সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাফিজুল ইসলামকে বেধড়ক পিটিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আরাফাত রহমান। বাজারের ইজারা ও টোল আদায় নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
আহত হাফিজুল ইসলাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় ইজারাদার মো. আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ দ্রুতবিচার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান দুলাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দ্রুতবিচার আদালতে মামলা দায়ের হয়। বিচারক মোছা. নাহিদ রহমান শরীফ মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচলিয়া হাট-বাজারের ইজারা পান আব্দুল মান্নান। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে হাটে অবস্থান করছিলেন ইজারাদার ও তার প্রতিনিধিরা। এ সময় আরাফাত রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ৩০-৩৫ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইজারাদার আব্দুল মান্নানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে টোল আদায়কারীদের কাছ থেকে জোর করে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর হাটের ভেতরের দোকানিদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করে। বিষয়টি উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে জানালে তিনি হাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন।
ইজারাদার আব্দুল মান্নান বলেন, আরাফাত হাটের ইজারা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ায় আরাফাত বৃহস্পতিবার বিকেলে হাটের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাফিজুলকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরাফাত রহমান হাটে চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছি। ইজারাদার বাইরের গ্রাম থেকে লোক এনে টোল আদায় করে। এ নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। হাফিজুল ইসলামকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, হালকা-পাতলা মারধর হয়েছে, তবে সেটা আমার নেতৃত্বে নয়।
সলঙ্গা থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, পাঁচলিয়া হাটে ইজারা নিয়ে ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
মন্তব্য করুন