স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নে বাড়ির সীমানা ও গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে রাজীব হোসেন (৩০) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। নিহত রাজীব একই উপজেলার ভাদ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে ও ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। স্থানীয়রা জানায়, ভাদ্রা গ্রামের আজাহার ও রাজীবের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিরোধের জের ধরে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি বেল গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে আজাহার ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজীবকে কোপাতে থাকে। এ সময় পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজীবকে মৃত ঘোষণা করেন। নাগরপুর থানার ওসি এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
০৩ মে, ২০২৪

টাঙ্গাইলে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নে বাড়ির সীমানা ও গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে রাজিব হোসেন (৩০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুপক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। নিহত রাজিব একই উপজেলার ভাদ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে ও ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। স্থানীয়রা জানায়, ভাদ্রা গ্রামের আজাহার ও রাজিবের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিরোধের জের ধরে বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে আজাহার ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিবকে কোপাতে থাকে। এ সময় পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষণা করেন। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। সামান্য কারণে একটি তরতাজা প্রাণ ঝরে গেল। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
০৩ মে, ২০২৪

দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
টাঙ্গাইলে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে নাগরপুরে বাড়ির সীমানা ও গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নাগরপুর থানার ওসি এইচ এম জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তির নাম রাজিব হোসেন। তিনি নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। তিনি  ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ছিলেন। স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছের পাঁকা বেল পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে নিহত রাজিবের স্ত্রী ও প্রতিবেশী আজাহারের স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে রাজিব এগিয়ে এলে আজাহার ও তার ছেলে শান্ত এবং আজাহারের ভাই পলাশ ও পলাশের ছেলে রুবেল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী রাজিবকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত একজন নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নাগরপুর থানার ওসি এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
০২ মে, ২০২৪

ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ওপর হামলা, বোমা বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হযরত রহমান মাদবরের ফেসবুক আইডি থেকে ‘বাপের জন্মের হইয়া থাকলে সামনে আইসা মারামারি কর, কাল সকালে শুরু খেলা’ এমন স্ট্যাটাস দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকরা বলে অভিযোগ উঠেছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের সারেংকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর কুদ্দুস বেপারীর সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  এর আগে গত ২৭ মার্চ বুধবার দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার সকালে আবারও দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় তারা ফসলি জমিতে নেমে একে অপরপকে লক্ষ্য করে হামবোমা ছুড়তে থাকে। বোমার শব্দে ভারী হয়ে উঠে আশপাশ। এই ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আব্দুল জলিল মাদবর অভিযোগ করেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নেয়। তারা আজ সকালে শাহাবুদ্দিন সারেং নামে আমার এক সমর্থকের হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে আমাদের লোকজন খবর পেয়ে তাদের প্রতিরোধ করে। তারা এক ব্যক্তির মৃত্যুর মিথ্যা গুজব রটিয়ে আমাদের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। অভিযোগ অস্বীকার করে বিলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, জলিল মাদবর আমাদের লোকজনকে মারার জন্য অন্য এলাকা থেকে লোক ভাড়া করে এনেছে। পরে আজ সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমার এক লোক গুরুতর আহত হয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি-সম্পাদককে অব্যাহতি
নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. হাসান ইমাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোহন আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আজম স্বপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এম এম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লুৎফুল হাবিব রুবেল এবং দেলোয়ার হোসেন নামে দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে রুবেলের নির্দেশে অপর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও নির্যাতন করে তার সমর্থকরা। এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ দুই নেতার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হলে রুবেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। রুবেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় নির্যাতিত দেলোয়ারকে মঙ্গলবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ভূমি কর্মকর্তাকে বেধড়ক পেটালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, অতঃপর...
যশোরের মনিরামপুরে ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলা বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মনিরামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য হোগলাডাঙ্গা গ্রামের মাহাবুর রহমান (৪০) ও আসাদুজ্জামান আসাদ (৩৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনিরামপুর থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ।  এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার হোগলাডাঙ্গা বাজারে সরকারি খাসজমির পাশে ব্যক্তিমালিকানা জমি পরিমাপ নিয়ে হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনকে মারধর করা হয়। ঘটনার রাতে মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার অনুযায়ী, হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মোশাররফ হোসেন। সোমবার দুপুরে হোগলাডাঙ্গা বাজারে জনৈক শামিমের মুদি দোকানের সামনে সরকারি খাসজমি (হাটের জমি) সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করার সময় মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মাহাবুর, আসাদ ও আব্দুল জলিল সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। সরকারি কাজে বাধা দিতে নিষেধ করায় মোশাররফ হোসেনকে মারধর করা হয়।  সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান বলেন, হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনকে মারধরের ঘটনার ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে। মনিরামপুর থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, নায়েব মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

যশোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে ভূমি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ
যশোরের মনিরামপুরে এক ভূমি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মাহাবুর রহমান নামে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মাহাবুর রহমান উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ও মনিরামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। সরকারি খাস জমির পাশে ব্যক্তিমালিকানা জমি পরিমাপ নিয়ে ওই ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার হোগলাডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, হরিদাসকাটি ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গা বাজারে সরকারি খাসজমি আছে। সম্প্রতি বাজারের ইজারা হয়েছে। সরকারি জমির পাশে ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে। কয়েক দিন আগে আমি সরেজমিন ঘুরে এসি ল্যান্ডের কাছে জমির পরিমাণ উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছি।  তিনি বলেন, হামলাকারীদের অভিযোগ, আমি ব্যক্তিমালিকানা জমি সরকারি জমি দেখিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছি। এই অভিযোগে দুপুরে হোগলাডাঙ্গা বাজারে স্থানীয় মাহাবুর ও আসাদসহ তিন থেকে চারজন আমাকে কিলঘুষি মেরেছে। একপর্যায়ে তারা আমার মোটরসাইকেলে থাকা হেলমেট নিয়ে মাথায় আঘাত করে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনাস্থলে তাদের সঙ্গে আরও ২০/২৫ জন ছিলেন। বর্তমান আমি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান বলেন, খবর পেয়ে আহত নায়েবকে উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মনিরামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অরবিন্দু হাজরা বলেন, মাহাবুর রহমান উপজেলা কমিটির সদস্য। হরিদাসকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর কবীর লিটন বলেন, জমি মাপামাপি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সরকারি একজন কর্মকর্তাকে মারধর করাটা অন্যায় হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহাবুর রহমান বলেন, জমির পরিমাপ নিয়ে জল্লিল গাজীদের সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেখান এলাকার গণমান্য ব্যক্তি হিসেবে গিয়েছিলাম। আমি নায়েবকে মারধর করিনি, বরং ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি আমি দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছি। এই জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, নায়েব হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

হাট ইজারার দ্বন্দ্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পেটালেন আ.লীগ নেতা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ইজারা না পেয়ে হাটের টোল আদায়কারীদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা পুলিশকে জানানোয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন ওই নেতা। অভিযুক্ত আরাফাত রহমান সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় হাটের ইজারাদার আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে আরাফাতসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত বুধবার মামলার পর বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, বাংলা নতুন বছরে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচলিয়া হাটের ইজারা পান আব্দুল মান্নান। গত মঙ্গলবার সকালে তিনি ও তার প্রতিনিধিরা হাটে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আরাফাতের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে মান্নানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে টোল আদায়কারীদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন তারা। এরপর হাটের দোকানিদের কাছ থেকে জোরপূর্বক খাজনা আদায় করেন। বিষয়টি উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে জানানো হলে তিনি হাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন। ইজারাদার আব্দুল মান্নান বলেন, আরাফাত নিজেকে এলাকার সর্বেসর্বা বলে ঘোষণা করেন। হাটের ইজারা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার কাছে চাঁদা চান। পুলিশকে সবকিছু বলে দেওয়ায় ঘটনার দিন রাতে জিল্লার নামে একজনকে চড়-থাপ্পড় মারেন আরাফাত। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাফিজুলকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন। আহত হাফিজুল সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক জানান, ১৬ তারিখ পাঁচলিয়া হাটে ইজারা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাফিজুল ইসলামকে মারধর করা হয়েছে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানতে চাইলে অভিযুক্ত আরাফাত রহমান হাটে চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন। তিনি বলেন, ইজারাদার বাইরে থেকে লোক এনে টোল আদায় করে, পাঁচলিয়া গ্রামের লোকজন এর প্রতিবাদ করে। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ঝামেলা হয়। মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘হালকা-পাতলা মারধর হয়েছে; তবে সেটা আমার নেতৃত্বে নয়।’
২০ এপ্রিল, ২০২৪

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটালেন আ.লীগ নেতা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাফিজুল ইসলামকে বেধড়ক পিটিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আরাফাত রহমান। বাজারের ইজারা ও টোল আদায় নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।  আহত হাফিজুল ইসলাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় ইজারাদার মো. আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ দ্রুতবিচার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।  মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান দুলাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দ্রুতবিচার আদালতে মামলা দায়ের হয়। বিচারক মোছা. নাহিদ রহমান শরীফ মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচলিয়া হাট-বাজারের ইজারা পান আব্দুল মান্নান। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে হাটে অবস্থান করছিলেন ইজারাদার ও তার প্রতিনিধিরা। এ সময় আরাফাত রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ৩০-৩৫ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইজারাদার আব্দুল মান্নানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে টোল আদায়কারীদের কাছ থেকে জোর করে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর হাটের ভেতরের দোকানিদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করে। বিষয়টি উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে জানালে তিনি হাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন।  ইজারাদার আব্দুল মান্নান বলেন, আরাফাত হাটের ইজারা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ায় আরাফাত বৃহস্পতিবার বিকেলে হাটের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাফিজুলকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরাফাত রহমান হাটে চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছি। ইজারাদার বাইরের গ্রাম থেকে লোক এনে টোল আদায় করে। এ নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। হাফিজুল ইসলামকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, হালকা-পাতলা মারধর হয়েছে, তবে সেটা আমার নেতৃত্বে নয়। সলঙ্গা থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, পাঁচলিয়া হাটে ইজারা নিয়ে ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গুলিতে আহত সেই ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীবের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের নীবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যৃ হয়। এর আগে ১২ এপ্রিল রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় সজিবসহ চারজন আহত হন। চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ সজীবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।  এদিকে হামলার ঘটনার সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনা সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।  এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল  রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানো হয়। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। 
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
X