই এক বিবৃতিতে জানান, তারা বাইহুয়েরি ওয়াওরানি টেরিটরির বামেনো অঞ্চলে স্থানীয় শিকারিদের সঙ্গে ১০ দিনের অভিযানে যোগ দেন। নদীপথ ধরে হাঁটার সময় তারা অগভীর পানিতে বেশ কয়েকটি অ্যানাকোন্ডাকে শিকারের অপেক্ষায় লুকিয়ে থাকতে দেখেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের আসন্ন সিরিজ 'পোল টু পোল উইথ উইল' এর চিত্রগ্রহণের কাজে অপ্রত্যাশিত এই আবিষ্কারের ঘটনা ঘটে।   এ বিষয়ে অধ্যাপক ব্রায়ান ফ্রাই বলেন, সাপগুলোর আকার ছিল অবিশ্বাস্য, একটি স্ত্রী সাপ ৬ দশমিক ৩ মিটার বা ২০ দশমিক ৭ ফুট লম্বা ছিল। স্থানীয়দের কাছে এই এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মিটার বা ২৪ দশমিক ৬ ফুট লম্বা এবং ৫০০ কেজি ওজনের সাপ দেখতে পাওয়ার কথা শুনেছেন বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।   যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম অনুসারে, গ্রিন অ্যানাকোন্ডা হলো বিশ্বের সবচেয়ে ভারী সাপ। এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে ভারী সাপের ওজন ২২৭ কেজি বা ৫০০ পাউন্ড। যা লম্বায় ছিল ৮ দশমিক ৪৩ মিটার এবং ১ দশমিক ১১ মিটার বা ৩ দশমিক ৬ ফুট প্রশস্ত। প্রাণী গবেষকরা জানান, নতুন আবিষ্কৃত নর্দার্ন গ্রিন অ্যানাকোন্ডা প্রজাতি প্রায় ১০ মিলিয়ন বছর আগে সাউদার্ন গ্রিন অ্যানাকোন্ডা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তারা জিনগতভাবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ আলাদা। ফেব্রুয়ারি মাসেই বিজ্ঞানিরা জানিয়েছিলেন- গ্রিন অ্যানাকোন্ডা সাপটিকে হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাদের সেই আশঙ্কা সত্যিই প্রমাণিত হয়েছে। এবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ গ্রিন অ্যানাকোন্ডাকে মেরেই ফেলা হয়েছে। স্থানীয় শিকারিরা সাপটিকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত আমাজনের বনিতো গ্রামের ফরমোসো নদীতে ২৪ মার্চ গুলিবিদ্ধ মরা অ্যানাকোন্ডা পাওয়া গেছে। সাপটি গাড়ির টায়ারের মতো মোটা ছিল। ২৬ ফুট লম্বা ও ৪৪০ পাউন্ড ওজনের সাপটির মাথা ছিল মানুষের মাথার সমান।    
২৮ মার্চ, ২০২৪

রাতভর রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে সাপ আতঙ্ক
রাজশাহী পুলিশ লাইন্সের দুটি ভবনে সাপের উপদ্রব দেখা গেছে। কিন্তু রাতভর চেষ্টা করেও সাপ উদ্ধার করতে পারেনি বন বিভাগের উদ্ধারকারী দল। শনিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে সাপ নিয়ে এমন হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর চিড়িয়াখানার বিপরীতে পদ্মার পাড়ে অবস্থিত পুলিশ লাইন্সের অভ্যন্তরে গ্যারেজে একটি সাপ দেখা যায়। এর পরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিসসহ অনেকেরই সাহায্য চায় করে পুলিশ। তবে কেউই সাপ উদ্ধারে সহায়তা করতে পারেনি। রাত গভীর হতে থাকলে সাপ ধরার জন্য সাপুড়ে খোঁজ করতে থাকে পুলিশের একাধিক টিম। একপর্যায়ে রাজশাহীর পবায় অবস্থিত সাপ উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণকারী একটি দলকে খবর দেওয়ার পর রাত ১১টায় দলটি পুলিশ লাইন্সের ওই গ্যারেজে পৌঁছায়। এ দলের প্রধান বিশেষজ্ঞ ও গবেষক বোরহান বিশ্বাস রমন জানান, পুলিশ লাইন্সের ভেতরের দুটি ভবনের মাঝখানে ৪ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি লম্বা স্থানে সাপটি অবস্থান নিয়েছিল বলে জানতে পারি। তবে আমরা তা দেখতি পারিনি। এ গবেষকের ধারণা, শীতের শেষে গ্রীষ্মের শুরুতে বিষধর সাপ গোখরার প্রজনন মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। সেই স্থানটি প্রজননের জন্য উৎকৃষ্ট, ফলে সেখানে একাধিক সাপের অস্তিত্ব থাকতে পারে। তবে বহু চেষ্টা করেও কোনো সাপের দেখা না মেলায় দলটি তাদের উদ্ধার অভিযান শুরু না করেই ফিরে যায়। যদিও বোরহান বিশ্বাস ছবি দেখে নিশ্চিত করেছেন যে, সেটি একটি খৈয়া গোখরা সাপ। সরু স্থানটি থেকে সাপ ধরার জন্য সংশ্লিষ্টদের দুটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেদ্ধ ডিম বড়শির মাথায় দিয়ে টোপ হিসেবে সেখানে ফেলে রাখতে বলা হয়েছে, যাতে সেটি গিলে ফেললে সাপটি ধরা পড়ে। অন্যটি হলো- স্থানটিতে প্রচুর পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বোরহান বিশ্বাস জানান, সাপ দেখা মাত্রই যদি তাদের খবর দেওয়া হতো, তাহলে হয়তো সবগুলোকে উদ্ধার করা যেত। তবে এত সুরক্ষিত জায়গায় কীভাবে সাপ এল, তা বলতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা। জানতে চাইলে আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি টিভি চ্যানেলের অনলাইনে দেখলাম যে, তারা সংবাদ পরিবেশন করছে পুলিশ কমিশনারের বাংলোতে সাপ আতঙ্ক। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। পুলিশ লাইন্সের ভেতরে সাপ দেখা গেছে। সাপ উদ্ধারকারী দল চেষ্টা করেও সাপ উদ্ধার করতে পারেনি।’
২৪ মার্চ, ২০২৪

