‘মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও মঙ্গল নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কর্মসূচিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাজ করছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশনের ৫৭তম অধিবেশনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা এসব কথা বলেন। ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়নপর্যায়ে ৫ হাজার ৫০০টি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আর সার্বক্ষণিক পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।   প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাল্যবিবাহ এবং নারী ও কন্যা শিশুদের বিরুদ্ধে সংহিসতা রোধে কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে ১২তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫ মিলিয়ন কিশোরীদের সরকার বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশনের ৫৭তম অধিবেশন আগামী ৩ মে (শুক্রবার) শেষ হবে।   আইসিপিডি পিওএ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং এ সংক্রান্ত কর্মের দশক চলাকালে এজেন্ডা ২০৩০ এর অর্জন মূল্যায়ন ও টেকসই উন্নয়নে আইসিপিডি পিওএ এর ভূমিকা" হলো এই বছরের অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য। উল্লেখ্য,  আইসিপিডি পিওএ-এর ৩০তম বার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আগামী ১৫-১৬ মে ২০২৪ তারিখে ঢাকায় জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছে।
০২ মে, ২০২৪

ডিএনসিসির স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস সায়মার
ডিএনসিসির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ। গত রোববার রাজধানীর গুলশানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠককালে এ আশ্বাস দেন তিনি। আতিকুল ইসলাম বলেন, নাগরিকদের নিজস্ব সক্ষমতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছে ডিএনসিসি। বর্তমানে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি এক বছরেরও কম সময়ে শেষ হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকায় প্রতিদিনই নদীভাঙা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং—বিশেষ করে অর্থায়ন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি, জনবলসহ নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ সময় মেয়র ডিএনসিসির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা কামনা করেন। বৈঠকে ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা, ডিএনসিসির সিইও মীর খায়রুল আলম ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
২৬ মার্চ, ২০২৪

ডিএনসিসির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ডিএনসিসির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ। রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলশানস্থ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে অভিনন্দন জানান। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নাগরিকদের নিজস্ব সক্ষমতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে এডিবির (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) সহায়তায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি আগামী এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকা শহরে প্রতিদিনই নদীভাঙ্গা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে অর্থায়ন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরী, জনবল ইত্যাদি নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা কামনা করেন। এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কারিগরি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। বৈঠকে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা, ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী এবং ডিএনসিসি মেয়রের উপদেষ্টা ইমরান আহমেদ।
২৫ মার্চ, ২০২৪

প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। এখানে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে পারলে শহরে রোগীর চাপ কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার (৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেটের কয়েকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছি। দেখেছি সেখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবস্থা। হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট রয়েছে এবং ভবন সংস্কার করার প্রয়োজন আছে। আমি সিলেটের সন্তান হিসেবে এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নতি করার আপ্রাণ চেষ্টা করব।  মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ১৬ কোটি মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমি কখনো ভাবিনি মন্ত্রী হব। আমার প্রতি সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। সাধারণ মানুষ যাতে সুচিকিৎসা পায় আমি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব। সিসিক মেয়র মো. আনোয়াদরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিটি করপোরেশন প্রাঙ্গণে তাকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমেদ। এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম, সিলেট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মমনিসর চৌধুরী, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার জাকির হোসেন খান, সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কামন্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী। সংস্কৃতি কর্মী রজত কান্তি গুপ্ত এবং জান্নাতুল নাজনীন আশার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
০৭ মার্চ, ২০২৪