বনিবনা না হওয়ায় বিষাক্ত সাপ ছেড়ে ঘুমন্ত স্ত্রী-কন্যাকে হত্যা 
স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ঘুমন্ত স্ত্রী-কন্যার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন বিষধর সাপ। আর এ বিষধর সাপের দংশনেই প্রাণ গেছে তাদের। অবিশ্বাস্য হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের ওড়িশা প্রদেশে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তিনি তার ঘুমন্ত স্ত্রী ও দুই বছর বয়সী কন্যার ওপর বিষধর সাপ ছেড়ে দিয়েছিলেন। ওড়িশার গঞ্জাম জেলার কবিসূর্য নগর পুলিশ স্টেশন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের আধেগাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গত দেড়মাস আগে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছিল।  অভিযুক্ত ওই স্বামীর নাম কে গনেশ পাত্র। এ ছাড়া সাপের দংশনে মারা যাওয়া দুজন হলেন স্ত্রী কে বাসন্তী পাত্র আর তার কন্যা দেবাস্মিতা। তাদের মধ্যে তেমন বনিবনা ছিল না। তারা ২০২০ সালে বিয়ে করেছিলেন।  পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি স্থানীয় এক সাপুড়ের কাছ থেকে সাপটি কিনেছিলেন। এ জন্য তিনি ধর্মীয় উদ্দেশ্য সাধনে এটি ব্যবহার করবেন বলে মিথ্যা তথ্য দেন।  গঞ্জামের পুলিশ সুপার জগমোহন মিনা বলেন, গত ৬ অক্টোবর তিনি একটি প্লাটিকের জারে করে বিষাক্ত কোবরা সাপটি নিয়ে আসেন। এরপর এটিকে তিনি তার ঘুমন্ত স্ত্রী-কন্যার ওপর ছেড়ে দেন। সকালে তাদের সাপের কামড়ে মৃত পাওয়া যায়। এ সময় ওই ব্যক্তি অন্যঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে তার শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।   পুলিশ সুপার আরও জানান, পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে বিলম্ব হয়েছে। প্রথমে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। পরে বলেন যে সাপটি নিজে থেকে বের হয়ে ঘরে ঢুকে থাকতে পারে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি অভিযোগ স্বীকার করেছেন।   
২৪ নভেম্বর, ২০২৩