বরিশালে ২ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে ব্যবসা করছে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান হয়েছে। এ সময় আশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এস আলম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা করা হয়। রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট মো. রফিকুল ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার তৌকির আহমেদ ও  থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অনুমোদনবিহীন সেবাপ্রদান, অযোগ্য ব্যক্তি কর্তৃক ল্যাব ও টেস্ট পরিচালনা, অনুপোযুক্ত পরিবেশ এবং সেবামূল্যসংক্রান্ত রসিদ সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ওই দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালচক্র কর্তৃক সেবাগ্রহীতাদের হয়রানিসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে ৬ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা, জরিমানা
নারায়ণগঞ্জে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়েছেন। এতে ছয় প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা এবং দুটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর ও বন্দর উপজেলায় সিভিল সার্জন মুশিউর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বন্ধ করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকার মেডি এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আহিল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আয়েশা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ল্যাব ও ইমন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বন্দরের ময়না জেনারেল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টার ও ডিজিল্যাব ডায়াগনস্ট্রিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার। শেষ দুুটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  এদিকে নিয়মিত অভিযানের আলোকে শহরের খানপুর সেন্ট্রাল জেনারেল হাসপাতাল, গ্যাস্ট্রোলিভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ কদম রসুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে কাগজপত্র সঠিক করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন। অভিযানের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. এফ এম মুশিউর রহমান জানান, অনিবন্ধনতীত ও লাইসেন্সহীন কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতাল চলতে দেওয়া হবে না। সে বিষয়ে আমাদের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয়; এই প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে তাদের মান সঠিক রাখে সে বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে তালিকা করে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, নির্দেশ পালন করা হচ্ছে কি না এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে কি না সেজন্য আজকে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। আজ অভিযানে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে তালা দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করেছি এবং নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাজধানীতে ৬ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে রাজধানীর ছয়টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দশ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রথম দিনের অভিযানে সতর্ক করা হয়েছে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. বিল্লাল হোসেন এ তথ্য জানান। বন্ধ হওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের তিনটিই রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালের বিপরীতে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারে অবস্থিত। নিবন্ধন না থাকার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভাগিয়ে নিত এসব প্রতিষ্ঠান। বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের রেডিয়ান ও রাজধানী ব্লাড ব্যাংক এবং টিজি হাসপাতাল। এছাড়া মিরপুরের ইসিবিতে আল হাকিমী চক্ষু হাসপাতাল, কালশীর এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং এ এইচ এস ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অভিযানের প্রথম দিন রামপুরা-বনশ্রী ও মিরপুর অঞ্চলে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করে অধিদপ্তরের দুটি টিম। আগামীকাল বুধবার থেকে ছয়টি টিম একসঙ্গে কাজ করবে। এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন ও মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা দেয় অধিদপ্তর।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৪ কর্মকর্তাকে বদলি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৪ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে যুগ্ম সচিব (পার ২) মন্জুরুল হাফিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরকে বদলি করে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরাকে বদলি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) করা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শামিউল ইসলামকে বদলি করে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক ও সিলেট বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হারুন-অর-রশীদকে বদলি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) করা হয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত
চিকিৎসক নেই, নেই পর্যাপ্ত নার্সসহ কর্মচারী। অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে ৪০ বছর আগের কেনা একমাত্র এক্স-রে মেশিনটিও। এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাজিবপুর উপজেলার বিভিন্ন চরের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও এখন পর্যন্ত ৫০ শয্যার জনবল নিয়োগের অনুমোদনই পাওয়া যায়নি। ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল দিয়েই কোনোমতে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। অথচ ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যেই নেই ৩২ জন। এরমধ্যে একজন ডেন্টাল সার্জন, একজন মেডিকেল অফিসার ও চারজন জুনিয়র কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও। একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার থাকলেও নেই তার কোনো সহযোগী। ঘাটতি রয়েছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, কম্পাউন্ডার ও নার্সেরও। দুজন মেডিকেল অফিসার, একজন আরএমও ও একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।  মেডিকেল অফিসাররা নামে মাত্র উপস্থিত থাকলেও দিনের অধিকাংশ সময়ই তাদের পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতালে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের ক্ষেত্রে এ চিত্র আরও ভয়াবহ। মাসের বেশিরভাগ দিনই অনুপস্থিত থাকছেন প্রশিক্ষণের কথা বলে। কুড়িগ্রাম জেলা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের মানুষ রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলায় চলে যাচ্ছে। এতে করে গরিব অসহায় মানুষগুলোর চিকিৎসাসেবা পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় রোগী যাত্রাপথেই মারা যাচ্ছে। রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা কোদালকাটি চরের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, এখানে এলে সময়মতো ডাক্তার পাওয়া যায় না।কোনো টেস্ট দিলে বাইরে থেকে করাতে হয়। তাই আমরা বাধ্য হয়ে জামালপুর যাই। কিন্তু সেখানে যেতে অনেক সময় লাগে আবার খরচও অনেক বেশি। মোহনগঞ্জের বড়বের চর থেকে আসা বাবলু মিয়া বলেন, আমার বউয়ের ডেলিভারি কেস নিয়ে এসেছিলাম রাজিবপুর হাসপাতালে। কিন্তু এখানে যে অবস্থা বাধ্য হয়ে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট ও এমন বেহাল অবস্থা নিয়ে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার সরোয়ার জাহানের সঙ্গে।  তিনি বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এখানে কোনো ডাক্তার থাকতে চান না। মাত্র চারজন চিকিৎসক ও সামান্য কিছু কর্মচারী দিয়ে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালাতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে চিকিৎসাসেবাকে উন্নত করা, যাতে মানুষের কষ্ট লাঘব হয়। তিনি আরও বলেন, এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে আজ ৩০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়েছে। এগুলোসহ মোট ৫০ শয্যার আইসিইউ এখানে রয়েছে। আইসিইউ সংকট দূরীকরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, ভবিষ্যতে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী চমেক হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জন্য নির্ধারিত স্থানও ঘুরে দেখেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আমরা এ সংক্রান্ত কাজ মোটামুটি গুছিয়ে এনেছি। প্রি-একনেক মিটিংয়ে বার্ন ইউনিটের বিষয়টি তোলা হবে।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪
X