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো বিষধর সাপ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি তীব্র বিষধর বেলচেরি সাপকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত ১২টায় জিরো পয়েন্ট সমুদ্রসৈকত থেকে ওই সাপ উদ্ধার করে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়। অ্যানিমেল লাভার অব পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম সামিম বলেন, অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হলো বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। জানা যায়, সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মতো সাঁতারে সহায়ক লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপটি শান্ত স্বভাবের।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো বিষধর সাপ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বেলচেরি নামের বিষধর একটি সাপকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১২টায় জিরোপয়েন্ট সমুদ্রসৈকত থেকে ওই সাপ উদ্ধার করে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়। এনিমেল লাভার আফ পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম সামিম বলেন, অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হলো বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মতো লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপটি খুবই ভদ্র স্বভাবের। এটি সাধারণত কাউকে কামড়ায় না। তবে বার বার একে বিরক্ত করলে এটি কামড় দিতে পারে। এ সাপটি নিয়ে বেশি ভয়ের কারণও নেই। কারণ এটি কাউকে কামড়ালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষ ঢোকায় না। তবে কারও ভাগ্য খারাপ হলে এর বিষাক্ত ছোবলে ১৫ মিনিটের কম সময়েই তার মৃত্যু ঘটতে পারে। মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম বেলচেরির বিষ ১০০০ এর বেশি লোক বা ২৫ লাখ ইঁদুরকে মারার জন্য যথেষ্ট। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এস আই ইদ্রিস বলেন, রাতে বক্সে ডিউটি চলাকালে এক পর্যটক সৈকতে হাঁটতে গিয়ে প্রথমে ওই সাপটি দেখতে পায়। একবার সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হলেও সে আবার ভেসে আসে। দ্বিতীয়বার দুজন পর্যটক সৈকতে হাঁটার সময় সাপটিকে দেখতে পেয়ে অবহিত করেন। পরে সাপটি উদ্ধার করে আবারও বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।  ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে বিভিন্ন সময় সমুদ্রের বিষধর সাপের আনাগোনা দেখা যায়। এ ব্যাপারে পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা ছড়ানোর পাশাপাশি সাপসহ উপকূলের বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করছি। পর্যটকদের সুবিধার্থে কুয়াকাটা এন্টি বেনাম রাখা খুবই জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

ইনানী সমুদ্রসৈকতে বিষধর সাপ
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো সামুদ্রিক বিষধর সাপ ‘ব্যান্ডেড সি ক্রেইট’। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলের দিকে সাপটি ভেসে আসে। এরপর এটি দেখতে ভিড় করেন পর্যটকসহ শত শত দর্শনার্থী। এ সময় পর্যটকদের সাপটির ছবি ও ভিডিও করতে দেখা গেছে। সমুদ্রবিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, ‘এটি ব্যান্ডেড সি ক্রেইট (banded sea krait) প্রজাতির সাপ। এই সামুদ্রিক সাপটি বিশ্বের বিষধর সাপের মধ্য অন্যতম। ব্যান্ডেড সি ক্রেইট পূর্ব ভারতীয় এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবাল প্রাচীরে বাস করে। দেহে কালো রঙের উলম্ব ব্যান্ড থাকার কারণে এ সাপটিকে ব্যান্ডেড সি ক্রেইট নামে অবহিত করা হয়। এই সাপ বিষধর হলেও এতটাই শান্ত যে মানুষকে খুব কমই কামড়ায়। এমনকি যখন সাপটি হুমকি বোধ করে তখনও আক্রমণ করতে দেখা যায় না। ফলে এ সাপটির আক্রমণে মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড খুবই কম।’ ইনানী সমুদ্র সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিচ কর্মী মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ঢেউয়ের সঙ্গে একটি সাপ ভেসে আসে। এটি যে একটি বিষধর সাপ সেটি কেউ খেয়াল করেনি। দেখতে সুন্দর হাওয়ায় পর্যটকরা ছবি তোলেন। পরে বিষয়টি আমরা জানতে পারলে সাপটি আবারও সমুদ্রে ছেড়ে দেই।’
১৪ অক্টোবর, ২০২৩

সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজির রোগী
নোয়াখালীর চাটখিলে বিষাক্ত গোখরা সাপে কাটা পড়া এক রোগী সেই সাপ নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।  হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সাপে কাটা ওই রোগী উপজেলার পরকোট-দশঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পরকোটের কবির বাড়ির মৃত কালা মিয়ার সন্তান মো. কামাল (৪৫)। তিনি সাপে কাটা পড়ার পর সেই সাপ বস্তায় ভরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। মো. কামাল কালবেলাকে বলেন, তিনি উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকা থেকে সাপটি ধরেন। এরপর সাপের বিষাক্ত দাঁত ভাঙতে গিয়ে দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় তিনি সাপের কামড় খান। এরপর সাপ নিয়েই তিনি হাসপাতালে চলে আসেন। চাটখিল উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শহীদুল আহমেদ নয়ন ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এই বিষয়ে তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাপ নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করতে বাধা দেওয়ায় মো. কামাল বেলা আড়াইটার সময় চাটখিল উপজেলা গেটের ব্রিজের পাশে সাপটি অবমুক্ত করে আবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
১১ অক্টোবর, ২০২৩
X